জানুয়ারি ২৯, ২০২৪ ১২:৩০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন কমল ৩৩ হাজার কোটি টাকা-যুগান্তর
  • ২১ দিনে রিজার্ভ কমেছে পৌনে দুই বিলিয়ন ডলার-মানবজমিন
  • দূষণে শীর্ষ ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’-ইত্তেফাক
  • দেশের চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী-প্রথম আলো
  • বিদ্যুৎ খাতে দেনা ৪৪ হাজার কোটি টাকা
  • ‘সংকটের গভীরতা বুঝতে চাচ্ছে না সরকার, এটাই বড় সংকট’-ডেইলি স্টার বাংলা

কোলকাতার শিরোনাম:

  • কংগ্রেস-পথ সহজ, রাহুলের পাশে থাকতে পারেন মিনাক্ষীরা- আনন্দবাজার পত্রিকা
  • কে হরিদাস পাল? ও একটা…’, রাহুলকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দুর-সংবাদ প্রতিদিন
  • রামের ছবিকে হিন্দু রাষ্ট্রের হাতিয়ার বানাতে চাইছেন মোদী? সংবিধানে আছেন আকবর, অশোক, টিপু সুলতানও-গণশক্তি
  • আজ বাংলা ছেড়ে বিহারের পথে রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'-আজকাল

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি।

প্রথম আলোর স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি খবরের শিরোনাম এরকম দেশের চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী। খবরটিতে লেখা হয়েছে,  স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন গতকাল বলেছেন, দেশের চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থা নেই। আস্থাহীনতার কারণে মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান। চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নতি করে দেশের মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে চান নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫৪তম সভার বিষয়বস্তু তুলে ধরা, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগদান এবং সমসাময়িক স্বাস্থ্য বিষয়ে সাংবাদিকদের জানানোর জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সায়মা ওয়াজেদ ১ ফেব্রুয়ারি পরিচালকের পদে যোগদান করবেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমাদের দেশের জন্য একটি বিরাট অর্জন। সায়মা ওয়াজেদ শুধু আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কন্যাই নন, অটিজম নিয়ে কাজ করে বিশ্বব্যাপী তিনি একজন পরিচিত মুখ।’ এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে কোনো দুর্নীতিকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ (শূন্য সহনশীলতা) নীতি অনুসরণ করা হবে।

‘বাবা, আমাকে নির্যাতন করা হচ্ছে’: দুবাই থেকে এই বার্তা পাঠানো মেয়েটির লাশ ফিরেছে! মর্মান্তিক এ প্রতিবেদনে প্রথম আলো লিখেছে, সংসারে সচ্ছলতা এনে বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে গত বছরের ১৬ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই গিয়েছিল মেয়েটি। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে দুবাইয়ে তার মৃত্যু হয়। নভেম্বরের শেষ দিকে এই খবর জানতে পারে পরিবার। ডিসেম্বরে তার লাশ দেশে আসে। 

পরিবারের ভাষ্য, মেয়েটির বয়স আসলে ১৭ বছর ছিল। তবে দালাল কাগজে-কলমে দেখিয়েছিল ২১ বছর। তাকে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই কাজ তাকে দেওয়া হয়নি। তাকে দুবাইয়ে বিক্রি করে দেয় মানব পাচারকারীরা। সেখানে তাকে যৌন নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। 

মেয়েটির লাশ গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুবাই থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে মেয়েটির বাবা ঢাকার মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা করেন। মামলায় মানব পাচার ও খুনের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় আসামি হিসেবে ফারজানা ও সোহাগী নামের দুই নারীর নাম উল্লেখ করা হয়।

ট্রাইব্যুনাল মেয়েটির বাবার অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেওয়া হয়। 

যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক মো. আজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লাশের সঙ্গে থাকা তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে মেয়েটির মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা আছে ওপর থেকে পড়ে যাওয়া। দেশে মেয়েটির লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তবে প্রতিবেদন এখনো আসেনি। মৃত্যুর আগে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কি না, তা জানার জন্য ফরেনসিক নমুনা সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। 

‘বাবা, আমাকে নির্যাতন করা হচ্ছে’

পরিবার ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মেয়েটির গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। তার বাবা পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, মা গৃহিণী। এই দম্পতির চার মেয়ে। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আর তৃতীয় মেয়েরই মৃত্যু হয়েছে দুবাইয়ে।

