জানুয়ারি ০১, ২০২১ ১৬:৪৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ । আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১ জানুয়ারি শুক্রবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • কেউ না থাকলেও দুঃসময়ে সে ঠিকই আছে -প্রথম আলো
  • লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ঐক্যবদ্ধ হোন- ফখরুল-যুগান্তর
  • পাগল ট্রাম্প থেকে বিশ্ব মুক্ত-দৈনিক যুগান্তর
  • আগামী বছর বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে-তথ্যমন্ত্রী- দৈনিক ইত্তেফাক
  • শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নতুন বই- সমকাল
  • নতুন বছরে ইতিবাচক ধারায় ফিরবে দেশের রাজনীতি-কাদের-কালের কণ্ঠ
  • জরুরিভিত্তিতে ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিল বিশ্বস্বা স্থ্য সংস্থা-দৈনিক মানবজমিন
  • টেকনাফে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:    

  • কৃষি আইনের ধাক্কা! হরিয়ানার পুর নির্বাচনে ল্যাজে-গোবরে বিজেপি-জেজেপি জোট-সংবাদ প্রতিদিন-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • লড়াইয়ের কথা স্মরণ করিয়ে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা মমতার -দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • হাথরসের সেই জেলাশাসককে সরিয়ে দিল যোগী সরকার -দৈনিক আজকাল

পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

সরকার হঠাতে গণঅভ্যুত্থান চান মির্জা ফখরুল-দৈনিক যুগান্তর

রকারকে হঠাতে গণঅভ্যুত্থানই একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যে গণঅভ্যুত্থানেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। 

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বারবার বলেছি– জনগণের বৃহত্তর ঐক্য, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের মধ্য দিয়ে, একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই ‘ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার’কে পরাজিত করতে হবে।সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি এবং আমরা সফল হব বলে বিশ্বাস করি এই ২০২১ সালে। আজকে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীত আমরা শপথ নিয়েছি- আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করে– কখনই দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে মানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশে কেউ কখনও পারেনি। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি বছর আমাদের জন্য নতুন শক্তি সঞ্চয় হবে এবং ‘ফ্যাসিস্ট সরকার’কে আমরা পরাজিত করতে সক্ষম হব।

নতুন বছরে ইতিবাচক ধারায় ফিরবে দেশের রাজনীতি : কাদের-কালের কণ্ঠ

দেশের রাজনীতিতে নেতিবাচক ধারার পরিবর্তে ইতিবাচক ধারা ফিরে এসে নতুন বছরে নতুন আশার মালা গেঁথে সমৃদ্ধির পথে দেশ এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় খ্রিস্টীয় নতুন বছর ২০২১ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

আলোচিত সমালোচিত ১০ ঘটনা-দৈনিক যুগান্তর

গেল বছর দেশের সব ঘটনাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল করোনা মহামারী। তবে মহামারীর এ ছোবল ছাড়াও বেশ কিছু ঘটনা নানাভাবে আলোচনায় এসেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মেজর সিনহা হত্যা, হাজী সেলিমের পুরান ঢাকার বাড়িতে র‌্যাবের অভিযান ও তার ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া কাণ্ড, প্রতারক সাহেদ গ্রেফতার, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যু, কুয়েতে এমপি পাপুলকে গ্রেফতারসহ আলোচিত ১০ ঘটনা।

করোনার থাবা : ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর। শনাক্ত রোগীর সেই সংখ্যা পাঁচ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। প্রায় বছরজুড়েই বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও ছিল করোনার সঙ্গে।

মেজর সিনহা হত্যা : অসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ছিল টক অব দ্যা কান্ট্রি। হত্যার এ ঘটনা সারা দেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর এপিবিএন তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

আলোচনার তুঙ্গে ছিল হাজী সেলিম পরিবার : চলতি বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল পুরান ঢাকার দাপুটে নেতা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমপি হাজী সেলিমের বাসায় র‌্যাবের অভিযান। ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর রাজধানীর কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে মারধরের শিকার হন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খান। তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি।

এরপর গাড়ি থেকে নেমে কয়েক ব্যক্তি ওই কর্মকর্তাকে বেদম প্রহার করেন ও তার স্ত্রীকে নাজেহাল করেন। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলার পর ২৬ অক্টোবর পুরান ঢাকার চকবাজারে হাজী সেলিমের রাজসিক প্রাসাদ ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’তে দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে মাদক রাখার দায়ে এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার কারণে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাস সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের পর চকবাজার থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আরও চারটি মামলা হয়। কয়েক দফায় রিমান্ডে নেয়া হয় তাদের। এসব ঘটনার পর হাজী সেলিমের পুরান ঢাকার সাম্রাজ্য ওলটপালট হতে শুরু করে।

