জুলাই ২১, ২০১৬ ২১:৩৬ Asia/Dhaka

কোনো সেনা অভ্যুত্থানকে আমরা সমর্থন করি না। সেই হিসেবে তুরস্কের সাম্প্রতিক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টিকেও আমরা সমর্থন করি না। রেডিও তেহরানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মাসুদ মজুমদার। তিনি বলেন,তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা এটিই প্রথম নয় বা এটিই শেষ নয়! এটার ফলোআপ আরো কিছু হতে পারে এবং কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।

মাসুদ মজুমদার  বলেন, তুরস্কের সেনা অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দেয়ার নায়ক এর্দোগান। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কৃতিত্বটা তার। তবে তারা পুরোপুরি মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ নিয়ে কাজ করছে এমনটি বলা না গেলেও মন্দের ভালো।

পুরো সাক্ষাৎকারটি উপস্থাপন করা হল।

সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ  ও উপস্থাপনা করেছেন গাজী আবদুর রশীদ

রেডিও তেহরান: তুরস্কের সাম্প্রতিক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় সারা বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আামদের প্রশ্ন হচ্ছে- কেন এই তোলপাড় এবং আপনি কীভাবে দেখছেন ঘটনাটিকে?

মাসুদ মজুমদার: দেখুন তুরস্ক আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ। তাছাড়া তুরস্কের সাথে আমাদের ঐতিহ্যগত একটা সম্পর্ক আছে। পাকিস্তান আমলে- তুরস্ক –পাকিস্তান ও ইরান এই দেশের মধ্যে ‘আরপিডি’ নামে একটা মৈত্রী চুক্তি ছিল। আর তখন থেকেই তুরস্ককে আমরা জানি এবং দেশটির সাথে আমাদের একটা নাড়ির সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল। যেমনটি ইরানের সাথে আমাদের সম্পর্কটা সব সময় কোনো না কোনোভাবে ছিল।

তুরস্কের সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়ে বলব- আসলে কোনো অভ্যুত্থানকে আমরা সমর্থন করি না। গণতান্ত্রিক বিশ্ব, মুসলিম বিশ্ব বা ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী কিংবা মুক্ত বুদ্ধির মানুষ যাই বলি না কেন কেউ আমরা এ ধরনের অভ্যুত্থানকে বিশ্বাস করি না সমর্থনও করি না। এ কাজটি খুবই ঘৃণ্য, গণতন্ত্রবিরোধী। রান্ত্রা ও সংবধিান বিরোধী কাজ এটি।

এক্ষেত্রে আমি ইরানের প্রতি সাধুবাদ জানাবো, দেশটিকে বাহবা দেব এইজন্য যে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের সাথে সাথেই ইরানের পক্ষ থেকে অভ্যুত্থানের বিরোধী প্রতিক্রিয়ার জন্য। তাদের এই প্রতিক্রিয়াটি ছিল যথার্থ। আমার ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়াও একই রকমের।

আর তুরস্কের এই ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যদের কলকাঠি নাড়া, এরদোগানের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা গুলেন মুভমেন্টের নেতার বিরুদ্ধে যেসব কথা বলা হচ্ছে- এরকম একটা ঘটনা ঘটার পর নানামুখী বিশ্লেষণ সামনে আসার সুযোগ আছে। একইসাথে ধোয়াশা কিছুটা থাকতেই পারে। তারপরও আমরা মনে করি তুরস্কের বীর জনতা এ ধরনের একটা সেনা অভ্যুত্থানকে প্রতিহত করেছে। আর যেহেতু এর নেতৃত্বে ছিল রজব তৈয়েব এর্দোগান ফলে কৃতিত্বটুকু তার প্রাপ্য।

