আগস্ট ২২, ২০২০ ১৬:৫৭ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা!২২ আগস্ট শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বিএসএফের গুলিত-নিহত ৫-ইত্তেফাক
  • বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৮ লাখ ছাড়াল-দৈনিক সমকাল
  • হত্যার রাজনীতি বিএনপির মূল প্রতিপাদ্য: হাছান মাহমুদ-দৈনিক কালের কণ্ঠ
  • করোনা সংক্রমণে পাকিস্তানকে ছাড়াল বাংলাদেশ-প্রথম আলো
  • করোনায় বাংলাদেশে আরও ৪৬ জনের মৃত্যু-দৈনিক যুগান্তর
  • সিনহা হত্যা: র্যাবের রিমান্ডে এপিবিএন’র ৩ সদস্য-মানবজমিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • দক্ষিণ-চীন সাগরে মোতায়েন চীনা বোমারু বিমান, ভারতকে সতর্ক করল ভিয়েতনাম-সংবাদ প্রতিদিন
  • ভারতকে চাপে রাখতে পাক চীন ব্ঠৈকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • দু’বছরে চলে যাবে করোনা,আশায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-আজকাল

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. পাঁচ আসনের উপ-নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে ১১৭ জন আবেদনপত্র কিনেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

২. ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোর বিরোধিতা করল নিরাপত্তা পরিষদের ১৩ দেশ। এর মধ্যে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো একান্ত মিত্র দেশ রয়েছে। সেক্ষত্রে কী বলা যায়- আমেরিকার এইসব মিত্র স্থায়ীভাবে দূরে চলে গেল?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

ভ্যাকসিন পলিটিক্স-দৈনিক মানবজমিনের প্রতিবেদন

ভ্যাকসিন পলিটিক্স

এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, শ্বাসরুদ্ধকর অপেক্ষা। প্রার্থনায় সাতশ’ কোটি মানুষ। ধনী-গরিব, বাদশা-ফকির সবাই এককাতারে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কবে আবার সবকিছু আগের মতো হবে। নির্ভয়ে শ্বাস নেয়া যাবে? সবাই জানেন, একটা ভ্যাকসিনই পারে পরিস্থিতি পাল্টে দিতে। কিন্তু কখন আসবে সেই সময়টা। মানবজাতির জন্য এই ধরনের অপেক্ষা একেবারে অভিনব নয়। কিন্তু করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিজ্ঞানীদের এবারকার প্রচেষ্টা সত্যি অভিনব।

সম্ভবত, ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য টিকা পেতে চলছে মানুষ। কিন্তু এর আগে ক্ষতির মাত্রা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সে প্রশ্ন যেমন রয়েছে, তেমনি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে টিকার জাতীয়তাবাদ আর রাজনীতি নিয়ে। ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার আকস্মিক বাংলাদেশ সফরে যখন সবচেয়ে বেশিবার উচ্চারিত হয় ভ্যাকসিনের কথা, তখন ভ্যাকসিন রাজনীতি কেইবা অস্বীকার করতে পারে। এর আগে চীনা একটি কোম্পানি বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের অনুমোদন চেয়েছে।

বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ২ শতাধিক করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ চলছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যে রয়েছে ২৭টি। ১১ই আগস্ট ভ্লাদিমির পুতিন অনেকটা আচমকাই করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদনের ঘোষণা দেন। নাম দেয়া হয়, স্পুটনিক-৫। এতেই ইঙ্গিত মেলে, শীতল যুদ্ধের দিনগুলো আবার ফিরে এসেছে নতুন ফরম্যাটে। মহাকাশে  স্পুটনিক স্যাটেলাইটের সফল উড্ডয়নের ইতিহাসই নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে রাশিয়া। তবে ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের জয় ছিল প্রশ্নহীন। এবার রাশিয়ার ঘোষণা এরই মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ। পুতিন এমনিতে বিশ্ব রাজনীতির এক ঝানু খেলোয়াড়। গত দশকে গুরুত্বপূর্ণ সব আন্তর্জাতিক লড়াইয়ে রাশিয়াকে শামিল রেখেছেন তিনি। যা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আগে কখনো দেখা যায়নি। করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের লড়াইয়েও নিজেকে পিছিয়ে রাখতে চাননি। বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে যখন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে দেখা যায় তখনই রাশিয়াকে জয়ী ঘোষণা করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেন ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও তার এ টিকা নিয়ে দুনিয়ার সংশয় এখনো কাটছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ টিকার অনুমোদন দেয়নি। তবে সংস্থাটি রাশিয়ার সঙ্গে টিকা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। টিকার কার্যকারিতা প্রমাণে বড়ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই অনুমোদন দেয়া টিকাটি কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে, তা নিয়ে কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ অফিস। সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হ্যানস ক্লুগ বলেন, যেকোনো সম্ভাব্য টিকাই ভালো খবর। তবে আমাদের একই রকম কঠোর মূল্যায়ন পদ্ধতির মধ্যে দিয়েই যেতে হবে।’ ইউরোপ রাশিয়ার টিকা নিয়ে এরই মধ্যে অনাগ্রহ ও সংশয় প্রকাশ করেছে। জার্মানির একজন মুখপাত্র বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই টিকাকে অনুমোদন দেবে, যে টিকার পূর্ণাঙ্গ ট্রায়াল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মূল্যায়ন কিছুটা আলাদা। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাশিয়ান বলয়ের কিছু দেশ এ টিকার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এ ভ্যাকসিনের প্রতি নিজের অগাধ আস্থার কথা জানিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রগরিগো দুতার্তে। মেক্সিকোও রাশিয়ান ভ্যাকসিন নেয়ার কথা জানিয়েছে।

করোনাকে কেন্দ্র করে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে শুরু থেকেই। ডনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই করোনার জন্য চীনকে দায়ী করে আসছেন। এমনকি এই ভাইরাসকে  তিনি বহুবার ‘চায়না ভাইরাস’ বলেছেন। এ নিয়ে তার সংবাদ সম্মেলনেও উত্তাপ ছড়িয়েছে। করোনার সকাল দায় চীনকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথাও বলেন তিনি। চীনের পক্ষে কাজ করার কথিত অভিযোগ তুলে তিনি এই সংকটময় সময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বের করে নিয়ে এসেছেন। অন্যদিকে, ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদের এই উত্থানে বিপদ দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস অ্যাডানোম গেব্রিয়েসিস বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে জাতীয়তাবাদী আচরণ করা হলে মহামারি মোকাবিলার পথে বাধা তৈরি করবে। কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে তা কুক্ষীগত না রেখে সকলের জন্য ?উন্মুক্ত করে দেয়া হবে সবার জন্য ভালো। তিনি বলেন, বিশ্ব যদি দ্রুত এ ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে চায়, তবে একত্রিতভাবে কাজ করতে হবে। কারণ এটি বিশ্বায়নের দুনিয়া। এখানকার অর্থনীতি একে অপরের উপর নির্ভরশীল। বিশ্বের একাংশ কিংবা গুটিকয়েক দেশ একা একা নিজেদেরকে ভাইরাস থেকে মুক্ত ভাবতে পারবে না। টেড্রোস অ্যাডানোম বলেন, মহামারি থেকে বিশ্বের প্রতিটি দেশ নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউই নিরাপদ নয়। তাই প্রত্যেকটি দেশকে ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদী আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

ভ্যাকসিন প্রভাব ফেলছে পরাশক্তিগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৩রা নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তাই ডনাল্ড ট্রাম্প এর আগেই অর্থাৎ অক্টোবর মাসেই বাজারে ভ্যাকসিন আনতে চাচ্ছেন। এতে বড়ধরনের নির্বাচনী সুবিধা পাবেন তিনি। তবে মার্কিন ভ্যাকসিন গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর ধারণা, নির্বাচনের আগে ভ্যাকসিন বাজারে আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। আবার পর্যাপ্ত পরীক্ষা ছাড়া ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়লেও তাতে সৃষ্টি হতে পারে ব্যাপক সমালোচনা।

ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ আর রাজনীতির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে কিছুটা কম। পৃথিবীর সাতশ’ কোটি মানুষ কীভাবে এই ভ্যাকসিন পাবেন। ভ্যাকসিন বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট গ্যাভি দেশগুলোকে এখন থেকেই টিকা কর্মসূচি এবং এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তাভাবনার আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসি’র এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতার বিষয়টা খুব সহজ হবে না। কারণ বেশকিছু ধনী দেশ ইতিমধ্যেই ওষুধ প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে চুক্তি করে ফেলেছে, যাতে ম্যাজিক ফর্মূলা পাওয়া গেলেই তাদের সরবরাহ নিশ্চিত হয়ে যায়। গ্যাভি’র প্রধান নির্বাহী সেথ বার্কলে বলছেন, তিনি সবচেয়ে বড় যে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন, সেটা হলো তথাকথিত ‘ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ’। ‘আমার মতে সব দেশকে এটা বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে বিবেচনা করতে হবে- এর একটা কারণ সেটাই হবে ন্যায়সঙ্গত। এছাড়াও এখানে স্বার্থের বিষয়টা জড়িয়ে আছে, সেটার উপরে উঠতে হবে। আপনার প্রতিবেশী দেশগুলো যদি ভাইরাসের খনি হয়, সেখানে যদি প্রচুর ভাইরাস ঘোরাফিরা করে, তাহলে তো আপনি স্বাভাবিক ব্যবসা বাণিজ্য, ভ্রমণ, মানুষের যাতায়াত এসব আবার শুরু করতে পারবেন না। এটা মাথায় রাখা খুবই প্রয়োজন। সবাই নিরাপদ না হলে আমিও নিরাপদ নই।’

কোন দেশ আগে টিকা পাবে সে প্রশ্ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি কোনো জনগোষ্ঠীর ওপর আগে এ টিকা প্রয়োগ করা হবে সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। দু’দিন আগে অথবা পরে টিকা যে পাওয়া যাবে- এ নিয়ে সংশয় নেই বিজ্ঞানীদের। কিন্তু এই টিকা সাতশ’ কোটি মানুষের কাছে সমতার ভিত্তিতে পৌঁছানো যাবে কি-না সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

জিডিপি বির্তক নিয়ে বিশ্লেষণ-আগে প্রবৃদ্ধি ঠিক করা হয়, পরে হিসাব মেলানো হয়-

বিশ্লেষণটি করেছেন সাবেক সচিব রীতি ইব্রাহীম-প্রথম আলোতে প্রকাশিত এ বিশ্লেষণে তিনি বলেছেন,গত অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সাময়িক হিসাব দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত (অর্থবছরের প্রথম নয় মাস) পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ হিসাব করা হয়েছে। ধরে নেওয়া যায়, এই সাময়িক হিসাবটি অন্য বছরের মতোই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দিয়েছে বিবিএস। কিন্তু করোনার কারণে অর্থবছরের শেষ তিন মাস (এপ্রিল-জুন) তো অর্থনীতির চাকাই ঘোরেনি। প্রবাসী আয় হয়তো বেড়েছে। কিন্তু সেখানেও দুঃখজনক খবর আছে। অনেকের চাকরি চলে গেছে, অনেককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ অবস্থায় বিবিএস প্রবৃদ্ধির যে হিসাব দিয়েছে, পুরো অর্থবছরে অতটা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে না। তাই বিবিএসের হিসাবকে অতিরিক্ত প্রাক্কলন বলা চলে।

আমি তরুণ বয়সে দেখেছি, জিডিপি কত হবে, তা আগে ঠিক করা হয়। পরে ‘ব্যাক ক্যালকুলেশন’ করে হিসাব ঠিক করা হয়। এটা আগে ছিল। তবে আমি যে কয়েক বছর দায়িত্বে ছিলাম, তখন আমি এই ধরনের কাজ করতে দিইনি। বিশেষ করে আদমশুমারির সময় আমি নির্দেশ দিয়েছি, কোনো ইরেজার (ঘষামাজা করতে ব্যবহৃত) ব্যবহার করা যাবে না। মাঠপর্যায়ে যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে, তাই ব্যবহার করতে হবে। আমি বুঝি না, জিডিপি নিয়ে এত প্রভাব খাটানো হয় কেন? জিডিপিই সবকিছু নয়। নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য—এসব সামাজিক খাতের উন্নয়নও বিবেচনায় আনতে হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলার সফরে নিরাপত্তা সহযোগিত, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র দফতর।দফতরের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব গতকাল বলেন, দুই দেশের শীর্ষ নেতা নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। দৈনিক ইত্তেফাকে খবরটি পরিবেশিত হয়েছে। দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে,চীনা কোম্পানিকে দেওয়া ৪৪ টি ট্রেনের টেন্ডার বাতিল করল ভারত।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

