মার্চ ১৬, ২০২১ ১৭:২৭ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১৬ মার্চ মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • এক লাফে মৃত্যু ২৬, সংক্রমণ তিন গুণ -ইত্তেফাক
  • মিয়ানমারে প্রাণ ঝরছেই,দমন পীড়ন বন্ধ করতে বলছে জাতিসংঘ-সমকাল
  • শিক্ষকের পদোন্নতিতেও ভিসি কলিমউল্লাহর অনিয়ম!-– মানবজমিন
  • মিনুসহ ৪ নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার-প্রথম আলো
  • করোনায় বিক্রি হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও!-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • গোল্ডেন মনির নিয়ে সিআইডির অনুসন্ধান-হাজার কোটি টাকার সম্পদ–যুগান্তর
  • মিয়ানমারে প্রাণ ঝরছেই,দমন পীড়ন বন্ধ করতে বলছে জাতিসংঘ -সমকাল

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • রাজ্য নেতাদের রাতেই দিল্লি তলব অমিতের, দিলীপ আর মুকুলকেও প্রার্থী করার ভাবনা-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • আমাকে খুনের চেষ্টা করলে গোল্লা পাবে’, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মমতার-আজকাল
  • প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিতর্কের মাঝেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা স্বপন দাশগুপ্তর-সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর।

এক লাফে মৃত্যু ২৬, সংক্রমণ তিন গুণ-ইত্তেফাক

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ দিনে মৃত্যু ও নতুন রোগী শনাক্ত তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ মার্চ পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। ১৫ দিনের ব্যবধানে সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাফে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের, যা গত ৯ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে মাসের শুরুতে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৫১৫ জন। ১৫ দিনের ব্যবধানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৭৩ জন, যা তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা বলছেন, হঠাত্ করে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়া স্বাস্থ্যবিধি না মানারই খেসারত। সামনে আরো খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে। বাঁচতে হলে সবারই মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যদিকে করোনার চিকিত্সা ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল ঠিক আছে কি না, সেটা দেখা দরকার। কারণ এখন দ্রুত আক্রান্ত হচ্ছে, মারাও যাচ্ছে দ্রুত।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হলে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ইউরোপ-আমেরিকার মতো হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা দেশকে সেই পর্যায়ে নিতে চাই না। দেশকে ভালো রাখতে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে আবারও কঠোর হতে হবে।

করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে-আইসিইউ সংকট দেখা দিয়েছে হাসপাতালে এমন খবর দিয়েছে দৈনিক যুগান্তর।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহার বন্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।ডব্লিউএইচও জানায়, এই টিকা গ্রহণের পর রক্ত জমাট বেঁধে মানুষের মৃত্যুর বিষয়ে কোনো নিশ্চিত প্রমাণ এখন পর্যন্ত নেই।

রাজশাহীতে মিনু-দুলুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা-প্রথম আলো

সমাবেশে বক্তব্যের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার মুখে পড়লেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

আজ মঙ্গলবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এ (আমলি আদালত বোয়ালিয়া) আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়। রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি, সরকার উৎখাতের ঘোষণার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।

শিক্ষকের পদোন্নতিতেও ভিসি কলিমউল্লাহর অনিয়ম!-মানবজমিন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমানকে অনিয়মের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ তার সংঘবদ্ধ দুর্নীতির প্রধান সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত ও জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলার অন্যতম আসামি তাবিউর রহমানকে অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২৮শে ফেরুয়ারি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদটি শুন্য হলে অবৈধভাবে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। পরে ৪ঠা মার্চ অবৈধভাবে প্লানিং কমিটি গঠন করে ডিন ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে একাই সেই কমিটির দুটি সদস্য পদ দখল করেন ভিসি। প্লানিং কমিটির আরেক সদস্য ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম।

