ডিসেম্বর ২৩, ২০২০ ১৩:৫১ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক!২৩ ডিসেম্বর বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • বিচারকের অপসারণ দাবিতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ, এজলাসে তালা -ইত্তেফাক
  • আ'লীগ কার্যালয়ে ভারতের হাইকমিশনার, কাদেরের সঙ্গে বৈঠক –যুগান্তর
  • করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে, লকডাউনের পরিবেশ তৈরি হয় নি-স্বাস্থ্যমন্ত্রী-মানবজমিন
  • ফ্রান্সে ৩ পুলিশকে গুলি করে হত্যা, আহত আরও ১ জন-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • চরম অনিশ্চয়তায় সৌদিপ্রবাসীরা-বাতিল হতে পারে ৪০ হাজার ভিসা -কালের কণ্ঠ
  • যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিশেষ কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা- বিডি প্রতিদিন
  • করোনার নতুন ধরন নিয়ে উদ্বেগ, বৈঠকে ডব্লিউএইচও -সমকাল

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • আইন ফিরিয়ে নিন! প্রধানমন্ত্রীকে রক্তে লেখা খোলা চিঠি পাঠালেন কৃষকরা -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ভারতে আসবেন না, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত কৃষকদের-আজকাল
  • হরিয়ানায় খাট্টারকে কালো পতাকা কৃষকদের, বিক্ষোভের জেরে ফিরে গেল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় -সংবাদ প্রতিদিন

শিরোনামের পর এবার দুটি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে, লকডাউনের পরিবেশ তৈরি হয় নি’-একথা বলেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। তার এ বক্তব্যকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
২. ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইন্দোনেশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে আমেরিকা। তারা দেশটিকে বিপুল অর্থও দিতে চাইছে। কী বলবেন আপনি?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত-দৈনিক যুগান্তর

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গোবরাকুড়া সীমান্তের ১১২৪নং মেইন পিলারের ৫এস সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।নিহতের নাম মো. খাইরুল ইসলাম (৪০)। তিনি উপজেলার গোবরাকুড়া গ্রামের মৃত আবদুল হেকিমের ছেলে। গোবরাকুড়া ক্যাম্প কমান্ডার মো. উমর ফারুক জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খায়রুল গরু আনার উদ্দেশ্যে সীমানা অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

বিচারকের অপসারণের দাবিতে সিএমএম আদালতের সামনে আইনজীবীদের অবস্থান, তালা, বিচারকার্য বন্ধ-দৈনিক ইত্তেফাক

বিচারকের অপসারন দাবিতে ঢাকার সিএমএম আদালতের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আইনজীবীরা। এ সময় তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তালা ঝুলিয়ে দেন আদালতের প্রধান ফটকে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় বিচার কাজ। গতকাল এক আইনজীবীকে আটকে রেখে সনদ বাতিলের হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে আজ এই কর্মসূচি পালন করছে তারা।

জানা যায়, গতকাল সিএমএম কোর্ট-৩ এর পেশকারের কাছে বিচারকের কোর্টে ওঠার সময় জানতে চান আইনজীবী এড. রুবেল আহমেদ ভূঁইয়া। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই আইনজীবীকে আটকে রেখে তার সনদ বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন বিচারক। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে আবেদন করেন এড. রুবেল আহমেদ।

আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরাবর লেখা ওই আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘৩ নং কোর্টের জনাব আসাদুজ্জামান নুর-এর আদালতে মামলা করতে গেলে পেশকার সাহেবকে টাইম জিজ্ঞাসা করিলে বলে ১০টা ৩০ মিনিটে কোর্ট উঠবে কিন্তু ১১টা বাজার পরও কোর্ট না উঠলে আমি পেশকারকে বলি নির্দিষ্ট টাইম জানতে চাই। পরে বিজ্ঞ আদালত আমার মামলা ডাকলে আমি সামনে যাইতেই তিনি বললেন, আমি কোর্টে বিশৃংখলা করার চেষ্টা করছি। আমি বললাম বিশৃংখলার চেষ্টা করি নাই।  তিনি বললেন, আপনার মামলা শুনব না, আপনি পরে আসেন পরে শুনব।’

ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে দেয়া ওই অভিযোগপত্রে তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরে গেলে তিনি আদালত চলাকালীন সময়ে আমাকে পুলিশ দ্বারা লক-আপ এ আটকিয়ে রাখে এবং আমার সনদ বাতিল করে দিবে এবং সকল ম্যাজিস্ট্রেটকে বলে দিবে আমার কোন মামলা না শোনার জন্য। আমি বিষয়টিতে চরম অপমানবোধ করছি।’

এদিকে গতকালের ওই ঘটনার জের ধরে আজ সকাল থেকেই আইনজীবীরা ঢাকা সিএমএম আদালতের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ওই বিচারকের অপসারণের দাবি করছেন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, তিনি (বিচারক) আইনজীবীদের অপমান করেছেন, তাকে অপসারন করতে হবে।

‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে, লকডাউনের পরিবেশ তৈরি হয় নি-স্বাস্থ্যমন্ত্রী-দৈনিক মানবজমিন 

দেশে লকডাউন দেয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। বলেছেন, এখন পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি দেখে বলা যায়, করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই দেশের অর্থনীতি ভালো আছে, পোশাক খাত চালু আছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুন্দর আছে।  আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে ‘জিন এক্সপার্ট মেশিন ও মোবাইল ল্যাবরেটরি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে লকডাউনের মতো পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। তাছাড়া আমাদের পর্যাপ্ত বেড রয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা বেডের সংখ্যা বাড়াবো।

 তিনি আরও বলেন, আমাদের অক্সিজেন সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই, তবে আমাদের একটা কারখানা বন্ধ থাকায় ভারত থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। কারখানাটি চালু হলে আর আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।

নূর চৌধুরী ও 'বেগমপাড়ায়' অর্থপাচারকারীদের শায়েস্তায় তৎপর বাংলাদেশ-দৈনিক ইত্তেফাক

কানাডায় থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগে চাপ প্রয়োগ শুরু করেছে বাংলাদেশ। বছরের পর বছর ধরে ব্যর্থ আলোচনার পর নূর চৌধুরীকে ফেরাতে বাংলাদেশ এবার বিশ্বব্যাপী 'স্বাক্ষর ক্যাম্পেইনের' শুরু করেছে।

মুক্তিযুদ্ধের চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। এর মধ্যে জড়িত ছিলেন লে. কর্নেল (বরখাস্ত) এন এইচএমবি নূর চৌধুরী।

শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১২ জনের মধ্যে ২০১০ সালে ৫ জনের ফাঁসি হয়েছে। অন্য ৬ জনের মধ্যে একজন মারা গেছে এবং বাকী ৬ জন পলাতক। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে কানাডা যাওয়ার পর শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ের আবেদন করেন নূর চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী। তখন থেকেই তিনি সেখানে অবস্থান করছেন।

গত সপ্তাহে ঢাকায় অবস্থানরত হাইকোর্ট নুর চৌধুরী এবং অন্যান্য দোষীদের দেওয়া 'মুক্তিযোদ্ধা পুরষ্কার' বাতিল করেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন কানাডা নূর চৌধুরীকে ফেরাতে থেকে দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশিদের 'স্বাক্ষর ক্যাম্পেইনে' সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া আব্দুল মোমেন কানাডায় থাকা নুর চৌধুরীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানান।

এছাড়া কানাডায় বেগমপাড়ায় অবস্তানরত বাংলাদেশি পলাতক ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে কাজ করছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ হাই কোর্ট সরকারকে দ্বৈত পাসপোর্টধারী এবং বিদেশে অবস্থানরত সন্দেহজনক অর্থ পাচারকারীদের তালিকা তৈরি করতে বলেছে।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মোমেন কানাডায় বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে অর্থপাচারকারী রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কানাডায় বেগমপাড়ায় বেশিরভাগ অর্থপাচারকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই সরকারি কর্মকর্তা। এসব অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা যায়।

চরম অনিশ্চয়তায় সৌদিপ্রবাসীরা বাতিল হতে পারে ৪০ হাজার ভিসা-ইত্তেফাক

যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় সৌদি আরবে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির জেনারেল অথরিটি ফর সিভিল এভিয়েশন (জিএসিএ)। আপাতত এক সপ্তাহের জন্য দেশটিতে বিমান চলাচলে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও এই সময়সীমা আরো বাড়ানো হতে পারে। ফলে সোমবার থেকে জেদ্দা, রিয়াদ ও দাম্মামগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আবার ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। আর এতে আটকে গেছেন লাখো প্রবাসী কর্মী। দেশটির কারাগারে আটকে থাকা বাংলাদেশি কর্মীসহ দেশে ফিরতে চাওয়া কর্মীরা আটকে গেছেন। চরম সংকটে পড়েছেন দেশে এসে আটকে পড়ারা। এ ছাড়া নতুন করে যাঁরা দেশটিতে  যাওয়ার জন্য টিকিট কেটে সব প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, এখন তাঁদের বিদেশযাত্রা চরম অনিশ্চয়তায় পড়ল। সৌদির নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘায়িত হলে প্রায় ৪০ হাজার নতুন ভিসা বাতিল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চাকরি বাঁচাতে রাজধানীতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভে নেমেছিলেন সৌদিপ্রবাসীরা। দেশে এসে করোনায় আটকে পড়া এসব কর্মীর একটি অংশ গত দুই মাসে যেতে পারলেও পুনরায় ফ্লাইট বন্ধে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘২১ ডিসেম্বর থেকে এক সপ্তাহের জন্য সৌদি আরব সকল আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। সে কারণে আমরা আপাতত এক সপ্তাহ সৌদিতে বিমানের তিনটি গন্তব্যের মোট ২১টি ফ্লাইট বাতিল করেছি। এই ফ্লাইটগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পাঁচ হাজার ১০০ জন যাত্রী যাওয়ার এবং সৌদি আরব থেকে প্রায় ছয় হাজার যাত্রী আসার জন্য নির্ধারিত ছিল। ফ্লাইট চালু হলে আমরা বিনা চার্জে তাদেরকে আসন পুনর্বরাদ্দ দেব।’