দ্বিতীয় যে বিষয়টি বলব সেটি হচ্ছে, তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা এটিই প্রথম নয় বা এটিই শেষ নয়! এটার ফলোআপ আরো কিছু হতে পারে এবং কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। আর সেই প্রতিক্রিয়াগুলোকে মোকাবেলা করার ওপর নির্ভর করবে এই ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ইতিবাচক ফলাফল জনগণ কতটুকু ভোগ করবে, কতটুকু শাসকগোষ্ঠী নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করবে আর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক চক্র যারা মুসলিম বিশ্বের ওপর শ্যেনদৃষ্টি  নিয়ে আছে তারাই বা কোনভাবে ব্যবহার করবে সেটা দেখার জন্য  আমাদেরকে আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।

রেডিও তেহরান: অনেকে বলছেন, প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান নিজের ক্ষমতা সংহত করতে এবং বিরোধীদের দমনের সুযোগ নেয়ার জন্য এ অভ্যুত্থান ঘটনার নাটক সাজিয়েছেন। এ বক্তব্যকে আপনি কীভাবে দেখবেন?

মাসুদ মজুমদার: রজব তৈয়্যেব এর্দোগান একজন রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রনায়ক এবং তিনি তুরস্কের সরকার পরিচালনা করছে। তার দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিজের অবস্থান সংহত করার জন্য কোনো না কোনো পথ তিনি অবলম্বন করতে পারেন।

তবে তুরস্কের বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের সাথে গুলেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা,  সিআইয়ের অতি উৎসাহ এবং পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে একধরনের একচোখা অবস্থানের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে এককভাবে এর্দুগানকে দায়ী করে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধ করা আবার সেই জনগণের আশীর্বাদকে কাজে লাগানোর বিষয়টিকে বিবেচনায় নেয়ার মতো অবস্থা বোধহয় সেখানে হয় নি।

এইমুহূর্তে আমরা মনে করি এর্দোগান সামনে এসেছেন নায়ক হিসেবে। তিনি যদি তার অবস্থান পরিবর্তন করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন অথবা ব্যর্থ অভ্যুত্থানের নেতিবাচক ফলটা তার পকেটে ঢুকানোর চেষ্টা করেন তখন জনগণ যে প্রতিক্রিয়াটা দেখাবে তার ওপর ভিত্তি করে এ ব্যাপারে আমরা চূড়ান্ত মন্তব্য করতে পারব।

এর্দোগানের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি আমরা সেকেন্ডারি হিসেবে ভাবতে চাই। এমনকি গুলেনের বিষয়টিকেও আমরা সেকেন্ডারি হিসেবে ভাবতে চাই। কারণ এক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদের নীল নকশা কতোটা কাজ করছে সেটা বিবেচনায় নিয়ে সামনে দেখতে চাই। সেক্ষেত্রে যদি এ ঘটনায় এর্দোগানের কোনো সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয় তখন সময় মত তাকে নিন্দা করা ও তুরস্কের জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব।

রেডিও তেহরান: রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, তুর্কি অভ্যুত্থানের ঘটনা নাটক হোক আর সত্যি হোক ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরো ঘটার পথ উন্মুক্ত হলো। দেশটিতে এর আগেও বহু সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। আপনার বিশ্লেষণ কী?

মাসুদ মজুমদার: দেখুন, তুরস্কের রাজনীতি মূলত রাজনীতিবিদরা নিয়ন্ত্রণ করত না। কামাল আতাতুর্কের পর থেকে সেনাবাহিনী অথবা নব্য তুর্কিদের উত্থান ঘটানোর মাধ্যমে তুরস্কে যে একধরনের ছদ্মবেশী সরকার ছিল তারা কিন্তু সেনাবাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বিশ্বের কোনো দেশে বোধহয় সেনাবাহিনী এতটা প্রভাব রাখে না। আমাদের বিশ্লেষণ হচ্ছে- তুরস্কের জনগণ ইসলামপন্থি তারা মুসলিম চেতনা লালন করে। কিন্তু সেখানকার সেনাবাহিনী ও এলিট শ্রেণি সরকারের ওপর অপ্রতিহত প্রভাব বজায় রেখে চলে। এরআগে আরবাকানের নেতৃত্বের যে সরকার ক্ষমতায় ছিল বা বর্তমানে এর্দোগানের নেতৃত্বে যে সরকার আছে তাদের ওপরও দেখেছি সেনাবাহিনী ও এলিট শ্রেণির ভূমিকা নেতিবাচক। তাছাড়া ব্যুরোক্রেসির পক্ষ থেকেও যেটা ছিল সেটাও জনগণের স্বার্থের অনুকূলে নয়।

