আগস্ট ১৪, ২০১৯ ১৭:২২ Asia/Dhaka

ক. বন্ধুরা! আপনাদের অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আপনাদেরই চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন। শুরুতেই যথারীতি একটি হাদিস।

আমীরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অপরের কোনো খারাপ কাজকে অপছন্দ করার পরও নিজে সেই একই কাজ করে সেই হচ্ছে প্রকৃত নির্বোধ লোক।

খ. আসরের প্রথমেই হাতে তুলে নিচ্ছি ভারত থেকে আসা একটি চিঠি। পোষ্ট কার্ডে লেখা চিঠিটা এসেছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জল্লাই গ্রাম থেকে। আর এটি লিখেছেন রেডিও তেহরানের পুরনো শ্রোতা ভাই মকবুল হোসেন মন্ডল। চিঠিতে তারিখ নেই তবে ডাকঘরের সিল মোহর থেকে বুঝতে পারছি এটা গত বছর পাঠানো হয়েছে। সাল বোঝা গেলেও তারিখ বোঝার উপায় নেই। এ চিঠিতে অনুষ্ঠানসূচি পাঠানো হয় না বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

বহলুল: কঠিন অভিযোগ।   

ক. সত্যিই ‘কঠিন’ এবং ‘অভিযোগ’ শব্দ দু'টোকে মিলিয়ে ফেলেছেন বহলুল ভাই। কঠিন এ কারণে যে আজকাল আর অনুষ্ঠানসূচি পাঠানো হয় না। নানারকম জটিলতার কারণে শ্রোতাদের কাছে ডাকযোগে এখন আর আমরা অনুষ্ঠানসূচি পাঠাচ্ছি না।  তবে রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইট পার্সটুডে ডট কম স্ল্যাশ বিএনে গেল অনুষ্ঠোনের সূচি পাওয়া যায়। তো ভাই মকবুল হোসেন মন্ডল, কষ্ট করে চিঠি লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বহলুল: দেখুন ক'দিন আগে ভাই আশিকুর রহমানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল। এ্যাই তিনি না মিডিয়া মানে ইরানের মিডিয়া..

খ. বুঝেছি বহলুল ভাই। বলছি,ইরানের পবিত্র নগরী কোমের আল মুস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র,বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার  ভাই আশিকুর রহমানের সঙ্গে ক'দিন আগে আমাদের কথা হয়েছিল। তিনি ইরানের মিডিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর নৈতিকতাহীন আচরণের কথাটি তুলে ধরেন।  বহলুল ভাই সে দিকেই ইংগিত করেছেন। হ্যাঁ তা হলে এবারে চলুন ভাই আশিকুর রহমানের কথা শুনি……..

বহলুল: ওদের মুখোস এবং খোলস একেবারে খুলে ফেলেছেন। সহজ কথায় জটিল বিষয় তুলে ধরেছেন ভাই।

ক. এতোক্ষণ ইরানের পবিত্র নগরী কোমের আল মুস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভাই আশিকুর রহমানের কথা শুনছিলেন। ধন্যবাদ ভাই আশিক। ভবিষ্যতে আপনার আরও কথা শোনার ইচ্ছে রইল।

বহলুল: রেডিও তেহরানের ওয়েব সাইট এবং ফেসবুকের অফিসিয়াল গ্রুপের খবরে যে সব মন্তব্য হয়েছে এবারে আমরা সে দিকে নজর দেবো।

খ. ঠিক আছে বহলুল ভাই।  আমি তৈরি হয়েই আছি। হ্যা। মার্কিন পাইলবিহীন বিশাল বিমান বা ড্রোন আরকিউ-৪এ গ্লোবাল হককে ভূপাতিত করেছে ইরান। এটি এ সময়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য খবর। গত ১৮ বছর বা দেড় যুগ ধরে আকাশে গোয়েন্দা তৎপরতায় নিয়োজিত আছে এই ড্রোন। কিন্তু এবারই অত্যন্ত দামি এবং অত্যাধুনিক এই ড্রোন ভূপাতিত হলো ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে। ফেসবুক গ্রুপে এ ঘটনা ঝড় তুলেছে। ঝড় উঠেছে রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইটের খবরেও।

ক. ভাই তপন খান লিখেছেন, এ থেকে আমেরিকার শিক্ষা নেবার সময় হলো, ইরানকে আর খাটো করা নয়, একই শক্তিধর হিসাবে ভাবা। ইসরাইল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া,আর আরব বিশ্বের সত্যিকারের ন্যায়সঙ্গত বন্ধু হওয়া। ভাই সুমন গাজি লিখেছেন, ইরান কোন দিন আমেরিকার কাছে মাথা নত করবে না কারন এটা ইমাম হুসাইন এর শিক্ষা কারন ইমাম হুসাইন এজিদের কাছে নিজের মাথা দিয়েছিলেন কিন্তু বায়াত গ্রহণ করেননি।  তেমনি ইরানও আমেরিকার সাথে যুদ্ধ করবে মাথা দেবে কিন্তু বায়াত গ্রহণ করবে না।  ইরান এখন মুসলিম বিশ্বের একক বৃহৎ শক্তিশালী দেশ।

বহলুল: দারুণ সব কথা। কথা তো নয় যেন আগুনের গোলা! সাব্বাস।

খ. এদিকে ড্রোন ধ্বংসের চপেটাঘাতে ইরানকে আরও সমীহ করছে হতচকিত আমেরিকা খবরটি প্রকাশিত হয়েছে জুন মাসের ২১ তারিখ। রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ খবরে পাঠক ভাই মুকিতুল ইসলাম লিখেছেন, লাগতে আসলে শেষ হয়ে যাবে আমেরিকা আর সাব্বির রহমান লিখেছেন, আমেরিকার দিন শেষ হওয়ার পথে। 

ক. ইরানের বিরুদ্ধে হামলার নির্দেশ দিয়ে তড়িঘড়ি বাতিল করলেন ট্রাম্প শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ২১ জুন। এ নিয়েও ফেসবুকে অনেক আলোচনা হয়েছে। ভাই তুহিন ইসলাম লিখেছেন, ইরানকে যে আমেরিকার ভীষণ ভয় সেইটা আবার প্রমাণ হলো।

 বহলুল: সত্যিই তাই। তবে  না আজ এ নিয়ে কথা বলা যাবে না। আসরের সময় শেষ হয়ে এসেছে।

খ. হ্যা শ্রোতাবন্ধুরা এবার বিদায়ের পালা। চিঠি লেখা, ইমেইল করা এবং সর্বোপরি এতক্ষণ অনুষ্ঠান শোনার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। চিঠি লেখা ও অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত দেয়া অব্যাহত রাখবেন। কথা হবে আগামি আসরে। #

ট্যাগ