সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০ ১৬:৪০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • সারাদেশে পেঁয়াজের ঝাঁজ–প্রথম আলো
  • সীমান্তে আটক পেঁয়াজের পচন শুরু-কালের কণ্ঠ
  • লোপাট  ৪২৪ কোটি টাকা -দৈনিক যুগান্তর 
  • কুয়েতের আদালতে এমপি পাপুলের মুক্তির আবেদন নাকচ-দৈনিক মানবজমিন
  • সরকারি দপ্তর থেকে  স্থানীয় রাজনীতি সবই তাদের নিয়ন্ত্রণে-দৈনিক ইত্তেফাক
  • ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের এক বছর, ঢিমেতালে নজরদারি, বিতর্কিতরা প্রকাশ্যে -সমকাল
  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:

  • প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত! ৭৪ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাবে ছাড়পত্র কেন্দ্রের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • করোনায় একদিনে আক্রান্ত ৯৬ হাজার ৪২৪ জন - আনন্দবাজার পত্রিকা
  • পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় ভারতের ওপর রীতিমত ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ!-দৈনিক আজকাল

পাঠক/শ্রোতা! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

শুরুতেই বিশ্বজুড়ে  করোনার সর্বশেষ খবর। তারপর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর। 

মহামারির করোনার বিশ্ব পরিিস্থতি

একনজরে বিশ্ব করোনার খবর: ওয়ার্ল্ডওমিটারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বিশ্বব্যাপী মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৩ লাখ ৭৫ হাজার ছাড়াল। আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৯ লাখ ছাড়িয়েছে। ভারতে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৯৬  হাজার ৪২৪ জন। মোট আক্রান্ত ৫২  লাখ ১৪ হাজার ছাড়ালো। ভারতে মোট মৃত্যু-৮৪,৩৭২ জন।

বাংলাদেশের করোনার সর্বশেষ খবরে বিভিন্ন দৈনিকে লেখা হয়েছে, ২৪ ঘন্টায় করোনায় ২২ জন মারা গেছেন। করোনায় আক্রান্ত আটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আইসিইউতে। খবরটি প্রথম আলোসহ সব দৈনিকে পরিবেশিত হয়েছে।

পেঁয়াজ কাণ্ড নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো লিখেছে, সারাদেশে পেঁয়াজের ঝাঁজ। অন্যদিকে কালের কণ্ঠের খবরে বলা হয়েছে সীমান্তে আটকা পড়ে থাকা পেঁয়াজে পচন শুরু হয়েছে। আর দৈনিক যুগান্তর একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে-

৮ দিনের পেঁয়াজ কারসাজিতে অসাধুদের পকেট ভারি-লোপাট ৪২৪ কোটি টাকা। বিস্তারিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে,

পেঁয়াজ কাণ্ডে ভোক্তার পকেট থেকে লোপাট  ৪২৪ কোটি টাকা

দেশে পেঁয়াজের মজুদ আছে সাড়ে তিন মাসের। মোকাম থেকে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতিও একেবারে স্বাভাবিক। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে পেঁয়াজের বাজার এখনও অস্থির। ওই চক্রটির অজুহাত-ভারত রফতানি বন্ধ করায় সৃষ্টি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। যদিও দেশটির রফতানি বন্ধের ১৫ দিন আগ (৩১ আগস্ট) থেকেই পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি, যা এখনও অব্যাহত। এতে ১৮ দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা কেজির পেঁয়াজের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ উঠেছে ১২০ টাকায়।এ সময়ে গড়ে সর্বনিম্ন ১২ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজিতে বাড়তি মুনাফা তুলে নেয়া হয়েছে ভোক্তার পকেট থেকে। প্রতিদিন কেজিতে গড়ে নেয়া হয়েছে ৪২ টাকা করে।

দেশে গড়ে পেঁয়াজের প্রতিদিনের চাহিদা ৬ হাজার ৯৪৪ টন বা ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার ৪৪৪ কেজি। এ হিসাবে ১৮ দিনে মোট ৪২৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই ১৮ দিনে ৬টি ধাপে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে ভারতের পত্রিকা দৈনিক আজকাল পেঁয়াজ নিয়ে শিরোনাম করেছে এরকম যে, পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় ভারতের ওপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ!‌

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের ১ বছর-ঢিমেতালে নজরদারি, বিতর্কিতরা প্রকাশ্যে-দৈনিক সমকাল

