আগস্ট ০২, ২০২০ ১৬:৩৬ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা!২ আগস্ট রোববারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার-প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক মানবজমিন
  • শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে-কাদের-দৈনিক কালের কণ্ঠ
  • পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনার তদন্তে কমিটি-দৈনিক প্রথম আলো
  • ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেটের ফাঁদে চামড়া শিল্প-ইত্তেফাক
  • পানির দরে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি-দৈনিক যুগান্তর
  • খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে ২০২ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক-দৈনিক সমকাল
  • বাংলাদেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ২২ জন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • পাঞ্জাবে বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত, আবগারি দপ্তরের ৭ কর্তা ও ৬ পুলিশকর্মী সাসপেন্ড-সংবাদ প্রতিদিন
  • ২৪ ঘন্টায় ৫৫ হাজার করোনায় আক্রান্ত-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ‌অযোধ্যায় ভূমিপুজোতে যাচ্ছেন না আডবানি, যোশি, যোগ দেবেন ভিডিওকলে -আজকাল

শিরোনামের পর এবার দুটি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. বিএনপি ইচ্ছা করেই আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে। একথা বলেছেন এলডিপি সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

২. ইরানবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দেয়ার জন্য আমেরিকাকে দায় নিতে হবে। তেহরানের এ বক্তব্য কতটা যৌক্তিক?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি

 

বিশ্ব করোনার আপডেট: ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার। মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৮০ লাখ ৪২ হাজার    জন। আশার খবর- প্রথম আলো লিখেছে, ট্রায়াল শেষ, গণহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরুর অপেক্ষায় রাশিয়া।

মানুষ যাতে উন্নত জীবন পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য'-দৈনিক ইত্তেফাক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ যাতে উন্নত জীবন পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতীর পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মাসে আমি আমার সবাইকে হারিয়েছি, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

করোনা মহামারি ও বন্যায় অসহায়দের মুখে সরকার খাবার তুলে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা মহামারি এবং বন্যার এই সময়ে সরকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কর্মহীন, গরিব, এতিম, অসহায়দের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে আমাদের সরকার।

পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-দৈনিক যুগান্তর

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর নিহতের ঘটনায় বক্তব্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের আগে কিছু বলা সমীচীন নয়। একটি নিরপেক্ষ তদন্তের পরই এ নিয়ে বলা হবে।রোববার ধানমণ্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাবেক সেনা সদস্য নিহতের ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, দুর্ঘটনা হোক বা যাই বলেন ঘটনা তো একটা ঘটেছে। এটা অস্বীকারের কিছু নেই। সরকার এর সঠিক কারণ খুঁজে সামনে এনে দোষীকে শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর। আপনারা সাংবাদিকরা যতদূর শুনেছেন তা আপনাদের মধ্যে থাক। আমি যা শুনেছি তা আমার মধ্যেই থাকুক। তদন্তের আগে এ নিয়ে একটি কথাও বলতে চাচ্ছি না।

অভিযুক্ত সেই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে কিনা - সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি যতদূর জানি, এখনও তাকে বরখাস্ত করা হয়নি। তবে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়টিও তদন্ত কমিটির ওপর নির্ভর।

রাজনীতির খবর:

বাংলাদেশে চীনের প্রভাব রোধে ভারত কি পরিকল্পনা করছে?-দৈনিক মানবজমিন

ভারতের বিশিষ্ট প্রতিবেশী নীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ভারত ভূষণ বাংলাদেশে চীনের প্রভাব রোধে ভারত কি পরিকল্পনা করছে এর গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করেছেন। সিনিয়র সাংবাদিক ভারত ভূষণকে অন্যতম বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেখা হয়। চীন, ভারত, বাংলাদেশ সম্পর্কের নানা মাত্রা নিয়ে গত ২৯শে জুলাই দি কুইন্টে বিস্তারিত ব্যাখা করেছেন।

ভারত আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধিতে নতুন প্রকল্প গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছে । ভারত চলতি সপ্তাহে দশটি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ সরবরাহ করেছে বাংলাদেশকে । আর জুলাই মাসের গোড়ায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে মাল্টি মোডাল পরিবহন ব্যবস্থার আওতায় পণ্য আনা নেয়ার বিষয়ে একটা বড় অগ্রগতি ঘটেছে। এটা একটা উদ্বোধন। এই ঘটনাগুলো ঘটেছে বাংলাদেশ-চীনের সাফল্যজনক অর্থনৈতিক কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে।

