নভেম্বর ১৮, ২০১৯ ১৭:৫১ Asia/Dhaka

ক. আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন।

আজকের আসরের শুরুতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একটি বাণী শুনব। তিনি সূরা ফাতিরের ২৯ নম্বর আয়াতে বলেন, যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় (বা দান) করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করে, যাতে কখনও লোকসান হবে না।

খ. এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ বলেছেন, শুধু নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত যথেষ্ট নয়, সেইসঙ্গে সাধ্যমতো দান খয়রাত করতে হবে। তবেই আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করা সম্ভব। যাই হোক আজকের আসরের প্রথমেই যে ইমেইল হাতে তুলে নিয়েছি তা এসেছে বাংলাদেশ থেকে। গেন্ডারিয়া, ঢাকা থেকে এ চিঠি পাঠিয়েছেন রেডিও তেহরানের পুরনো শ্রোতা ভাই মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

বহলুল: এ চিঠিতে বেশ মজাদার একটি বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। তবে কথার পুরোটাই যে মজার তা কিন্তু বলছি না।

ক. বহলুল ভাই, এ্যাই দেখুন আপনার প্রতিজ্ঞা ভুলে গেছেন! কি আর করা যায়। ভাই জিল্লুর লিখেছেন, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ এবং ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। সাগর ও নদী দুই জায়গায়ই ইলিশের বিচরণ ক্ষেত্র। ইলিশ পছন্দ করে না, এমন বাঙ্গালী দেশে ও বিদেশে খুঁজে পাওয়া খুব দুষ্কর।

খ. তিনি আরো লিখেছেন, বিগত বছরগুলোতে যে পরিমাণ ও ওজনের একটি ইলিশ মাছের দাম যা ছিল, তা এখন কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্ধেকেরও কমে চলে এসেছে। দাম যাই হোক, সব শ্রেণি-পেশার মানুষই তাঁদের স্বাদ, সংগতি ও সাধ্যের মধ্যে একেকটি ইলিশ মাছ কিনে খেতে পারছে। রেডিও তেহরানের সকলকে রুপালী ইলিশের নিমন্ত্রণ। আমার প্রশ্ন, ইরানে কী বাংলাদেশের রুপালী ইলিশ পাওয়া যায়?

বহলুল: নিমন্ত্রণ পেয়ে এখনি চলে যেতে মন চাইছে।  উঠবো কিনা ভাবছি!

ক. না না বহলুল ভাই। আগে প্রশ্নের জবাব দিয়ে নেই। ইরানে রুপালী ইলিশ পাওয়া যায়। তবে তা বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর বা পদ্মা নদীর ইলিশ নয়। বরং এখানে পারস্য উপসাগরে ধরা পড়া ইলিশ পাওয়া যায়। এখন থেকে ১৫/২০ বছর আগে রাজধানী তেহরানে ইলিশের মৌসুমে নিয়মিত ইলিশ পাওয়া যেত। কিন্তু এখন অনেক কমে গেছে। তারপরও মাঝেমধ্যে মোটামুটি বড় আকারের ইলিশ মেলে এখানে। ধন্যবাদ ভাই জিল্লুর রহমান। আপনার প্রশ্নের সুবাদে শ্রোতাবন্ধুরা ইরানের ইলিশ সম্পর্কে অল্পবিস্তর ধারনা পেয়ে গেলেন।

বহলুল: গত আসরে ভাই সুলতান মাহমুদের অভিযোগ শুনেছিলাম। এবার তার অভিযোগ প্রতিকার করা হয়েছে। মানে আজকের আসরে তার কথা শুনবো। হ্যাঁ

বহলুল: ভাই সুলতান মাহমুদ পুরনো শ্রোতাভাই। তবে এতো পুরানো তা জানা ছিল না।

ক. হ্যা তিনি যে সেই ১‌৯৯১ সাল থেকে রেডিও তেহরান শুনছেন সে কথা আজ জানতে পারলাম। এতোক্ষণ বাংলাদেশের পুরানো শ্রোতা ভাই সুলতান মাহমুদ সরকারের কথা শুনছিলেন। ভবিষ্যতে তার কথা আরও শোনার আশা রইল।

বহলুল: তাহলে এবারে আমরা নজর দেবো...

ক. হ্যাঁ রেডিও তেহরানের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ এবং ওয়েবসাইটের খবরে যে সব মন্তব্য হয়েছে সে দিকে। তা আমিই নজর দিচ্ছি বহলুল ভাই।  হিজবুল্লাহর নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সব ধরনের যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করতে পারবে শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ তারিখে। এ খবরে বলা হয়েছে, লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ সম্প্রতি একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে যা সব ধরনের যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করতে সক্ষম। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটার অ্যাকাউন্টে একথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।

খ. ওয়েবসাইটের এ খবরে পাঠক বন্ধু লুৎফর রহমান দুটি মন্তব্য করেছেন। একটি করেছেন ইমোজি নিয়ে। তাতে ভালোবাসা বুঝিয়েছেন। অন্যটিতে লিখেছেন, হিজবুল্লাহ এগিয়ে চলো। এদিকে ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে মন্তব্যের ঝড় বয়ে গেছে। পাঠক বন্ধু ওমর ফারুক লিখেছন, খুব সুন্দর কথা। আর মাশাল্লাহ লিখেছেন কাওসার আহমেদ। বেশিরভাগই মন্তব্যই এ রকমের হয়েছে।

বহলুল: জনগণের মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে সদা সত্য কথা!

ক. সত্যিই তাই। এদিকে সংঘাতের শুরুতেই আমরা মার্কিন রণতরীগুলো ডুবিয়ে দেব শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর। এ খবরে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, দেশটি থেকে চারদিকে দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের সবগুলো মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ও যুদ্ধজাহাজ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।

খ. ‘ইনশাল্লাহ ইসলামী ইরান জিন্দাবাদ’ বলে মন্তব্য করেছেন ‘শেষ বিকালের তমাল’ নামের পাঠক ভাই। অন্যদিকে সৈয়দ আবু তাহের লিখেছেন, মাশাল্লাহ্, আল্লাহুআকবার। বাকি সব মন্তব্যের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে এ দু'টি মন্তব্য।

বহলুল: যাকে বলে তীরের মতো মোক্ষম  সব মন্তব্য!

ক. এদিকে এটি সৌদি আরবের গভীরে আমাদের বাহিনীর সবচেয়ে বড় হামলা শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর। এ খবরে বলা হয়েছে  ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ও গণকমিটি সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় আরামকো কোম্পানির দু'টি তেল স্থাপনায় হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।

খ. এ খবরে শেখ সিরাজুল হক বলেছেন আমির কখন ফকির হয়ে যাবে তা কেবল আল্লাহ জানেন!! অত‍্যাচারীর দর্পচূর্ণ  করো।

বহলুল: এক মন্তব্যে সব কথা উঠে এসেছে। মোক্ষম এবং চমৎকার। এদিকে আজ না আর সময় নেই। ধন্যবাদ সব মন্তব্যকারীকে। এবারে আসর গুটাতে হবে।

ক. জি ঠিক তাই। তো শ্রোতাবন্ধুরা আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ থাকুন এ কামনা করে আজ এখানেই বিদায় চাইছি।

খ. কথা হবে আগামী আসরে। #

ট্যাগ