মেয়েটির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ধারদেনা করে বড় দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বাকি দুই মেয়ে তাঁদের সঙ্গে থাকত। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে তাঁর যে আয় হতো, তাতে সংসার চালাতে কষ্ট হতো। এ অবস্থায় তাঁর তৃতীয় মেয়েকে প্রতিবেশী সোহাগী টোপ দেন। বলেন, তাঁর বড় বোন ফারজানা দুবাইয়ে থাকেন। তিনি তাকে দুবাইয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। এ জন্য টাকা লাগবে তিন লাখ। এই টাকা তাঁরা দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি সোহাগী দালাল ধরে নারায়ণগঞ্জের ঠিকানায় মেয়েটির পাসপোর্ট করান। পরে ভ্রমণ ভিসায় মেয়েটিকে গত বছরের ১৬ আগস্ট দুবাই পাঠায়। দুবাই যাওয়ার কয়েক দিন পর মেয়েটি তাঁর বাবাকে ফোন দেয়। বাবাকে বলে, তাকে দুবাইয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। নির্যাতনে সে গুরুতর অসুস্থ।

মেয়েটির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, মেয়ে ফোনে তাঁকে বলেছিল, ‘বাবা, আমাকে নির্যাতন করা হচ্ছে।’ এরপর তিনি আর তাঁর মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। গত ২৬ নভেম্বর তিনি জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে আর বেঁচে নেই।

মেয়েটির বাবা বলেন, যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে যে নারীর (সোহাগী) মাধ্যমে মেয়ে দুবাই গিয়েছিল, তাঁর কাছে যান তিনি। পরে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর মেয়ে আর বেঁচে নেই। কিন্তু কেন, কীভাবে মেয়ে মারা গেল, সে কথা তাঁকে বলা হয়নি।

মেয়েটির বাবা বলেন, মানব পাচারকারীরা তাঁর মেয়েকে দুবাই নিয়ে হত্যা করেছেন। মানব পাচারকারী-খুনিরা এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।

ডলার–সংকটের মধ্যে বিদেশি ঋণ শোধে চাপ আরও বাড়ছে-প্রথম আলোর অর্থনীতি বিষয়ক এ খবরে লেখা হয়েছে, চলমান ডলার-সংকটের মধ্যে বিদেশি ঋণ পরিশোধে চাপ বাড়ছে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে নেওয়া কঠিন শর্তের অনেক ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হয়েছে। এ কারণে দ্রুত বাড়ছে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ, যা আগামী বছরগুলোতে আরও বাড়বে। 

সরকার ১০ বছর আগে বছরে যে পরিমাণ বিদেশি ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ করত, এখন পরিশোধ করতে হয়েছে তার দ্বিগুণের বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, যদি সরকার নতুন করে আর বিদেশি ঋণ না নেয়, তারপরও সাত বছর পরে ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশকে এখনকার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ অর্থ খরচ করতে হবে।

দ্বিপক্ষীয় ঋণ নিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সেতুর রেল-সংযোগ, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আরও অনেক প্রকল্প হচ্ছে বিদেশি ঋণে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব ঋণ পরিশোধের সময়কাল কম। এসব ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হওয়ায় সার্বিক ঋণ পরিস্থিতির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব ঋণে বাস্তবায়িত বড় প্রকল্পের সুফল পুরোপুরি পাওয়া শুরু হয়নি। আর যুগান্তর এ বিষয়ক এক খবরে লিখেছে, ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন হয়েছে , টাকার মান কমেছে। ডলারে ঋণ প্রবৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে।

মানবজমিন লিখেছে, ২১ দিনে রিজার্ভ কমেছে পৌনে দুই বিলিয়ন ডলার। খবরটিতে বলা হয়েছে, দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডলারের সংকট। সংকট উত্তরণে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে না। অন্যদিকে আমদানির চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ কমছেই। ৩রা জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। সংকটের কারণে  ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় ২১ দিনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৩ কোটি ডলারে। অর্থাৎ এই ২১ দিনে রিজার্ভ থেকে ১৭৬ কোটি ৩০ ডলার কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে।

সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালক

রাখাইন পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা, সৈন্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ-মানবজমিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। রোববার কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন শেষে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুরো মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলছে। যার প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও এসে পড়েছে। প্রতিনিয়ত সেখানকার অস্থিতিশীল অবস্থা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্ত পরিদর্শন করেন।

