ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪ ১৮:৫৫ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম: 

  • বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক ডামি সরকারের ডামি মন্ত্রীরা, অভিযোগ রিজভীর-প্রথম আলো
  • সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় পেছাল ১০৮ বার-ইত্তেফাক
  • মানুষ খেতে পারছে, একজনও না খেয়ে মরেনি: ওবায়দুল কাদের-যুগান্তর
  • আমেরিকায় অধ্যাপনা রেখে মানুষকে সাহায্য করতেই বাংলাদেশে ফিরেছিলাম: ড. ইউনূস-মানবজমিন
  • মানুষ খেতে পারছে, একজনও না খেয়ে মরেনি: ওবায়দুল কাদের-যুগান্তর

কোলকাতার শিরোনাম:

  • সন্দেশখালি: বিজেপিকে কলকাতায় ধর্নায় বসার অনুমতি দিল হাই কোর্ট, তবে বেঁধে দিল কিছু শর্তও-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ‘সরকারের চোখ বন্ধ’সুপ্রিম ভর্ৎসনা কেন্দ্রকে-সংবাদ প্রতিদিন
  • সন্দেশখালি নিয়ে ফের হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের, অক্সিজেন বিজেপিকে?-গণশক্তি
  • মার্চেই জম্মু-কাশ্মীরে জনসভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী-আজকাল

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি। দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে। সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় পেছাল ১০৮ বার -ইত্তেফাকের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ আবার পিছিয়েছে। এ নিয়ে ১০৮ বারের মতো পেছাল। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছেন আদালত।চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার আরেকটি আদালত র‌্যাবকে আজকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিলেন।এর আগে, পৃথক দুটি আদালত তদন্ত এবং হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য উদঘাটন এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের ব্যর্থতার জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

আমেরিকায় অধ্যাপনা রেখে মানুষকে সাহায্য করতেই বাংলাদেশে ফিরেছিলাম: ড. ইউনূস-মানবজমিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ১৯৭১ সালের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনাকালে কেবলই নিজ দেশের মানুষকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ইউনূস।বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিএনএন-এর তারকা সাংবাদিক ক্রিস্টিয়ান আমানপোরকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। প্রশ্ন পর্বের আগে সিএনএন এর খবরের শুরুতে বলা হয়ঃ বাংলাদেশে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের সমর্থকরা বলছেন, তিনি ওই দেশের প্রধানমন্ত্রীর টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।

মানুষ খেতে পারছে, একজনও না খেয়ে মরেনি: ওবায়দুল কাদের-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না থাকার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষ খেতে পারছে। একটা মানুষও না খেয়ে মরেনি। অনেক ভালো আছে।বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'রোজার মাসটা আসতে দেন!'

সারা দুনিয়ায় দ্রব্যের দাম বাড়ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'এখন টেলিভিশন সবাই দেখে, সারা বিশ্বের সব খবর নিয়ে গ্রামের চায়ের দোকানে রীতিমত গবেষণা হয়। মানুষ বোঝে, এখানে সরকারের দোষ নেই। অর্থের যে সংকট। বিশ্বে যে সংকট দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সেটা তো বাংলাদেশের একার না। সারা দুনিয়াতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।

বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক ডামি সরকারের ডামি মন্ত্রীরা, অভিযোগ রিজভীর-প্রথম আলোর শিরোনাম

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ব্যর্থতা উন্মোচিত হলেই মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে সরকার জনগণের দৃষ্টিকে ঝাপসা করতে চায়। অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।রিজভী বলেন, ডামি সরকার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে ডামি সরকারের ডামি মন্ত্রীরা। অথচ বিএনপির ওপর দায়ভার চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ সাহেবরা।

গত শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দ্রব্যমূল্য নিয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে মজুতদার ও সিন্ডিকেটদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দিচ্ছে।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

সংবাদ প্রতিদিনের খবরে লেখা হয়েছে, পতঞ্জলির ‘ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল মোদি সরকারের। এবিষয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ”সরকার চোখ বন্ধ করে বসে আছে।” গত নভেম্বরেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল ভুয়ো তথ্য দেওয়া বিজ্ঞাপন তৈরি করলে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানায় পড়তে হবে যোগগুরু রামদেবের মালিকানাধীন সংস্থাকে। সেই মামলাতেই এদিন সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে মোদি সরকারও।বিচারপতিদের বেঞ্চের মন্তব্য, ”এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।

দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) লোকসভা কেন্দ্র ওয়েনাড়ে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামেরা। ওই কেন্দ্রে সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী অ্যানি রাজাকে (Annie Raja) প্রার্থী করেছে কমিউনিস্ট পার্টি। এমনকী ওই আসনে রাহুল গান্ধীকে না দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন বৃন্দা কারাত (Vrinda Karat)। এই প্রসঙ্গ টেনে একইসঙ্গে কংগ্রেস এবং বামেদের তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। মঙ্গলবার তিরুঅনন্তপুরমে বিজেপি সভায় দুই দলের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ আনলেন মোদি। বলেন, বাম এবং কংগ্রেস (Congress) কেরলে (Kerala) শত্রু কিন্তু বাইরে বিএফএফ (BFF)। মোদি ব্যাখ্যা করেন, বিএফএফের অর্থ বেস্ট ফ্রেন্ড ফর এভার।

সন্দেশখালি: বিজেপিকে কলকাতায় ধর্নায় বসার অনুমতি দিল হাই কোর্ট, তবে বেঁধে দিল কিছু শর্তও-আনন্দবাজার পত্রিকা

সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না মেলায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই মামলায় মঙ্গলবার হাই কোর্ট বিজেপিকে ধর্না করার অনুমতি দিল। তবে বেঁধে দিল কিছু শর্তও।সেখানেই সব পক্ষের সওয়াল জবাবের শেষে বিচারপতি বিজেপিকে ‘শর্তসাপেক্ষে’ ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দেন।বিজেপি তিন দিন টানা ধর্নায় বসতে চেয়ে আবেদন করেছিল। কিন্তু হাই কোর্ট বিজেপিকে দু’দিনের অনুমতি দিয়েছে।

গণশক্তি পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, শাহজাহানের গ্রেপ্তারি নিয়ে রাজ্য হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল। ফের নতুন করে রাজভবনের পক্ষ থেকে বিজেপিকে ইন্ধন দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে। মঙ্গলবার রাজভবনের পক্ষ থেকে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে শাহজাহানের গ্রেপ্তারি নিয়ে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যপালের পক্ষ থেকে যেই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে।#

ট্যাগ