খালেদা জিয়ার মুক্তি : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছিল বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা। ২৫ মার্চ বিকেল সোয়া ৪টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেল থেকে ছাড়া পান তিনি। বেলা ২টার কিছু পর কারা কর্তৃপক্ষ মুক্তির ছাড়পত্র নিয়ে বিএসএমএমইউতে যায়। খালেদা জিয়াকে তার ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন সেলিনা ইসলাম ও ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান আনতে যান। খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করছেন।

পাপিয়াকাণ্ড : বছরের শুরুর দিকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার (২৮) গ্রেফতার। ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতারণা, অবৈধ অর্থপাচার, জাল টাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে পাপিয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। টানা চার মাস ৯ দিন গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেলের চারটি কক্ষ (একটি প্রেসিডেনশিয়াল স্যুটসহ) ভাড়া নিয়েছিলেন শামীমা নূর পাপিয়া। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হোটেলটির কক্ষ ভাড়া, খাবার, আনুষঙ্গিক খরচসহ তিনি মোট বিল পরিশোধ করেছেন তিন কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রতিদিন হোটেলের বিল বাবদ গড়ে খরচ করেছেন আড়াই লাখ টাকা।

প্রতারক সাহেদ গ্রেফতার : করোনার ভুয়া পরীক্ষা করে দেশজুড়ে আলোচনায় ছিলেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। ৬ জুলাই সীমাহীন অনিয়ম ও অপকর্মের অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। পরদিন অভিযান চলে হাসপাতালের মিরপুর শাখায়। এরপর থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে সাহেদের চাঞ্চল্যকর সব প্রতারণার তথ্য। জানা যায়, অন্তত ছয় হাজার নমুনা কোনো পরীক্ষা না করেই করোনাভাইরাসের মনগড়া পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালটির ছিল না কোনো অনুমোদন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে ছিলেন সাহেদ। দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছিল তার ছবি। সবশেষে ১৫ জুলাই ভোরে বোরকা পরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা দিয়ে নৌপথে ভারতে পালানোর সময় তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য : বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয় সরকার ও ইসলামপন্থীদের। এ নিয়ে বিতর্ক বছরের শেষ দিকে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের দাবি ভাস্কর্য স্থাপন ‘অনৈসলামিক’ কাজ। এমন বিতর্কের মধ্যেই ৪ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়। এ নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এমনকি সরকারি কর্মকর্তারাও সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। ভাংচুরকারীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কুয়েতে গ্রেফতার এমপি পাপুল : ৭ জুন কুয়েতে মানবপাচারে হাজার কোটি টাকার কারবারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটগুলোর বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। ধরপাকড় শুরু হলে নতুন একটি কোম্পানির নাম আলোচনায় আসে। ওই কোম্পানি ১০ হাজার কর্মী কুয়েতে নিয়ে তাদের কাছ থেকে দুই কোটি দিনার আদায় করা হয়। পাপুলকে নিয়ে কুয়েতের গণমাধ্যমগুলো একাধিক রিপোর্টও প্রকাশ করে।

আলোচনায় পিকে হালদার : আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ১৫শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর গোপনে কানাডায় পাড়ি জমান প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার।

স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে নির্যাতন : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে।

দৈনিকটির মতামত কলামে লেখক ও সাংবাদিক ফারুক ওযাসিফ লিখেছেন,কেউ তাকে কথা দেয় না, দিলেও সে কথার দাম রাখে না। সে কিন্তু বারবার ঠিকই কথা রেখেছে। করোনা সংকটের কালে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েও সবচেয়ে বেশি ভরসা জুগিয়ে গেছে তারা। নামে তারা রহিমুদ্দি, করিমুদ্দি হলেও কাজের বেলায় একেবারে রুস্তম পালোয়ান। বাস্তবে দেখতে জিরজিরে শরীরের হলেও তাকদে তারা শিল্পী জয়নুল কিংবা সুলতানের কল্পনার সমান। সে বাংলাদেশের কৃষক।২০২১-এর প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের কৃষকের একটা জাতীয় অভিবাদন প্রাপ্য।

 মহামারি, অর্থনৈতিক মন্দা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষককে আহত করলেও কাবু করতে পারেনি। ১৮৭১ সালে ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষের প্রথম আদমশুমারিতে প্রধান শুমারিকার বেভারলি সাহেব লিখেছেন, বাঙালিদের দেখতে নাজুক লাগলেও জলে ও ডাঙায় বিচরণকারী এ উভচর, যা সামলাতে পারে, তা করতে গিয়ে যেকোনো হিন্দুস্তানি ভেঙে পড়ত।

অতীতের কথা থাক, ২০২০ সালে দুই দফার বন্যা, ঘূর্ণিঝড় আম্পান সামলে আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন অনাদিকালের সেই কৃষক। লকডাউনের মধ্যেও যে মানুষ কষ্টে হলেও খেতে পেয়েছে, সেটা কার কৃতিত্ব?

