কথাবার্তা: পুলিশের লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি মুজাহিদুল ইসলাম । আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৪ ডিসেম্বর কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- উন্নয়ন দেখে একটি মহল ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের - দৈনিক ইত্তেফাক
- দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার, আর বাকি এক স্প্যান -সমকাল
- মধ্যরাত থেকে দেশে ফিরতে লাগবে করোনা 'নেগেটিভ' সনদ -কালের কণ্ঠ
- পুলিশের লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল -প্রথম আলো
- পল্টনে মিছিলে বাধা, সংঘর্ষ -দৈনিক মানবজমিন
- প্রথম ধাপে ভাসানচরে পৌঁছেছে ১৬৪২ রোহিঙ্গা -দৈনিক যুগান্তর
- ছুটির দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত -বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা, এমএসপি’র আশ্বাসেও উঠল না বিক্ষোভ -সংবাদ প্রতিদিন
- দিল্লিতে কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা মমতার, দিলেন পাশে থাকার বার্তা -দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- যোগীর রাজ্যে ভিনধর্মের বিয়ে আটকাল পুলিশ, ধরাল অধ্যাদেশের প্রতিলিপি -দৈনিক আজকাল
পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
প্রথম ধাপে ভাসানচরে পৌঁছেছে ১৬৪২ রোহিঙ্গা-দৈনিক যুগান্তর

প্রথম ধামে নারী-পুরুষ, শিশুসহ নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে নারী-পুরুষ, শিশুসহ ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তারা ৭টি জাহাজে করে ভাসানচরে পৌঁছায়।
এর আগে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে যাত্রা করে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয় ৭টি জাহাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ভাসানচরে আসা সব রোহিঙ্গার প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে তারপর ওয়ারহাউসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের ব্রিফিং করবে। ব্রিফিং শেষে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত রাখা ৭, ৮, ৯, ১০ নম্বর ক্লাস্টারে তাদের রাখা হবে।
সূত্রমতে আরও জানা যায়, আগামী প্রায় ১ সপ্তাহ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের রান্না করে খাওয়ানো হবে। ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০ জন, পুরুষ ৩৬৮ জন, নারী ৪৬৪ জন। এছাড়া ২২টি এনজিও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে ইতোমধ্যে ভাসানচরে অবস্থান করছে।জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গা নেয়া হবে সেখানে। রোহিঙ্গাদের এ দলটি থাকবে ভাসানচরের অত্যাধুনিক আবাসন প্রকল্পে। সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছায় ভাসানচরে গিয়ে থাকতে রাজি রোহিঙ্গাদের এ দলটির মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্প হিসেবে যাত্রা হতে যাচ্ছে ভাসানচরের।
এরই মধ্যে ভাসানচরে মজুদ রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। ভাসানচরে প্রথম ধাপে যাওয়া রোহিঙ্গাদের রাখা হবে ৫ থেকে ১১ নম্বর ক্লাস্টারে। তিন মাসের মজুদ সক্ষমতার খাদ্যগুদামে প্রস্তুত ৬৬ টন খাদ্যপণ্য। তবে প্রথমদিকে রোহিঙ্গাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করবে বেসরকারি সংস্থাগুলো। ইতোমধ্যে ২২টি এনজিওর প্রতিনিধি ভাসানচরে কাজ শুরু করেছেন।
পুলিশের লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল-দৈনিক প্রথম আলো
