নভেম্বর ০৬, ২০২৩ ১০:৫৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৬ নভেম্বর সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • বিএনপিকে আর বের হতে দিতে চায় না আওয়ামী লীগ-প্রথম আলো
  • গ্রেফতারে উদ্বেগ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান ইইউ'র-ইত্তেফাক
  • সহিংস ঘটনায় সব সময় পুলিশ কেন টার্গেট!-ইত্তেফাক
  • নির্বাচনমুখী আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা, আন্দোলনে বিএনপি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২২৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন-যুগান্তর
  • হিন্দুস্তান টাইমসের নিবন্ধ নির্বাচন এবং বাংলাদেশের রাজনীতি, ভারতের যা করা উচিত–মানবজমিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • প্যালেস্তিনীয়দের দুর্দশা সহ্য করা যাচ্ছে না! ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খুললেন ওবামা-সংবাদ প্রতিদিন
  • দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ‘অতি ভয়ানক-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • অন্যদের বেলা ‘রেউড়ি’, নিজের বেলা ‘মোদী কী গ্যারান্টি’! বলছে কংগ্রেস-গণশক্তি

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

বাংলাদেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কিত খবর আজকের জাতীয় দৈনিগুলোর প্রধান খবর হিসেবে পরিবেশিত হয়েছে। এরবাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির খবরও বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে দৈনিকগুলোতে।

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির খবরে প্রথম আলোর শিরোনাম এরকম,  সংঘাতময় রাজনীতির মধ্যে তফসিলের পথে ইসি। এ খবরে লেখা হয়েছে, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হরতাল–অবরোধের মতো কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। অন্যদিকে চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযান। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা একের পর এক গ্রেপ্তার হচ্ছেন। রাজনৈতিক পরিবেশ ক্রমেই সংঘাতময় হয়ে উঠছে। এর মধ্যেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।৬-৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোটের প্রস্তুতি ইসির। আগামী বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে তারা। এরপরের সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে তফসিল।

প্রথম আলোর ঐ প্রতিবেদনে আরো লেখা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর–পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বিবেচনায় নিচ্ছে ইসি। তবে পরিস্থিতি যা–ই হোক, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করা থেকে পিছু হটার কোনো চিন্তা নেই কমিশনের।যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চারটি স্তর আছে। নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি, প্রচারাভিযান, ভোটের দিন এবং ভোটের পরবর্তী পরিস্থিতি। এর যেকোনো একটি স্তরে ব্যত্যয় হলে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না। নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন উটপাখির মতো মুখ লুকিয়ে রাখতে পারে না। বিরোধী দলগুলোর ওপর কী কী ধরনের নিপীড়ন–নির্যাতন হচ্ছে, তারা সেটা জানার পরও ইসি নির্বাচন করতে চাইছে। এভাবে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়ার কোনো কারণ নেই। সংবিধানের অজুহাত দিয়ে যেভাবে নির্বাচন করার চিন্তা করা হচ্ছে, তাতে ইসি আসলে একটি সংসদ তৈরি করতে চাইছে। নির্বাচন করতে চাইছে না। দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপিকে আর বের হতে দিতে চায় না আওয়ামী লীগ। বিএনপির নেতাদের একটি অংশ কারাগারে, আরেকটি অংশ আত্মগোপনে। দলটিকে এ অবস্থায় রেখেই নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ। আর ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশে বিরোধীদের গ্রেফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে ইইউ। এদিকে যুগান্তরে আইজিসির প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন বাড়িয়েছে সরকার।

সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে গাড়িতে আগুন, পোড়ানো ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। গতকাল এবং আজও ঘটেছে। সেই সাথে ঘটছে বিরোধী দলের শীর্ষস্থানীয়সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা। আজ গভীর রাতে শুমসুজ্জামান দুদুকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। এ সম্পর্কে সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হকের একটি কলামে তিনি শিরোনাম করেছেন এমন বাসে আগুন দিয়ে ঘরে ফিরে সন্তানকে স্পর্শ করেন কীভাবে! তিনি লিখেছেন, এই সব কী! রোজ বাসে আগুন দিচ্ছেন কেন? কখনো কখনো যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে, কখনো-বা ভেতরে ঘুমন্ত বাসের চালক বা সহকারীকে রেখে রোজ বাসে আগুন দেওয়ার মানে কী! কী অর্জন করতে চাইছেন এসব থেকে!

