কথাবার্তা: থমকে গেছে বিশ্ব, বাড়ছে মৃত্যুু-ক্ষুধা: ভ্যাকসিন আসছে কবে?
-
পত্রপত্রিকার পাতার গুরুত্বপূর্ণ খবরের বিশ্লেষণ
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৫ এপ্রিল বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি । আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- করোনায় দেশে গরিব হতে পারে অর্ধকোটি লোক -দৈনিক প্রথম আলো
- আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি থেকে ১৭০ বস্তা চাল উদ্ধার-দৈনিক ইত্তেফাক
- কাতারে ৫ শতাধিক বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত, মৃত ৩ জন-দৈনিক মানবজমিন
- করোনা ভ্যাকসিন কবে আসছে, কী বলছে স্বাস্থ্য সংস্থ্যা?-দৈনিক যুগান্তর
- বাংলাদেশে টেস্ট কম আক্রান্ত বেশি-দৈনিক সমকাল
- করোনা আতঙ্কে হাসপাতালেও চিকিৎসা দিল না; ব্যবসায়ীর মৃত্যু-বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১১ হাজার ছুঁইছুঁই, দেশে মৃত বেড়ে ৩৭৭-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- লকডাউনে মিলছে না ত্রাণ, খিদের জ্বালায় থাকালা হাতে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসীরা -দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
- এবার ১২ ঘন্টা করে কাজ করতে হবে সরকারি কর্মীদের !অর্ডিনান্স আনতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার-দৈনিক আজকাল
পাঠক/শ্রোতা! এবারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাব।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১) প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তের হাতে প্রণোদনার অর্থ তুলে দেয়াই বড় চ্যালেঞ্জ– একথা বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ড. এ বি মিজ্জা মো. আজিজুল ইসলাম। প্র্যশ্ন হচ্ছে কেন এই চ্যালেঞ্জ?
২) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুদান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কীভাবে দেখেছেন এ ঘটনাকে।
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
করোনা বাংলাদেশ:

করোনা মহামারিতে মৃত্যু হু হু করে বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশে করোনার আপডেট খবরে প্রথম আলোসহ প্রায় সব দৈনিকে লেখা হয়েছে, দেশে ২৪ ঘন্টায় ২১৯ জনের করোনা শানাক্ত।আরও ৪ প্রাণ কেড়ে নিল করোনা।করোনার কারণে ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিপি প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। করোনা ভাইরাসে সিলেটের ওসমানী মেডিকেলের চিকিৎসকের মৃত্যু।আর দৈনিক মানবজমিনের একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে,পিপিআরসি ও বিআইজিডির গবেষণা- করোনায় সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের নিন্মআয়ের মানুষ।
করোনা ভ্যাকসিন কবে আসছে?-দৈনিক যুগান্তরের এ খবরে লেখা হয়েছে, কয়েক মাসের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন আসতে পরে বলে বিভিন্ন দেশের গবেষণা সংস্থার পক্ষে থেকে দাবি করা হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে টিকা পেতে সময় লাগবে এক বছর বা তারও বেশি। আর করোনা চিকিৎসায় টিকাই শেষ ভরসা বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বাংলাদেশে টেস্ট কম, আক্রান্ত বেশি –দৈনিক সমকাল এ শিরোনামের খবরে লিখেছে, পরীক্ষার পরিধি বাড়ানোর পর প্রথম শনাক্ত থেকে ৩৭তম দিনে দেশে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার নতুন করে ২০৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ১২ জন।

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর মঙ্গলবার ৩৭তম দিন যায়। আক্রান্তের সংখ্যা প্রথম ১০০ জনে পৌঁছাতে সময় লাগে ২৮ দিন। কিন্তু গত কয়েক দিনে এই চিত্রে পরিবর্তন আসে। রোববার ১৩৯, সোমবার ১৮২ এবং মঙ্গলবার ২০৯ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়ার তথ্য জানায় জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
দেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত টেস্ট করা হয় ১৩ হাজার ১২৮ জনকে। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ১০১২ জনের। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯০৫ জনের পরীক্ষা হয়। করোনায় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একদিনে মৃত্যু ও শনাক্তে মঙ্গলবারই সর্বোচ্চ। এই দিন মারা যান ৭ জন।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষণিক হালনাগাদ তথ্য দিচ্ছে ওয়ার্ল্ডওমিটার্স ডট ইনফো নামে একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের হার ভাইরাসটিতে লণ্ডভণ্ড অনেক দেশের চেয়ে বেশি। যদিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ওইসব দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক কম।
