মার্চ ০৪, ২০২৪ ১৩:৩১ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনা করেছেন সহকর্মী আশরাফুর রহমান। ৪ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকগুলোতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বিপণিবিতান, মার্কেট-শপিং মল ও সরকারি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে কোলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। 

ঢাকার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:

  • বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অনুসন্ধানে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
  • ঢাকায় গাউছিয়ার মতো বিপণিবিতানসহ ২ হাজার ৬০০ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি-প্রথম আলো
  • রাজধানীর ৭৬ ভাগ মার্কেট-শপিংমল ঝুঁকিতে- যুগান্তর
  • ঝুঁকিপূর্ণ ৪২ সরকারি ভবন ভাঙার নির্দেশনা মানছে না কেউ- ইত্তেফাক
  • নিয়ম না মেনে চলছে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযান-দৈনিক বাংলা
  • শিক্ষককে মারধর, মাদক দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টার অভিযোগে ২ কনস্টেবল প্রত্যাহার- ডেইলি স্টার

কোলকাতার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:

  • ঘুষ খেয়ে সংসদে ভোট দিলে রক্ষাকবচ নয়, পুরনো রায় সংশোধন করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট- হিন্দুস্তান টাইমস
  • 'এবার কে দেবে সুবিচার?’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ইস্তফার সিদ্ধান্তে হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা- সংবাদ প্রতিদিন
  • সব পরিকল্পনা ঠিক মতো এগোলে তমলুক লোকসভা থেকে বিজেপির টিকিটেই প্রার্থী বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়- আনন্দবাজার
  • অসমিয়া বিবেচিত হোক হিন্দিভাষীরাও, ফের হিমন্তর টার্গেট মিঞা মুসলিমরা- পূবের কলম

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অনুসন্ধানে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের- মানবজমিন

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধান এবং ঢাকার আবাসিক ও বাণিজ্য ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও বুয়েট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা আগামী চার মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

ঢাকায় গাউছিয়ার মতো বিপণিবিতানসহ ২ হাজার ৬০০ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি-প্রথম আলো

ঢাকার গাউছিয়া মার্কেটটি নারীদের কাছে জনপ্রিয় বিপণিবিতান। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সেখানে কেনাকাটা করতে যান। অথচ তাঁরা জানেন না বিপণিবিতানটি আগুনের অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে।

গাউছিয়ার উল্টো দিকে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ)। গাউছিয়া ও ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটকে ২০১৯ সালে অগ্নিনিরাপত্তার দিক দিয়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে একাধিকবার নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে গত বছরের এপ্রিলে আগুন লাগে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, গাউছিয়ায় আগুন লাগলে ভেতর থেকে মানুষের বের হওয়া কঠিন হবে। ফলে হতাহতের বড় আশঙ্কা রয়েছে।

রাজধানীর ৭৬ ভাগ মার্কেট-শপিংমল ঝুঁকিতে- যুগান্তর

সারা দেশে ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৩৩৭টি মার্কেট ও শপিংমল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী, অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে সন্তোষজনক অবস্থায় আছে ৩ হাজার ২৫৬টি। বাকি ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর মধ্যে ৪২৪টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ।

ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা দেশের ৩৯ দশমিক ৪১ ভাগ ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ (২০২২ সালের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ছিল ৫৩ দশমিক ৭৮ ভাগ)। কোনো কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিককে বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আইনগতভাবে কিছুই করার থাকছে না রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের। তবে ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার ফায়ার সার্ভিসের আছে। এরপরও এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। আগামী সপ্তাহ থেকেই মামলার কার্যক্রম শুরু হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্র যুগান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ ৪২ সরকারি ভবন ভাঙার নির্দেশনা মানছে না কেউ- ইত্তেফাক

রাজধানী ঢাকাকে মৃত্যুপুরী, আতঙ্কের শহর, ঝুঁকিপূর্ণ নগরী, জীবন্ত বোমার অলিগলিসহ অনেক নামেই আখ্যা দেওয়া হয়েছে অতীতে। কারণ হিসেবে নিমতলীর আগুন, চুড়িহাট্টা, এফআর টাওয়ার, আরমানিটোলা, নারায়ণগঞ্জ সেজান জুস কারখানা, নিউমার্কেট, মগবাজার বিস্ফোরণ, সিদ্দিকবাজার, বঙ্গবাজার ট্র্যাজেডিসহ একের পর এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে রাজধানীর বাসিন্দাদের। সবশেষ এই তালিকায় যুক্ত হলো বেইলি রোড ট্র্যাজেডি। সেখানে ঝরেছে ৪৬ প্রাণ ও আহত শতাধিক।

