অক্টোবর ১৫, ২০২৩ ১২:২১ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১৫ অক্টোবর রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • গাজায় মানবিক করিডর খোলার আহ্বান-প্রথম আলো
  • ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃত মায়ের দুধ পান করছিল শিশুটি-ইত্তেফাক
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৫ পরামর্শ মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের-যুগান্তর
  • সাগর-রুনি হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল ১০৪ বার-ডেইলি স্টার বাংলা
  • ডেঙ্গু: মৃত্যু কেবলই সংখ্যা নয়–মানবজমিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ‘নেতানিয়াহু শয়তান, প্যালেস্টাইনের পাশে থাকুন’, মোদিকে আর্জি ওয়েইসির-সংবাদ প্রতিদিন
  • ক্ষুধার রাজ্যে ভারত মোদীময় -গণশক্তি

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্ব মিডিয়ায় প্রধান খবর-ইসরাইল-গাজা যুদ্ধ। গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার খবর। যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলোর কয়েকটি শিরোনাম-ইসরায়েলকে সহায়তায় বিমানবাহী দ্বিতীয় রণতরি পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুগান্তরের খবর- জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ২০ লাখ মানুষ। পানিশূন্যতায় মানুষ মারা যাবে। এর মধ্যে আছে ছোট ছোট বাচ্চা, প্রবীণর ও নারীরা রয়েছে।  নেই বিদ্যুৎ, ওষুধ ও খাবার। মাত্র ১২ ঘণ্টায় গাজা থেকে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌঁছেছে। আর ইসরাইলি নৃশংস বর্বরাতায় গাজায় মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা মুশকিল। তুমুল যুদ্ধ চলছে । গত ৯ দিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে  দাঁড়িয়েছে ২২১৫, শিশু ৭২৪ জন। ইত্তেফাকের খবর এটি। ইত্তেফাকের একটি খবরের শিরোনাম- মনকে দগ্ধীভূত করছে, পীড়া দিচ্ছে। কি করুণ সেখানকার পরিস্থিতি এই শিরোনামটি পড়লে বুঝতে পারা যায়। লেখা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃত মায়ের দুধ পান করছিল শিশুটি। এ খবরে লেখা হয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে আজ ৯ দিন ধরে অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে গাজার বহু ভবন। সেই ধসে পড়া একটি ভবনে উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন কয়েকজন মানুষ। তারা দেখতে পেয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকা মৃত মায়ের দুধ পান করছে ১ মাস বয়সী এক শিশু। শিশুটির নাম ইয়ামেন।

মতামত কলাম-মতামতহামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে বিপদে চীন ও ভারত। এতে বলা হয়েছে, চীন একটা ভারসাম্য বজায় রাখার কঠিন নীতি নিয়েছে।ভারতের ক্ষেত্রেও একই বাস্তবতা। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে, কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনের সঙ্গে দিল্লির শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। চীন ও ভারত দুই দেশই এখন ‘দূরে থেকে জেতার’ নীতি অনুসরণের মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক অর্জন করতে চায়। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের মারপ্যাঁচ থেকে তারা নিজেদের দূরে রাখতে চেয়েছে।

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রতিদিনই থাকছে কোনো না কোনো খবর।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে অর্থবহ সংলাপের আহ্বান মার্কিন প্রতিনিধিদলের-প্রথম আলো যুগান্তরসহ বেশ কয়েকটি দৈনিকে খবরটি পরিবেশিত হয়েছে। এ খবরে লেখা হয়েছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছে মার্কিন নির্বাচনি মিশন। চলতি মাসের ৮-১২ তারিখ পর্যন্ত ঢাকা সফর করেছে প্রতিনিধিদলটি। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে তারা মোট পাঁচটি মতামত তুলে ধরেছে।মতামতের প্রথমেই সংলাপের আহ্বান করা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনের সময় মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে অনুরোধ করা হয়। সেই সঙ্গে নাগরিকের ভিন্ন মতকেও সম্মান জানাতে বলা হয়েছে। 

দেশের নাগরিক যেন অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পরামর্শ দেয়া হয়। রাজনৈতিক সহিংসতাকারী অপরাধীদেরকে জবাবদিহি করার প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। আমরা সেই শ্রীলংকার দিকে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভ নেই। প্রতিমাসে এক বিলিয়ন ডলার করে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। এখন সরকারের হিসাবে ১৭ কিংবা ১৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে। অথচ এত বেশি ঋণ এবং পাওনাদার আছে যাদের দিলে আর কোনো রিজার্ভ থাকবে না। অথচ রিজার্ভ ১০ বিলিয়নের কম থাকলে কোনো দেশ এলসি গ্রহণ করবে না। বিদেশ থেকে কোনো জিনিসপত্র আনতে পারবেন না। এদেশে সেই পজিশনের সৃষ্টি করেছে এ সরকার।