ওয়ার্ল্ডওমিটার্স ডট ইনফোর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত ইরাকে ৩৭ হাজার ৭৯১ টেস্টে আক্রান্ত ১৩৭৮, ইস্তোনিয়ায় ৩২ হাজার ২৬৩ টেস্টে আক্রান্ত ১৩৭৩, নিউজিল্যান্ডে ৬৪ হাজার ৩৯৯ টেস্টে আক্রান্ত ১৩৬৪, স্লোভেনিয়ায় ৩৫ হাজার ৯৪৬ টেস্টে আক্রান্ত ১২২০, কাজাখস্তানে ৭৬ হাজার ৯০৪ টেস্টে আক্রান্ত ১২০২, আজারভাইজানে ৬৬ হাজার ৬৭৭ টেস্টে আক্রান্ত ১১৪৮, উজবেকিস্তানে ৭০ হাজার টেস্ট আক্রান্ত ১১১৩, লিথুনিয়ায় ৪২ হাজার ৬৯০ টেস্টে আক্রান্ত ১০৭০ এবং হংকংয়ে ৯৬ হাজার ৭৯০ টেস্টে আক্রান্ত পাওয়া গেছে ১০১৩ জন। বাংলাদেশের মতো অবস্থায় আছে বসনিয়া ও আর্মেনিয়া। বসনিয়ায় ১১ হাজার ৬১২ টেস্টে আক্রান্ত ১০৮৩ এবং আর্মেনিয়ায় ৮ হাজার ৩১৬ টেস্টে আক্রান্ত পাওয়া গেছে ১০৬৭ জন।
ওয়েবসাইটটি বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮৬ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে, যাতে পজিটিভ আসে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৫ জনের। বিশ্বে সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্ত এখন যুক্তরাষ্ট্রেই।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে গত দু'দিনে পরীক্ষার পরিধি বাড়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিধি আরও বাড়লে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে পারে। পরীক্ষার মাধ্যমে যত বেশি আক্রান্ত শনাক্ত করা যাবে, তত বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।
ওয়ার্ল্ডওমিটার্স ডট ইনফো'র তথ্য বলছে, বাংলাদেশে পরীক্ষার হার কম। এ কারণে সংক্রমণের হারও কম। কিন্তু মৃত্যুহার বেশি। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও শুরুতে দু-একজনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হয় এবং পর্যায়ক্রমে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। অর্থাৎ প্রথমে দু-একজনের মাধ্যমে সংক্রমণ শুরু হয়ে পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী হয়ে সর্বত্রই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।
চীনের পর যেসব দেশে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে সেসব দেশে প্রথম সংক্রমণের পর ৩৮ থেকে ৭৬ দিনের মাথায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হতে দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৭৬ দিনের মাথায় একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত পাওয়া যায় ৩২ হাজার ১০৫ জন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে ৬৭তম দিনে, ফ্রান্সে ৬৬তম, জার্মানি ও স্পেনে ৬১তম, ইতালিতে ৫৩তম, ইরানে ৪২তম এবং নেদারল্যান্ডসে ৩৮তম দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ধরা পড়ে।এসব তথ্যের আলোকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এপ্রিলের শেষ কিংবা মে মাসের প্রথম দিকে আক্রান্ত বাড়তে পারে।
বাংলাদেশে এ বছর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে শতকরা মাত্র ২ ভাগ-দৈনিক মানবজমিন
বিশ্বব্যাংকের পর এবার বাংলাদেশের এ বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে পূর্বাভাষ দিল আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফ। তারা বলেছে, করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে এ বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে খুবই কম। তা হতে পারে শতকরা মাত্র ২ ভাগ। আজ দিনের শুরুতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক নামে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে শতকরা মাত্র ২ ভাগ। এর আগে আইএমএফ এ সময়ে প্রবৃদ্ধি শতকরা ৭ ভাগ অর্জিত হবে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছিল। তবে নতুন করে প্রকাশিত রিপোর্টে কিছুটা আশার বাণী শোনানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আগামী বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াতে পারে শতকরা ৯.৫ ভাগ। এ বছরের পূর্বাভাষের চেয়ে এই সংখ্যা অনেক বেশি।
করোনা বিশ্ব:
আজ পর্যন্ত বিশ্বের ১১৪ টি দেশ ও অঞ্চলে করোনা ছড়িয়েছে এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,২৬,৭২৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ১৯,৯৯,৫৯৪ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৭৮,৯৩২ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২৪০৭ জনের মৃত্যু-দৈনিক ইত্তেফাক
