জানুয়ারি ১৪, ২০২০ ১৫:৫৫ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম: 

  • মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা-দৈনিক মানবজমিন
  • নির্যাতনে বছরে গড়ে গৃহকর্মী মারা যায় ৩০ জন-দৈনিক ইত্তেফাক
  • খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আবেদন করলে সরকার বিবেচনা করবে: অ্যাটর্নি জেনারেল-দৈনিক যুগান্তর
  •  ঢাবির ৬৭ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার-দৈনিক প্রথম আলো
  • ফের মহাধসের আশঙ্কা শেয়ারবাজারে-দৈনিক সমকাল

ভারতের শিরোনাম:

  • সংঘাতের জল্পনা উড়িয়ে পাঁচদিনের ভারত সফরে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন    
  • সিএএ-নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম রাজ্য হিসেবে মামলা কেরল সরকার-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, কাটতে পারে বাণিজ্য জট-দৈনিক আজকাল

পাঠক/শ্রোতা! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

মার্কিন-ইরান উত্তেজনা সম্পর্কে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা পশ্চিমা বিভিন্ন মিডিয়ার বরাত দিয়ে লিখেছে, ৭ মাস আগে সোলাইমানি হত্যায় অনুমোদন দেন ট্রাম্প।

Image Caption

দৈনিকটির খবরে বলা হয়, সাত মাস আগেই ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যায় কর্তৃত্ব দিয়ে রেখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তাতে শর্ত উল্লেখ করে কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হয়নি।

পাঁচ সাবেক ও বর্তমান প্রশাসনিক কর্মকর্তার বরাতে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, যদি ইরানের ক্রমবর্ধমান হামলায় কোনো আমেরিকানের মৃত্যু হয়; তবেই সোলাইমানিকে হত্যায় কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযান পরিচালনা করা যাবে।

কুদস ফোর্সের প্রধান শহীদ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, আসন্ন হুমকির কথা বলে সোলাইমানিকে হত্যা করা হলেও নতুন ফাঁস হওয়া তথ্য সেই দাবিকে আরও জটিল পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে।

মার্কিন বাহিনী বিশ্বাস করে, কয়েক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর জন্য ইরানের এ শীর্ষ জেনারেল দায়ী। ইরান একটি মার্কিন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার পরেই এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। ইরাকে ইরানি ছায়া বাহিনীর হামলার জবাবে ট্রাম্পের কাছে যেসব বিকল্প তুলে ধরা হয়, তার মধ্য দিয়ে সেখানে সোলাইমানি হত্যার সিদ্ধান্তকে বেছে নেয়া হয়েছে।

এর আগে ইরাকি ছায়া বাহিনীর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এক বেসামরিক ঠিকাদার নিহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া মার্কিন সেনাবাহিনীর চার সদস্য আহত হন।

হামলার ক্ষেত্রে পাল্টা প্রতিশোধ আসার যে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল, তা আমলে নেননি ট্রাম্প। তখন তিনি বলেন, তারা যদি আমেরিকানদের ওপর আঘাত হানে, তবেই এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে।

সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন

সোলাইমানিকে হত্যার অনুমোদনে তোড়জোড় করেছিলেন সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার পর বোল্টন তাতে সমর্থন জানিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই হামলার পক্ষে ছিলেন। ফক্স নিউজকে গত সপ্তাহে তিনি বলেন, বেশ কিছু হামলার ষড়যন্ত্র করেছিলেন সোলাইমানি। ট্রাম্প দাবি করেন, বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন এই ইরানি সামরিক কর্মকর্তা।

ইরান হামলা: 'আশ্চর্যজনকভাবে' পালিয়েছিলেন মার্কিন সেনারা-দৈনিক ইত্তেফাক

Image Caption

দৈনিকটিও পশ্চিমা মিডিয়ার বরাত দিয়ে লিখেছে, ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলায় আশ্চর্যজনকভাবে মার্কিন সেনারা পালাতে সক্ষম হয়েছিল বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্টের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। ইরাকের আইন আল আসাদে কর্মরত লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টেসি কোলম্যান বলেন, এটা আশ্চর্য ছিল এমন হামলায় কেউই হতাহত হয়নি।কে ভেবেছিল তারা এমন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাবে আর এতে কোন হতাহত হবে না।

আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে গেল মার্কিন সেনারা

জানা গেছে, হামলার দিন ইরাকের আইন আল আসাদ ঘাঁটিতে প্রায় দেড় হাজার সেনা অবস্থান করছিল। মার্কিন সেনারা দাবি করছে, সেনা কর্মকর্তাদের দক্ষতায় তারা রক্ষা পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি ইরাকের ইরবিল ও আইন আল-আসাদে অবস্থিত দুই মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান।তখন ইরান দাবি করে, ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৮০ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া ২০০ মার্কিন সেনা আহত হওয়ার কথা জানায় ইরান। কমান্ডার কাসেম সোলাইমানীর হামলার প্রতিশোধ নিতেই তখন ইরাকের দুই মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান।

ড. আলী রীয়াজের বিশ্লেষণ-যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, ইরাক: সবশেষ পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ-দৈনিক মানবজমিন

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ

গোটা মধ্যপ্রাচ্যে, উপসাগরীয় অঞ্চলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ইরাকে ইরানের প্রভাব বেড়েছে এবং এটা বাড়তে থাকবে। এখন দু’পক্ষই স্টেপ ব্যাক করবে। কিন্তু যা ক্ষতি হওয়ার তা কিন্তু হয়ে গেছে। এই ক্ষতিগুলোর দায় কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে নিতে হবে। এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ। তিনি ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি, কাসেম  সোলাইমানিকে হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্র যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তার অন্যতম বিষয় হচ্ছে- ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের যে সমস্ত সৈন্য আছে তাদেরকে সম্পূর্ণ সতর্কতার মধ্যে রাখা হয়েছে। যে সমস্ত ঘাঁটি রয়েছে, বিশেষ করে ইরাকে যেসব ঘাঁটি রয়েছে, সেগুলোতে বড় ধরণের সতর্কতা পালন করা হচ্ছে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ২টি ঘাঁটিতে মিসাইল নিক্ষেপ করেছে ইরান।

ইরানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটা একটা ‘প্রোপোসনেট রেসপন্স’ এবং তারা কোনরকম যুদ্ধ চায় না। কিন্তু তারা তাদের জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যার প্রত্যুত্তর দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি তো ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। দু’পক্ষই আসলে এক ধরণের উত্তেজনার মধ্যে আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পদক্ষেপটা কে নেবে প্রথম অর্থ্যাৎ যদি যুদ্ধপরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে কার পদক্ষেপটা প্রথম হবে। আমার যেটা ধারণা সেটা হচ্ছে এই যে, ইরান এই মূহুর্তে কোন যুদ্ধের মধ্যে যেতে চাইবে না। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে সেটা খানিকটা ফ্লুইড। ফ্লুইড এই কারণে যে, ট্রাম্পের আসলে ফরেন পলিসির যে ইতিহাস তার ওপর ভিত্তি করে আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারবো না। পুরো ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে আসলে আজকে নয়। প্রথম কথা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের প্রতি আগ্রাসী মনোভাব অতীতে পালন করেছে, তার চেয়ে বেশি করেছে আসলে ট্রাম্পের প্রশাসন আসার পর। ইরানের সঙ্গে যে পারমানবিক চুক্তি ছিলো, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি। অনেক আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে দু’পক্ষ ছাড় দিয়ে তৈরি করেছিলো (এই চুক্তি)। মি. ট্রাম্প লেটার‌্যালি সেখান থেকে ফেরত এসছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা-দৈনিক মানবজমিন

