রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ দেশবিরোধী-খালেদা, রামপাল আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা খালেদার- আ.লীগ
পাঠক! আমাদের নিয়মিত অনুষ্ঠান কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি। আজ ২৫ আগস্ট বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতেই বাংলাদেশ ও ভারতের গুরুত্বপূর্ণ দৈনিকের বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম। এরপর বাছাইকৃত কিছু খবরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ঢাকার দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া-রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ দেশবিরোধী-প্রথম আলো
নরসিংদীতে চিত্তরঞ্জনের ওপর হামলার দায় স্বীকার আইএসের-মানবজমিন
‘বাংলাদেশকে সন্ত্রাসীদের আখড়া হতে দেয়া হবে না’-ইত্তেফাক
সিরাজগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২-যুগান্তর
হাতিয়ায় অস্ত্রের মুখে ৩ গ্রামপুলিশকে অপহরণ-বাংলাদেশ প্রতিদিন
কোলকাতার দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:
মৃত স্ত্রী’র দেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিমি পথ পাড়ি স্বামীর-সংবাদ প্রতিদিন
জেলে আত্মহত্যার চেষ্টা নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির আসামির-আনন্দবাজার
স্মৃতিকে চাকরি দেয়নি জেট এয়ারওয়েজ!-আজকাল
পাঠক! শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশ ও ভারতের সবচেয়ে আলোচিত কয়েকটি খবরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
‘বাংলাদেশকে সন্ত্রাসীদের আখড়া হতে দেয়া হবে না’-ইত্তেফাক
বাংলাদেশকে কোনোভাবেই সন্ত্রাসীদের আখড়া হতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গণভবনে ঢাকা সফররত সৌদি আরবের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল আইশের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনিএ কথা বলেন।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী ও সৌদির সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় দুই দেশের সামরিক-বেসামরিক সহযোগিতা আরো বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন তারা। দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, 'যারা ধর্মের নাম ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ, বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে থাকে তারা বিপথগামী। সব ধর্মের মূল উদ্দেশ্য শান্তি। কোনো ধর্মই জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না।'
জন কেরির বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে গণতন্ত্র, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার-মানবজমিন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে গণতন্ত্র, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার। ২৪শে আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন প্রেস অফিসের পরিচালক এলিজাবেথ ট্রুডিউ। তিনি বলেছেন, আগামী ২৯শে আগস্ট বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন জন কেরি। এ সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিস্তারিত বিষয়ে ও দীর্ঘদিনের বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরবেন। এলিজাবেথ ট্রুডিউ বলেছেন, এ সফরে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশেষ করে গণতন্ত্র, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন যে অংশীদারিত্ব রয়েছে তা শক্তিশালী করার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।
ইত্তেফাকসহ বেশ কয়েকিট দৈনিকের শিরোনাম: ধর্মঘট: সিদ্ধান্ত আসেনি লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকেও
বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট নিয়ে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে সরকারের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ধর্মঘট ‘অচলবস্থা’ অবসানে বৈঠক থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর শ্রম পরিদফতরের এই বৈঠক শুরু হয়। তিন ঘণ্টা বৈঠক শেষে ‘শিগগিরই সমাধান হওয়ার’আশা প্রকাশ করা হয়।
শ্রম পরিদফতরের পরিচালক এফ এম আশরাফুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গত রাতে শ্রমিকদের সঙ্গে বসেছিলাম। আজ মালিকদের সঙ্গে বসেছি। আশা করি, শিগগিরই এর একটা সমাধান হবে। আমরা নিজেরা মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আবারও বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া-রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ দেশবিরোধী: প্রথম আলো
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্তকে ‘দেশবিরোধী’ ও ‘গণবিরোধী’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, সুন্দরবনকে নিশ্চিত ধ্বংসের চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া যায় না, দেওয়া উচিত নয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। রামপালে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতিকর ও বাংলাদেশের স্বার্থহানির নানা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প আছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনেক বিকল্প স্থানও আছে। কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘কোটি কোটি অধিবাসীকে নিশ্চিত বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়ার যেকোনো অপচেষ্টার প্রতিবাদ করার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমরা রামপালের সব কয়লা-বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। এ দাবির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিএনপি কোনো কর্মসূচি দেবে কি না, তা নির্ভর করছে সরকারের আচরণের ওপর। সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, বিএনপি তা পর্যবেক্ষণ করবে।