করোনাকালের বীর তো তাঁরাই। তৃতীয় দুনিয়ার সুপারম্যান সুপারউইমেন পিঠে ঝালর লাগিয়ে উড়ে বেড়ান না, তাঁরা কাজ করেন খেতে-খামারে আর তাঁদের সন্তানেরা গতর খাটে গার্মেন্টসে আর মধ্যপ্রাচ্যে। করোনাকালে যে খাদ্য উৎপাদন ও রেমিট্যান্স দুটোই মোটামুটি বহাল অবস্থায় ছিল, তারও কৃতিত্ব বৃহত্তর কৃষকসমাজের। লকডাউনে বা দুর্যোগে সব যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখনো দারা-পুত্র-পরিবার নিয়ে কৃষক চালিয়ে যান সভ্যতার প্রথম পেশা—কৃষি।অথচ প্রতি লোকমা ভাতে আমরা বেইমানি করি। প্রতিটি বাজেটে সরকার তাঁদের বঞ্চিত করে। প্রতিটি পদক্ষেপে শহরের মালিকেরা বেইমানি করেন কৃষকের সঙ্গে। যাঁরা ধান বেচা লোক, যাঁরা খাদ্যের জোগানদার, তাঁদের আলাপ জমে না টক শোতে। তাঁদের দাবিতে উত্তেজিত হয় না রাজপথ। উন্নয়নের উড়ালসড়ক তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে চলে যায় । তাঁদের সন্তানদের শ্রম বেচার ব্যবসা করে রাষ্ট্র ডলার আনে বিদেশ থেকে। তাঁদের মেয়েদের গতর খাটুনি থেকে ডলার আসে গার্মেন্টস মালিকের ঘরে। তাঁদের সন্তানেরাই ধসে মরে রানা প্লাজায়, গণকবরে শোয় থাইল্যান্ডের জঙ্গলে। কৃষকের উন্নতি আর শহরবাসী ভদ্রকুলের উন্নয়ন পূর্ব আর পশ্চিমের মতো, তাঁদের কখনো হয় না মুখ দেখাদেখি।

কেন বলছি এত কথা? বলছি কারণ, এবারও ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষক।

কৃষি তো একধরনের ব্যবসাও বটে। এই ব্যবসায় লাগে জমি, লাগে পানি, লাগে বীজ, লাগে খোলা আকাশের নিচে রোদে-বৃষ্টিতে হাড়ভাঙা খাটুনি। তারপর যা হয়, তা বেচতে গিয়ে কৃষক দেখেন দাম নেই। এ এক আশ্চর্য অর্থকরী জাদু—সবকিছুর দাম বাড়ে, কমে শুধু কৃষকের ধান আর জীবনের দাম। এবারও বোরো ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখেননি কৃষক। দারা-পুত্র-পরিবার নিয়ে সারা বছরের খাটাখাটুনির মূল্য বাদ দিয়েও নগদ টাকার যে খরচ, তা-ও উঠে আসছে না। ১০০ টাকা খরচ করে বিক্রির সময় মিলছে মাত্র ৮২ টাকা কিংবা আরও কম।

অথচ বাজারে যান, মুনাফার স্বার্থে ব্যবসায়ীদের তৈরি করা সংকট বাদে চালের অভাব নেই, সবজি ও আনাজের অভাব নেই, মাছের অভাব নেই। শীতের আসল উৎসব তো সবজিতেই সারা। শিশুর হাসির মতো ফুলকপি, গম্ভীরা রমণীর মতো পাতাকপি, মেমসাহেবের মতো সাদা মুলা, রাঙা মামির মতো লাল মুলা, নাচের কোমরের বাঁকের মতো শিম, সবুজ মুক্তাদানার

'করোনা মহামারি হয়তো ২০২১-এও থাকবে। তখনো আমাদের খাদ্যের জোগান যাঁরা দিয়ে যাবেন, তখনো কি আমরা প্রতি লোকমা ভাতে, প্রতি কেজি শস্যে সেই কৃষকের সঙ্গে বেইমানি করে যাব?'