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে বিক্ষোভ বের করেছেন একদল মুসল্লি। জুমার নামাজ শেষে তাঁরা এই বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভে তাঁরা ভাস্কর্যবিরোধী স্লোগান দিয়েছেন।পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আর দৈনিক মানবজমিন এ সম্পর্কে লিখেছে, পল্টনে মিছিলে বাধা, সংঘর্ষ। এ খবরে লেখা হয়েছে, রাজধানীর পুরানা পল্টনে ভাস্কর্য বিরোধী মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখন পুরো এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের একটি অংশ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়। আরেকটি অংশ মসজিদের সিঁড়ির ওপর অবস্থান নেয়। পরে পুলিশের বিশেষ শাখার একজন সদস্য মুসল্লিদের সেখান থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলে ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর মিছিল নিয়ে উত্তর গেট দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধায় তা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বেলা সোয়া দুইটার দিকে মুসল্লিরা সড়কে বেরিয়ে আসেন। এ সময় ব্যারিকেড ভেঙে তারা পল্টনের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। তখনই পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক সাংবাদিকদের জানান, অনুমতি ছাড়া যোকোনো কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। জুমার নামাজ শেষে একদল মুসলিম বিক্ষোভ মিছিল বের করেছেন। তারা শাহবাগের দিকে যেতে চেয়েছেন। পুলিশ তাদেরকে পল্টন মোড়ে থামিয়ে দেয়।
একই দৈনিকের অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, বিতর্কে না জড়িয়ে গণতন্ত্রের আন্দোলনে আসেন: আলেমদের উদ্দেশে জাফরুল্লাহ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, অযথা বিতর্কে না জড়িয়ে গণতন্ত্রের আন্দোলনে আসেন। দেশে গণতন্ত্র নেই, দ্রব্যমূল্য কমছে না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না, সরকারের কিছু টাকা পেয়ে সরকারের কথায় নাচবেন না। তাদের কথায় না চলে আপনাদেরই ক্ষতি হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাস্থ্য খাতে নৈরাজ্য-দুর্নীতি বন্ধ ও ওষুধের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত সমাবেশে ভাস্কর্য ও মূর্তি ইস্যুতে আলেমদের উদ্দেশে করে এসব কথা বলেন তিনি।
উন্নয়ন দেখে একটি মহল ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের-দৈনিক ইত্তেফাক

বর্তমান সরকারের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন দেখে একটি মহল দেশবিরোধী বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে আজ যে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে তাতে প্রতিপক্ষ কোনো ধরনের ধন্যবাদ জানায়নি, উল্টো তারা সমালোচনা করেই যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ উন্নয়ন এবং সততা দিয়েই দেশের জনগণের মন জয় করে নিয়েছে। আর এতেই বিএনপির সহ্য হয় না। তাই তারা দেশবিরোধী বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন তিনি।
আওয়ামী লীগ কখনো গায়ে পড়ে ঝগড়া করে না, তবে কেউ আক্রমণ করলে পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবিক কারণে প্রায় ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রায় ৫ লাখ দেশের নাগরিকের বসবাস।
ছুটির দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত-বাংলাদেশ প্রতিদিন
ছুটির দিন শুক্রবার। সকালটা শুরু হয় সড়কে মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়ে, যা বিকালেও শেষ হয়নি। রাতেও হয়তো আসতে পারে সড়কে প্রাণ যাওয়ার খবর। এদিন সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা, এমএসপি’র আশ্বাসেও উঠল না বিক্ষোভ-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

তিন নয়া কৃষি আইনের (Farm Laws) বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের আলোচনা দ্বিতীয় দিনেও আশ্বাসেই শেষ হল। মিলল না কোনও সমাধানসূত্র। সাত ঘণ্টার বৈঠকে আগের মতোই আইন প্রত্যহারের দাবিতে অনড় থেকেছে কৃষক সংগঠনগুলি, আর কেন্দ্রের তরফে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) এবং আদালতে মামলার দাবি নিয়ে কিছুটা সুর নরম করা হয়েছে।