আজ শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে বিএনপি কোনো কর্মসূচি দেবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে ফখরুল এ কথা বলেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া-রামপাল আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টায় খালেদা জিয়ার
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘খড়কুটোর মতো’ রামপাল ইস্যুকে আঁকড়ে ধরে বাঁচার শেষ চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আওয়ামী লীগকে পরিবেশবান্ধব সরকার অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘যে সরকারের প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষায় চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত, সেই সরকার পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
এত জামায়াত গেল কোথায়-বিএনপির বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী, পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগও ঠাঁই দিয়েছে অনেককে
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও বিদেশি কূটনীতিক কারও আহ্বানেই কাজ হচ্ছে না। জামায়াতকে ছাড়ছে না বিএনপি। জোটের ঐক্য, ভোটের ঐক্য ধরে রাখছে দুই দলই। এমনকি জামায়াত ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ভারতের কূটনৈতিক চিন্তাও বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। সম্পর্কটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। একইভাবে কয়েক বছর ধরে সারা দেশে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী নেতা জামায়াতকে ঠাঁই দিয়েছেন তাদের দলে। ফুলের তোড়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের হাস্যোজ্জ্বল ছবিও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দল শক্তিশালী করতে কেন্দ্রের নির্দেশ উপেক্ষা করে এ কাজ করেছেন আওয়াম লীগ নেতারা। এদিকে জামায়াতে ইসলামীও হামলা-মামলা ও গ্রেফতার এড়াতে নানামুখী কৌশল নিয়েছে। তারা চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদেশে পাড়ি জমানো, বিভিন্ন ছদ্মবেশে অবস্থান করছেন ঢাকাসহ সারা দেশে। এ প্রসঙ্গে বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘রাজনীতিতে এখন জামায়াত ইস্যু বড় আকার ধারণ করেছে।
পাঠক! ভারতের বাংলা দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ খবরের অংশ বিশেষ তুলে ধরছি।
ভারতীয় সংবিধান মেনে কথা নয়, জানাল হুরিয়ত-আনন্দবাজার
উত্তাপ কমাতে কাশ্মীরে পৌঁছেই সব পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজনাথ সিংহ। কিন্তু ‘মানবিকতা, গণতন্ত্র ও কাশ্মীরিয়ত’-র উপর ভরসা রয়েছে এমন সব শিবিরকেই আলোচনায় ডাকলেও, দিনের শেষে ব্রাত্য থেকে গেলেন হরিয়তরা। উল্টে আজ হুরিয়তের পক্ষ থেকে কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে পাকিস্তানকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে জট খোলার এতটুকু ইঙ্গিত মেলেনি।
হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে প্রায় ৪৭ দিন ধরে অশান্ত কাশ্মীর। পরিস্থিতির উন্নতিতে গত সপ্তাহে কাশ্মীরের বিরোধী দলগুলি দিল্লি এসে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। সে সময়েই ঠিক হয়েছিল সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে কাশ্মীরে যাবেন রাজনাথ সিংহ। কিন্তু সেই আলোচনা সাংবিধানিক গণ্ডির মধ্যে রাখতে হবে বলে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সশস্ত্র আন্দোলন হলে মোর্চার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা: মুখ্যমন্ত্রী-সংবাদ প্রতিদিন
উন্নয়নের পথেই এগিয়ে চলবে পাহাড়৷ পাহাড়ে শান্তি নষ্টের চেষ্টা হলে তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না৷ উত্তরবঙ্গ সফর সেরে কলকাতায় রওনার আগে বুধবার শিলিগুড়ির সুকনায় এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আন্দোলনের ধুয়ো তুলে পাহাড়ে শান্তি নষ্টের চেষ্টা হলে যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এদিন তা-ও স্পষ্ট করে মোর্চাকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ‘পাহাড়ে শান্তি আছে, শান্তি থাকবে’ বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ বলেন, পাহাড়ে এত পর্যটক আসছেন৷ মানুষের রোজগার হচ্ছে৷ এটাই তো হওয়া উচিত৷
মৃত স্ত্রী’র দেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিমি পথ পাড়ি স্বামীর-সংবাদ প্রতিদিন
হাসপাতালের কাছে চেয়েও মেলেনি শববাহী যান৷ নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে বাইরে থেকে গাড়ি ভাড়া করার পয়সাও অবশিষ্ট নেই৷ তাই স্ত্রীর মরদেহ নিজের কাঁধে তুলেই শ্মশানের দিকে চললেন স্বামী৷ পাশে শুধু অঝোরে কাঁদতে থাকা কিশোরী কন্যা৷
অভাব অনটনের সংসারে যক্ষা বাসা বেঁধে ছিল আমাঙ্গের শরীরে৷ বহু চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে৷ বিড়ম্বনা শেষ হয়নি দলিত মহিলার মৃত্যুর পরও৷ স্ত্রীর চিকিৎসায় সর্বশান্ত দানা মাঝির কাছে একটি পয়সাও ছিল না স্ত্রীয়ের মৃতদেহের বয়ে নিয়ে যেতে একটি বাহনের ব্যবস্থা করার জন্য৷ বহুবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন, জবাব ছিল ‘এই মুহূর্তে কোনও শববাহী যান নেই’৷
কাউকে পাশে না পেলেও শেষযাত্রায় নিজের সারা জীবনের সঙ্গীর দায়িত্ব থেকে পিছু হটেননি দানা মাঝি৷ মন শক্ত করে স্ত্রীয়ের মৃতদেহ কাঁথা-কাপড়ে জড়িয়ে তুলে নেন নিজের কাঁধে৷ একাই তাঁকে বয়ে নিয়ে হেঁটে যান ১০ কিলোমিটার পথ৷ ওড়িশার এক টেলিভিশন চ্যানেলে উঠে আসে এই মর্মান্তিক দৃশ্য৷#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৫