‘পাগল ট্রাম্প’ থেকে বিশ্ব মুক্ত-দৈনিক যুগান্তর

২০১৬ সালে ক্ষমতায়। এরপর টানা চার বছর। একটার পর একটা ‘পাগলামি’ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতে বিব্রত মার্কিনিরা। ক্ষুব্ধ-অতিষ্ঠ পুরো বিশ্ব। গত চার বছরে সবারই একটাই চাওয়া- একটাই প্রশ্ন, এই ‘পাগলা ট্রাম্প’ থেকে কবে মুক্তি মিলবে মানুষের।

অবশেষে তাদের সেই চাওয়া পূর্ণ হয়েছে। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে তাকে। সেই সঙ্গে শেষ হতে যাচ্ছে তার ‘পাগলামি’ কর্মকাণ্ডের। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই জিতে যান ট্রাম্প। প্রথম চেষ্টাতেই অভাবনীয় এই সাফল্যে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে লাগলেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পরই তা একে একে নিজের কর্মকাণ্ডে বুঝিয়ে দিলেন।ক্ষমতার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যেই নির্বাহী আদেশ দিয়ে মুসলিম বিশ্বের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিলেন।

এরপর বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক জলবায়ু চুক্তি ‘প্যারিস ক্লাইমেট অ্যাক্ট’ থেকেও নিজ দেশকে প্রত্যাহার করে নিলেন। বাতিল করলেন গুরুত্বপূর্ণ ইরান পরমাণু চুক্তিও।

‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতির দোহাই দিয়ে টিটিপি ও নাফটার মতো একাধিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিও ছুড়ে ফেলেছেন। এছাড়া ক্ষমতার মেয়াদের শেষ দিকে এসে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিলও বাতিল করেছেন তিনি।গত চার বছরে বক্তব্য-বিবৃতির ক্ষেত্রে কখনো প্রথাগত নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি ট্রাম্প। ধার ধারেননি দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা কূটনৈতিক প্রটোকল। যখন যা মনে এসেছে, মুখের ওপর বলে দিয়েছেন সরাসরি। টুইট করে অযোগ্যের প্রশংসা ও যোগ্যের নিন্দা করেছেন।এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ পরীক্ষিত মিত্রদের ওপর হামলে পড়তেও ছাড়েননি। মার্কিন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে হতবুদ্ধি করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিনকে বিভিন্ন সময় প্রশংসার বানে ভাসিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

২০১৬ সালে নিজের নির্বাচনী প্রচারণার সময় বলেছিলেন পুতিন হচ্ছেন বিশ্বজুড়ে ‘খুবই সম্মানীত’ ব্যক্তি।২০১৮ সালে হেলসিঙ্কিতে দু’জনের প্রথম সরকারি সাক্ষাতে মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের বিপরীতে গিয়ে পুতিনের পক্ষে অবস্থান নেন ট্রাম্প। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তিনি এই মাত্র আমাকে বলেছেন রাশিয়া কিছু করেনি।

আজকে প্রেসিডেন্ট পুতিন এ বিষয় খুবই দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করেছেন। উদার গণতন্ত্রের সহযোগী নেতাদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে ট্রাম্প একনায়ক মনোভাবধারী নেতাদের প্রশংসা করেন। তাদের সম্পর্কে বলেন, ‘যত বেশি কঠোর তত বেশি ভালো।’অনেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে বিপজ্জনক বলে তার সম্পর্কে সতর্ক করেছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যে সম্পর্কগুলো রক্ষা করি সেগুলো খুবই মজার। যত কঠোর ও রুক্ষ তারা হোন, তত ভালোভাবে আমি তাদের সঙ্গে মিশে যেতে পারি।’ভিন্ন মতাবলম্বী সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আরব চাপে পড়লে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাকে রক্ষা করেছি।’

২০১৯ সালে মিসরের জেনারেল থেকে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে স্বাগত জানানোর সময় ট্রাম্প খুশিতে গদগদ হয়ে বলেন, ‘আমার প্রিয় একনায়ক কোথায়?’ পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বর স্বৈরশাসক হিসেবে মানবাধিকার কর্মীরা বিবেচনা করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে।

তার সম্পর্কে কিছু বাগাড়ম্বর করলেও শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে প্রীতি ও ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান ট্রাম্প।২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন হামলার হুমকি দেন তিনি। তারপর কিমকে ক্ষুদে ‘রকেট বালক (লিটল রকেট ম্যান) বলে বিদ্রূপ করেন। পাল্টা কিমও ‘পাগলা ট্রাম্প’ বলে অভিহিত করেন। কিন্তু ২০১৮ সালে নিজেদের মধ্যে এক ঐতিহাসিক বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন ‘আমরা প্রেমে পড়ে গেছি।

