কথাবার্তা: 'গুজরাট দাঙ্গায় এত মানুষের প্রাণ কারা কেড়ে নিল' ?
শ্রোতা/পাঠক!২ জানুয়ারি শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
- ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২০০ মিটার সুড়ঙ্গ -ইত্তেফাক
- গণপিটুনি: আইন কী বলে –যুগান্তর
- নতুন বছরে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ -মানবজমিন
- ডিবির তদন্তে বেরিয়ে এল, ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়েছিল র্যাব-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- পাকিস্তানীরাও একজন শেখ হাসিনা ও একটি বাংলাদেশ চায় : তথ্যমন্ত্রী -কালের কণ্ঠ
- বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা: চালক শহীদ মিয়া গ্রেপ্তার -সমকাল
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- সবার জন্য নয়, বিনামূল্যে টিকাকরণ শুধুমাত্র ৩০ কোটির, জানালেন নীতি আয়োগ প্রধান -আনন্দবাজার পত্রিকা
- ৪ জানুয়ারির বৈঠক ব্যর্থ হলে বিশাল ট্রাক্টর মিছিল বেরবে, হুঁশিয়ারি কৃষকদের -আজকাল
- ‘হিন্দুরা কখনও দেশদ্রোহী হতে পারে না’,মোহন ভাগবত, ওয়াইস বললেন তাহলে গান্ধীজির হত্যাকারীরা কী?--সংবাদ প্রতিদিন
শিরোনামের পর এবার দুটি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. বাংলাদেশের রাজশাহী জেলায় মদপানে ৩ জনের মৃত্যু, ২ জন সংকটাপন্ন। নতুন বছর উদযাপন করতে গিয়ে প্রথম দিনে এই ঘটনা। কী বলবেন আপনি?
২. মার্কিন ঝুঁকিপূর্ণ সামরিক তৎপরতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে ইরান। জাতিসংঘ বিষয়টি কী আমলে নেবে?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২০০ মিটার সুড়ঙ্গ-ইত্তেফাক
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রায় ২০০ মিটার সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় পুলিশ। দেশটির পুলিশের দাবি, অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধারে নেমে আসামের করিমগঞ্জ জেলার বালিয়া এলাকায় শুক্রবার (১ জানুয়ারি) এ সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া গেছে।
করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, পাচার, অপহরণসহ আন্তর্জাতিক চোরাচালানে সুড়ঙ্গটি ব্যবহার হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত রবিবার নিলামবাজার থানার শিলুয়া গ্রামের বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেনকে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতি। পরে বাংলাদেশি ফোন নম্বর থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
অপহরণকারীরা অনড় থাকায় পাঁচ লক্ষ টাকা দিতেই সম্মত হয় ওই পরিবার। এর পরেই ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে নির্দেশ আসে, পার্শ্ববর্তী নয়াগ্রামের এলিমুদ্দিনের কাছে টাকা দিতে হবে। এতেই সূত্র পেয়ে বুধবার এলিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর দেশটির পুলিশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় শুরু করে তল্লাশি। এতে সুড়ঙ্গের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যেতে পারে আশঙ্কায় দুষ্কৃতিরা দিলোয়ারকে ছেড়ে দেয়। ফিরে এসে তিনিই পুলিশকে সুড়ঙ্গের কথা জানান। এরপর শুক্রবার ভারতীয় পুলিশ অফিসাররা বালিয়ায় যান। এরপরই খোঁজ পান প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ। দিলোয়ার জানান, বাংলাদেশ প্রান্তেও ওই একই চেহারা। ওই পথে দুষ্কৃতিরা নিয়মিত যাতায়াত করে। চলে পাচার বাণিজ্যও।
ভারতীয় পুলিশ সুপার জানান, তৎক্ষণাৎ সুড়ঙ্গের ভারত-মুখ বন্ধ করতে বিএসএফকে বলা হয়েছে৷
গণপিটুনি: আইন কী বলে-যুগান্তর
এই নিয়েছে এই নিল যা! কান নিয়েছে চিলে। চিলের পিছে ঘুরছি মরে আমরা সবাই মিলে। চিলে কান নিয়েছে শুনে, কানে হাত না দিয়েই চিলের পেছনে ছুটে চলেন অতিউৎসাহী কিছু মানুষ।
এই অতিউৎসাহী জনতা গুজবে বিশ্বাস করে মানুষ হত্যা করে ফেলে। কখনও ধর্ম অবমাননার গুজব, কখনও ‘কল্লাকাটা’ আবার কখনও ‘ছেলেধরা’। হ্যাঁ, ঠিকই বুঝেছেন।
বলছি– গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার মতো ভয়ঙ্কর অপরাধের কথা।
সর্বশেষ কিছু দিন আগে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার গুজব ছড়িয়ে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে মর্মে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। পরে গণপিটুনির ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
এভাবে গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা আমাদের দেশে নতুন কিছু নয়। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গণপিটুনিতে বাংলাদেশে প্রায় ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার কোনোটায় ছেলেধরা বা ডাকাত সন্দেহে, আবার কোনো কোনো ঘটনায় সামান্য চোর সন্দেহেও পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে বলছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সারা দেশে গণপিটুনিতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৯ জন। ২০১৮ সালে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ৩৯ জন। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬৫ জন।
গত বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত প্রথম সাত মাসেই নিহত হয়েছেন ৫৩ জন। গত বছর গণপিটুনিতে হত্যার সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। ২৫ জন মারা গেছেন সেখানে। ঢাকায় নিহত হয়েছেন ২২ জন।
অথচ ২৬০ বছরের পুরনো আইনে নেই গণপিটুনি নামক অপরাধের সংজ্ঞা। নেই কোনো সুনির্দিষ্ট শাস্তি। নেই কোনো এর জন্য বিশেষ আইন। যার সুযোগ কখনও কখনও নেয় সুযোগসন্ধানী কুচক্রিরা। এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে একজনকে সবাই মিলে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায়। কী ভয়াবহ!
গত বছরের ২০ জুলাই সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন তাসলিমা বেগম রেণু। তার দুই সন্তানের ভর্তি বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে স্কুলের গেটে কয়েকজন নারী তাসলিমার নাম-পরিচয় জানতে চান। পরে লোকজন তাসলিমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নেন।
কিছুক্ষণের মধ্যে বাইরে কয়েকশ লোক একত্র হয়ে তাসলিমাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যায়। স্কুলের ফাঁকা জায়গায় এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় গণপিটুনি রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে এবং গণপিটুনি রোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টে রিট করেন।
অন্যদিকে তাসলিমা বেগম রেণুর বোনের ছেলে সৈয়দ নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ মানুষকে আসামি করে মামলা করেন, যা এখন বিচারাধীন।
অন্যদিকে আইনজীবী ইশরাত হাসানের দায়ের করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত গণপিটুনি রোধে পাঁচ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন। পাঁচ দফা নির্দেশনা হলো–
১. পুলিশের প্রত্যেক সার্কেল অফিসার তার অধীনের প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ছয় মাসে অন্তত একবার গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বৈঠক করবেন
২. গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম গণমাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রাখবে
৩. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের অডিও, ভিডিও, মেসেজ যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যে দুষ্কৃতকারীরা এ কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে
৪. যখনই গণপিটুনির কোনো ঘটনা ঘটবে, কোনো রকম দেরি না করে তখনই থানার ওসি এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবেন এবং তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে অবহিত করবেন
৫. গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম হত্যার ঘটনায় ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অবহেলার ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন
এ ক্ষেত্রে পঞ্চম দফার নির্দেশনা শুধু তাসলিমা বেগম রেণু হত্যার ঘটনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বাকি চারটি নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যার তিনটি প্রতিরোধমূলক হিসেবে এবং একটি প্রতিকারমূলক।
এই নির্দেশনাগুলো অন্তর্ভুক্ত করে গণপিটুনি সংক্রান্ত বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হলে প্রতিরোধ, প্রতিকার ও বিচারকাজ আরও কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও অসংখ্য গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রতিককালে। ভারতে ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে যেভাবে এক মহিলাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, মনে হয়েছে তার ভয়াবহ পুনরাবৃত্তি ঘটেছে ঠিক পরের বছর আমাদের বাংলাদেশে উত্তর বাড্ডায়। দুটি ঘটনাতেই ভিকটিম মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত ছিল।
তাদের স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে। তার পর ছেলেধরা গুজব তুলে গণপিটুনি দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ভারতে গণপিটুনি বিষয়ে কয়েকজন ব্যক্তির করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, ‘দেশের বহুত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। জনগণের বিচারকে কখনই আইন সিদ্ধ করা যায় না। শক্ত হাতেই এ প্রবণতার মোকাবেলা করতে হবে’ (সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা) এ ছাড়া দেশটির রাজ্যগুলোকেও একইভাবে পৃথক আইন আনার পরামর্শ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত।
