জানুয়ারি ২১, ২০২৪ ১৭:১০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২১ জানুয়ারি রোববারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • নেতাকর্মীদের কারামুক্তির পথ খুঁজছে বিএনপি?-ইত্তেফাক
  • গণপরিবহনে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে ‘ধর্ষক-নিপীড়কেরা’-প্রথম আলো
  • ‘সরকারের ঘাড়ে পা দিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষানীতি দখল করেছে ভারত’-মানবজমিন
  • ‘দুই লাখ টাকা দাও, ৫০০ পিস ইয়াবার মামলা দেব'; অডিও ভাইরাল -যুগান্তর
  • দুএক দিনের মধ্যে গ্যাস সংকট কমবে, বললেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী -ডেইলি স্টার বাংলা

কোলকাতার শিরোনাম:

  • মোদির উত্তরসূরি কে?--সংবাদ প্রতিদিন
  • সরকারি দাপটে উত্তর প্রদেশ' হিন্দু প্রদেশ' হয়েই গেল-গণশক্তি
  • হাজার হাজার পুলিশ, ড্রোন, কম্যান্ডো, স্নাইপারে ছয়লাপ অযোধ্যায় ধৃত ‘জঙ্গি’!-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • আজ থেকে অবরুদ্ধ অযোধ্যা-আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগের সুযোগ নয় : প্রধানমন্ত্রী। দৈনিক মানবজমিনের এই শিরোনাম সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?

২. আবার সিরিয়ায় ইরানি সামরিক উপদেষ্টা গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। অনেকেই আশংকা করছেন- ধীরে ধীরে পরিস্থিতি কী বড় যুদ্ধের দিকে মোড় নিচ্ছে? আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

সরকারকে অভিনন্দনে হিংসায় জ্বলছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের-ইত্তেফাক

সরকারকে অভিনন্দনে বিএনপি হিংসায় জ্বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কারও স্বীকৃতির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছি বিষয়টা মোটেও এমন না। সরকারকে একের পর এক অভিনন্দন বার্তায় হিংসার আগুনে জ্বলছে বিএনপি।’

‘বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে এখন ঘোড়াও হাসে’

বিএনপির আন্দোলনের কথা উল্লেখ করা হলে ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে এখন ঘোড়াও হাসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি একবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচন অংশগ্রহণ করে, আবার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে। প্রকৃত অর্থে বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের বারবার ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনকে হাসি-তামাশার পরিণত করেছে।’

বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করতে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করলে আমরা বাধা দেবো না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার সবার আছে। এটা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির বাইরে নয়। কিন্তু আন্দোলন নামে সংঘাত, কর্মসূচির নামে তারা যদি সহিংসতার আশ্রয় নেয়, সেই অবস্থায় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করবে। রাজনৈতিকভাবে আমরাও মোকাবিলা করবো।’

নেতাকর্মীদের কারামুক্তির পথ খুঁজছে বিএনপি?-ইত্তেফাক

এই মুহূর্তে বিএনপির প্রধান লক্ষ্য হলো গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি। এরপর নতুন করে আন্দোলন শুরু করতে চায় দলটি। কীভাবে মিলবে এই মুক্তি? সেই পথ খুঁজছে বিএনপির হাইকমান্ড। এ কারণে এখন তারা কঠোর কোনো কর্মসূচি করছেন না।অন্যদিকে সরকার ‘সফলভাবে’ নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারায় অনেকটাই ‘নমনীয়'। ফলে শিগগিরই মুক্তি মিলতে পারে বিএনপি নেতাকর্মীদের। বিশেষ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ সপ্তাহেই মুক্তি পেতে পারেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিনের ব্যাপারে সরকার কি এখন নমনীয়? জানতে চাইলে রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এখানে নমনীয় বা শক্ত হওয়ার বিষয় নেই। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেগুলো আইনের নিজস্ব গতিতে চলবে। জামিন দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। সেখানে রাষ্ট্রপক্ষের যে ধরনের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন সেটা থাকবে। সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিরোধী দলের প্রতি ক্ষমতাসীন দল এখন অনেকটাই নমনীয়। কারণ সরকারী দল আওয়ামী লীগ বিএনপিকে বাইরে রেখে যেভাবে নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল সেটা তো তাদের সফল হয়েছে। নির্বাচনের পর বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা বা গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া কমে এসেছে। ফলে এখন সরকার চাইলে তো তাদের জামিন হতেই পারে। রাষ্ট্রপক্ষ নমনীয় হলেই সেটা সম্ভব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘মামলার কারণে তো আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে আছেন। তাদের মুক্ত করাটা এখন আমাদের প্রধান কাজ। আমরা তাদের মুক্তির চেষ্টা করছি। দেশের মানুষ তো জানেন বিচারালয় এখন সরকারের কব্জায়।’

এই কারণে কি বিএনপি কঠোর কোনো আন্দোলনে যাচ্ছে না? জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন চলমান। শিগগিরই আপনারা কর্মসূচি দেখতে পাবেন। এটার সঙ্গে জামিনের সম্পর্ক নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে।’