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আরো ২৪০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ২৪ হাজার ০৪৭ জনে দাঁড়ালো।
তবে গত কয়েক দিনের মৃত্যুর হারের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় এতো সংখ্যক মানুষ মারা যারা যায়নি। দেশটির নিউইয়র্কে সবচেয়ে করোনার ভয়াবহতা বেশি।
ইতিমধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮ জন। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৯৪৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিনিয়ত দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ জনের। তবে এতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫৭ জন। জনস হপকিন্সবিশ্ব বিদ্যালয়।
যুগান্তরের শিরোনাম-করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিল স্থগিতের ঘোষণা ট্রাম্পের। আরেকটি শিরোনাম এরকম ট্রাম্পের ‘বলির পাঁঠা’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখবরে লেখা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিল স্থগিতের ঘোষণার মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাস মহামারীর ভয়াবহতা হালকা করে দেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার প্রশাসন ভাইরাসটি মোকাবেলায় যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে সমালোচনা রয়েছে। এখন তা থেকে সবার মনোযোগ অন্যত্র নিয়ে যেতেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেছেন।-খবর রয়টার্স ও সিএনএনের
দাতব্য সংস্থা প্রোটেক্ট আওয়ার কেয়ারের প্রধান লেসলি ডাচের মতও অনেকটা এ রকম। তিনি বলেন, করোনার তীব্রতা ট্রাম্প হালকা করে দেখার ইতিহাস রয়েছে ট্রাম্পের। তিনি এখন সেখান থেকে মানুষের মনোযোগ ভিন্নমুখী করার চেষ্টা করছেন।
লেসলি ডাচ বলেন, এটা নিশ্চিত যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভুলের বাইরে না। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী যখন তুঙ্গে, তখন সংস্থাটির তহবিল কাটছাঁট করা সব ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে ছাপিয়ে গেছে।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি
করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১১ হাজার ছুঁইছুঁই, দেশে মৃত বেড়ে ৩৭৭-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

এ খবরে লেখা হয়েছে, দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেল। গত কালই দেশে ১০ হাজারের গণ্ডি পার করেছিল তা। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এক লাফে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে হাজারেরও উপর। সেই সঙ্গে সংক্রমণের জেরে মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১১ হাজার ৪৩৯। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩০৬ জন। অন্য দিকে, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশ জুড়ে ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৬ জন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের করোনা-পরিসংখ্যানে সবচেয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে মহারাষ্ট্র।
খাওয়া দাওয়া নেই! ঘরে ফেরার দাবি জানিয়ে বান্দ্রার পর সুরাটে বিক্ষোভ দেখানে পরিযায়ী শ্রমিকেরা-দৈনিক আজকাল
বান্দ্রার পর সুরাট। সেখানেও পরিযায়ী শ্রমিক থাকেন। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে তাঁরা। খাওয়া–দাওয়া নেই। মাথা গোজার জায়গাটুকুও অনেকের নেই। আশা করেছিলন, ১৪ এপ্রিল লকডাউন উঠলে নিজের নিজের বাড়িতে ফিরতে পারবেন। সেই আশায় জল ঢেলে প্রধানমন্ত্রী জানালেন, দেশে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে। ফলে আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারছেন না তাঁরা। ভিন রাজ্য থেকে সুরাট বান্দ্রায় কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরই তাঁদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এই সময়ে রোজগার নেই। পুলিশ জানিয়েছেন, ‘এই পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের জন্মস্থানগুলিতে যেতে চান। আমরা তাঁদের অধৈর্য না হওয়ার কথা বলেছি। কারণ বর্তমানে দেশে লকডাউন চলছে।’গতকালই মুম্বইয়ের বান্দ্রায় লকডাউন বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।
আর সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, লকডাউনে মিলছে না ত্রাণ, খিদের জ্বালায় থাকালা হাতে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসীরা।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১১