এরই ধারাবাহিকতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গণপিটুনি রোধে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল (প্রিভেনশন অব লিঞ্চিং) বিল-২০১৯’ নামের বিলটি পাস করা হয়েছে। মূলত ধর্ম-বর্ণ, জাতিগত বিভেদ ও বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে ভারতে যেভাবে পিটিয়ে মারার প্রবণতা বাড়ছে, তা রোধ করার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ বিল পাস করেছে।
আমাদের দেশেও গণপিটুনি রোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে বিশেষ আইন প্রণয়ন করা জরুরি। প্রস্তাবিত আইনে গণপিটুনি সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় বিস্তারিত আকারে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে গণপিটুনির প্রত্যেকটি ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত শেষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। প্রস্তাবিত আইনে গুজব, গণপিটুনি ও ভিকটিমের সুস্পষ্ট সংজ্ঞা থাকা জরুরি।
গণপিটুনি রোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের করণীয় দায়িত্ব বিস্তারিত থাকতে হবে। ভিকটিম ও সাক্ষীদের সুরক্ষার যাবতীয় বিধানাবলি সন্নিবেশ করতে হবে। এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তির জন্য পৃথক আদালত প্রতিষ্ঠা করে মামলা নিষ্পত্তির জন্য সংক্ষিপ্ত সময় নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে যাতে মামলাজটের জালে গণপিটুনির মামলা হারিয়ে না যায়।
এ ছাড়া একটি সার্ভেইল্যান্স টিম গঠনের বিধান করা যেতে পারে, যাতে অনলাইনে গুজব বা উসকানিমূলক বক্তব্য যারা ছড়ায় বা ছড়ানোর চেষ্টা করে তাদের প্রাথমিক পর্যায়েই চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে গণপিটুনি অপরাধের ভয়াবহ দিকগুলো তুলে ধরে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
জনগণ নিজেদের হাতে আইন তুলে নেবে না। এটি কোনো রাষ্ট্রেই কাম্য নয়। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা প্রণীত আইনই হবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।
নতুন বছরে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ-দৈনিক মানবজমিন
২০২১ সালকে চ্যালেঞ্জের বছর বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে তিনটি চ্যালেঞ্জকে সবচেয়ে বড় হিসেবে দেখছে দলটি। এগুলো হচ্ছে- জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে সাংগঠনিক সক্ষমতা তৈরি, বিতর্কিতদের দমন ও ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অংশগ্রহণ। সংশ্লিষ্টরা জানান, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে একশ্রেণির নেতাকর্মীর মধ্যে অপরাধে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এদের কারণে মাঝেমধ্যেই দল ও সরকার বিব্রত হচ্ছে। কোনো ঘটনা ব্যাপকভাবে প্রচার না পাওয়া পর্যন্ত এ ধরনের নেতাকর্মী বা দুষ্কৃতকারীরা দলীয় পরিচয় নির্বিঘ্নে ব্যবহার করে যান। তাদের নিয়ন্ত্রণ করাটা আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া করোনার কারণে ২০২০ সালে সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।
২০২১ সালে সেটা সম্পন্ন করতে হবে। এটা সাংগঠনিকভাবে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। তাদের মতে- মন্ত্রী ও এমপিরা চান তাদের বলয়ের বাইরে কেউ যেন কমিটিতে স্থান না পান। অন্যদিকে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশ- যারা ত্যাগী ও পরীক্ষিত তাদের কমিটিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এসব মোকাবিলা করে কমিটি গঠন করাটা সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ বলে ভাবছেন তারা। এ ছাড়া করোনা নাগরিক জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। এই মহামারি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে দলীয়ভাবে অংশ নেয়াকেও চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। এসব প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, জাতীয় সম্মেলনের পরই আমরা করোনার মতো মহামারির কবলে পড়েছি। তাই সাংগঠনিকভাবে যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল সেভাবে এগোতে পারিনি। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারিনি। এসব কমিটির মাধ্যমে দলের নতুন নেতৃত্বের আগমন ঘটে। তাই ২০২১ সালে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সব জেলা ও উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা। তিনি বলেন, এটা করাটা দুঃসহ বিষয়। কারণ প্রায় সব জেলায় মন্ত্রী ও এমপিরা আছেন। তাদের নিজস্ব বলয় রয়েছে। কমিটি গঠনে এসব বলয় বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এসব মোকাবিলা করে আমাদেরকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে। ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তা না হলে দলের দুঃসময়ে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। ২০২১ সালেও এই সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটাই হবে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী, উগ্র ধর্মান্ধ শক্তির উত্থান রোধ করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, সাংগঠনিক চ্যালেঞ্জ তো সব সময় রয়েছে। এসব সামনে রেখেই আওয়ামী লীগ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। ২০২১ সালকেও আমরা চ্যালেঞ্জের বছর হিসেবে ধরে নিয়ে সফলতার দিকে অগ্রসর হবো। এদিকে আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলটির ৫০ হাজারের বেশি কমিটি আছে। তাতে পদের সংখ্যা ২৫ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৬৪টি জেলা ও ১২টি সিটি করপোরেশন সহ মোট সাংগঠনিক জেলা কমিটি ৭৮টি। এসব জেলার আওতায় ৬২২টি উপজেলা কমিটি, ৫ হাজার ৬৪৩টি ইউনিয়ন কমিটি ও ৪৩ হাজার ৫৯৬টি ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে। আওয়ামী লীগের মূল দলের বাইরে আটটি সহযোগী ও দু’টি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনেরও তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কমিটি আছে সারা দেশে। এতেও লাখো নেতাকর্মী দলীয় পদ পান। বিদেশেও প্রবাসীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি রয়েছে। এর বাইরে পেশাজীবী ও বিভিন্ন খাতে আওয়ামী লীগের সমমনা হিসেবে আরো অনেক সংগঠন আছে। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সরকারি দলের পরিচয় ব্যবহার করেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুসারী হিসেবে এসব কমিটিতে ঢুকে পড়েন অনেকে। অনেক কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকে। তারা নিজ নিজ পক্ষের শক্তি বাড়াতে অনেক সময় বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে টানেন। আবার টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ দেয়ার অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন সময়। নতুন বছরে এ ধরনের অভিযোগ থেকে আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে শীর্ষ নেতারা জানান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বলেন, দল ও সরকার আলাদা করা গেলে দুটিই গতিশীল হবে। তাই নতুন বছরে দলকে সুসংহত করার ওপর জোর দিচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, নতুন বছরের শুরু থেকেই জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক অ্যাকশনে যাবে আওয়ামী লীগ। সারা দেশে এ তালিকা ৩ শতাধিক। প্রথমে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। পরে নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। শাস্তির মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুই রকমই রয়েছে। প্রত্যক্ষ শাস্তির মধ্যে আছে-দল থেকে অথবা পদ থেকে সাময়িক বা স্থায়ী বহিষ্কার। পরোক্ষ শাস্তি হিসেবে রয়েছে-এমপি পদ থেকে শুরু করে যেকোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেয়া। মূলত তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করতেই এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে দলটি। কেন্দ্রীয় কয়েক নেতা জানান, প্রায় ২০০ জন নেতার বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে সরাসরি কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সহযোগী সংগঠনের আরো শতাধিক নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ৬০ জন এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সবমিলিয়ে ২০২১ সালে দল হিসেবে নিজেদের সব ধরনের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার চেষ্টা করবে বলে জানান দলটির শীর্ষ নেতারা। পাশাপাশি রাজনৈতিক মাঠে নিজেদের শক্তিমত্তাও ধরে রাখতে চান তারা।
পাকিস্তানীরাও একজন শেখ হাসিনা ও একটি বাংলাদেশ চায় : তথ্যমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজকে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছেন। পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। পাকিস্তানের টেলিভিশনের টক-শোতে আলোচনা হয়, আমাদেরকে দয়া করে একজন শেখ হাসিনা দাও, আমাদের দেশকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। আর ভারতের বিভিন্ন টেলিভিশন টক-শোতে ব্যাপক আলোচনা হয়, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জিডিপি গ্রোথ রেটের ক্ষেত্রে এবং মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।'
ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
সবার জন্য নয়, বিনামূল্যে টিকাকরণ শুধুমাত্র ৩০ কোটির, জানালেন নীতি আয়োগ প্রধান-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
