আগস্ট ২৬, ২০২০ ১৬:৫০ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা!২৬ আগস্ট বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • আবারও ৬ দিনের রিমান্ডে সাহেদ, পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৩ সেপ্টেম্বর-ইত্তেফাক
  • জুলাই থেকে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছে চীন-দৈনিক সমকাল
  • ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে, অথচ সরকার কিছুই শুনছে না-ডা.জাফরুল্লাহ-দৈনিক কালের কণ্ঠ
  • ট্রম্পের বিরুদ্ধে নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগ-প্রথম আলো
  • ৬ দফা বঙ্গবন্ধুর নিজের চিন্তার ফসল: শেখ হাসিনা-দৈনিক যুগান্তর
  • ডা. সাবরিনার দুটি এনআইডি, ইসির কাছে প্রশ্ন দুদকের-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • নিও নরমাল লাইফ এখন কার্যত জীবন হয়ে যাচ্ছে-মানবজমিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • বাংলার প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন, চিঠির পর ফের টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা রাজ্যপালের-সংবাদ প্রতিদিন
  • গালওয়ানের ঘটনা ইতিহাসের একটা মুহূর্ত মাত্র, সব মিটে যাবে’ আশাবাদী চীনা রাষ্ট্রদূত-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • বিভ্রান্তি আর্থিক মন্দা কাটাবে না’ আর বিআই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা রাহুলের। -আজকাল

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. রাজপথের ব্যারিকেডে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না’- বিএনপি নেতা রিজভীর এ বক্তব্যকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

২.মিয়ানমারের বেশ কয়েকজন মুসলিম রাজনীতিবিদকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন। কি বলবেন আপনি?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

ছয় দফা বঙ্গবন্ধুর নিজের চিন্তার ফসল: প্রধানমন্ত্রী-ইত্তেফাক

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রণয়ন করেছিলেন, তা অনেকে অনেকভাবে বলতে চায়। কিন্তু আমি নিজে জানি, এর পুরোটা তার নিজের চিন্তার ফসল। বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজিত ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে, অথচ সরকার কিছুই শুনছে না’-দৈনিক কালের কণ্ঠ/বাংলাদেশ প্রতিদিনি/ইত্তেফাক

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী (ফাইল ফটো)

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বুধবার ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে প্লাজমা ও ব্লাড ডোনেশন সেন্টারে সদ্য করোনা মুক্ত হয়ে প্লাজমা ডোনেট করতে আসেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এসময় ডা. জাফরুল্লাহ দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। 

এসময় হাসপাতালের মাইক্রোবায়ালজি বিভাগের অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টর প্রধান গোলাম মোহাম্মদ কোরাইশি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের পরিচালক, প্রশিক্ষণ ও সনোলজিস্টি মোহাম্মদ শওকত আলী আরমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, রুমিন ফারহানা এখনো পুরো সুস্থ না, তবুও তিনি প্লাজমা দিতে এসেছেন। এটা চমৎকার ব্যাপার। আমরা গৌরব বোধ করছি রুমিন নিজ থেকে এটা করেছেন। আমরা তার সাথে কোনো যোগাযোগ করিনি। তিনি খুব সজাগ একজন নাগরিক যিনি জনগণের জন্য এতোটাই ভাবেন। রুমিন ফারহানা একটা চমৎকার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। 

তিনি বলেন, আমি চাই করোনা থেকে সুস্থ অন্য এমপিরাও প্লাজমা দানে এগিয়ে আসবেন। যারা করোনা আক্রান্ত নন তারাও নিয়মিত রক্তদানে এগিয়ে আসতে পারেন। 

তিনি আরও বলেন, দেশে প্লাজমা সংগ্রহ এখনো পর্যাপ্ত না। তাই প্রতিটি করোনা আক্রান্ত মানুষকে প্লাজমা দানে এগিয়ে আসতে হবে। একজন মানুষের প্লাজমা দিয়ে ৫ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া যায়।