Image Caption

মধ্যপ্রাচ্যে আমদানি-নির্ভর দেশগুলোতে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে বাংলাদেশী কূটনীতিকদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশপাশি তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের ৯টি দেশে নিয়োজিত বাংলাদেশের কূটনীতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, বিনিয়োগ ও রপ্তানির ক্ষেত্রে আপনাদেরকে যেটা দেখতে হবে, তা হলো কোন দেশের কি রকম চাহিদা আছে তা অনুসন্ধান করতে হবে। সে অনুযায়ী আপনাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং অগ্রসর হতে হবে। সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবিতে সাংগ্রি লা হোটেলে ‘এনভয়’জ কনফারেন্সে’ বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আবেদন করলে সরকার বিবেচনা করবে: অ্যাটর্নি জেনারেল-দৈনিক যুগান্তর

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আবেদন করা হলে সরকার বিবেচনা করবে-অ্যাটর্নি জেনারেল

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আবেদন করা হলে সরকার বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বারে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে দেশে বা বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সাধারণত অনেকদিন সাজা খাটার পর সাজা সাসপেন্ড করা হয়। অনেকদিন সাজা খাটার পরে সরকার বিশেষ বিবেচনায় এটা করে, করতে পারে। সে রকম কেস যদি তারা মেইক আউট করতে পারে, সেটা সরকারের ব্যাপার।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলখানায় যারা থাকেন এবং বহুদিন কারাদণ্ড ভোগ করেন ৪০১ (১) ধারা (ফৌজদারি কার্যবিধি) অনুযায়ী তাদের নানাবিধ বিবেচনায় অনেক সময় স্থগিত করা হয়। কিন্তু তারা যদি প্রমাণ করতে পারেন, তবে সে ব্যাপারে সরকার দেখবে।’

ঢাবির ৬৭ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার-দৈনিক প্রথম আলো

ঢাবির ৬৭ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকা এবং অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬৭ জন শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এঁদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির জন্য ৬৩ জন এবং অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়। ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩ জনকে সাময়িক আর সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় দুজনকে ছয় মাস করে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের (ডিবি) এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সাময়িক বহিষ্কৃত ১৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাঁদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।

নির্যাতনে বছরে গড়ে গৃহকর্মী মারা যায় ৩০ জন-দৈনিক ইত্তেফাক

গৃহকর্মী নির্যাতনের প্রতীকী ছবি

এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে কখনো নিরাপদ নন গৃহকর্মীরা। নানা কাজের ফাঁকে হাতে করে মলমূত্র পরিষ্কার করতে হয়। রান্নাঘরসংলগ্ন দুই বা ছয় বর্গফুট আয়তনের অস্বাস্থ্যকর কক্ষে রাত কাটাতে হয়। সব ধরনের নির্যাতন সয়ে গড়ে তাদের বেতন জোটে মাসে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা। গৃহকর্মীর কাজে যুক্তদের প্রায় ৯০ শতাংশই নারী ও শিশু। গৃহকর্মীদের নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, প্রতি বছর গড়ে ৩০ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের কারণে মারা যাচ্ছেন। বিভিন্নভাবে নির্যাতিত কর্মীদের সংখ্যা কয়েকগুণ।

ফের মহাধসের আশঙ্কা শেয়ারবাজারে-দৈনিক সমকাল

Image Caption

সোমবারের রেকর্ড দরপতনের পর মঙ্গলবারও বড় দরপতনে দিনের লেনদেন শুরু হয়েছে। দিনের চার ঘণ্টার লেনদেনের মধ্যে প্রথম ঘণ্টা না পেরোতেই ৮০ শতাংশ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এতে বাজারের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স থেকে ৫৩ পয়েন্ট বা সোয়া শতাংশ হাওয়া হয়ে গেছে।

পতন ঠেকাতে সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর আগ থেকে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেশের বড় ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিজেদের বা গ্রাহকের হয়ে শেয়ার বিক্রি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন। ব্রোকারেজ হাউসগুলো সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন নির্দেশেও কোনো কাজ হয়নি।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি শেয়ার কিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু শেয়ার বিক্রির চাপ এত বেশি যে প্রতিষ্ঠানটির চেষ্টা ধোপে টিকছে না।

এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি

সিএএ-কে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হোক, সুপ্রিম কোর্টে মামলা কেরল সরকারের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

সিএএ'র বিরুদ্ধে আদালতে গেল কেরল সরকার

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হোক, এই আর্জি জানিয়েই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল কেরল সরকার। গত বছরের ডিসেম্বরে বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিয়েছিল পিনারাই বিজয়নের সরকার