সমস্ত দেশবাসীর টিকাকরণের ব্যয়ভার বহন করবে না কেন্দ্র। বরং প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগী মিলিয়ে যে ৩০ কোটি মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, শুধুমাত্র তাঁদের টিকাকরণের খরচই বহন করবে সরকার। জানিয়ে দিলেন নীতি আয়োগ প্রধান তথা ভারতে কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে থাকা বিনোদ প্রধান। আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে প্রথম দফার টিকাকরণ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নোভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন যে সমস্ত মানুষ এবং যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, প্রথম দফায় টিকাকরণের জন্য তাঁদেরই বেছে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আপাতত করোনার প্রকোপে মৃত্যু প্রতিহত করাই সরকারের লক্ষ্য। তা-ই যাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি, তাঁদেরই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিষেধক আদৌ সাধ্যের মধ্যে কি না, সরকার টিকাকরণের ব্যয়ভার বহন করবে কি না, তা জানতে উৎসুক সকলেই।
‘হিন্দুরা কখনও দেশদ্রোহী হতে পারে না’,মোহন ভাগবত, ওয়াইস বললেন তাহলে গান্ধীজির হত্যাকারীরা কী?-সংবাদ প্রতিদিন
ফের হিন্দু জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তোলার চেষ্টা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। সরসংঘচালকের দাবি, “আপনি হিন্দু মানেই আপনি দেশপ্রেমী। দেশভক্তি হিন্দুদের চরিত্রের প্রাথমিক বৈশিষ্ট। হিন্দুরা আর যাই হোক, দেশদ্রোহী হতে পারে না।” আরএসএস প্রধানের এই মন্তব্যে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁকে পালটা দিয়েছেন AIMIM সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর প্রশ্ন, হিন্দুরা যদি সন্ত্রাসবাদী নাই হবে, তাহলে নাথুরাম গডসে বা গুজরাটের দাঙ্গাকারীরা কী?তিনি দাবি করেছেন, হিন্দুরাও দেশদ্রোহী বা সন্ত্রাসবাদী হতে পারে। এক টুইটে সংঘপ্রধানকে বিঁধে ওয়েইসি বলেন,”তাহলে গান্ধীজির হত্যাকারীরা কী? নেলি গণহত্যার নেপথ্যে কারা? গুজরাট দাঙ্গায় এত মানুষের প্রাণ কারা কাড়ল? শিখ দাঙ্গা কাদের কীর্তি? ভাগবত কী জবাব দেবেন?” ওয়েইসির দাবি, “জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বেশিরভাগ ভারতীয়ই দেশপ্রেমী। আরএসএসের ভ্রান্ত ধারণার জন্যই একটা ধর্মের মানুষকে চোখ বন্ধ করে দেশপ্রেমের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, আর অন্যদের তা প্রমাণ করতে জীবন দিয়ে দিতে হয়।”তিনি দাবি করেছেন, হিন্দুরাও দেশদ্রোহী বা সন্ত্রাসবাদী হতে পারে। এক টুইটে সংঘপ্রধানকে বিঁধে ওয়েইসি বলেন,”তাহলে গান্ধীজির হত্যাকারীরা কী? নেলি গণহত্যার নেপথ্যে কারা? গুজরাট দাঙ্গায় এত মানুষের প্রাণ কারা কাড়ল? শিখ দাঙ্গা কাদের কীর্তি? ভাগবত কী জবাব দেবেন?” ওয়েইসির দাবি, “জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বেশিরভাগ ভারতীয়ই দেশপ্রেমী। আরএসএসের ভ্রান্ত ধারণার জন্যই একটা ধর্মের মানুষকে চোখ বন্ধ করে দেশপ্রেমের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, আর অন্যদের তা প্রমাণ করতে জীবন দিয়ে দিতে হয়।”
৪ জানুয়ারির বৈঠক ব্যর্থ হলে বিশাল ট্রাক্টর মিছিল বেরবে, হুঁশিয়ারি কৃষকদের-আজকাল
কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি বৈধতা দিতে কেন্দ্র রাজি না হলে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে, হুঁশিয়ারি দিলেন বিক্ষোভকারী কৃষক। আগামী ৪ জানুয়ারি ফের কেন্দ্র এবং কৃষকদের মধ্যে বৈঠক রয়েছে। তার আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাজ ইন্ডিয়ার নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেন, ‘আমাদের বাকি দু’টি দাবি নিয়ে সরকার উচ্চবাচ্যই করছে না। এক, আইন বাতিল। দুই, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি বৈধতা। ৪ জানুয়ারির বৈঠকে কেন্দ্র যদি এ বিষয়ে পদক্ষেপ না করে, তাহলে ৬ জানুয়ারি গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক–কার্নাল সড়কপথে বিশাল ট্রাক্টর মিছিল বেরবে।’
এদিন সিঙ্ঘু সীমানায় সাংবাদিক বৈঠক করে যাদব বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানলে আগামী সপ্তাহেই শাহজাহানপুর সীমানা থেকে দিল্লির দিকে রওনা দেব আমরা।’ শুক্রবার কৃষকরা জানান, তাঁদের দাবি মাত্র ৫% নিয়ে আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রের সঙ্গে। কৃষক নেতা বিকাশ বলছেন, ‘৪ জানুয়ারির বৈঠক ব্যর্থ হলে হরিয়ানার সমস্ত শপিং মল, পেট্রল পাম্প বন্ধ করে দেব আমরা।’
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২
- বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।