বিএনপির দাবি, সারা দেশে এক লাখ ১১ হাজার মামলায় দলের প্রায় ৫০ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না, বাড়িঘরে থাকছেন না, গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এখন নেতা-কর্মীদের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আনাই বিএনপির মূল লক্ষ্য। প্রায় ২৭ হাজার নেতা-কর্মী এখনো কারাবন্দী বলে দাবি বিএনপির। তবে এই পরিসংখ্যান মানতে রাজি নয় সরকার। সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১২ হাজারের মতো হবে। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

গণপরিবহনে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে ‘ধর্ষক-নিপীড়কেরা’-প্রথম আলো

বছর কয়েক আগে এক অভিযুক্ত ধর্ষক পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন। বলেন, তুলনামূলক নীরব ঘটনাস্থলে তিনি প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর অবস্থান করতেন। কখন কোন মেয়ে একা এই পথ দিয়ে যাবে, সেই অপেক্ষায় থাকতেন তিনি।

গণপরিবহনে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করে এমন আরও প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। এর সর্বশেষ উদাহরণ লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ধর্ষণের ঘটনা।

গত মঙ্গলবার ভুল ট্রেনে উঠে পড়ে এক কিশোরী। বিষয়টি বুঝতে পেরে ‘সুযোগের’ অপেক্ষায় ছিলেন ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী (৩২)। একটি কেবিন খালি হলে তিনি কিশোরীকে আসন থেকে সেখানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

বাস, ট্রেন, লঞ্চ—কোনো গণপরিবহনই নারীর নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে পারছে না। গণপরিবহনে ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, যৌন হয়রানি-নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ‘সুযোগের’ অপেক্ষায় থাকছে কিংবা ‘সুযোগ’ তৈরি করে নিচ্ছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সংকলিত করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ২০১৯ ও ২০২১ সালে গণপরিবহনে নারী নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছিল। সমিতির তথ্যমতে, ২০১৯ সালে সড়ক, রেল ও নৌপথে ৫২টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৬টি ধর্ষণ, ১২টি দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৯টি ধর্ষণচেষ্টা ও ১৫টি যৌন হয়রানি। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে গণপরিবহনে ৬৮টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২৩টি ধর্ষণ, ১১টি দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ৩৪টি যৌন হয়রানি।

দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন শাহারিয়া আফরিন প্রথম আলোকে বলেন, পরিবার-সমাজে নারীকে মর্যাদা না দেওয়ার মনোভাবের প্রতিফলন থেকে ধর্ষণ, নিপীড়নসহ নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নারীকে অধীনস্ত ভাবা, নারীকে ‘চাইলেই পেতে পারি’ ধরনের পুরুষতান্ত্রিক-পেশিশক্তি প্রদর্শনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি। শুধু আইন দিয়ে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ করা যাবে না। এ জন্য নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা দেখানোর মতো পারিবারিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা দরকার।

‘দুই লাখ টাকা দাও, ৫০০ পিস ইয়াবার মামলা দেব'; অডিও ভাইরাল-যুগান্তর

‘দুই লাখ টাকা দাও, ৫০০ পিস দিয়ে মামলা দেব।’ ‘স্যার ১০০ পিস দেন। দুই লাখ টাকাও নেবেন, আবার ৫০০ পিস দেবেন! স্যার আমার বোন লাগলে বের হয়ে এসে আপনাকে খুশি (টাকা দিয়ে) করবে। জানেন না হেয় কী রকম, আপনি চাইলে কি আপনারে দেবে না?’ ‘তোমার ১ হাজার, ওই মহিলাকে ৩০০ পিস। সঙ্গে ১০০ গ্রাম দিয়ে মামলা দেব। ওসিই প্যারা দিচ্ছে আমারে। হেয় কয় তুইয়ো অর্ধেক খা, আমি তো খামুই। এহা খামু ক্যা, টিম সবাই আছে না! এত সহজ…, ভাগ করতে করতে আমি পাব পাঁচ ভাগের এক ভাগ।’

‘দুই লাখ টাকা দাও, ৫০০ পিস দিয়ে মামলা দেব।’ ‘স্যার ১০০ পিস দেন। দুই লাখ টাকাও নেবেন, আবার ৫০০ পিস দেবেন! স্যার আমার বোন লাগলে বের হয়ে এসে আপনাকে খুশি (টাকা দিয়ে) করবে। জানেন না হেয় কী রকম, আপনি চাইলে কি আপনারে দেবে না?’ ‘তোমার ১ হাজার, ওই মহিলাকে ৩০০ পিস। সঙ্গে ১০০ গ্রাম দিয়ে মামলা দেব। ওসিই প্যারা দিচ্ছে আমারে। হেয় কয় তুইয়ো অর্ধেক খা, আমি তো খামুই। এহা খামু ক্যা, টিম সবাই আছে না! এত সহজ…, ভাগ করতে করতে আমি পাব পাঁচ ভাগের এক ভাগ।’