নিও নরমাল লাইফ এখন কার্যত জীবন হয়ে যাচ্ছে-দৈনিক মানবজমিন

আজ থেকে চুয়ান্ন বছর আগে লেখক রবার্ট এ হেইলেইন তার ‘দি মুন  ইজ এ হারিস মিস্ট্রেস’ উপন্যাসে প্রথম নিও নরমাল কথাটি শোনান।  এরপর দু’হাজার পাঁচ সালে বিশ্বজুড়ে যে এভিয়ান ফ্লু'র দৌরাত্ম্য তৈরি হয় তখন জীবনে স্বাভাবিকত্ব  আনতে নিও নরমাল শব্দটির আমদানি করেন রজার এম সান্ডারল্যান্ড এবং জুডি লেনার্ড।  দু’হাজার সাত- আটের অর্থনৈতিক সংকটের সময় আবার এই নিও নরমাল কথাটির আবির্ভাব হয়।  অক্সফোর্ড অভিধান জানাচ্ছে,  সংকটের সময় অর্থনীতিকে এবং জীবনধারণকে সুস্থিত রাখার নামই নিও নরমাল।  কোভিড - ১৯  এর  মতো সংকট একশো বছরে বিশ্ব দেখেনি।  দেখেনি জীবনের সঙ্গে এই বোঝাপড়াও।  একশো বছর আগের স্প্যানিশ ফ্লু'র সময় মানুষের অজানা ছিল এই নিও নরমাল জীবন,  এই ভারসাম্য।  তাই সেবার কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু হয় বিশ্বজুড়ে।  এই করোনা অতিমারি যে আরও প্রাণ নিতে  পারেনি  তার কারণ এই নিও নরমাল লাইফ। দক্ষিণ কলকাতার কসবার বাসিন্দা সুদীপ্ত বসু একজন ব্যাংক কর্মী।  করোনা প্রতাপ শুরু হওয়ার পর দীর্ঘদিন ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছিল।  কিন্তু জীবন নিও নরমাল লাইফে পৌঁছাতেই সুদীপ্ত এখন অফিস যাচ্ছে।  মুখে মাস্ক,  হাতে গ্লাভস,  প্রতিদিন তার বাইকটিকেও  স্যানিটাইজ করতে হচ্ছে।  অর্থনীতির চাকায় সুদীপ্ত একটি স্পাইক এরও ভগ্নাংশ মাত্র।  কিন্তু এইরকম কোটি সুদীপ্ত অর্থনীতিকে সচল রাখছে। জীবনের সঙ্গে প্রতিদিন বোঝাপড়া করছে সাতের  জিকো,  সতেরোর  সত্যবান,  সাইত্রিশের সাগ্নিক কিংবা সাতান্ন অথবা সাতষট্টির শিশির বাবু।  গৃহবধূ শর্মিলা কিংবা রানু অথবা কলেজ ছাত্রী বিলকিসদের জীবন বদলে গেছে। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং,  মাস্ক, গ্লাভস, হেডক্যাপ এখন জীবনের অঙ্গ।  ঘণ্টায় ঘণ্টায় হাত স্যানিটাইজ করাটা অভ্যাস।  কে যেন বলেছিল,  মানুষ অভ্যাসের দাস।  এই করোনা যেন এই আপ্তবাক্যটাকে আরও সত্যি করে চলেছে।  সংক্রমণ চলেছে,  মৃত্যু চলেছে,  সেই সঙ্গে ঘুরছে জীবনের চাকাও।  টুইটার সম্প্রতি পাঁচহাজার মানুষের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল।  মাত্র তেরো শতাংশ মানুষ বলেছেন,  এই নিও নরমাল লাইফ একঘেয়ে,  বিরক্তিকর।  বাকি সাতাশি শতাংশ নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবেই এটি গ্রহণ করেছেন।  প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষ আগুনের ব্যবহার জানতো না।  কাঁচা মাংস খেত।  তারপর আগুন আবিষ্কৃত হল।  আগুনের সঙ্গে সহবাস করতে লাগল মানুষ।  এই আধুনিক যুগে করোনার সঙ্গে সহবাস করছে মানুষ।  করোনাও একদিন যক্ষা,  ক্যান্সার,  ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো জীবনের অঙ্গ হয়ে যাবে।  তার আগের এই সময়টাই নিও নরমাল।  এরপর সব নরমাল হয়ে যাবে।  এখনই করোনা আমাদের সঙ্গী।

