নভেম্বর ২৫, ২০২৩ ১৬:০৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৫ নভেম্বর শনিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর অনলাইন ভার্সন ও ই পেপারের বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • অর্থনীতিতে অংশীদার ৫, ইউরোপ বড় বাজার, সামনে দুশ্চিন্তা -প্রথম আলো
  • বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে নির্বাচন হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই: রাশিয়া-ইত্তেফাক
  • বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের রাশিয়ান অভিযোগ প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের-মানবজমিন
  • নির্বাচনে যাবে না জেএসডি, রাষ্ট্রকে জিম্মি না করার পরামর্শ -যুগান্তরের 
  • তাজরীন ট্র্যাজেডি: ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ১১ বছর-ডেইলি স্টার বাংলা

কোলকাতার শিরোনাম:

  • আমিষ খাওয়া যাবে না, সব মাংসের দোকান বন্ধ! –নির্দেশ আদিত্যনাথের-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ‘তদন্তই হল না, ভারত অপরাধী!’ নিজ্জর খুনে কানাডাকে একহাত নিল নয়াদিল্লি-সংবাদ প্রতিদিন
  • গেরুয়া যোগীর মনু শাসন-গণশক্তি
  • বেতন চাইতে যাওয়াই অপরাধ? গুজরাটে দলিত কর্মীর মুখে জুতো গুঁজে দিলেন সংস্থার মালকিন-আজকাল

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

প্রথম আলোর রাজনীতির খবরে লেখা হয়েছে, দিল্লিতে রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ভোটাররা পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে উদ্‌গ্রীব হয়ে আছেন। এদিকে দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, রাজনীতিতে ‘প্রভাব’ থাকা ইসলামপন্থী ৪টি দল ভোটে যাচ্ছে না। আরেকটি খবর এরকম, ৩০০ আসনে ভোট করার ঘোষণা দিয়ে এখন ‘যোগ্য প্রার্থী’ খুঁজে পাচ্ছে না নতুন নিবন্ধিত দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)। দল দুটিতে সাবেক সংসদ সদস্যসহ বিএনপি থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেকে যোগ দিতে পারেন বলে যে আলোচনা ছিল, গতকাল পর্যন্ত তা বাস্তবে রূপ পায়নি।

প্রথম আলোর অর্থনীতি বিষয়ক এ খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ৪৫ শতাংশই যায় ইইউর ২৭ দেশে। সামনে আসছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের চ্যালেঞ্জ। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বড় বাজার। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪৫ শতাংশ আসে ইইউ থেকে। বছর বছর এই রপ্তানি আয় বেড়েছে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে।‘জিএসপি (অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য–সুবিধা) প্লাস’ পেতে হলে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার ও পরিবেশগত বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশ সেই সব শর্ত পূরণে সক্ষম হবে কি না, সরকার শর্ত পূরণে পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে।কূটনীতিকেরা আরও বলেছেন, আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, তাহলে তা বাংলাদেশেকে জিএসপি প্লাস অর্জনের ক্ষেত্রে এগিয়ে দেবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি আরও অনেক শর্ত রয়েছে।

বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে নির্বাচন হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই: রাশিয়া-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বাধীনভাবে, বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তা ছাড়াই জাতীয় আইন মেনে সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা নিয়ে রাশিয়ার কোনো সন্দেহ নেই।সম্প্রতি সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ কথা বলেন। এদিকে বাংলাদেশ ইস্যুতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটি বলছে, রুশ পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্তব্য একটি স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিএনপি এই ভ্রান্ত তথ্য তথা অপব্যাখ্যার সাথে ভিন্নমত পোষণ করে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের রাশিয়ান অভিযোগ প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের-মানবজমিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,

বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। এক দলকে বাদ দিয়ে অন্য দলের পক্ষে নয় যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারভের ২২শে নভেম্বরের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের জবাবে এসব কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাখারভ অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক করার দাবির মধ্য দিয়ে এখানকার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এ সময় তিনি অক্টোবরে বিরোধী দলীয় স্থানীয় একজন নেতার সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এতে আরও বলা হয়, ১০ বছর আগের মতোই ঘটনা ঘটছে। এটা ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদের একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভয়াবহভাবে হস্তক্ষেপ ছাড়া কিছু নয়।  তার এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের বিবৃতি এক্ষেত্রে প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।

 এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

পুরনো মামলায় গ্রেপ্তারির হুঁশিয়ারি: মমতার বিরুদ্ধে FIR শুভেন্দুর, পালটা কুণালের-সংবাদ প্রতিদিনে এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, পুরনো মামলায় গ্রেপ্তারির হুঁশিয়ারির ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পালটা FIR শুভেন্দু অধিকারীর। ই-মেল মারফত হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের। পালটা শুভেন্দুকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে ছিল তৃণমূলের মেগা সমাবেশ। ওই মঞ্চ থেকে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মানিক ভট্টাচার্যদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দলের নেতারা চুরি করতে পারে না বলেই আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রীর গলায়। প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা আরও বলেন, “আমাদের চার বিধায়ক গ্রেপ্তার হয়েছেন। ওরা যদি চারজনকে জেলে রাখে, আমি পুরনো কেস রিওপেন করে ৮ জনকে জেলে ভরে দেব।” এই ইস্যুতে সেদিনই মুখ খোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পালটা FIR করার হুঁশিয়ারি দেন। এর পর শুক্রবার রাতে ই-মেল মারফৎ হেয়ার স্ট্রিট থানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন তিনি। শুভেন্দুকে পালটা কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।তিনি বলেন, “শুভেন্দু মানসিক ভারসাম্যহীন। মমতা ঠিক কথা বলেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্তা করছে বিজেপি।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে আজ, প্রাণীহত্যা নিষিদ্ধ। শিক্ষাবিদ, দার্শনিক থানওয়ারদাস লীলারাম বাসওয়ানির জন্মদিবস উপলক্ষে এই দিনটিকে বিশেষ ভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাই ২৫ নভেম্বর রাজ্যের সব মাংসের দোকান, কসাইখানা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর তাই আমিষ খাওয়া যাবে না আজ সব মাংসের দোকান বন্ধ! কিছু দিন আগেই উত্তর প্রদেশে হালাল শংসাপত্র দেওয়া খাদ্যপণ্য নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে এই ‘হালাল’ রীতি বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। কারণ, ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা এই হালাল রীতিতে তৈরি খাবার ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করেন না। মাংস, ওষুধ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় বহু জিনিসই এই পদ্ধতি মেনে তৈরি করা হয়। জনস্বার্থের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে।

‘তদন্তই হল না, ভারত অপরাধী!’ নিজ্জর খুনে কানাডাকে একহাত নিল নয়াদিল্লিা-সংবাদ প্রতিদিন

ভারত-কানাডা টানাপোড়েন অব্যাহত। সেপ্টেম্বরে ভারতে জি-২০ বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর দেশে ফিরেই ভয়ংকর অভিযোগ করেছিলেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে তিনি অভিযোগ আনেন, কানাডার খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে। শনিবার এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার ভার্মা ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানালেন, কোনও তদন্ত ছাড়াই ভারতকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘এটা কি আদৌ আইনের শাসন?’ কানাডার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”কোনও তদন্তই হল না। ভারত দোষী সাব্যস্ত হয়ে গেল! এটা কি আদৌ আইনের শাসন? ভারতকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। আপনি যদি ক্রিমিনাল টার্মিনোলজি দেখেন, দেখবেন যখন কাউকে সহযোগিতা করতে বলা হয়, তখন ধরেই নেওয়া হয় সে অপরাধী। এবং সহযোগিতা করলে অভিযুক্তের উপকারই হবে। আর তাই আমরা এটাকে ভিন্ন ব্যাখ্যাতেই দেখছি। তবে যদি সত্যিই কোনও নির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, নিশ্চয়ই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