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

আইন ফিরিয়ে নিন! প্রধানমন্ত্রীকে রক্তে লেখা খোলা চিঠি পাঠালেন কৃষকরা-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

রক্ত দিয়ে লেখা চিঠি

৩টি কৃষি আইন ফেরানোর দাবিতে রক্ত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখলেন দিল্লির প্রতিবাদী কৃষকরা।

মঙ্গলবার সিংঘু সীমান্তে আয়োজিত একটি শিবিরে রক্তদান করেন কৃষকরা। তারপর সেই রক্ত দিয়ে লেখা হয় খোলা চিঠি। সেই চিঠি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে লেখা। এ দিকে, এই আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে রাহুল গাঁধীর সিদ্ধান্তে। দলীয় সাংসদদের নিয়ে আগামী ২৪ ডিসেম্বর কৃষকদের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছেন তিনি। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকারও। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের সঙ্গে আরও এক দফা বৈঠক করলেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। সেই বৈঠক শেষে তোমর বলেন, ‘‘আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি কৃষক সংগঠনের সঙ্গে কেন্দ্রের ফের আলোচনা শুরু হবে।’’

এত ঘটনার মধ্যেও মঙ্গলবারের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়, কৃষকদের রক্ত দিয়ে খোলা চিঠি।

যেখানে লেখা হয়েছে, ‘নরেন্দ্র মোদীজি, সুপ্রভাত। আমরা আমাদের রক্ত দিয়ে এই চিঠি লিখছি। আমি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের দেওয়া ভোটে জিতেই আপনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনটি আইন পাশ করিয়ে কৃষকদের বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আপনাকে অনুরোধ করি, এই তিনটি আইন ফিরিয়ে নিন’।

এর পাশাপাশি একাধিক স্লোগানও লিখেছেন কৃষকরা। তাঁরা লিখেছেন, ‘কালা কানুন ফিরিয়ে নিন’, ‘কালা কানুন বাতিল করতে হবে’।

সিংঘু সীমান্তে মঙ্গলবার প্রায় শতাধিক কৃষক রক্তদান করেন। সেখান থেকেই রক্ত নিয়ে পোস্টার লেখা হয়। এর আগে একের পর এক চিঠি লিখছে কেন্দ্রীয় সরকার। সর্বশেষতম চিঠি নিয়ে কৃষকদের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে বুধবার আলোচনায় বসবেন কৃষকরা। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বিক্ষুব্ধ কৃষক সংগঠনের সূত্রে খবর।

দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সংস্থাকে বলা হয়েছে, ‘‘প্রতিবাদরত কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না বেরিয়ে যায় সে দিকে নজর রাখছে পুলিশ।’’

নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা পুলিশ জানালেও ক্রমে যেন ক্ষোভ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে। মঙ্গলবার সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল আবারও। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের যাত্রাপথের মধ্যেই কালো পতাকা দেখালেন কৃষকরা। কনভয়ের রাস্তা আটকানোর চেষ্টাও করেন তাঁরা। কিন্তু পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টির সমাধান হয়। 

কৃষকরা এখনও তাঁদের অবস্থানে অনড়। তাঁরা বারবার বলছেন, তিনটি কৃষি আইন বাতিল না করলে দিল্লির আন্দোলন মঞ্চ ছেড়ে যাবেন না তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক আলোচনা করা হলেও এখনও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।

হরিয়ানায় খাট্টারকে কালো পতাকা কৃষকদের, বিক্ষোভের জেরে ফিরে গেল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

শেষ কবে হরিয়ানায় এমন হয়েছিল বলা মুশকিল। বিক্ষোভের (Farmers Protest) জেরে কিনা খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হল কনভয়। বহু পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের নিরস্ত করতে ব্যর্থ হলেন তাঁরা। এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।গতকাল আম্বালায় পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার (Manohar Lal Khattar)। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রত্যাশিতভাবেই ছিল দীর্ঘ কনভয়। কিন্তু মাঝখানে রাস্তা আটকে দাঁড়ান বিক্ষোভকারী কৃষকরা। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই কৃষকরা মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে দাঁড়িয়ে কালো পতাকা দেখাচ্ছেন এবং সরকার বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। কৃষকদের অনেকের হাতে লাঠিও আছে। কিছু পুলিশকর্মী ও বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ওই এলাকা থেকে ফিরে যায়। সরাসরি উলটো পথে।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