বিজয়ন বলেন, “স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই আমাদের রাজ্যে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। ধর্মনিরপেক্ষতার একটা নিদর্শন এই রাজ্য। শুরু থেকেই এ রাজ্যে গ্রিক, রোমান, আরবীয়, খ্রিস্টান, মুসলিম সব সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে বাস করছেন। এটা আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে কখনওই নষ্ট হতে দেব না।”

সিএএ প্রয়োগ করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিজয়ন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংসদের দুই কক্ষে সিএএ পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। কেরলেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে।

আর দৈনিক আজকাল লিখেছে, 

মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা

এই প্রথম সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ খুললেন মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা। এই আইন খারাপ এবং দুঃখজনক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। ফলে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির সরকারের অস্বস্তি বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।

সংঘাতের জল্পনা উড়িয়ে পাঁচদিনের ভারত সফরে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে শীতলতার জল্পনা উড়িয়ে ভারতে পা রাখলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ থেকেই নয়াদিল্লিতে শুরু ‘রাইসিনা ডায়লগ। 

সোমবার বিকেলে পাঁচদিনের এই সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছান বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সফর চলাকালীনই ‘বেতার বাংলা’ ও ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ একটি যৌথ অনুষ্ঠান শুরু করবে। ২০১৮ সালে নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে স্বাক্ষরিত রেডিও কন্টেন্ট ভাগ করার নিয়ে চুক্তি হয়।

ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, বৈঠক মোদির সঙ্গে-দৈনিক আজকাল

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে‌ সব কিছু ঠিকঠাক চললে ফেব্রুয়ারির শেষে ভারত সফরে আসার কথা তাঁর। সূত্র মারফত এমন খবরই মিলেছে। ট্রাম্পের নিরাপত্তা–সহ অন্যান্য বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা এই সপ্তাহেই দিল্লিতে আসতে পারেন বলে খবর। তখনই ট্রাম্পের সফরসূচির ব্যাপারে চূড়ান্ত খবর পাওয়া যাবে। এখন ইরানের সঙ্গে সমস্যা চলছে আমেরিকার। তার ওপর উত্তর কোরিয়াও কথা শুনছে না। এই পরিস্থিতিতে ভারত কতটা পাশে থাকবে তা জানতেই এই সফর বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আর দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন এ সম্পর্কে লিখেছে, ফেব্রুয়ারিতেই ভারত সফরে ট্রাম্প, কাটতে পারে বাণিজ্যিক চুক্তির জট।

দিল্লি–গুজরাটে একযোগে জঙ্গি হামলা করার ছক কষেছে আইএসআই!‌ ২৬ জানুয়ারি হামলা করার ছক-দৈনিক আজকাল

২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে গুজরাট ও দিল্লিতে আইএসআই হামলার ছক কষছে দাবি দিল্লি পুলিশের

বড় ধরণের নাশকতার ছক কষেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে গুজরাটে এবং দিল্লিতে একযোগে জঙ্গি হামলা করা হবে। দিল্লি পুলিশের কাছে এই খবর এসে পৌঁছেছে। ৬ জন জঙ্গি যারা তামিলনাড়ুতে ঘাঁটি গেড়েছিল তারা ফের নেপালে চলে গিয়েছে। সেখান থেকে ফের ভারতে ঢুকবে বলে সূত্রের খবর। তারা আইএস জঙ্গি। দিল্লি পুলিশ ৯ ডিসেম্বর তিনজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের জেরা করে কিছুদিন বাদেই গুজরাট থেকে চারজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর সবাইকে একসঙ্গে জেরা করে জানা যায় তাদের সঙ্গে আরও দু’জন জঙ্গি ছিল। যাদের এখনও হদিশ মেলেনি। সেখান থেকেই জানা যায় আইএসআই এই জঙ্গি পাঠাচ্ছে ২৬ জানুয়ারি দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে হামলা চালানোর জন্য। #

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৪


 

ট্যাগ