গেরুয়া যোগীর মনু শাসন-গণশক্তি 

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, হিন্দু রাষ্ট্রের উপযোগী আদর্শ প্রশাসনিক ও সামাজিক ব্যবস্থা তৈরির অন্যতম পরীক্ষাগার হিসেবে অনেক আগেই উত্তর প্রদেশকে বেছে নিয়েছে আরএসএস। সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর দায়িত্ব বর্তেছে হিন্দুত্ববাদের অন্যতম আইকন যোগী আদিত্যনাথকে। এর আগে কোনও গেরুয়া বসনধারী মঠের সন্ন্যাসীকে কোনও রাজ্যের রাজনৈতিক-প্রশাসনিক শীর্ষ পদে দেখা যায়নি। হিন্দু রাষ্ট্রচালকরা ঠিক কেমন হবেন বা হতে পারেন তার নমুনা হিসেবে যোগীকে হাজির করেছিল আরএসএস। তিনি সেই দায়িত্ব পালনে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাঁর রাজ্যে তিনি হিন্দু রাষ্ট্রের ও হিন্দুত্ববাদী সমাজের অনেক নমুনা বা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। রাজ্য প্রশাসনের সর্বস্তরে আরএসএস’র অনুগামীদের দিয়ে ভরানো হয়েছে। প্রশাসনের কাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে হিন্দুত্ববাদী উপাচারের রমরমা। সংবিধানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গোটা পুলিশবাহিনীকে কার্যত সঙ্ঘবাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। আরএসএস-এর সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব এখন প্রায় নেই বললেই চলে।

এহেন উত্তর প্রদেশে যোগী শাসনে ক্রিমিনালদের স্বর্গরাজ্য। আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে দেশের সবচেয়ে খারাপ রাজ্যের একটি। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ, বি‍‌শেষ করে দলিত মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসা, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন সর্বাধিক উত্তর প্রদেশে। প্রতিদিনই এই রাজ্যের কোনও না কোনও জায়গায় দলিত কন্যারা ধর্ষণ-খুনের শিকার। ঘটনা যত নৃশংস, অমানবিক ও বর্বর হোক না কেন পুলিশের ভূমিকা প্রায় শূন্য। অপরাধী যদি উচ্চবর্ণের বা সঙ্ঘ-বিজেপি ঘনিষ্ট হয় তাহলে তাদের রক্ষা করাই হয়ে ওঠে প্রধান কর্তব্য। ভারতের বুকে নারীদের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগের, সবচেয়ে বিপজ্জনক রাজ্য উত্তর প্রদেশ। সরকার কার্যত অপরাধীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে বসে আছে। মহিলাদের রক্ষায় পুরোপুরি ব্যর্থ যোগী সরকার এখন মহিলাদের মনুবাদী অনুশাসনের অধীনে গৃহে অন্তরীণ থাকার পরোক্ষ পরামর্শ দিয়েছে। আপাতত রাতের জন্য, পরে হয়ত দিনেও মেয়েরা যাতে রাস্তায় না বেরোয় তার ফতোয়া জারি হবে।

সম্প্রতি ছাত্রীদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ এতটাই বেড়ে গেছে এবং পথে-ঘাটে কোথাও ছাত্রীদের নিরাপত্তা না থাকায় সরকার ঘোষণা করেছে ছাত্রীরা সন্ধ্যার পর কোচিং ক্লাসে যেতে পারবে না। কারণ সন্ধ্যার পর রাস্তায়, বাসে, বাসস্ট্যান্ডে, জন শৌচালয়ে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ে। ছাত্রীরা সেখানে নিরাপদ নয়। পুলিশ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিতে অপারগ। তাই ফতোয়া জারি। আসলে মেয়েদের শিক্ষা থেকে দূরে রাখার এটা একটা কৌশল।

অপদার্থ যোগী সরকার চাইলে তামিলনাডু থেকে শিখে আসতে পারে কীভাবে সেখানে ছাত্রী, নারী শ্রমিক ও সাধারণ নারীদের দিনে-রাতে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মেয়েরা রাতে শিফটে কারখানায় কাজ করে। রাতে তাদের জন্য বাসের ব্যবস্থা আছে। আসলে সভ্য সমাজ থেকে যারা বহু যোজন দূরে অবস্থান করে তারা যদি শাসক হয় তাহলে এমনটা হবেই।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৪

ট্যাগ