বিদ্যুৎ খাতে দেনা ৪৪ হাজার কোটি টাকা

‘সংকটের গভীরতা বুঝতে চাচ্ছে না সরকার, এটাই বড় সংকট’-ডেইলি স্টার বাংলা। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা দেনা নিয়ে বিপাকে পড়া সরকার এখনো সংকটের গভীরতাই বুঝে উঠতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা।

সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, দেশে উৎপাদনরত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে পাওনা প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। পিডিবি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) কাছে গ্যাস বিল বকেয়া রেখেছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।

ভারতের আদানির কাছে বিদ্যুতের দাম বকেয়া পড়েছে ৫০ কোটি ডলারের মতো (প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা)। জ্বালানি তেল আমদানিকারক সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে বিদেশি সরবরাহকারীরা পাবে প্রায় ২৭ কোটি ডলার (প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা)। আর বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলনকারী মার্কিন কোম্পানি শেভরন গ্যাসের দাম বাবদ পাবে ২০ কোটি ডলার (প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। এর বাইরে আরও কিছু খাতে বকেয়া রয়েছে। সবমিলিয়ে মোট দেনার পরিমাণ প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা।

একদিকে সরকার টাকার অভাবে বেসরকারি কেন্দ্রগুলোকে বিদ্যুতের দাম যথাসময়ে দিতে পারছে না, অন্যদিকে ডলারের অভাবে বকেয়া রাখতে হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিদেশি কোম্পানিগুলোর পাওনা।

এমন পরিস্থিতিতে মার্চে গরমের মৌসুমে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে প্রয়োজনীয় বাড়তি গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেল আমদানি করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

ইত্তেফাকের শিরোনাম- দূষণে শীর্ষ ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, নিয়মিতই ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ থাকছে ঢাকার বাতাস। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ সোমবারও রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১ নম্বরে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিলো ২৬৮, যা বাতাসের মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।

ড. মাহফুজ পারভেজ, প্রফেসর, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)। তিনি মানবজমিনের মত-মতান্তরে আজ একটি কলাম লিখেছেন। শিরোনামটি এরকম-হালফিল বৃত্তান্ত কেন গণতন্ত্রকে শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে সীমায়িত করা যায় না।'' তিনি লিখেছেন, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ২০২৪ সালে ৭৮টি দেশের নির্বাচনে অংশ নেবেন। বৈশ্বিক মিডিয়ায় বছরটির নাম দেওয়া হয়েছে 'নির্বাচনের বছর'। একটি বছরের পরিসরে এতোগুলো নির্বাচন আর এতো ভোটারের উপস্থিতি আগে আর দেখে নি বিশ্ববাসী। তবে, 'নির্বাচনের বছর' বললেও কেউ কিন্তু বছরটিকে 'গণতন্ত্রের বছর' বলছেন না। কারণ, গণতন্ত্রকে কেবলমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে সীমায়িত করা যায় না। কেন? প্রধান কারণ হলো, ভোটার যত জন, তার সামান্যই ভোট দেন বা দেওয়ার সুযোগ ও পরিবেশ পান। ফলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হয়ে নিছক আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়। নির্বাচনে নতুন সরকার আসে বটে, কিন্তু তা জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটায় না।

নির্বাচনী ব্যবস্থাতেও রয়েছে একাধিক শুভঙ্করের ফাঁকি। ভোটারদের ক্ষমতায়ন হয় নি বহু দেশে। স্বাধীন ও ভয়হীন ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা ও অধিকারের অনেক দেশের মানুষের নেই।

কালো টাকা, সন্ত্রাস ও প্রশাসনের চাপের কাছেও জিম্মি থাকতে হয় ভোটারদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভোটের ছক এমনভাবে করা হয় যে, ক্ষমতাসীনদের ভোটের মাধ্যমে টলানো যায় না। বরং ক্ষমতায় আসীনরাই ভোটকে তাদের ক্ষমতায় বহাল থাকার পক্ষে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রকে শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে সীমায়িত করতে বিশেষজ্ঞরা নারাজ। রাজনীতি বিজ্ঞানের পণ্ডিতগণ এই বলে সংশয় প্রকাশ করছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলো কি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারবে?  গণতন্ত্র কি আলোচিত-সমালোচিত নির্বাচনী ব্যবস্থার কঠিন পরীক্ষায় শুদ্ধতম রূপে টিকে থাকবে? নাকি নানা দেশের স্বৈরাচারী সরকারকে সাজানো ব্যালটের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখবে?