চীন সম্প্রতি ৯৭ টি পণ্যের উপরে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ঘোষণা করেছে ।এর বাইরে থাকছে শুধু মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য । এটা কার্যকর করা হয়েছে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে । চীন তার এই সিদ্ধান্ত চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরাট বাণিজ্য ঘাটতির দিকে নজর রেখে করা হয়েছে এবং মহামারীতে বাংলাদেশ যে দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়েছে, তা থেকেও তাকে একটা মুক্তি দেয়ার কথা তারা মনে রেখেছে। আর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন ভারত এবং চীন পূর্ব লাদাখে সামরিক অচলাবস্থার মুখোমুখি হয়েছে। ঢাকা এখন অধিকতর বেইজিং এর কাছাকাছি। প্রায় এক দশক আগেই ভারত বিভিন্ন পণ্যে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশটিতে পরিবর্তন ঘটেছে । সময়ের ধারাবাহিকতায় ঢাকা এখন একটি অধিকতর বেইজিং ফ্রেন্ডলি দেশ হয়ে উঠেছে ।চীন এখন বাংলাদেশের বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহদাতা । পাকিস্তানের পরে বাংলাদেশই হচ্ছে চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানির গন্তব্য ।

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে চীনের কাছ থেকে দুটি সাবমেরিন নিয়েছে । পাঁচটি মেরিটাইম পেট্রোল ভেসেল, ১৬টি ফাইটার জেট, ৪৪টি ট্যাংক এবং এন্টিশিপ, সারফেস টু সারফেস মিসাইল চীনের কাছ থেকে নিয়েছে।

এমনকি দেশটির প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করছে চীন। 

২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর সফরকালে ঢাকা এবং বেইজিং এর মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে। বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বি আর আই-এর মধ্যে এনেছে । সেই থেকে তারা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাতাশটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে। এবং ঢাকাকে ওই প্রকল্পে যোগ দেয়ার জন্য ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৬ মিলিয়ন ডলার বি আর আই এর জন্য এবং বাকি ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যৌথ উদ্যোগের জন্য ।

সুতরাং এই বিপুল পরিমাণ সহায়তা ভারতের বাংলাদেশকে দেয়া মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক প্যাকেজকে প্লান করে দিয়েছে।

বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রভাব

বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জাপানি একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান যদিও ঢাকা মেট্রোরেল তৈরি করছে । কিন্তু তার বাইরে চীন দেশের সকল মেগা নির্মাণ প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ করছে । ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৪৯ % স্টেক ভারতকে টপকে দিয়ে চীন জয়লাভ করেছে। এবং অংশতঃ হলেও ভারতীয় চাপের কারণে কক্সবাজারের প্রস্তাবিত সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর চীনকে দেয়ার পরিকল্পনা বাংলাদেশ বাতিল করেছে । এই সমুদ্র বন্দরটি পায়রায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং সেখানে অর্থায়ন করবে ভারত। অবশ্য চীনা কোম্পানিসমূহ সমুদ্রবন্দরের ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের নির্মাণ কাজ পেয়েছে ।

বাংলাদেশ আর নিজেদেরকে ইন্ডিয়া লকড বা ভারতবেষ্টিত ভাববে না

সরকার টু সরকার বিশেষ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে গড়ে উঠছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল । সেখানে চীনা ফার্ম গুলো মার্কিন শুল্ক হারকে টেক্কা দেবে। ওই চীনা কোম্পানিগুলো এর মাধ্যমে নতুন মার্কিন শুল্ক হারের অসুবিধা অতিক্রমে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে । যেমনটা তারা করছে লাওস ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়ায় ।

চট্টগ্রামের মীরসরাইতে গড়ে উঠছে স্পেশাল ইকোনমিক জোন। সেখানে চীনা কম্পানিগুলো বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কুনমিঙ আয়রন এন্ড ষ্টীল কোম্পানি ইতিমধ্যেই প্রায় সোয়া দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ ঘোষণা করেছে। ভূখন্ডগত একটা রুট তৈরির সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কুনমিং পর্যন্ত একটা যোগাযোগ ওই পরিকল্পনার আওতায় রয়েছে । এটা হবে বাংলাদেশ -চীন -ভারত- মিয়ানমার কিংবা একে বলা হবে বিসিআইএম করিডোর।