রাজউকের আওতাধীন এলাকার ভবনগুলোর ওপর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলিয়ান্স প্রকল্পের আওতায় ভূমিকম্পে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত ৪২টি সরকারি ভবন ভাঙতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। গত বছরের ১২ মার্চের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়  তিন মাসের মধ্যে এসব ভবন না ভাঙলে রাজউক নিজ উদ্যোগে ভাঙবে। এরই মধ্যে প্রায় ১ বছর পার হয়ে গেলেও ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবনও ভাঙেননি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান।

নিয়ম না মেনে চলছে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযান- দৈনিক বাংলা

অনুমোদন না থাকলেও রাজধানীজুড়েই নিয়ম ভঙ্গ করে বহু আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক ভবনে চলছে রমরমা রেস্টুরেন্টের ব্যবসা। প্রতিটি রেস্টুরেন্টে ঝুঁকিপূর্ণভাবে একাধিক গ্যাস সিলিন্ডার পাশাপাশি রেখে দিনভর চলে রান্না।

অনেক আবাসিক ভবনের সব তলাতেই রয়েছে নামীদামি রেস্টুরেন্ট। প্রায় সব জায়গাতেই একটির সঙ্গে আরেকটি ভবন লাগোয়া। এদিকে. রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, মিরপুর ও উত্তরার প্রায় অর্ধশত রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক, কর্মীসহ অন্তত ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শিক্ষককে মারধর, মাদক দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টার অভিযোগে ২ কনস্টেবল প্রত্যাহার- ডেইলি স্টার

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে মারধর ও মাদক দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ তিন জনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সজিব খান ও মো. আসাদুজ্জামানকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদল উদ্দিন বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত রোববার স্কুল ছুটির পর মোটরসাইকেলে নাটোর শহরের বাসায় ফেরার পথে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ক্ষিদ্র মালঞ্চি এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল সজিব খান ও মো. আসাদুজ্জামান এবং পুলিশের স্থানীয় সোর্স বিদ্যুৎ তার পথরোধ করে এলোপাতাড়ি পেটান। এসময় দৌড়ে পার্শ্ববর্তী কওমি মাদ্রাসায় আশ্রয় নিলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা এগিয়ে এলে পুলিশের দুই সদস্য গিয়ে বলেন, "তোর কাছে মাদক আছে"। পরে তারা তল্লাশি করে তাদের কাছে থাকা দুটি কাগজ দেখিয়ে বলে এই যে দুই পুরিয়া হিরোইন পাওয়া গেছে। এরপর দুই পুলিশ সদস্য আমাকে হাতকড়া পরিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পথে দুই হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন। টাকা না থাকায় তাদের বিকাশ নাম্বার দিয়ে টাকা পাঠাতে বলে আমার পকেটে থাকা ৪০০ নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেন। পরে তারা বেশ কয়েকবার টাকার জন্য ফোন করলেও আমি টাকা দেইনি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি হই।

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত

ঘুষ খেয়ে সংসদে ভোট দিলে রক্ষাকবচ নয়, পুরনো রায় সংশোধন করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট- হিন্দুস্তান টাইমস

ভোটের বদলে নোট মামলায় সাংসদ ও বিধায়কদের কোনও রকমের ছাড় দেওয়ায় সায় নেই সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালতের ৭ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সোমবার একটি বড় রায় দিয়েছে এই ইস্যুতে। সোমবারের রায়ের হাত ধরে শীর্ষ আদালত তার পুরনো রায় থেকে সরে এসে এই মামলায় নয়া বার্তা দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই মামলা চলেছে ১৯৯৩ সালে নরসিংহ রাও সরকারের আমলে ওঠা এক অভিযোগ ঘিরে।

এর আগে, ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সাংসদ ও বিধায়কদের অর্থ নিয়ে তার বদলে ভাষণ দেওয়া বা ভোট দেওয়ার বিষয়ে দিয়েছিল রক্ষাকবচ। ২০২৪ সালের ৪ মার্চ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে সেই রক্ষাকবচ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে। ফলে দেশের শীর্ষ আদালতের সাফ বার্তা কোনও মতেই ঘুষকাণ্ডে ছাড় দেওয়া হবে না। ভোটের বদলে নোট মামলায় কোনও সাংসদ বা বিধায়ক ঘুষ নিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা যাবে। সেক্ষেত্রে আর তাঁরা রক্ষাকবচের ছাতার তলায় থাকতে পারবেন না। এই বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তার আগের রায় থেকে সরে এসে নতুন রায় দিয়েছে।