সরকারের আশ্বাস, এমএসপি-তে হাত দেওয়া হবে না। আদালতে যাওয়ার দাবিও বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের কোনও ইগো নেই। সরকার খোলা মন নিয়েই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়। শনিবার ফের বৈঠক। নতুন কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভ (Farmers Protest) শুক্রবার ন’দিন হল। এর মধ্যে তিন বার কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্র। কিন্তু কোনও বৈঠক থেকেই সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। বৃহস্পতিবার চতুর্থ দফার বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল সারা দেশে। তাতেও মিলল না সমাধান। বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী তোমর বলেন, “আগের বৈঠকে ও এদিনের বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে কৃষকদের মধ্যে। সরকারের কোনও ইগো বা অহংকার নেই। খোলা মনে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, নতুন আইন কার্যকর হলে নূন্যতম সহায়ক মূল্য শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। আর সে কারণেই তাঁরা উদ্বিগ্ন। কৃষিমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এমএসপি নতুন কৃষি আইনের অংশ নয়। তাই বিষয়টিতে কোনও পরিবর্তন করা হবে না। বরং সরকার এমএসপিগুলিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করবে।
দিল্লিতে কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা মমতার, দিলেন পাশে থাকার বার্তা-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

দিল্লির উপকণ্ঠে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে শুক্রবার কথা বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিক্ষোভকারী কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিতে শুক্রবার দলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে হরিয়ানায় পাঠান তৃণমূলনেত্রী। নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে হরিয়ানা-দিল্লি সিঙ্ঘু সীমানার বিভিন্ন জায়গায় কৃষকরা টানা অবস্থান করছেন। ট্রাক্টর নিয়ে চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। শুক্রবার সেখানে প্রায় ঘণ্টা চারেক কাটান ডেরেক। তাঁর ফোন থেকে মোট চারবার কৃষকদের সঙ্গে কথা হয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তৃণমূল সূত্রে খবর, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবের একাধিক কৃষক সংগঠনের নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূলনেত্রী। মমতাকে কৃষকরা জানান, তাঁদের একটাই দাবি— কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা ধন্যবাদ জানান পাশে থাকার জন্য।
ঘটনাচক্রে, শুক্রবার সকালেই মমতা একটি টুইটে লেখেন, ‘১৪ বছর আগে ৪ ডিসেম্বর ২০০৬ আমি কলকাতায় ২৬ দিন অনশন শুরু করেছিলাম। কৃষিজমি জোর করে ছিনিয়ে না নেওয়ার দাবিতেই ছিল সেই অনশন। কেন্দ্রের কড়া কৃষিআইনবাতিলের দাবিতে বর্তমানে দেশে কৃষকরা যে আন্দোলন করছেন, তাকে আমি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই বিল পাশ করানো হয়েছে’। যা থেকে স্পষ্ট যে, মমতা বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলকে আবার কৃষক-আন্দোলনমুখী করে তুলতে চাইছেন। অর্থাৎ, তিনি চান তৃণমূল আরও বেশি করে গ্রামের দিকে নজর দেবে। তার উদাহরণ হিসেবে তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, আগামী সোমবার ৭ ডিসেম্বর তাঁর মেদিনীপুরের সভাকে মমতা আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর সভা হিসাবে দেখতে চাইছেন। ওই সভা থেকেও তিনি কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি তাঁর সমর্থন আরও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাইছেন। শুক্রবার ডেরেককে দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার পাঠানো এবং তাঁর ফোন থেকে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা তারই প্রস্তুতি হিসেবে দেখতে চাইছেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা।