চীন কিভাবে বাংলাদেশে ভারতের 'সফট পাওয়ার' সুবিধাকে কাউন্টার করছে

চীন একইসঙ্গে বাংলাদেশ ভারতের সফট পাওয়ার সুবিধাকে কাউন্টার করছে। চীন বাংলাদেশি ছাত্রদের জন্য স্কলারশিপের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে । তারা অনেক ধরনের ম্যান্ডারিন লার্নিং সেন্টার খুলে দিয়েছে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেছে । উভয় দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের বিনিময় সফর বেড়ে গিয়েছে । আন্তঃদেশীয় থিংকট্যাংক গুলোর মধ্যে যোগাযোগ বেড়েছে এবং উভয় দেশের মধ্যে মিলিটারি মেডিসিন এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে সম্পর্ক সম্প্রসারিত হয়েছে।

চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এবং তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অবস্থান অভিন্ন। ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারের চীনা সহায়তা দরকার তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এবং ভারতের প্রতি একটি কাউন্টার ব্যালেন্স সৃষ্টির জন্য ।

অন্যদিকে ভারতের কাছে কোণঠাসা হয়ে থাকা বিএনপি এ বিষয়টিকে দেখে তার কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বীকে যতোটা সম্ভব একটা ঝামেলার মধ্যে রেখে দেয়ার জায়গা থেকে।

প্রভাবশালী বাংলাদেশিরা চীনকে একমাত্র ব্যালেন্সিং ফ্যাক্টর হিসেবে দেখে থাকে।

ভারত তার সব ডিম আওয়ামী লীগের ঝুড়িতে রেখেছে। যা সংক্ষিপ্ত মেয়াদে সুবিধাজনক মনে হতে পারে তার জন্য। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, আওয়ামী লীগের ত্রুটিপূর্ণ শাসনের দায়ভার সেকারণে তাকেই বহন করতে হবে। এটাই এইরকম সম্পর্কের পরিণতি।

যদিও এই সমীকরণটা দীর্ঘমেয়াদে বদলে যেতে পারে কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রভাবশালী বাংলাদেশিরা একটি বৃহৎ প্রতিবেশীর সঙ্গে আরামদায়কভাবে বসবাসের জন্য একমাত্র ব্যালেন্সিং ফ্যাক্টর হিসেবে চীনকে বিবেচনা করে আসছেন।

বাংলাদেশে চীন যে প্রভাব বলয় তৈরি করেছে, তাকে নিউট্রাল করতে ভারত কি ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে, সেটা তার কূটনীতির মধ্য দিয়ে সামনের বছরগুলোতে ফুটে উঠবে। সেটাই হবে তার প্রকৃত পরীক্ষা । তবে এটা বেশ স্পষ্ট যে ভারতের ক্ষুদ্র প্রতিবেশীরা ভারত-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নিচ্ছে এবং এটা করতে গিয়ে তারা যেটা করছে, এই দুই দেশের মধ্যে কোন এক দিকে ঝুঁকে না পড়ার নীতি গ্রহণ করছে। এর ফলে আপাতত ভারতের ক্ষুদ্র প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্য থেকে চীন সাফল্যজনকভাবে একটা বিশেষ সুবিধার অনুভূতি আদায় করে নিতেই সক্ষম হচ্ছে।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

বেআইনি ভাবে রাজনীতিকদের বন্দি করে রেখেছে সরকার, মেহবুবার মুক্তির দাবিতে সরব রাহুল-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব হয়েছে একবছর হতে চলল। অথচ উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে এখনও জন নিরাপত্তা আইনে (পিএসএ) বন্দি করে রাখা হয়েছে। এ বার তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। মেহবুবা মুফতিকে অবিলম্বে মু্ক্তি দিতে হবে বলে দাবি তুলেছেন তিনি।