 একটা সময় ছিল কারও করোনা হয়েছে শুনলে পাড়ায় হইচই পড়ে যেত।  আর এখন?   সব যেন সয়ে যাচ্ছে।  মানুষ বুঝেছে অতিমারির এই সংকটকালে জীবনের সঙ্গে সমঝোতাই বুদ্ধিমানের কাজ।  তাই,  অস্বাভাবিকতাকেই স্বাভাবিক মনে করে জীবনযাপন।  আর এটাই নিও নরমাল লাইফ। যাতে মানুষ এখন অভ্যস্থ।  কিংবা এটাই জীবন।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

গালওয়ানোর ঘটনা ইতিহাসের একটু মুহূর্ত মাত্র, সব মিটে যাবে’ আশাবাদী চীনা রাষ্ট্রদূত

লাদাখ উত্তেজনা নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের আশাবাদা-সব মিটে যাবে

-দৈনিক আনন্দবাজারের এ খবরে লেখা হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় গত জুনে চিনা ও ভারতীয় জওয়ানদের সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও ইতিহাসের একটা সংক্ষিপ্ত অধ্যায়’ বলে মনে করেন ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েইডং। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু দিন আগে সীমান্তে এমন একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছিল যা চিন বা ভারত কেউই চায়নি। এখন আমরা এটা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিহাসের নিরিখে এটা একটা সংক্ষিপ্ত অধ্যায় ছাড়া কিছুই নয়।’’

গত জুনে গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ঢুকে পড়া চিনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় জওয়ানদের সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর বিহার রেজিমেন্টের এক কম্যান্ডিং অফিসার-সহ ২০ জন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান।

দিল্লিতে চিন-ভারত যুব ফোরামের একটি অনুষ্ঠানে চিনা রাষ্ট্রদূত ওয়েইডং বলেন, ‘‘এই একুশ শতকে প্রতিবেশী দু’টি দেশের সম্পর্ক কখনও পিছনের দিকে হাঁটতে পারে না। বরং তা আগামী দিনে উত্তরোত্তর আরও মজবুত হয়ে উঠবে।’’

ওয়েইডং-এর বক্তব্য, ভারত ও চিন, দু’টি দেশই এখন উদীয়মান। এই পরিস্থিতিতে পুরনো দিনের মতাদর্শগত বিভেদ থেকে সরে আসা উচিত দু’টি দেশেরই। ‘এক জনের লাভ মানে আর এক জনের ক্ষতি’ অথবা ‘কারও লাভ কারও ক্ষতি নেই’ এমন ধ্যানধারণা থেকে দু’টি দেশেরই দ্রুত বেরিয়ে আসার সময় এসে গিয়েছে। নিজের স্বার্থটুকু ছাড়িয়ে গিয়ে দু’টি দেশের আরও কাছাকাছি আসার সময় এসে গিয়েছে।

ওয়েইডং-এর কথায়, ‘‘এ সব ভুলে গেলে আস্তাকুঁড়ে চলে যেতে হবে। ভুল পথ ধরে হাঁটতে হবে। প্রতিবেশী এই দু’টি দেশের মধ্যে এখন বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতাটাই বেশি জরুরি। সেটাই স্বাভাবিকতা হয়ে ওঠা উচিত। এই লক্ষ্য থাকলে আর যুক্তি দিয়ে সব কিছু বিচার করা হলে দু’দেশের মধ্যে সব সমস্যাই মিটে যাবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দু’টি দেশের দু’টি প্রাচীন সভ্যতাই এটা চাইছে। আর সেটা বাস্তবায়িত করার ব্যাপারে দু’টি দেশই সক্ষম। তাই আমাদের যথেষ্টই বিশ্বাস রয়েছে, আগামী দিনে ভারত ও চিনের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়ে উঠবে।’’

অতিমারি আর গালওয়ান উপত্যকার উত্তেজেনায় দু’দেশের সম্পর্কে কিছুটা চিড় ধরেছে, এ কথা কবুল করেও দিল্লিতে চিনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘‘একটা পুরনো চিনা প্রবাদ রয়েছে ‘সমস্যার চেয়েও সমাধানের রাস্তা অনেক বেশি’। ভারত ও চিনের নাগরিকদের ২ হাজার বছরের সম্পর্ক সেই অতিমারি আর গালওয়ান উপত্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে না।’’