মৃত্যু কেবলই সংখ্যা নয়-মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, স্বপ্নার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। একমাত্র সন্তান অয়নকে কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ডেঙ্গু সরব ঘাতক। অথচ কর্তৃপক্ষ নীরব। শুধু স্বপ্না নন, এমন বহু মা তার সন্তানকে হারিয়েছেন। ডেঙ্গুর ভয়াল থাবায় বহু সংসারে এখন শুধুই হাহাকার। চলতি বছর ডেঙ্গুতে শিশু ও নারীদের কাবু করেছে বেশি। বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়। আর ভয়ঙ্কর রূপ নেয় জুলাইতে। ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে সাড়ে ১১০০ জনের। এর মধ্যে শিশু ও নারীই বেশি।

সাগর-রুনি হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল ১০৪ বার-ডেইলি স্টার বাংলা

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা আবারো বাড়িয়েছে আদালত। এনিয়ে ১০৪ বারের মতো সময়সীমা বাড়ানো হলো। আদালত সূত্র জানায়, র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম, যিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, আজ প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. শফিউদ্দিন আগামী ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর একই আদালত র‌্যাবকে আজকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিল। এর আগে, দুটি পৃথক আদালত তদন্ত এবং হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য উদঘাটন এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের ব্যর্থতার জন্য অসন্তোষ প্রকাশ জানায়।

বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয়। পরদিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।

 এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত 

‘নেতানিয়াহু শয়তান, প্যালেস্টাইনের পাশে থাকুন’, মোদিকে আর্জি ওয়েইসির-সংবাদ প্রতিদিন

হামাসের হামলায় রক্তাক্ত ইজরায়েল। পালটা মারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গাজা স্ট্রিপকে। মধ্যপ্রাচ্যের এই ভয়ংকর যুদ্ধে ভারত যে ইহুদি দেশটির সঙ্গে রয়েছে, তা আগেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার আসাদউদ্দিন ওয়েইসি মোদিকে অনুরোধ জানালেন গাজা ভূখণ্ডের পাশে দাঁড়ানোর। সেই সঙ্গে নেতানিয়াহুকে ‘শয়তান’ বলেও আক্রমণ করেন হায়দরাবাদের সাংসদ। শনিবার এক জনসভায় ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi) বলেন, ”আমি প্যালেস্টাইনের সঙ্গে আছি। গাজার সাহসী মানুষদের লাখো সেলাম, যাঁরা আজও লড়াই করে চলেছেন। নেতানিয়াহু একজন অত্যাচারী শয়তান এবং একজন যুদ্ধাপরাধী। আমাদের দেশের এক ‘বাবা’ মুখ্যমন্ত্রী আছেন যিনি বলেছেন প্যালেস্টাইনের নাম নিলে নাকি তাঁদের অভিযুক্ত করা হবে। তা শুনুন হে ‘বাবা’ মুখ্যমন্ত্রী, আমি গর্বের সঙ্গে প্যালেস্টাইনের পতাকা বহন করছি এবং তেরঙাকেও। আমি প্যালেস্টাইনের সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ”আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্যালেস্তিনীয়দের উপর চালানো নৃশংসতা বন্ধের আবেদন জানাতে চাই। প্যালেস্টাইন শুধু মুসলমানদের বিষয় নয়, এটি একটি মানবিক সমস্যা।” প্রসঙ্গত, ওয়েইসির আগে কংগ্রেসও ইজরায়েলের নিন্দা করে প্যালেস্তিনীয়দের অধিকারের পক্ষে সরব হয়েছিল।

এদিকে ইজরায়েলে প্যালেস্টাইন (Palestine) জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন মোদি (PM Modi)। তিনি লেখেন, “ইজরায়েলে (Israel) সন্ত্রাসী হামলার খবরে গভীরভাবে মর্মাহত। আমাদের মন ও প্রার্থনা নিরীহ সাধারণ মানুষ এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। এই কঠিন সময়ে ইজরায়েলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।”

ইজ়রায়েলের হামলায় মৃত্যু হচ্ছে অপহৃত ইজ়রায়েলিদেরই! হামাসের চালে দিশাহারা নেতানিয়াহুর সেনা আনন্দবাজার পত্রিকা

এ খবরে লেখা হয়েছে, শনিবার ইজ়রায়েলের বায়ুসেনার হামলায় গাজ়ায় বন্দি ন’জন ইজ়রায়েলির মৃত্যু হয়েছে। ফলে হামাসের এই রণকৌশল ভাবিয়ে তুলেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনাকে।

