আগস্ট ১৪, ২০২০ ১৭:৫৮ Asia/Dhaka
  • কথাবার্তা: বঙ্গবন্ধুর পলাতক ৫ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! আজ ১৪ আগস্ট শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

প্রথমে বাংলাদেশে: 

  • ৭ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে কারাগার থেকে নিয়ে গেছে র‍্যাব-দৈনিক প্রথম আলো 
  • বঙ্গবন্ধুর পলাতক ৫ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে-দৈনিক ইত্তেফাক
  • করোনায় আরো ৩৪ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ২৭৬৬-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • আজ জাতির কণ্ঠ রুদ্ধ: মির্জা ফখরুল-দৈনিক যুগান্তর
  • সবার ন্যায়বিচার, অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করুন : প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক নয়াদিগন্ত
  • পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করার চেষ্টা করবেন না’ : ফ্রান্সকে এরদোগান-দৈনিক ইনকিলাব
  • ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি আল-আকসার সঙ্গে আমিরাতের বিশ্বাসঘাতকতা: আব্বাস-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের খবর:

  • গভীর কোমায় চলে গেলেন প্রণব, রয়েছেন ভেন্টিলেশনেই –দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা-
  • ‘ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার’, কেন্দ্রকে পরামর্শ রাহুল গান্ধীর –দৈনিক আজকাল
  • কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ২৫ করোনাযোদ্ধাকে সংবর্ধনা, মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গান গাইবেন বাংলার শিল্পীরা-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা এবার বাছাইকৃত কিছু খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

৭ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে কারাগার থেকে নিয়ে গেছে র‍্যাব-দৈনিক প্রথম আলো

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার সাত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে কারাগার থেকে নিয়ে গেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে র‍্যাবের একটি গাড়ি কক্সবাজার জেলা কারাগারে গিয়ে সাত আসামিকে নিয়ে যায়।

সাত আসামির মধ্যে চারজন পুলিশ সদস্য। তাঁরা হলেন কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। অন্য আসামিরা পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী। তাঁরা হলেন টেকনাফের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. আইয়াস, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিন।

গত বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই সাত আসামিকে র‍্যাবের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সাত দিন করে রিমান্ড মনজুর করেন।

জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মোকাম্মেল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে র‍্যাবের একটি গাড়ি কারাগারে আসে। পরে চার পুলিশসহ সিনহা হত্যা মামলার সাত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে নিয়ে যায় র‍্যাব।

মোকাম্মেল হোসেন বলেন, একই মামলার অন্য তিন আসামি টেকনাফ মডেল থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও থানার এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত বর্তমানে কারাগারে।

র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, এই সাত আসামির জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পরই ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আদালত সূত্র জানায়, গত বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এই হত্যা মামলায় চার পুলিশসহ সাত আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বঙ্গবন্ধুর পলাতক ৫ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে-দৈনিক ইত্তেফাক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক পাঁচ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে খুঁজে বের করে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। যখন তাদেরকে আনা হবে তখনই এই প্রচেষ্টার পরিসমাপ্তি ঘটবে।’ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কানাডায় নূর চৌধুরী পলাতক আছেন। তিনি কানাডীয় সরকারকে বলেছেন-বাংলাদেশে তাকে একটি মামলায় ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। কানাডীয় সরকারের একটি আইন আছে, যেটা হচ্ছে যে দেশে মৃত্যুদণ্ড আছে সেখানে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এ রকম কোনো আসামিকে তারা ফেরত পাঠায় না। সেই আবেদনের কারণে সে সেখানে বসবাসরত আছেন।

তিনি বলেন, ‘নূর চৌধুরী কানাডীয় সরকারের কাছে কি লিখেছেন এবং কি কারণে তাকে সেখানে থাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো জানার জন্য আমরা কানাডীয় সরকারের কাছে সেই কাগজপত্রগুলো চেয়েছিলাম। কানাডীয় সরকার জবাব দিয়েছে যে, তাদের প্রাইভেসি অ্যাক্টে এ কাগজগুলো দেওয়া যায় না। তখন আমরা সেখানে আইনজীবী নিয়োগ করে আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত বলেছেন এই কাগজগুলো দেওয়া যাবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এখন অগ্রসর হচ্ছি।’

করোনায় আরো ৩৪ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ২৭৬৬-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল জনে তিন হাজার ৫৯১ জনে। এ ছাড়া নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরো ২ হাজার ৭৬৬ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৮১ জন। আজ শুক্রবার বিকেলে করোনার হালনাগাদ তথ্য নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত একদিনে ১২ হাজার ৮৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৭৬৬ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৭১ হাজার ৮৮১ জন। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে আরো ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৫৯১ জন। এদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ৬ জন মহিলা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরো ১ হাজার ৭৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৩ জন।

আজ জাতির কণ্ঠ রুদ্ধ: মির্জা ফখরুল-দৈনিক যুগান্তর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আইসিটি আইনের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,বিএনপি শুরু থেকেই বলে এসেছে, এই আইন কালো আইন। এই আইন সংবিধানবিরোধী। এই আইন জনগণের কণ্ঠ রোধ করার জন্য সরকারের হাতিয়ার। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই আইন করেছে। এগুলো সংবিধানবিরোধী।