আর সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলার জন্য যে দু’টি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও ‘একে অন্যের উপর নির্ভরশীল’ ও ‘একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত’ করে তুলতে হবে, ভারত-চিন যুব ফোরামের ওয়েবিনারে তার উপরেও গুরুত্ব আরোপ করেন ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূত।

সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী

আমি তো আগেই বলেছিলাম; আরবিআই এর রিপোর্ট তুরে কেন্দ্রকে নিশানা রাহুলের-আনন্দাবাজার পত্রিকা। এ সম্পর্কে আজকাল শিরোনাম করেছে-বিভ্রান্তি আর্থিক মন্দা কাটাবে না’ আর বিআই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা রাহুলের। এ খবরে বলা হয়েছে, দেশের বেহাল অর্থনৈতিক দশা নিয়ে এদিন ফের সরব হলেন রাহুল গান্ধী। টুইটারে তোপ দাগলেন কেন্দ্রকে। দাবি করলেন, আরও খরচ করুক কেন্দ্র। গরিবদের হাতে সরাসরি টাকা তুলে দিক। তাতেই ভোগ বাড়বে। ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি।

রাহুল গান্ধী লিখলেন, সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা ‘‌বিভ্রান্তি’‌ ছড়িয়ে আখেরে গরিবদের কোনও লাভ হবে না। আর্থিক মন্দা কাটানোও যাবে না। ‘‌আমি গত কয়েক মাস ধরে যে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, এখন আরবিআই সেটাই বলল।

করোনা:

ভারতে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় সব দৈনিকে বলা হয়েছে,ফের বাড়ল করোনা সংক্রণের হার, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ছাড়াল হাজারের গণ্ডি। এসময় আক্রান্ত ছাড়াল ৬৭ হাজার। ভারতে মোট আক্রান্ত ৩২ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৯ হাজার ৪৪৯ জন।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

শুধু ব্যবসার কথা না ভেবে মানুষের দুর্ভোগের কথাও ভাবুন, কেন্দ্রকে তোপ সুপ্রিম কোর্টের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, স্থগিত EMI-এর উপর সুদ আদায় নিয়ে এবার কেন্দ্রকে তুলোধোনা করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ইস্যুতে সরকারকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলছে, মানুষের দুর্ভোগের সময় ব্যবসায়িক লাভ দেখা উচিত নয় কেন্দ্রের।

উল্লেখ্য, লকডাউনে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ব্যাংকগুলিতে বেশ কয়েকমাস ঋণের EMI স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। মার্চ মাসের ২৭ তারিখ EMI স্থগিত রাখার বিষয়টি সরকারিভাবে ঘোষণা করেন RBI-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানিয়েছিলেন, দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে এবং আর্থিক বৃদ্ধি সচল রাখতে এই পদক্ষেপ করেছে রিজার্ভ ব্যাংক। এর ফলে লকডাউনের জেরে ঘরে বসে থাকা কোটি কোটি দেশবাসীকে স্বস্তি পাবেন। কিন্তু তাঁর ঘোষণার কিছুদিন পরই দেখা যায় স্থগিত হয়ে যাওয়া ওই EMI-এর উপর সুদ নেওয়া শুরু করেছে কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংক। যাতে দুর্ভোগ আরও বাড়ে ঋণগ্রহীতাদের। লকডাউন আবহে ঋণের মোরেটোরিয়ামে সুদের উপর সুদ নেওয়ার প্রতিবাদে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এ নিয়ে ব্যাংকগুলিকে আগেই তুলোধোনা করেছে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু ব্যাংকগুলির দাবি, সুদ ছাড়া এভাবে ঋণের কিস্তি স্থগিত করে দিলে লোকসান সামাল দিতে গিয়ে তারা নাজেহাল হয়ে যাবে। রিজার্ভ ব্যাংকও জানায়, এই সুদ মকুব করে দিলে ২ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। এদিকে এই পুরো বিষয়টিতে কেন্দ্র এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। আর সেকারণেই এবার শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে বেনজির কটাক্ষে বিঁধল।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