তিনি আমাকে সুন্দর অনেক চিঠি লিখেছেন।’ ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় জড়িয়েছেন চীনের সঙ্গে। বাধিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্যযুদ্ধ, যার সমাধান আজও হয়নি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে অনেক মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু চীনে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের পর তিনি টুইট করেন ‘শি ছিলেন তীক্ষ্ম ও শক্তিশালী এবং ভাইরাসটির দিকে ভালোভাবে নজর দিয়েছেন।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত: 

লড়াইয়ের কথা স্মরণ করিয়ে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা মমতার-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

শুক্রবার তৃণমূলের ২৩তম প্রতিষ্ঠাদিবসে রাজ্যবাসীকে এবং দলের সমস্ত কর্মী-সমর্থককে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে টুইট করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বার্তা দিলেন লড়াই করার। মমতা বলেন, তৃণমূল আজ ২৩ বছরে পড়ল। অনেক লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগোতে হয়েছে দলকে। কিন্তু রাজ্যবাসীর জন্য কাজ করার যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছেন, তাতে তিনি অবিচল থাকবেন। বাংলার উন্নয়নের জন্য মা-মাটি-মানুষ এবং দলের কর্মী-সমর্থকরা যে ভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন তার জন্যও তিনি কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছেন মমতা। ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠাদিবস পালিত হল তৃণমূল ভবনে। সকালে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি। ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং শান্তনু সেন।

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তবে এই নির্বাচনে জিতলেই যে দলের কাজ শেষ, এমনটা নয় বলেই জানিয়েছেন সুব্রত বক্সি। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে এগোতে চাইছে তৃণমূল। বক্সি বলেন, “২০২১ সালের নির্বাচন নিয়ে আমরা ভীত নই। কিন্তু এই নির্বাচন তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বাংলার মানুষকে সংঘবদ্ধ করে সংবিধান বাঁচানো রক্ষার দায়িত্বে নেমেছি। ভারতবর্ষের সংবিধানকে ধ্বংসের যে প্ৰচেষ্টা চলছে, তার বিরুদ্ধেই লড়াই আমাদের।”

কৃষি আইনের ধাক্কা! হরিয়ানার পুর নির্বাচনে ল্যাজে-গোবরে বিজেপি-জেজেপি জোট-সংবাদ প্রতিদিন

কৃষি আইন (Farm Laws) নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই হরিয়ানার পুর নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসক বিজেপি-জেজেপি জোট। ৩টি পুরনিগমের নির্বাচনে দুটি মেয়র পদ হাতছাড়া হল শাসক শিবিরের। আবার কাউন্সিলর পদেও শাসক শিবিরকে সমানে সমানে টক্কর দিল কংগ্রেস, হরিয়ানা জনচেতনা পার্টি এবং নির্দলরা। পুরসভার নির্বাচনেও ৪টির মধ্যে ৩টি হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। অথচ, ২০১৮ সালে রাজ্যের ৫ পুরনিগমের নির্বাচনে বিরোধীরা খাতা পর্যন্ত খুলতে পারেনি।

কৃষি বিল নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই হরিয়ানার ৩ পুরনিগম এবং চারটি পুরসভার নির্বাচন হয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার (Manohar Lal Khattar) এই নির্বাচনে বিজেপি-জেজেপি জোটের হয়ে প্রচার চালিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ তেমন হয়নি। কৃষক বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল শোনিপথে ১৪ হাজারের বেশি ব্যবধানে জিতেছেন কংগ্রেসের (Congress) মেয়র পদপ্রার্থী।

হাথরসের সেই জেলাশাসককে সরিয়ে দিল যোগী সরকার-দৈনিক আজকাল

হাথরসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণ এবং মাঝরাতে দাহের পর বারবার উঠে এসেছিল একটাই নাম। আঙুল উঠেছিল তাঁর দিকেই। তিনি হাথরসের জেলাশাসক প্রবীণ কুমার লাক্সকর। এবার সেই জেলাশাসককেই সরিয়ে দিল যোগী সরকার। সঙ্গে আরও ১১ জন আইপিএস–কেও বদলি করা হল।

নভেম্বরেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ তদন্তে স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।হাথরসে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯ বছরের তরুণীকে গণধর্ষণ করে চার উচ্চবিত্ত যুবক। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি। যদিও পুলিশ মানেনি, যে তাঁর গণধর্ষণ হয়েছে।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