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করার আগে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে গত বছর ৫ অগস্ট মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা-সহ কাশ্মীরের বহু রাজনীতিককে উপত্যকায় বন্দি করা হয়। তার পর যত সময় এগিয়েছে ওমর আবদুল্লা, সাজ্জাদ গনি লোনের মতো রাজনীতিকদের একে একে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মেহবুবাকে মুক্তি দেওয়া নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা তো দূর, বরং সম্প্রতি তাঁর বন্দিদশার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। তা নিয়েই রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন রাহুল গাঁধী। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘সরকার বেআইনি ভাবে রাজনীতিকদের বন্দি করে রাখায় দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেহবুবা মুফতিকে মুক্তি দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।’’

অনমনীয় চীন, ভেস্তে গেল সেনাপ্রধানদের বৈঠক-দৈনিক মানবজমিন

লাদাখ পরিস্থিতি: চীন অনমনীয়

সামরিক চুক্তি অনুযায়ী  দু'দেশের  নিয়ন্ত্রণ রেখার প্যাংগং সো এবং ডেপসাং থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি চীন।  তাই  ভারত শুধু এই অঞ্চলগুলোতে বিপুল সেনা মোতায়েনই  করেনি, দু'দেশের আঞ্চলিক সেনাপ্রধানদের যে বৈঠকটি হওয়ার যথা ছিল ৩০শে জুলাই তা  বাতিল করা হয়েছে।  আগামী সপ্তাহে ১৪ নম্বর ব্যাটালিয়ন এর কোর কমান্ডার  লেফটেন্যানট  জেনারেল হারিনদের  সিং এবং সাউথ জিনজিয়াং এর সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল লিউ লিং এর  বৈঠকটি হবে কিনা তাও অনিশ্চিত।  চীন যেভাবে অরুণাচল প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা সাজিয়েছে তাও ভারতের শিরোপীড়ার  কারণ।  গোগরাতেও পেট্রোলিং পয়েন্ট সেভেন্টিনে থেকেও চুক্তি অনুযায়ী তারা সেনা প্রত্যাহার করেনি।  শুধুমাত্র গালওয়ান ভ্যালির পেট্রোলিং পয়েন্ট ফোরটিন  এবং হট স্প্রিং এর  পেট্রোলিং পয়েন্ট ফিফটিন থেকে সেনা সরিয়েছে  চীন। ফিঙ্গার ফোর থেকে এইইএই আট কিলোমিটার স্ট্রেচ এখনো চীনা দখলে।  অথচ চুক্তি অনুযায়ী এই অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ছিল চীনের। ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাইনিস স্টাডি গ্রুপের রিপোর্ট অনুযায়ী হয় চীন চুক্তির শর্তগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি  নয়তো তারা শীতের স্ট্রাটেজিক সময়ের জন্যে অপেক্ষা করছে।  ভারত অবশ্য কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। ওয়েস্টার্ন সেক্টরে লাদাখ,  মিডল সেক্টরে উত্তরাখন্ড ও হিমাচল প্রদেশ ও  ইস্টার্ন সেক্টরে  সিকিম এবং অরুনাচল প্রদেশের  তিনহাজার চারশো অষ্টআশি কিলোমিটার এর নিয়ন্ত্রণ রেখায়  সেনা সমাবেশ করেছে।।

পাঞ্জাবে বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত, আবগারি দপ্তরের ৭ কর্তা ও ৬ পুলিশকর্মী সাসপেন্ড-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

লাফিয়ে বাড়ছে পাঞ্জাবে (Punjab) বিষমদ (‌Toxic Liquor) খেয়ে মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার যেখানে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেখানে শনিবার মৃত্যু হল আরও ৪৮ জনের। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৬। এখনও অনেকেই গুরুতর অসুস্থ। মনে করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকায় কয়েকটি ধাবার মালিক–সহ এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে কড়া পদক্ষেপ করেছে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের (‌Amarinder Singh) সরকারও। কর্তব্যে গাফিলতি–সহ গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় সাসপেন্ড করা হয়েছে ৭ জন আবগারি দপ্তরের কর্তা (‌Excise Officials) এবং ৬ জন পুলিশকর্মীকে। জানা গিয়েছে, বিষমদ কাণ্ডে গত বুধবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত শুধুমাত্র তরন তারনে (Tarn Taran) প্রাণ হারিয়েছেন ৬৩ জন।

ভারতের করোনা আপডেট খবর- দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে,২৪ ঘন্টায় ৫৫ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।একদিনে মারা গেছেন ৮৫২ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৬৪ জন।  আর মোট আক্রান্ত ১৭ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২