শুক্রবারের টুইট সম্পর্কে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের অভিমত, ওই টুইটে মমতা তাঁর সুদীর্ঘ আন্দোলন-লড়াইয়ের ইতিহাস আরও একবার দলের নেতা-কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ, যে কৃষিজমি অধিকার রক্ষার আন্দোলন তাঁর উত্তরণের ভিত্তিভূমি, বিধানসভা ভোটের আগে তিনি আরও একবার সেই জমিতেই যে ফিরে যাচ্ছেন, এই টুইটে যেন তারই ইঙ্গিত। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারও একাধিক টুইটে মমতা দিল্লির উপকণ্ঠে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘কৃষকদের জীবন-জীবিকা নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগে রয়েছি। ভারত সরকারের উচিত নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করে দেওয়া। এই মুহূর্তে ওই আইন প্রত্যাহার না করা হলে আমরা রাজ্য ও দেশজুড়ে আন্দোলনে নামব। আমরা প্রথম থেকেই এই কৃষক বিরোধী বিলের বিরোধিতা করে আসছি’। কৃষকরা মমতার এই অবস্থানকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন। এর পর রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেককে আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে পাঠানো এবং তাঁর ফোন থেকে কৃষকদের সঙ্গে মমতার কথা তাই বিশেষ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো ধারাবাহিকতা নেই রাহুল গান্ধীর! বিস্ফোরক শরদ পওয়ার-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
‘দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো ধারাবাহিকতা হয়তো রাহুল গান্ধীর মধ্যে নেই।’ না বিজেপি (BJP) বা বিরোধী শিবিরের কোনও নেতা নয়, একথা বলছেন কংগ্রেসেরই পুরনো এবং বিশ্বস্ত জোটসঙ্গী শরদ পওয়ার (Sharad Pawar)। তাঁর মতে, নেতা হিসেবে যে ধারাবাহিকতার প্রয়োজন, সেটা সম্ভবত রাহুল গান্ধীর মধ্যে দেখতে পাচ্ছে না দেশবাসী। তবে, রাহুল সম্পর্কে বারাক ওবামা নিজের বইয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সেটাকেও সমর্থন করেন না পওয়ার।
উত্তরপ্রদেশে প্রথমবার ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইনে ভিনধর্মের বিয়ে রুখল পুলিশ-দৈনিক আজকাল/সংবাদ প্রতিদিন

সপ্তাহখানেক আগেই জোর করে ধর্মান্তকরণ ও বিয়ে রুখতে নতুন আইন (Conversion Law) চালু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। এবার এক হিন্দু তরুণী ও মুসলিম যুবকের বিয়ের আসরে হাজির হল পুলিশ। বর ও কনে, উভয়পক্ষকেই যেতে হল থানায়। ঘটনাটি ঘটেছে লখনউয়ের (Lucknow) পারা এলাকার।
জানা যাচ্ছে, গত বুধবার ছিল ওই বিয়ের আসর। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার খানিক আগেই আচমকা সেখানে উপস্থিত হন পুলিশকর্মীরা। বিয়েবাড়ির সকলকে উত্তরপ্রদেশে সদ্য পাস হওয়া নতুন আইন সম্পর্কে জানিয়ে তাদের থানায় যেতে বলা হয়। পরে থানায় গেলে দু’পক্ষকেই জানানো হয় এই বিয়ের জন্য আগে লখনউয়ের জেলাশাসকের অনুমতি নিতে হবে।
লখনউয়ের সিনিয়র পুলিশ অফিসার সুরেশচন্দ্র রাওয়াত জানিয়েছেন, গত ২ ডিসেম্বর তাঁরা ওই বিয়ের বিষয়ে জানতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা জানতে পেরেছিলাম এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মেয়ের সঙ্গে অন্য সম্প্রদায়ের ছেলের বিয়ে হচ্ছে। আমরা তাঁদের থানায় ডেকে পাঠিয়ে নতুন আইনের কপি হাতে তুলে দিই। দু’পক্ষই লিখিতভাবে জানিয়েছে, নয়া আইন মেনে তাঁরা আগে জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে তবে বিয়ের ব্যাপারে অগ্রসর হবেন।’’
দুই পরিবারের কোনও সদস্যই এ ব্যাপারে মুখ না খুললেও সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, বিয়েতে উভয় পরিবারেরই অনুমতি ছিল। কোনওরকম জোর করে ধর্মান্তরিত করার ব্যাপারও ছিল না। আপাতত জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করার কথা ভাবছে দু’পক্ষই। এই বিয়েতে কেউ ধর্মান্তরিতও হচ্ছেন না বলে জানাচ্ছে সূত্র।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের (Yogi Adityanath) পেশ করা ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী অর্ডিন্যান্সে শনিবার সম্মতি দেন রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। এই আইনে অভিযুক্তের ৩ থেকে সর্বাধিক ১০ বছরের সাজা হতে পারে। নতুন এই আইনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রাক্তন বিচারপতি মদন লোকুর একে পছন্দের স্বাধীনতা কিংবা মানবাধিকার বিরোধী বলে তোপ দেগেছেন।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/০৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।