ক্ষুধার রাজ্যে ভারত মোদীময়- গণশক্তি

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের চোখ ধাঁধানো আয়োজন করে নিজের পিঠ নিজেই চাপড়িয়েছেন। শত শত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি রাষ্ট্রনায়কদের দেখিয়েছেন তাঁর জমানায় ভারতের প্রাচুর্যের সমাহার। পাশাপাশি রাজধানীর রাস্তার ধারে ঝুপড়ি, বস্তি আর অসচ্ছল জীবনের বাস্তব ছবি আড়াল করতে ঘিরে দেওয়া হয় রঙিন সজ্জার মোড়কে। তাতে উন্নয়নের ধ্বজাধারী নরেন্দ্র মোদীর বিশাল বিশাল ছবি। জি-২০ সম্মেলন দুনিয়াকে দেখিয়েছে মোদীময় ভারতকে। আর সচেতনভাবে আড়াল করে ঢেকে দেওয়া হয়েছে দারিদ্র ও ক্ষুধার নির্মম বাস্তবতাকে। উজ্জ্বলা যোজনা চালু করে নিজের ছবি সহ বিজ্ঞাপনে গোটা দেশ ভরি‍‌য়ে দিয়েছেন। দেশের প্রায় সব দরিদ্র পরিবারে বিনামূল্যে নাকি রান্নার গ্যাসের সংযোগ দিয়েছেন। এই প্রচার ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে। কিন্তু দুনিয়া জানতে পারেনি বিনামূল্যের প্রথম সিলিন্ডার শেষ হবার পর অধিকাংশ পরিবারই দ্বিতীয় সিলিন্ডার কিনতে পারেননি হাজার টাকা জোগাড় করতে পারেননি বলে। কোনও পরিবার কোনোক্রমে একটি, বড়জোর দু’টি সিলিন্ডার কিনলেও বছরে একটি সিলিন্ডারও কিনতে পারেনি মেন পরিবারের সংখ্যা কম নয়। স্বচ্ছ ভারত অভিযান করে ঘরে ঘরে শৌচা,লগ বানানোর কথা ঘোষণা করেছেন। শৌচালয় ব্যবহারকারীদের পেট ভরাবার ব্যবস্থা করেননি। কৃষক ফসলের দাম পায় না। আদিবাসীদের বনাঞ্চল থেকে উচ্ছেদের আয়োজন করেছেন। সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বন্ধ করে অসংগঠিত ক্ষেত্রে অনিশ্চিত কাজ ও আয় হ্রাসের ব্যবস্থা করেছেন। বিপরীতে উচ্চ হারে মূল্যবৃদ্ধিকে দীর্ঘস্থায়ী করেছেন। এমন এক দেশে মেন এক শাসনে দারিদ্র ও ক্ষুধা বাড়বে তাতে অবাক হবার কিছু নেই।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিগুণ খরচ বাড়িয়ে পেশিশক্তির আস্ফালন দেখানো যায়, গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মতো নিজেকে বিশ্বগুরু বলে জাহির করা যায় তাতে দরিদ্র ভারতবাসীর পুষ্টি বাড়ে না। বুলেট ট্রেনের বিলাসিতায় বানের জলের মতো টাকা ঢালা যায়, নতুন সংসদ ভবন বানিয়ে মানুষের করের টাকায় বুকের ছাতি ফোলানো যায় কিন্তু তাতে শিশু মৃত্যুহার কমে না। কর্পোরেট মালিকদের কর হার কমিয়ে তাদের সম্পদ অঢেল বৃদ্ধি করা যায় কিন্তু উচ্চতার তুলনায় ভারতীয় শিশুদের ওজন বাড়ানো যায় না। ধর্মের নামে বিভাজন করে এবং উগ্র দেশপ্রেমের জিগির তুলে অন্ধ আবেগে ভাসানো যায় কিন্তু তাতে ভারতীয় মহিলাদের রক্তাল্পতার ব্যাপ্তি হ্রাস করা যায় না।

মোদী জমানায় বিশ্বে নাকি ভারতের মর্যাদা বেড়েছে, দুনিয়া নাকি ভারতকে সমীহ করে। তাতে মোদীর কৃতিত্ব জাহির হয় বটে তবে দেশের বেকারদের কাজ জোটে না, কারও জুটলে আয় বাড়ে না। ভারত এখন দীর্ঘস্থায়ী নিম্ন আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে স্থির আয় বা হ্রাসমান আয় দারিদ্রের প্রকটতা বাড়ায়। সাধারণ মানুষের একটা অংশ ধারাবাহিকভাবে দারিদ্রের শিকার হচ্ছেন। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ধরা পড়েছে সেই ভয়ঙ্কর সত্য। ১২৫টি দেশের মধ্যে মোদীর ভারত নামতে নামতে ১১১তম স্থানে নেমেছে। প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশ এমনকি পাকিস্তানও মোদীর ভারত থেকে অনেক এগিয়ে। মোদী ক্ষমতায় আসার সময় থেকে প্রতি বছর ভারতের অবস্থান কমেছে। গত বারেও ছিল ১০৭তম। আত্মপ্রচার ছেড়ে মোদী এবার দেশের সাধারণ মানুষের দিকে নজর দিন।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১৫

ট্যাগ