একটি প্রচলিত ভ্রান্তি হলো, অনেকেই মনে করেন, গণতন্ত্র কেবল নির্বাচনী ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ভোটের দিন বা নির্বাচন অবশ্যই গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তাই বলে শুধু নির্বাচনই গণতন্ত্রের প্রথম ও শেষকথা নয়। গণতন্ত্রের পরিধি অনেক বিস্তৃত, ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী। নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের পথে প্রধান সোপান। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে গণতন্ত্রের পথ মসৃণ হয় আর নির্বাচন বিতর্কিত, অগ্রহণযোগ্য ও দূষিত হলে গণতন্ত্রের পথ বিঘ্নিত ও বিপদগ্রস্ত হয়। ফলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। একদিনের নির্বাচনের পাশাপাশি  গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাণশক্তি নিহিত থাকে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা চর্চার মধ্যে। দুঃখজনক ভাবে বর্তমান বিশ্বের বহু নামসর্বস্ব গণতান্ত্রিক দেশ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির স্বীকৃতি ও চর্চা নেই। যা আছে তা হলো, গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদ।

গণতন্ত্রের নাম ধারণ করে কর্তৃত্ববাদ বহাল থাকলে খোদ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই প্রচণ্ড ঝুঁকি কবলিত হয়।  রাষ্ট্র ও সমাজে, এমনকি মানুষের মধ্যে অগণতান্ত্রিকতার প্রকাশ ঘটে। গণতন্ত্রকে ঢালস্বরূপ ব্যবহার করে তখন আসলে 'কর্তৃত্ববাদ'ই কঠোর শাসন চালায়। বর্তমান বিশ্বের অসংখ্য দেশে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার নিজেকে গণতান্ত্রিক দাবি করলেও কাজেকর্মে কর্তৃত্ববাদী আচরণ করে। এক্ষেত্রে এককভাবে নির্বাচন নিজস্ব শক্তিতে গণতন্ত্রকে কর্তৃত্ববাদের কবল মুক্ত করতে পারে না। এর মূল কারণ হলো, মোট প্রদানকৃত ভোটের ৩০-৩৫ শতাংশ পেয়ে এগিয়ে থাকা দলই বিজয়ী হিসেবে সরকার গঠন করে। এই ভোটের সংখ্যাও আবার চরমভাবে বিতর্কিত তথা সর্বজনস্বীকৃত ও বিশ্বাসযোগ্য নয়।

ফলে সাদা চোখেই দেখা যায় যে, শতকরা ৩০-৪০% ভোট পেয়ে যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক, জনসমর্থিত ও সংখ্যাগরিষ্ঠ দাবি করে ক্ষমতা কব্জা করছে, তাদের প্রতি ৬০-৭০% মানুষের আস্থা, ভরসা ও সমর্থনই নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্বাচনী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাধারণত যে পরিমাণ ভোট পেয়ে বিজয়ী দল সরকার গঠন করে তা মোট ভোটের এক-তৃতীয়াংশ থেকেও কম। ফলে প্রাপ্ত ভোটের সমীকরণে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও এরূপ বিজয়ীরা বৃহত্তম জনমতের প্রেক্ষিতে সংখ্যালঘিষ্ঠ। হতাশাজনক ভাবে, অসম্পূর্ণ বা খণ্ডিত বা অংশবিশেষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েই নির্বাচনে বিজয়ীরা প্রকৃত সত্য চাপা দেয়। বাস্তব চিত্রকে তারা তাদের আপেক্ষিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোয়ারে ঢেকে দিতে সচেষ্ট হয়।

এসব কারণেই নির্বাচিত সরকারমাত্রই সংখ্যাগরিষ্ঠ বা গণতান্ত্রিক সরকার, তা না-ও হতে পারে। আবার নির্বাচন মানেই গণতন্ত্রের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে, এমনটিও সব সময় আশা করা যায় না। বর্তমান বিশ্বের নানা দেশের শাসন ব্যবস্থা ও নির্বাচন প্রকৃত প্রস্তাবে গণতান্ত্রিকতার বার্তা দিচ্ছে না। নির্বাচনের মাধ্যমে বহু দেশে অল্প ভোট পেয়েও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সম্ভব। তাদের দ্বারা সরকার গঠন করাও সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু তারা প্রকৃত সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। এদের দ্বারা গণতন্ত্রের বিকাশ ও সুরক্ষা অসম্ভব।  এদেরকে ভর করেই কর্তৃত্ববাদ জাঁকিয়ে বসে। এসব কারণে উদার, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের বদলে নামকাওয়াস্তে নির্বাচন হলে গণতন্ত্রের মারাত্মক বিপদ সৃষ্টি হয়। তাই গণতন্ত্রকে কেবলমাত্র নির্বাচনের নিরিখে বিবেচনা করা সমীচীন নয়। আর যে নির্বাচন প্রকৃত সংখ্যাগরিষ্ঠ চয়নের ব্যর্থতার পাশাপাশি বিরোধীদল উপস্থাপনেও যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তা গণতন্ত্রের জন্য সুখবর নয়। কারণ, গণতন্ত্রের দুটি পায়ের একটি সরকার হলে আরেকটি বিরোধীদল। একটি ছাড়া অন্যটি অচল ও অপূর্ণাঙ্গ।