শুক্রবার বেলা ১১টায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর রয়েছে। আর্টিকেল ১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে ৬৩টি। ২০১৮ সালে ডিজিটাল আইনে ও আইসিটি অ্যাক্ট মিলে মামলা হয়েছে ৭১টি। অন্যদিকে, ২০২০ সালের ২২ জুন পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে ১০৮টি। এসব মামলায় আসামি ২০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক ৪৪ জন। অন্যান্য পেশায় কর্মরত ও সাধারণ মানুষ ১৬০ জন।

সবার ন্যায়বিচার, অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করুন : প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক নয়াদিগন্ত

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য খুন হওয়ার ঘটনায় কয়েকজন পদত্যাগী জুনিয়র অফিসারসহ উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন বলে শুক্রবার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু পদচ্যুত সদস্য এবং কিছু উচ্চপদস্থ সদস্য সেখানে ছিলেন, যারা এই ষড়যন্ত্রের (তার পরিবারের সদস্যদের সাথে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার) সাথে জড়িত ছিলেন।’ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে সমাজসেবা অধিদফতর আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে  প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে এ কথা বলেন। সমাজসেবা অধিদফতর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এই বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমদ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন এবং তার ভাই লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। দুজনকেও সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

তিনি উল্লেখ করেন, তার ছোট ভাই শেখ রাসেলের তখন মাত্র দশ বছর। তার স্বপ্ন ছিল সেনাবাহিনীতে যোগদান করার।

তিনি বলেন, ‘তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হলো তাকে (রাসেল) সেনাবাহিনীর সদস্যরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আমি এখনও তার অপরাধ কী ছিল তার উত্তর অনুসন্ধান করছি, আমি জানি না তার অপরাধ কী ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনিদের তৎকালীন সরকার বিভিন্ন বড় বড় জায়গায় চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।

তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চাই। আমরা সর্বদা সজাগ থাকি যাতে দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে, সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে এবং এমন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে যেখানে সকল মানুষ তাদের অধিকার ভোগ করবে।’

এই প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করেন,  হত্যার পর বিচারের দাবি করা হলে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাধা দেয়া হয়েছিল।

শেখ হাসিনা ১৫ আগস্ট হত্যার বর্ণনা দিয়ে বলেন,  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা এবং তাদের পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল।

আবেগপ্রবণ কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, তার ছোট বোন এবং তিনি নিজে খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেননি এবং এমনকি বিচার দাবিও করতে পারেননি।

প্রধানমন্ত্রী এতিম ও দুর্দশাগ্রস্ত শিশুসহ যারা পিছিয়ে রয়েছেন তাদের জীবন অর্থবহ নিশ্চিত করার জন্য তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে এই লক্ষ্যে সততা, ত্যাগ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার সব মহলের মানুষের কল্যাণে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সকলকে অনাথ, প্রবীণ, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশাপাশি যারা এখনও পিছিয়ে রয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

এতিমদের কল্যাণে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এতিমদের বাবা-মা বা অভিভাবক নেই ভাবা উচিত নয়, বরং তাদের আরও ভালো জীবিকা নির্বাহের জন্য সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রবীণদের জন্য আগে প্রবর্তিত ‘শান্তি নিবাশ’ উল্লেখ করে বলেন, আগামী দিনে এই প্রকল্পটি পুনরায় চালু করা হবে।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এর বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে শহীদ হওয়া বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে  বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর পাশাপাশি দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্যও দোয়া কামনা করা হয়। ইউএনবি

পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করার চেষ্টা করবেন না : ফ্রান্সকে এরদোগান-দৈনিক ইনকিলাব

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ফ্রান্সের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করার চেষ্টা করবেন না। পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে যে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলছে তার সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে সংলাপ। তিনি বলেন, ওই এলাকা নিয়ে কোনো রকমের সামরিক অভিযান বা সংঘাতের পরিকল্পনা করছে না আঙ্কারা। এরদোগান সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, “কারোরই উচিত হবে না তাদের মত এত উচ্চপর্যায়ে ভাবা। আমি খুব পরিষ্কার করে বলছি- শক্তি প্রদর্শন করার চেষ্টা করবেন না।”

এরদোগান বৃহস্পতিবার আরো বলেন, “পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে সঙ্কট সমাধানের উপায় হচ্ছে আলোচনা এবং সংলাপ। আমরা যদি সাধারণ জ্ঞান নিয়ে কাজ করি তাহলে আমরা উইন-উইন পরিবেশ তৈরি করতে পারব যার মাধ্যমে সবার স্বার্থ রক্ষা সম্ভব। আমরা কোন রকমের অপ্রয়োজনীয় সংকট সৃষ্টি বা উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছি না।”