সে বিবেচনায় ইরানের প্রতিষ্ঠাতা মরুহুম আয়াতুল্লাহ খোমেনীর একটা বক্তব্য তুলে ধরতে চাই। বক্তব্যটি ছিল এরকম যে, মোস্তাযাফিন এবং মোস্তাকবেরিন (নিপীড়িত ও অত্যাচারী)। তিনি এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এখানেও আমরা তুরস্কের রাজনীতিতে সাধারণ জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন কিছুটা হলেও ঘটার যে সুযোগটা হয়েছিল সেটাকে যদি উচ্চাভিলাষী হিসেবে দেখে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থকে ও শাসনকে সুসংহত করার কথা চিন্তা করে সেই মোস্তাযাফিন বা নিপীড়িত মানুষের কথা চিন্তা না করে তাহলে ঘটনার যবনিকাপাত ঘটবে না, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন বারবার আসবে আর সেনাবাহিনী কিন্তু এ সুযোগটুকু গ্রহণ করবে।

রেডিও তেহরান: বাংলাদেশের ইসলামপন্থি কোনো কোনো সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী এরদোগানকে মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলে মনে করেন। ইরাক, আফগানিস্তান ও সিরিয়ার প্রেক্ষাপটে মুসলিম স্বার্থ সংরক্ষণে আসলে এরদোগানের ভূমিকাটা কী?

মাসুদ মজুমদার: দেখুন, আপনার এ প্রশ্নের বিষয়ে খোলামেলাভাবে কিছু কথা বলতে চাই। আমি মনে করি রজব তাইয়্যেব এর্দোগানকে বাংলাদেশের ইসলামপন্থি দলগুলো মন্দের ভালো হিসেবে বাছাই করেছে। তারা মনে করছে কামাল আতাতুর্কের যে নীতি তা থেকে তুরস্কের মূল ধারায় ফিরে যাওয়ার যে অন্তহীন প্রচেষ্টা ইসলামিকরণের যে প্রক্রিয়া এবং এরমাধ্যমে জনগণের আশা-আকাংখার প্রতিফলন ঘটানোর ব্যাপারে আরবাকান অথবা এর্দোগানদের ভূমিকার প্রতি এদেশের জনগণ ও ইসলামপন্থিদের একটি উদারনৈতিক চিন্তা আছে। তাছাড়া এদেশের মানুষের নৈতিক সমর্থনও আছে তাদের প্রতি। কিন্তু কোনো দল বিশেষ, কোনো ব্যক্তি বা কোনোগোষ্ঠী তুরস্কের বর্ধিত অংশ হিসেবে আমাদের দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় নেই। এই যে সমর্থন সেটা ভালোলাগা, ভালোবসা এবং মন্দের ভালো  হিসেবে চিন্তা করার ব্যাপার। সেই দৃষ্টিতে বাংলাদেশের ইসলামপন্থি, আলেম ওলামারা মনে করেন তুরস্কে বর্তমানে যারা সরকার পরিচালনা করছে তারা সেক্যুলার নয়। তারা মোটামুটি মুসলিম মানসটাকে ধারন করার চেষ্টা করছে।