দৃষ্টান্তস্বরূপ,  সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোটই বাস্তবে প্রদান করা হোক না কেন, একচোটিয়া ভাবে ক্ষমতাসীন  আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই সর্বাধিক আসনে বিজয়ী হয়ে পুনরায় ক্ষমতায় এসেছেন। এতে কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দল দ্বিতীয় অবস্থানে নেই। দ্বিতীয় অবস্থান ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর করতলগত, যাদের মাত্র চারজন সত্যিই স্বতন্ত্র আর ৫৮ জন আওয়ামী লীগের পদাধিকারী।  

আলোচিত-সমালোচিত গত সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবার মাত্র ১১টি আসন পেয়েছে। এরাও আবার ভঙ্গুর। দলের মধ্যে নেতৃত্বের কোন্দল চরমে। চলছে পারস্পরিক বহিষ্কার ও পাল্টা বহিষ্কারের উত্তেজনা। ফলে ৬২ জন স্বতন্ত্রের তুলনায় সংখ্যালঘু এবং দলীয় সংঘাতে জর্জরিত জাতীয় পার্টি এবারের জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে নাজুক ও কোণঠাসা। তাদের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে রয়েছে ঘোরতর অনিশ্চয়তা। এহেন প্রান্তিক বিরোধীদল, যাদের ভবিষ্যৎ ভূমিকা অনিশ্চয়তার কুয়াশায় আচ্ছন্ন, তারা বিরোধীদল হিসাবে গণতন্ত্রের জন্য আদৌ কোনো সুসংবাদ বহন করে না।

অতএব, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়। নির্বাচন মানে শুধু ভোট নয়। ভোটারের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে প্রকৃৃত সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও শক্তিশালী বিরোধীদল চয়নই আসল কথা, যারা কর্তৃত্ববাদের পথে নয়, চলবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আলোকে গণতান্ত্রিক ধারায়। তখনই গণতন্ত্রকে দেখা যাবে পরিপূর্ণ ও সফল অবয়বে। গণতন্ত্রকে শুধু নির্বাচনের মধ্যে সীমায়িত করে গণতন্ত্রের বৃহত্তর পরিসর, টেকসই উপস্থিতি ও নির্ভেজাল ইমেজ তৈরি করা মোটেও সম্ভব নয়।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

রাহুল গান্ধীকে কুরুচিকর আক্রমণ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। রাহুলের ন্যায়যাত্রা প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামে বসে সুর চড়ান বিজেপি বিধায়ক। ওই মন্তব্যের ভিডিও টুইট করে X হ্যান্ডলে পালটা তোপ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। শুভেন্দু। বলেন, “গত চার দিন ধরে প্রশ্ন করে যাচ্ছেন, রাহুল গান্ধী, রাহুল গান্ধী। কে হরিদাস পাল? একটা…। বলছে, স্টোভের উপর কয়লা দিয়ে সকালবেলা চা তৈরি হয়। স্টোভের উপরে কয়লা দেওয়া হয় আমি তো দেখিওনি, শুনিওনি। যার এই সেন্স, তাকে কাউন্ট কেন করেন? শুভেন্দুর এহেন কুরুচিকর আক্রমণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে তৃণমূল। ওই মন্তব্যের ভিডিও করে X হ্যান্ডলে তোপ দাগেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। “রাজনীতিতে এই ধরনের অসভ্যতা, অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক” টুইটে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, এটা ভাষা? রাহুল গান্ধীকে কী ভাষায় আক্রমণ করছেন গদ্দার? রাজ্য কংগ্রেস নেতারা বিজেপির দালালি করতে গিয়ে আর কত নিচে নামবেন যে এটাও হজম করছেন?