অভিযোগ উঠেছে, ভিসি নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ তার মেয়াদের শেষ দিকে এসে তাবিউর রহমানকে পুরস্কৃত করতে ৭ই মার্চ দুপুরে পদোন্নতি বোর্ড গঠন করে পদোন্নতির জন্য সিন্ডিকেটে সুপারিশ করেন। যেখানে তিন সদস্যের মধ্যে ভিসি একাই দুটি স্বাক্ষর করেন।  শুধু তাই নয় একইদিন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট আহবান করে সেখানে তাবিউর রহমানের পদোন্নতি অনুমোদন করিয়ে নেন ভিসি কলিমউল্লাহ।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই বিভাগের শিক্ষক ও পতাকা অবমাননা মামলার বাদী মাহামুদুল হক বলেন, নিয়োগ থেকে পদোন্নতি পর্যন্ত সকল প্রক্রিয়াই অবৈধভাবে হলে শিক্ষক হিসেবে চাকরি করার আর কোন আইনগত ও নৈতিক ভিত্তি থাকে না। এর আগে তাবিউর রহামানের নামে রংপুর কোতোয়ালি থানায় পুলিশের করা মামলার কারণে ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম সিন্ডিকেট সভায় তার পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছিল।

এদিকে কয়েকটি মামলায় জামিনে থাকা অবস্থায় প্রায় একডজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অথচ পতাকা অবমাননা মামলার আসামিকে পদোন্নতি দেয়া হলো।তাবিউর রহমানের প্রভাষক পদে নিয়োগও অবৈধভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।এর আগে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধানের ‘অবৈধ ও জালিয়াতির মাধ্যমে’ নিয়োগ বাতিল চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়।সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, এটি হচ্ছে একাডেমিক ম্যাটার, এটা নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। এর পরেই ফোনটি কেটে দেন তিনি।

পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দিয়ে অসহায় নারীদের সঙ্গে প্রতারণা-মানজমিন

পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে থাকেন বলে জানান। অপরদিকে পাত্রী একটি হাসপাতালে ছোট চাকরি করেন। উভয়পক্ষের পরিচয় পর্ব শেষ হলে পারভীন ওই পাত্রকে তার অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু না, পাত্র এখনই অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না। ছোটবেলায় অসুস্থ হলে পরিবার একটি মানত করেছিলেন। যাকে বিয়ে করবেন তার টাকায় হযরত শাহ্‌জালালের মাজারে একটি গরু দেবেন। পারভীনের সেই সক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও পাত্রের আবদারে ৪০ হাজার টাকা দেন। টাকা নেয়ার পর থেকেই পাত্রকে আর খুঁজে পাননি পারভীন। শুধু পারভীন বেগম নন, এ রকম প্রতারণার শিকার আরো অনেকে। এ ধরনের অভিযোগে রোববার বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কামরুজ্জামান কামরুল (৬২) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। ওই প্রতারক দীর্ঘদিন ধরে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক নারীর সঙ্গে বিয়ে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। উত্তরা পশ্চিম থানায় এক ভুক্তভোগীর করা মামলায় গতকাল তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করেছেন ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা।

মোদির সফরের আগে তিস্তা নিয়ে কি শোনাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী?-মানবজমিন

‘দশ বছর আগে তিস্তা চুক্তি সই হয়েছে’ মর্মে দু’দিন আগে দেয়া নিজের বক্তব্যে অনড় থাকলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৫ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের অত্যাসন্ন বাংলাদেশ সফর বিষয়ে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিস্তা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোমেন গতকালও বলেন, হ্যাঁ, তিস্তা অলরেডি ১০ বছর আগেই চুক্তি হয়ে গেছে, বাস্তবায়ন হয়নি। কেন বাস্তবায়ন হয়নি- তা ভারত সরকারই ভালো বলতে পারবে। তিস্তা চুক্তির দলিলের প্রতিটি পাতায় উভয় দেশের সচিবের সই রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে সচিব পর্যায়ে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়ে থাকলে এতোদিন তা চাপা ছিল কেন? তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ‘তিস্তা চুক্তিতে কোনো ছাড় নেই’ বলার পরপরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন ‘সই হয়ে আছে’ বলে প্রচারে নামলেন? জবাব খুঁজতে সরকারের সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে গতকাল কথা বলার চেষ্টা করেছে মানবজমিন। কিন্তু দায়িত্বশীল কেউই মন্ত্রীর দাবির বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে তারা এটা নিশ্চিত করেছেন যে, যাই বলুক না কেন, তিস্তা চুক্তিটি এখনো সই হওয়ার অবস্থায় যায়নি। তা খসড়াতেই আটকে আছে।