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই অভিযানের পর অনেক দুর্নীতিবাজের সাম্রাজ্যের পতন হয়। ওই শুদ্ধি অভিযানকালে গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক রাঘববোয়াল গা-ঢাকা দেন। কেউ কেউ দেশও ছাড়েন। সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়ে অভিযানের গতি। এতে আবার অনেক বিতর্কিত লোকজন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেন। গ্রেপ্তার হওয়া কেউ কেউ জামিনে রয়েছেন। ঢাকার ক্লাবপাড়াকেন্দ্রিক ক্যাসিনো খেলা পুরোপুরি বন্ধ হলেও অনেকে অনলাইনে নিত্যনতুন কৌশলে জুয়ার আসর বসাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ক্যাসিনোবিরোধী ৪৯টি অভিযান পরিচালিত হয়। এর মধ্যে ৩২টি র‌্যাব ও ১৭টি অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় অন্তত ২৮০ জনকে। ক্যাসিনোবিরোধী এসব অভিযানের ঘটনায় ৩২ মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০টি মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ-র‌্যাব। অন্যান্য মামলার তদন্ত চলমান।

আবার নানাভাবে জুয়ার আড্ডা

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর দলের যৌথ সভায় দলের ভেতরে শুদ্ধি অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেন। এরপর দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। ওই সভায় যুবলীগের দুই নেতার সমালোচনা করা হয়। এর পাঁচ দিনের মাথায় ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম গ্রেপ্তার হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরপর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। খালেদকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। এরপর একে একে অনেক রাঘববোয়াল ধরা পড়েন। এর মধ্যদিয়ে ক্লাবপাড়া ঘিরে সংঘবদ্ধ দুষ্টু চক্রের নানা অনিয়মের তথ্য সামনে আসতে থাকে। একে একে অনেকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার হতে থাকেন। পুলিশ ও র‌্যাব সূত্রে  জানা যায়, অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্লাব ও বারে অভিযান চালানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতার বাসায়ও তল্লাশি করা হয়। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলেন যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে ঘিরে নানা নাটকীয় ঘটনাও ঘটে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর চাঁদাবাজি, টেন্ডারিবাজিসহ নানা অভিযোগের কারণে আলোচনায় আসে সম্রাটের নাম। যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তারের পর কয়েকদিন শত শত নেতাকর্মীকে নিয়ে কাকরাইলের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের ১৯ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হন সম্রাট। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে একে একে গ্রেপ্তার হন ঠিকাদার মোগল জিকে শামীম, কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের এনামুল হক আরমান, অনলাইন ক্যাসিনো কারবারি সেলিম প্রধান, কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান রাজীব, ময়নুল হক মনজু, ক্যাসিনো কারবারি আক্তারুজ্জামান, রোকন মিয়া, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাইফুল ইসলাম, তুহিন মুন্সী, নবীর হোসেন এবং পুরান ঢাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা দুই ভাই এনু ও রুপন। এসব অভিযানে অনেকের বাসা থেকে কোটি কোটি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমানসহ আরও অনেকের ব্যাংক হিসাব তলব করে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তিন সংসদ সদস্যসহ ২৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

একাধিক সূত্র জানায়, অভিযানের পর গ্রেপ্তার এড়াতে গা-ঢাকা দিয়েছেন- এমন অনেককে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের জুয়ার আসরের ইজারাদার আলী আহমেদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম রবিউল ইসলামসহ আরও অনেকে। কেউ কেউ জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছেন। সাবেক কাউন্সিলর ময়নুল হক মনজু জামিন পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ ও মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া জামিনে আছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারাবাহিক তৎপরতায় বন্ধ হয়েছিল অবৈধ ক্যাসিনো, ক্লাব ও জুয়ার কার্যকলাপ। বিভিন্ন মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এ অভিযান। তবে মানুষের প্রত্যাশার পারদ যতটা চড়েছিল, তা পূরণের আগেই আস্তে আস্তে অভিযানের গতি কমতে শুরু করে। র‌্যাব-পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযান পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে যে কোনো সময় আবারও অভিযান চলবে।

সরকারি দপ্তর থেকে স্থানীয় রাজনীতি, সবই ওদের নিয়ন্ত্রণে! জেলায় জেলায় যুদ্ধাপরাধীদের পোষ্যদের প্রতিপত্তি-দৈনিক ইত্তেফাকের রাজনীতি বিষয়ক এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, 

ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে কৌশলে অনুপ্রবেশ করেছে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের পোষ্যরা।

অর্থের বিনিময়ে পদে ঢুকেই পর্যায়ক্রমে তারা দলের স্থানীয় রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দরপত্রসহ যাবতীয় ব্যবসা-বাণিজ্যে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। রাতারাতি মালিক বনেছে বিপুল অর্থসম্পদের। দলীয় পদ আর অঢেল অর্থের যুক্ত প্রভাবে স্থানীয় প্রশাসনও বলতে গেলে এখন তাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে।

দল টানা সাড়ে এগারো বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার সুবাদে এখন তারা রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য। তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি আর দাপটের কাছে অনেকটা অসহায় বা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন দলের প্রকৃত ও বহু বছরের পোড় খাওয়া নেতাকর্মীরা।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

লাদাখে আগের অবস্থা ফিরবে কি, বিরোধীদের প্রশ্নে প্রতিরক্ষামন্ত্রী চুপ-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

লাদাখ সীমান্তে এপ্রিল বা তার আগের স্থিতাবস্থা ফিরে আসবে কি না,  তার কোনও জবাব দিতে পারলেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আজ রাজ্যসভায় কংগ্রেসের পক্ষে একাধিক সাংসদ ওই প্রশ্ন করলেও এর কোনও স্পষ্ট উত্তর দেননি রাজনাথ। সংসদের দুই কক্ষে রাজনাথ উপুর্যপরি বেজিংকে প্রবল আক্রমণ করে ঘরোয়া রাজনীতিতে কিছুটা জাতীয়তাবাদের হাওয়া তোলার চেষ্টাও করলেন বটে। কিন্তু চিন প্রশ্নে দিনের শেষে নরেন্দ্র মোদী সরকারের হাতে রইল পেনসিল, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।

লাদাখ প্রশ্নে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সামনে এগিয়ে সেনা-জাতীয়তাবাদের একটি হাওয়া সুকৌশলে তৈরি করতে চেয়েছে কেন্দ্র। এটা ঘটনা যে কোনও রাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের প্রশ্নে বিদেশ মন্ত্রক যতটা স্বর চড়াতে পারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পারে তার দ্বিগুণ। বিশেষজ্ঞরা এ-ও বলছেন, অতীতে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে যে ভাবে তোপ দাগতেন, বিদেশমন্ত্রী হিসেবে তা করতে পারতেন না। এ ক্ষেত্রেও আজ রাজনাথ সিংহ অতীতের সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন করার জন্য বেজিংকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। কিন্তু এত তোপ দাগলেও, আসল উত্তর যে তাঁর কাছে নেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির প্রশ্নেই।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত! ৭৪ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র কেন্দ্রের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ৭৪ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (FDI) রাস্তা খুলে দেওয়ার কথা আগেই জানা গিয়েছিল। এবার সেই সিদ্ধা‌ন্তে শিলমোহর দিল কেন্দ্র। স্বয়ংক্রিয় পথের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা উৎপাদন খাতে ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত ফরেন্ট ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বা এফডিআইয়ের অনুমোদন মিলল। মনে করা হচ্ছে, এই অনুমোদনের ফলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের  ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের (Atmanirbhar Bharat) বাস্তবায়নের পথে একধাপ এগোবে দেশ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো।

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় ভারতের ওপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ!‌-দৈনিক আজকাল

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় ভারতের ওপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ!‌ জোগানের অভাবে ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি দরে ১২০ টাকা ছুঁয়েছে, বলছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম। ঢাকার বক্তব্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং খাদ্যপণ্যের রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্তত জানিয়ে দিতে পারত দিল্লি। 

মহারাষ্ট্রের লালসালগাঁও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা প্রতি কেজির বেশি বেড়ে যাওয়ায়  সোমবার জরুরি ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে ভারতীয় হাইকমিশনারকে ইতিমধ্যেই একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘সমঝোতার খেলাপ’ বলছে ঢাকা। তাদের দাবি, বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগেভাগে জানিয়ে দেওয়া হলে পেঁয়াজ আমদানির অন্য ব্যবস্থা করত বাংলাদেশ!‌#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/‌১৮