শুভেন্দুর কুৎসিত রাজনীতি বেআব্রু হয়ে পড়ছে। এই অসুস্থ ভাষার তীব্র প্রতিবাদ করছি।

এই শেষ, আর জোট বদল নয়’, শপথ নিয়ে বার্তা নীতীশ কুমারের-সংবাদ প্রতিদিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, পাল্টুমার’, ‘গিরগিটি’, ‘আয়া রাম, গয়া রাম’ ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত করছে বিরোধীরা। যদিও নবমবার বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) দাবি করলেন, “এই শেষ। ভবিষ্যতে আর জোট বদলের সম্ভাবনা নেই।” আরও বলেন, “যেখানে ছিলাম (NDA), সেখানেই ফিরে এলাম।”

২০০৫ সালে বিজেপির হাত ধরেই প্রথম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নীতীশ কুমার। সেই হিসেবে বিজেপির সঙ্গে চতুর্থবার জোট করে নবমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে নীতীশের এই ভোলবদল তথা রঙবদলকে ‘গিরগিটি’র সঙ্গে তুলনা করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে আরও একবার এনডিএ জোট সঙ্গী হওয়ায় স্বাগত জানাচ্ছে বিজেপি। যদিও বাংলার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ নীতীশকে কটাক্ষ করে জল্পনা উসকে দিয়েছেন।

কংগ্রেস-পথ সহজ, রাহুলের পাশে থাকতে পারেন মিনাক্ষীরা-আনন্দবাজার পত্রিকা

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, আপাত দৃষ্টিতে ধাক্কা খেয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। কিন্তু তলায় তলায় ‘শাপে বর’ দেখছে সিপিএম! নীতীশ কুমার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপের জেরে এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার দরজা খোলার রাস্তা সহজ হল বলে মনে করছে তারা। বিহারে ‘ইন্ডিয়া’ জোট ছেড়ে বেরিয়ে নীতীশ যখন ইস্তফা দিয়ে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের তরফে রবিবার ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তখন সিপিএমের তখন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক নেতারা বলছেন, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে যাদের নিয়ে সংশয় ছিল, তারা আস্তে আস্তে নিজেদের পথ বেছে নিচ্ছে। সেইভাবেই বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা লড়ার কথা স্পষ্ট করতে শুরু করেছেন। এর পরে বাংলা-সব বিভিন্ন রাজ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার কাজ সহজ হবে বলে সিপিএমের আশা।

রামের ছবিকে হিন্দু রাষ্ট্রের হাতিয়ার বানাতে চাইছেন মোদী? সংবিধানে আছেন আকবর, অশোক, টিপু সুলতানও-গণশক্তি পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, সংবিধানের অলঙ্করণে রামের ছবি ব্যবহারকে হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার বানাতে চাইছেন মোদী? প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাম্প্রতিক ভাষণ দেখে এমনই প্রশ্ন উঠছে। রামমন্দিরে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানের পরে রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী মোদী সংবিধানের অলঙ্করণে রামের ছবির ব্যাখ্যা দিয়েছেন নিজের মতো করে। উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের ৭৫ বছর হতে চলেছে। এদিনের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সেই কথাও বলেছেন মোদী। অতি কৌশলে এদিন তিনি সংবিধান থেকে রাম এবং রাম থেকে অযোধ্যায় রামমন্দিরে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’য় চলে গেছেন।

সংবিধানে রামের ছবির অলঙ্করণের সঙ্গে তাঁকে কোনও ঐতিহাসিক চরিত্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্পর্ক নেই। বিশ্লেষকদের মতে, মোদী সংবিধানের মূল দলিলে রামের ছবি থাকাকে ব্যবহার করে সংবিধানের যে মূল ভাবনা তাঁকে খারিজ করার কাজে ব্যবহার করতে চাইছেন। সংবিধান অনুসারে ধর্মনিরপেক্ষ এই দেশের শাসকে কোনও ধর্মের প্রকাশ্য আচরণ বা সমর্থন করতে পারেন না। নিজেদের ব্যক্তিগত আর পারিবারিক ধর্ম যাই হোক, তাঁদের কোনও ‘সরকারি’ ধর্ম নেই। কিন্তু শুরু থেকে মোদী এই নিয়ম ভেঙেছেন পরিকল্পিতভাবে। শুধু রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় নন, দেশের মানুষ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে কোনও কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা কেন্দ্র, হাসপাতাল উদ্বোধন করতে দেখেন না। সাগর থেকে হিমালয়— তাঁকে বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরে ধার্মিক পুজাঅর্চনাতে ব্যস্ত থাকতেই দেখেন।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৯

ট্যাগ