সদ্য ঢাকা সফরকারী ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করকে উদ্ধৃত করে কর্মকর্তারা বলেন, তিনিও তো বলে গেছেন দ্রুত তিস্তা চুক্তি সইয়ে ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বের অঙ্গীকারে কোনো হেরফের হয়নি। হাসিনা-মোদি আমলেই তিস্তা সই হবে বলে খোদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী আগের বারের বাংলাদেশে সফরকালে আশ্বাস দিয়ে গেছেন। ঢাকার কর্মকর্তারা এ-ও জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ২৬শে মার্চ ঢাকায় আসা প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক আলোচনায় দ্রুত তিস্তা চুক্তি সইয়ের তাগিদ থাকছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, তিস্তার বাস্তবায়ন নিয়ে আমরা সবসময় কথা বলি।

মিয়ানমারে প্রাণ ঝরছেই,দমন পীড়ন বন্ধ করতে বলছে জাতিসংঘ-সমকাল

আর মানবজমিন লিখেছে, ফুঁসছে মিয়ানমার, বাড়ছে লাশ।ফুঁসে উঠেছে মিয়ানমারের সাধারণ জনতা। সামরিক জান্তার বন্দুকের নল ঘরে ফেরাতে পারছে না তাদের। একের পর এক লাশ পড়ছে সেখানে। তাদের গুলিতে রোববার কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হওয়ার পর সোমবার আরো কমপক্ষে ৫ জনকে হত্যা করেছে তারা। এ নিয়ে অভ্যুত্থানের পরে সেখানে সামরিক জান্তার গুলিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো প্রায় ১৪০।দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, ভারতে গণতন্ত্রের অবক্ষয় হয়েছে।বর্তমান সময়ে ভারতীয় গণতন্ত্রের র‌্যাংকিং নেমে যাচ্ছে। যে দেশটি বিশ্বে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক বলে নিজে গর্ব করে, সেখানে এই খবরটি হতে পারে বিরক্তিকর

 এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

বিপদে কিছুই করে না, ভোটের সময় বাংলা চায়, রাইপুরে তোপ মমতার-আনন্দবাজার পত্রিকা

মেজিয়া, ছাতনার পর এ বার রাইপুরের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় মোট তিনটি জনসভা তৃণমূল নেত্রীর। এর মেজিয়া ও ছাতনার সভায় একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।, ‘আঘাত আমার কাছে হেরে যাবে, আমি আঘাতের কাছে হারব না’ ছাতনায় সভায় বললেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন,কোভিডের সময় কোথায় ছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ ছাড়া আর কিছু করেননি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বললাম, আপনারা শুধু টিকা দিন, আমরা রাজ্যের কারও কাছ থেকে এক টাকাও নেব না। আমরা দিয়ে দেব। কিন্তু দিল না। কোভিডের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্য একটা টাকা দেয়নি। আমি তাঁদের জন্য ৩০০ ট্রেন ভাড়া করে সবাইকে নিয়ে এসেছি।রাজ্য নেতাদের রাতেই দিল্লি তলব অমিতের, দিলীপ আর মুকুলকেও প্রার্থী করার ভাবনাভোট-পূর্ববর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলার শীর্ষনেতাদের মঙ্গলবার রাতেই দিল্লিতে জরুরি তলব করলেন অমিত শাহ। প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয়ে যে ‘অস্থিরতা’ তৈরি হয়েছে, তা কী ভাবে মোকাবিলা করা যায়, তার প্রাথমিক আলোচনা সোমবার গোটা রাত ধরে করেছেন বিজেপি-র শীর্ষনেতা অমিত।

সি ভোটারের তৃতীয় সমীক্ষায় তৃনমুল কংগ্রেস এগিয়ে গেল, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পছন্দ মমতাই

সি ভোটার-এ বি পি আনন্দের তৃতীয় সমীক্ষায় এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। সমীক্ষা জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম পছন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সি ভোটারের ওপিনিয়ন পোলে রাজ্যে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে ১৫০ থেকে ১৬৬ টি আসন, বিজেপিকে ৯৮ থেকে ১১৪ টি আসন, জোটকে ২৩ থেকে ৩১ টি আসন দেয়া হয়েছে।  ম্যাজিক ফিগার হল ১৪৮। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ৫২ শতাংশ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চান। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে চান ২৭ শতাংশ। মুকুল রায়কে পছন্দ ৯ শতাংশ মানুষের। পশ্চিমবঙ্গে যে ইস্যুটি সব থেকে জ্বলন্ত তা যে বেকারত্ব, মেনে নিয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। ৫৪ শতাংশ মনে করছেন এবারের ভোট রক্তাক্ত হবে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৬

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।


 

ট্যাগ