এরদোগান বলেন, গ্রিস একটি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছে। তিনি তুরস্কের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য এথেন্সের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত গতকাল গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিসের সঙ্গে টেলিফোন আলাপের সময় পূর্ব ভূমধ্যসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। বিতর্কিত সমুদ্রসীমায় তুরস্কের পক্ষ থেকে একতরফাভাবে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি আল-আকসার সঙ্গে আমিরাতের বিশ্বাসঘাতকতা: আব্বাস-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চুক্তিকে জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অভিহিত করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। খবর রয়টার্সের।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তিকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’।

ফিলিস্তিন টিভিতে প্রেসিডেন্টে আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই পদক্ষেপকে আরব শান্তি উদ্যোগ এবং আরব ও ইসলামিক সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতি আঘাত, একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবেই দেখছে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব।

লজ্জাজনক এই চুক্তি’ থেকে আমিরাতকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব বলেছে, ‘আমিরাত যা করছে, সেটা ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব প্রত্যাখ্যান করছে এবং এটাকে জেরুজালেম, আল-আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছে।

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে ভ্রাতৃপ্রতিম আরব দেশগুলোর নতিস্বীকার, আমিরাতের পদাঙ্ক অনুসরণ এবং ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

এদিকে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তি প্রত্যাখ্যান করতে আরব লীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসির জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানায়, ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে এতদিন কোনো উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। বিগত বছরগুলোতে ইসরায়েলের গোপনে সম্পর্ক বজায় রাখলেও এখন সেটাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে যাচ্ছে আমিরাত।

গভীর কোমায় চলে গেলেন প্রণব, রয়েছেন ভেন্টিলেশনেই দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

গভীর কোমায় চলে গেলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দিল্লির সেনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। তিনি গভীর কোমায় আচ্ছন্ন। শারীরিক অবস্থার অন্যান্য মাপকাঠি স্থিতিশীল অবস্থাতেই রয়েছে। তাঁকে ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে।’

 

প্রবীণ রাষ্ট্রনেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশ জুড়ে উদ্বেগের মধ্যেই নানা ভুল খবর ও গুজবে প্রণবের পরিবার ও ঘনিষ্ঠেরা তিতিবিরক্ত। বুধবার বিকেলের পরে বৃহস্পতিবার সকালেও প্রণবের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ থেকেও প্রণববাবুর অনেক পরিচিত জন উদ্বেগ নিয়ে ফোন করতে থাকেন। তাঁর পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই টুইটারে জানিয়েছেন, “আমার বাবা এখনও জীবিত। তাঁর শরীরে রক্ত সঞ্চালন, রক্তচাপ স্থিতিশীল।”

প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ও তাঁর বাবার বিষয়ে দুঃসংবাদকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে কাউকে ফোন না-করতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল যাতে যোগাযোগ করতে পারে, সেই জন্য তাঁর ফোন ব্যস্ত না-রাখাই বাঞ্ছনীয়।

রবিবার রাতে দিল্লির রাজাজি মার্গের বাসভবনে পড়ে যাওয়ার পরে প্রণবকে দিল্লির সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। অস্ত্রোপচারের আগে শারীরিক পরীক্ষা করতে গিয়ে তাঁর করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়ে। ৮৪ বছর বয়সি প্রণবের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পরে তাঁর শরীরের অবস্থার উন্নতির বদলে অবনতিই হয়। বুধবারই প্রণবের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল।

‌ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার‌, কেন্দ্রকে পরামর্শ রাহুল গান্ধীর দৈনিক আজকাল

দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। আপাতত গোটা দেশ করোনার ভ্যাকসিনের অপেক্ষায়। কিন্তু ভ্যাকসিন এলেই যে সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, সেটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, ভারত সরকার এখনও ভ্যাকসিন কীভাবে বণ্টন করা হবে, তার কোনও সুস্পষ্ট নীতি তৈরি করতে পারেনি। ফলে প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে ভ্যাকসিন কবে, কীভাবে পৌঁছাবে, তার কোনও ঠিক–ঠিকানা এখনও নেই। আর এটা নিয়েই এবার সতর্ক করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকা প্রস্তুতকারকদের মধ্যে ভারতের নাম উপরের সারিতে। স্বাভাবিকভাবেই উপযোগী করোনার টিকা বাজারে এলে ভারতীয় সংস্থাগুলিই তার বেশিরভাগটা উৎপাদন করবে। কিন্তু ভ্যাকসিন কীভাবে বণ্টন হবে, তা এখনই ঠিক করে ফেলা দরকার বলে মনে করছেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার এক টুইটে তিনি বললেন, ‘‌ভারত করোনার টিকার সর্বাধিক উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে একটি হতে চলেছে। তাই সুনির্দিষ্ট, সুপরিকল্পিত এবং ন্যায়সঙ্গত ভ্যাকসিন বিন্যাস পদ্ধতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যাতে এই টিকার সুপ্রতুলতা, কম খরচ এবং সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা যায়। ভারত সরকারের উচিত এখনই সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা।’‌#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/১৪

 


 

ট্যাগ