এতে কী ফল আসে? দয়া করে বাসে আগুন দেওয়া বন্ধ করুন। আর এটা বন্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। ‘ওরা অগ্নিসন্ত্রাসী’, ‘ওরা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারে’—এসব কথা শুনতে আর ভালো লাগে না। যারা অগ্নিসন্ত্রাসী তাদের নিবৃত্ত করতে পারেন না কেন!

দয়া করে চোখ-কান খোলা রাখুন, শুনুন, মানুষ কী বলে! মানুষের পারসেপশন কী! জগৎ চলে পারসেপশন বা ধারণা দিয়ে! আসলে কে বাস পোড়ায়, কোন বাসটা কে পুড়িয়েছে, তার চেয়ে বড় ব্যাপার হলো, দেশের মানুষ কী মনে করে, দেশের মানুষ বাস পোড়ানোর জন্য কাকে দায়ী করে থাকে।

এই সব কী! রোজ বাসে আগুন দিচ্ছেন কেন? কখনো কখনো যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে, কখনো-বা ভেতরে ঘুমন্ত বাসের চালক বা সহকারীকে রেখে রোজ বাসে আগুন দেওয়ার মানে কী! কী অর্জন করতে চাইছেন এসব থেকে!

এতে কী ফল আসে? দয়া করে বাসে আগুন দেওয়া বন্ধ করুন। আর এটা বন্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। ‘ওরা অগ্নিসন্ত্রাসী’, ‘ওরা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারে’—এসব কথা শুনতে আর ভালো লাগে না। যারা অগ্নিসন্ত্রাসী তাদের নিবৃত্ত করতে পারেন না কেন!

দয়া করে চোখ-কান খোলা রাখুন, শুনুন, মানুষ কী বলে! মানুষের পারসেপশন কী! জগৎ চলে পারসেপশন বা ধারণা দিয়ে! আসলে কে বাস পোড়ায়, কোন বাসটা কে পুড়িয়েছে, তার চেয়ে বড় ব্যাপার হলো, দেশের মানুষ কী মনে করে, দেশের মানুষ বাস পোড়ানোর জন্য কাকে দায়ী করে থাকে।

নীতিনির্ধারকদের বলব, দয়া করে বাগদাদের খলিফাদের মতো ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যে যান এবং একটাবার মানুষের পারসেপনশনটা বোঝার চেষ্টা করুন। অগ্নিসন্ত্রাসীরা যদি বাস পোড়ায়, তাদের নিবৃত্ত করতে না পারার দায় সরকারের, কর্তৃপক্ষের, রাজনীতির ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর। তারা কেন বাস পোড়ানোর ঘটনা রোধ করতে পারে না?

সরকারের কাজ হবে আজ থেকেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে একটা বাসেও আর আগুন না জ্বলে। একটা গাড়িও ভাঙচুর না হয়। একটা স্থাপনাও আক্রান্ত না হয়। নাগরিকদের এই ন্যূনতম নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। বাস জ্বলবে, আর তার ছবি দেখিয়ে বলা হবে, ‘ওই দেখো, ওরা অগ্নিসন্ত্রাসী’—এই কৌশল বুমেরাং হতে বাধ্য। যারা বাস পোড়ায়, তাদের আগে-ভাগে থামিয়ে দেওয়াই সরকারের দায়িত্ব।

সহিংস ঘটনায় সব সময় পুলিশ কেন টার্গেট!-ইত্তেফাক

আমরাও এ দেশেরই নাগরিক, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবার কেন আপনজন হারাবে: আহত পুলিশ সদস্যদের প্রশ্ন

মানুষের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে নিজের জীবন হারাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। আন্দোলনে পুলিশ সব সময় প্রতিপক্ষের সহিংসতার শিকার হয়। যে কোনো আন্দোলনে পুলিশ যেন বিক্ষোভকারীদের কমন টার্গেট। মানুষের জানমাল রক্ষা, দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকেই সব সময় দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হয়। আর তা করতে গিয়ে নিজেদের জীবনকেই বিপন্ন করে তোলেন তারা। রাজনৈতিক কর্মীদের হিংস্রতার শিকার হয়ে নিজের জীবন দিতে হয়, তার পরেও দায়িত্ব পালন থেকে সরে আসেন না তারা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে তারা দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