ভারতে একদিনে করোনার কবলে প্রায় ৭০ হাজার, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছুঁইছঁই করছে। এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন ও তার স্ত্রী। দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনে এসব খবর পরিবেশিত হয়েছে। আর আজকালের খবরে লেখা হয়েছে,দু’বছরে চলে যাবে করোনা, আশায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।গতকাল সংস্থার প্রধান বলেছেন এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক দ্রুত ও নিবিড়।তাই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও অনেকগুণ বেশি। তবে এখন প্রযুক্তিও অনেক এগিয়েছে। ফলে প্রতিকার দ্রুত সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাসহ প্রায় সব দৈনিকের খবরে লেখা হয়েছে, পাঞ্জাবে ভারত-পাক সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় শনিবার সকালে বিএসএফের গুলিতে পাঁচজন মারা গেছেন। বিএসএফ সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের তারণ তরন জেলার খেমকরনের কাছে ডাল বর্ডার আউটপোস্ট দিয়ে ওই অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিল। তখন বিএসএফের টহলদারি সদস্যরা টের পেয়ে সতর্ক হয় যায়। বিএসএফের টহলদারি দলকে দেখতে পেয়ে অনুপ্রবেশকারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলিতে অনুপ্রবেশকারী ৫ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের কাছ থেকে একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। এদিকে দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে,দিল্লিতে নাশকতার ছক বানচাল, গুলির লড়াইয়ের পর এক আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

চীনের বোমারু বিমান 

দক্ষিণ-চীন সাগরে মোতায়েন চীনা বোমারু বিমান, ভারতকে সতর্ক করল ভিয়েতনাম-সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, ক্রমেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে লালফৌজ। দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপে বোমারু বিমান ও ফাইটার জেট মোতায়েন করেছে চীন। ভারতকে সতর্ক করে এমনটাই জানিয়েছে ভিয়েতনাম। সদ্য ভারতের বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম সানহ চাউ। দীর্ঘ আলোচনায় দক্ষিণ চিন সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে, মিটেও মিটছে না সীমান্ত সমস্যা! প্যাংগং থেকে সেনা সরাতে ভারতকে ‘শর্ত’ দিল চীন দৈনিকটির এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,বারবার ইঙ্গিত মিলেছে মিটে যাওয়ার। কিন্তু ভারত ও চিনের সীমান্ত সমস্যা কিছুতেই পুরোপুরি মিটতে চাইছে না। প্যাংগংয়ে ভারতীয় সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য এবার নয়া শর্ত দিয়েছে চিন। ভারতীয় সেনা (Indian Army) সেই শর্ত মানলেই তারা মে মাসের অবস্থানে অর্থাৎ প্যাংগংয়ে সেনা অভিযান শুরু করার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে রাজি। যদিও বেজিং ঠিক কী শর্ত দিয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, প্যাংগং লেকের (Pangong Tso) ধারে ৫ নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্ট পর্যন্ত মজবুত ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে চিন। সেখান থেকে সরার নামগন্ধ নেই। জুলাইয়ের শেষে পাওয়া উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে এই ছবিটাই সামনে এসেছে। বলা যেতে পারে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। 

CAG’র অডিট রিপোর্টে নেই রাফালে চুক্তির উল্লেখ! ‘টাকা চুরি হয়েছে’, ফের তোপ রাহুলের-এটি দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের খবর। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে,ইতিমধ্যেই ভারতের মাটি ছুঁয়েছে রাফায়েল। দেশের আকাশে উড়ন্ত রাফায়েল শত্রু চীন-পাকিস্তানের কাঁপুনিও ধরিয়েছে। কিন্তু এ হেন যুদ্ধবিমান নিয়ে বিতর্ক কিছুতেই থামছে না। রাফায়েল মামলায় দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসের যে অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জনতার দরবারে খারিজ হয়ে গিয়েছে, পুনরায় সেই একই অভিযোগে সরব হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর দাবি, রাফালে চুক্তিতে (Rafale deal) ভারতের রাজকোষ থেকে অর্থ চুরি হয়েছে। আর এই সত্য যেভাবেই হোক সামনে আসবেই।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২২
 

ট্যাগ