তবে মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তুরস্কের বৈদেশিক নীতিকে ষোলো আনা সমর্থন করা যাবে না। বিশেষ করে সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে অনেক ক্ষেত্রে ডাবল স্টান্ডার্ড দেখাচ্ছে। সেই ডাবল স্টান্ডার্ডের বিষয়টা আমরা দেখি যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে। আমরা দেখতে পাই আরব জাহানের কোনো কোনো রাজা বাদশাদের ক্ষেত্রেও। আর তুরস্কের অবস্থানটিকে আমরা সরাসরি স্বচ্ছ এবং মুসলিম উম্মাহর পক্ষে সরাসরি আছে এমনটি দেখতে পাই না। তবে কোনো একটা দেশের অভ্যন্তরীণ বা পররাষ্ট্রনীতির সাথে যে বোঝাপড়ার  ব্যাপারটি থাকে অথবা কৌশলগত সম্পর্ক থাকে তেমনটি যদি থাকে তাহলে আমাদের বলার কিছু নেই। কারণ সিরিয়া তাদের নিকটতম প্রতিবেশী। অর্থাৎ আমি বলতে চেয়েছি প্রতিটি রাষ্ট্রের সাথে অন্য রাষ্ট্রের  কূটনীতি এবং পররাষ্ট্রনীতির যে বোঝাপড়া বা সম্পর্ক সেক্ষেত্রে আমার মনে হচ্ছে তুরস্ক এখনও মুসলিম উম্মাহর একক স্বার্থ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ‘নো ইস্ট নো ওয়েস্ট ইসলাম ইজ দ্যা বেস্ট’ সেই অবস্থানে তুরস্কের নেতৃত্বকে যে সামনে আসার কথা তা  এখনও দেখছি না।

তবে এই আশা প্রকাশ করতে পারি যে, অতীতের যেকোনো সরকারের চেয়ে আরবাকান বা এর্দোগানের সরকার বেশ কিছু ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। ইরানের সাথে তুরস্কের বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ আছে। তাছাড়া মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও আছে।সেক্ষেত্রে তাদের কূটনৈতিক ভুল সিরিয়া ও ইসরাইলের ক্ষেত্রে আছে এবং আরব বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথেও আমার মনে হয় একটু ভুল বোঝাবুছি ও দূরত্ব তৈরির অবস্থা এখনও রয়ে গেছে।

রেডিও তেহরান:  সিরিয়া সংকটে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নেতৃত্বাধীন তুরস্কের ভূমিকাকে অনেকে নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন। অনেকে বলছেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল’র উত্থান ও বর্বরতার পেছনে তুরস্কের ভূমিকা দায়ী। আপনি কী বলবেন?

মাসুদ মজুমদার: তাদের এই অভিযোগকে আমি ষোলো আনা মিথ্যে বলব না আবার ষোলো আনা সত্য বলারও সুযোগ নেই। কারণ আমরা আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে তালেবান উত্থানের  ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের যে ভূমিকা দেখলাম আবার তালেবান সরকারের পতনের জন্যও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড দেখলাম। তাছাড়া আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের মোকাবেলায়  তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তীতে দেখলাম তারা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বৈরী অবস্থান নিয়েছে।

ইরানেও দেখেছি শাহ’র আমলে যুক্তরাষ্ট্রে হামদার্দি সক্ষ্যতা ছিল আবার ইসলামি বিপ্লবের পর তারা ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক নেতিবাচক অবস্থানে নিয়েছে এবং শত্রুর কাতারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ঠিক এধরনের একটা রোল আমরা তুরস্কের ব্যাপারেও  ব্যাপারেও দেখতে পাই।  এক্ষেত্রে তুরস্কের যে ভারসাম্যপূর্ণ বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করা উচিত ছিল সেটা তারা করতে পারছে না। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আইএসআইএল বা এধরনের সংগঠনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত করার সুযোগ না থাকলেও তাদের পররাষ্ট্রনীতির এই দিকটা স্পষ্ট নয়। আসলে তারা আইএসআইএল  বা অন্যান্য যে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আছে, যাদের সাথে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের সংযোগ দেখানো হচ্ছে তাদের ব্যাপারে তুরস্কের নীতি কি হতে পারে সে বিষয়টি স্পষ্ট না করা পর্যন্ত তুরস্কের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠবেই এবং তুরস্ককে এর কৈফিয়ত দিতে হবে।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২১

ট্যাগ