'এবার কে দেবে সুবিচার? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ইস্তফার সিদ্ধান্তে হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা- সংবাদ প্রতিদিন

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাতারাতি হয়ে ওঠেন ‘ভগবান’। হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ‘মসিহা’। এহেন বিচারপতির আচমকা ইস্তফার সিদ্ধান্তে হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতী।

রবিবাসরীয় দুপুরে আচমকাই বোমা ফাটান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়(Abhijit Ganguly)। লোকসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় চমক দিয়ে অবসরের সিদ্ধান্ত জানান। সোমবারই এজলাসে শেষদিন তাঁর। মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেবেন রাষ্ট্রপতির কাছে। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে একথা শুনে ভেঙে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এক চাকরিপ্রার্থীর আক্ষেপের সুরে জানান, সুপার নিউমেরিক পোস্টে নিয়োগের পরিকল্পনা কার মস্তিষ্কপ্রসূত, তা খোঁজার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার সুরাহা হওয়ার আগেই বিচারপতির ইস্তফার সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না বলেই জানান ওই চাকরিপ্রার্থী। আবার কেউ কেউ বলছেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় না থাকলে চাকরিই পেতেন না। কিন্তু যাঁরা এখনও চাকরি পাননি, যাঁদের আন্দোলন এখনও চলছে, তাঁদের ভবিষ্যত কী তা নিয়ে ধন্দে আন্দোলনকারীদের একাংশ।

সব পরিকল্পনা ঠিক মতো এগোলে তমলুক লোকসভা থেকে বিজেপির টিকিটেই প্রার্থী বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়- আনন্দবাজার

তিনি চাকরি ছাড়ছেন। তিনি রাজনীতিতে যাচ্ছেন। জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু কোন দলে যাচ্ছেন, তা জানাননি। জানিয়েছেন, তৃণমূলে কোনও ভাবেই নয়, অন্য কোনও দলে। এবং, যে দলে যাবেন, সে দল তাঁকে প্রার্থী করলে আসন্ন লোকসভা ভোটে লড়ার কথাও তিনি ভেবে দেখবেন। রাজ্য রাজনীতির নানা প্রান্তেই গত কয়েক দিন ধরে চোরাস্রোতের মতো বইতে শুরু করেছিল তাঁর ‘রাজনৈতিক’ ভবিষ্যতের কথা। বিভিন্ন সূত্রের যা খবর, তাতে সব কিছু পরিকল্পনামাফিক চললে, ইস্তফা দেওয়ার পর বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবং প্রার্থী হচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্র থেকে। যে কেন্দ্রে এখন খাতায়কলমে ‘তৃণমূল’ সাংসদ শিশির অধিকারীর পুত্র তথা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী।

অসমিয়া বিবেচিত হোক হিন্দিভাষীরাও, ফের হিমন্তর টার্গেট মিঞা মুসলিমরা- পূবের কলম

ফের একবার মিঞা মুসলিমদের নিশানা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে হিন্দিভাষীদেরও অসমিয় হিসেবে  অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। অসমিয় কারা? তার যে সংজ্ঞা রয়েছে তার মধ্যে হিন্দিভাষীদেরও  অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, হিমন্ত সবকিছুর মধ্যেই মেরুকরণ খোঁজেন। বাংলা মূলের অভিবাসী (বাঙালি মুসলিম) যারা ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অসমে বসবাস করে আসছে তাদের নিশানা করা হচ্ছে। অথচ, সেখানে হিন্দিভাষীদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা  হচ্ছে। আসলে অসমের মতো রাজ্যেও জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

শনিবার হিমন্ত বলেন, অসমিয়া সংজ্ঞাটি বছরের পর বছর ধরে পরিবর্তিত হয়েছে। এতে অবশ্যই এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যারা বহু শতাধী ধরে অসমে বসবাস করছেন, যেমন হিন্দি ভাষাভাষী এবং চা-উপজাতি। প্রকৃত অসমিয়াদের বোঝানোর জন্য একটি গণআন্দোলন প্রয়োজন যে- এই সম্প্রদায়ের পরিচয় ‘কোয়ালিটি’র মাধ্যমে ধরে রাখতে হবে। এদিন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন হিমন্ত। সেই অনুষ্ঠানে আলফার ৯৩৬জন কর্মী এবং পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়।

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