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার এসআই আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে পল্লবী থানার একটি দল অভিযান চালিয়ে স্থানীয় চিহ্নিত মাদককারবারি ফাতেমা বেগম ওরফে ফতে এবং তার সেলসম্যান হিসেবে পরিচিত রেজিয়া বেগমকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের থানাহাজতে আটক করে খবর দেওয়া হয় ফাতেমার দুই বোন হোসনেয়ারা ও পাতিয়াকে। এর পর তাদের কাছে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ৫০০ পিস বানাতে দাবি করা হয় ৩ লাখ টাকা। পরে তারা ২ লাখ টাকায় রাজি হন। এর পর মাদককারবারি ফাতেমার বোনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেওয়া হয়, যার মামলা নং-২০, তারিখ ১৯-১-২৪।

‘সরকারের ঘাড়ে পা দিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষানীতি দখল করেছে ভারত’-মানবজমিন

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের ঘাড়ে পা দিয়ে ভারত আমাদের শিক্ষানীতি দখল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। শনিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে ‘বর্তমান শিক্ষানীতি, নতুন শিক্ষাক্রম ও জাতির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আবদুল বাছিত আজাদ বলেন, বর্তমান শিক্ষাক্রমে মূল শিক্ষাকে গণশিক্ষার স্তরে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষাকে সংকুচিত করা হয়েছে। এই শিক্ষানীতি থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। ভারত এই সরকারের ঘাড়ে পা দিয়ে আমাদের শিক্ষানীতি দখল করেছে। আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয়তা নষ্ট করা হয়েছে। অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সামর্থ্যবানদের অনেকে আজ ইংরেজি মাধ্যমে তাদের সন্তানদেরকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। পরীক্ষা না থাকাতে শিক্ষার্থীরা বাসায় পড়াশোনা করে না। মা-বাবার কথা শুনে না।

ট্রান্সজেন্ডার ও অবাধ মেলামেশার সংস্কৃতি আমদানি করে মূল্যবোধের ধ্বংস নামানো হচ্ছে। আধুনিকতার নামে নৈতিকতা বিসর্জন দেয়ার এ শিক্ষ্যাব্যবস্থা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই দেশে অনেকগুলো শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। সেক্যুলার ও নাস্তিকদের হাতে রচিত এসব শিক্ষাক্রমে কোন ইসলামী বিশেষজ্ঞ শিক্ষাবিদ ছিলেন না। বর্তমান শিক্ষাক্রম রচনায় ইসলামী শিক্ষাবিদসহ কোন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়নি। ভুলত্রুটি পর্যালোচনা না করে বই ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ভুল পাঠ্যক্রম তুলে দেয়া হয়েছে। একদিকে যেমন দেশের আর্থিক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে অন্যদিকে জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পঙ্গু করা হচ্ছে। তাই এই শিক্ষাক্রম বাতিল করতে হবে। নতুনভাবে শিক্ষাক্রম প্রণয়নে বিশেষজ্ঞ শিক্ষাবিদ ও আলেমদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

মোদির উত্তরসূরি কে?-সংবাদ প্রতিদিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, রামমন্দির উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও লোকসভা ভোটের আবহে বাংলার কথা ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী। বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বার্তা দিয়ে নজরুল ইসলামের গান এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করলেন তিনি।এদিকে, রামমন্দির উদ্বোধনের আবহেই মোদির উত্তরসূরি নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। ‘বুলডোজার বাবা’ যোগী আদিত্যনাথ নাকি দলের চাণক্য অমিত শাহ (Amit Shah)। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগেই গেরুয়া শিবিরে চলছে জল্পনা। তিনি যে অমিত শাহর থেকে কোনও অংশে কম যান না, গত কয়েক মাস অযোধ্যায় রাতদিন এক করে পরিশ্রমের মাধ্যমে সেই বার্তা গেরুয়া শিবিরের শীর্ষকর্তাদের পৌঁছে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

আজ থেকে অবরুদ্ধ অযোধ্যা-আজকাল

রবিবার থেকেই অবরুদ্ধ হচ্ছে অযোধ্যা। আজ থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বন্দি হয়ে পড়বেন অযোধ্যাবাসী। নবনির্মিত শহর চলে যাবে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ভিভিআইপি অতিথিদের দখলে। ঘরবন্দি অযোধ্যাবাসীদের নিতান্তই বেরোতে হলে বাধ্যতামূলক ভাবে সঙ্গে রাখতে হবে আধার কার্ড। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব রকমের যান চলাচলও।সাংবাদিকদের ওপরেও বিধিনিষেধের ঘেরাটোপ। ঘোরাফেরা করতে হলে প্রয়োজন মিডিয়া পাস। তাও সেই পাস নিয়েও যত্রতত্র যাওয়া যাবে না।এদিক-ওদিক উঁকিঝুঁকি মারার কাজ একেবারেই বন্ধ। রাজপথ থেকে অলিগলি, সর্বত্র মোতায়েন একে৪৭- কার্বাইন- ইনসাস রাইফেলে সুসজ্জিত সিআরপিএফ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। রয়েছে র‍্যাফ।্র

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২১

ট্যাগ