সংকট নিরসনে সংলাপ আয়োজনের চেষ্টা কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ পর্দার আড়ালে-যুগান্তর

রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংলাপ আয়োজনের লক্ষ্যে বিদেশি কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ সফল করার লক্ষ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতাও শুরু হয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকরা দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে শলাপরামর্শ করছেন। এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তবে ‘স্পর্শকাতরতার বিবেচনায়’ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে চলমান উদ্যোগ নিয়ে কোনো আলোচনা হচ্ছে না। ঢাকায় নির্ভরযোগ্য সূত্র যুগান্তরকে সংকট নিরসনে কূটনৈতিক উদ্যোগের কথা নিশ্চিত করেছে। সূত্রমতে, শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নয়, সংকট নিরসনে দেশের বাইরেও বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইইউ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশ মিলে এ উদ্যোগ নিলেও অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। সূত্র জানায়, কূটনীতিকরা নেপথ্যে থেকে রাজনৈতিক সংলাপের অনুঘটক হিসাবে কাজ করলেও সামনে আসবেন না। সামনে এলে কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ করেছেন বলে অভিযোগ উঠতে পারে। তাই তারা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। তারা ইতোমধ্যে দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনের আগে সময় খুব কম তাই সামনের কয়েকদিনে আরও অনেক বৈঠক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ২৮ অক্টোবরের সহিংস ঘটনার কারণে কূটনৈতিক তৎপরতা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। ওই ঘটনার কারণে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব নেতা কারাগারে থাকায় আলোচনায়ও সমস্যা হচ্ছে। অপরদিকে, সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌদি আরব সফরে থাকার কারণেও প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত 

অন্যদের বেলা ‘রেউড়ি’, নিজের বেলা ‘মোদী কী গ্যারান্টি’! বলছে কংগ্রেস-গণশক্তি পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, ছত্রিশগড়ে এক নির্বাচনি প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মাথাপিছু ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়ার প্রকল্প পাঁচ বছর বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন। তাঁর দাবি, এই প্রকল্পের জন্য বছরে ২ লক্ষ কোটি টাকার ব্যয়ভার নেবে কেন্দ্র। উপকৃত হবেন প্রায় ৮০ কোটি নাগরিক। তবে এটি নির্বাচনি বিধির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, বিরোধীরা জনকল্যাণ এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের ঘোষণা করলে মোদীই তাকে‘রেউড়ি বা খয়রাতি বলে ব্যঙ্গ করেন। আর নিজে ঘোষণা করলে বলেন ‘মোদী কী গ্যারান্টি’’।

কৃষক দাম পেয়েছেন কেজিতে ৫টাকা, বাজারে পেঁয়াজ এখন ৮০-গণশক্তি পত্রিকায় কৃষকের দূরবস্থার এ খবর পরিবেশিত হয়েছে। লেখা হয়েছে, হুগলির বলাগড় এবং নদীয়ার চাঁদুড়িয়া সান্যালচড়ের কৃষকরা গত ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৫ টাকা কেজি দরে। তাঁদেরই এখন খাবার জন্য পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ টাকা দিয়ে। জেলাগুলিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের হিমঘর না থাকায় কম দামে কৃষকরা পেঁয়াজ বিক্রি করে দেন। ফসলের দাম পাননা। আর এখন ৫ টাকায় বিক্রি করা পেঁয়াজ তারা ৮০ টাকায় কিনছেন।

দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ‘অতি ভয়ানক-আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, রবিবার সকালে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ছিল (একিউআই) ৪৬০। সোমবার সকালে সেই মাত্রা ৪৮৮ ছুঁয়েছে। দূষণ মোকাবিলার পথ খুঁজতে উচ্চ পর্যায়ের জরুরি বৈঠক ডাকলেন কেজরীওয়াল। টানা পাঁচ দিন ধরে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ‘অত্যন্ত ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে দিল্লিবাসীদের। পরিবেশবিদেরা বলছেন, দিল্লিতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে শুধু মানুষের উপরই প্রভাব পড়ছে না, পশুপাখিদের উপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৬

ট্যাগ