যুদ্ধবিরতি কানে তুলছে না নেতানিয়াহু: জেগে উঠেছে ফিলিস্তিনিরা
শ্রোতা/পাঠক! ১৯ মে বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
- রোজিনা ইসলাম ন্যায়বিচার পাবেন-ওবায়দুল কাদের-প্রথম আলো
- সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতারে জাতিসংঘের উদ্বেগ-ইত্তেফাক
- রোজিনার মামলা গেল ডিবিতে-কালের কণ্ঠ
- ব্যাংক ও ডাকঘরে আর মিলবে না 'বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র'-মানবজমিন
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- সওয়াল জবাবে উঠল নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না প্রসঙ্গও-আনন্দবাজার পত্রিকা
- এবার CBI-এর বিরুদ্ধে FIR দায়ের তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের-আজকাল
- যোগীরাজ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মসজিদ, অবৈধ নির্মাণ বলে দাবি প্রশাসনের-সংবাদ প্রতিদিন
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু’টি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. রোজিনা ইস্যুতে ধৈর্য ধারণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার এই আহ্বানকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
২. ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে পারেনি ইউরোপ এবং আমেরিকা। কি বলবেন আপনি?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতার,মামলা এবং জামিন নামঞ্জুর জেলহাজতে পাঠানো সম্পর্কে নানা প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম আলোর কয়েকটি শিরোনাম-এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং অশুভ ঘটনা। আমলারা কতটা বেপরোয়া, এটই তারই বহি:প্রকাশ-একথা বলেছেন ড.কামাল হোসেন। সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি-সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের মনোভাব থেকে সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলাম হেনস্থার শিকার হন। প্রথম আলোর কৃতজ্ঞতা-সাংবাদিকেরা ঐক্যবদ্ধ, নাগরিক সমাজ একাত্ম। এদিকে আইনমন্ত্রী বলেছেন, রোজিনা ইসলাম ন্যায়বিচার পাবেন।সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই আইনটি বাতিল করা উচিত। তিনি বলেছেন, অবশেষে আমাদের আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হলো। অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টে রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইংরেজ শাসনামলে যে আইন করা হয়েছিল সত্য গোপন করার জন্য, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭৩ সালে এই আইনটি বাতিল করতে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে সরকার একমত হয়। অবাধ তথ্য প্রবাহ আইন করার সময় এই অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট-এর কার্যকারিতা স্থগিত করা হয় এবং সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয় আপাত এই আইনের কার্যকারিতা থাকবে না। কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এ এই সত্য গোপনের আইন জুড়ে দেয়া হয়।
করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সীমাহীন দুর্নীতির খবর প্রকাশ হতে থাকে।
দুর্নীতিতে নিমজ্জিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং হাসপাতাল। আর এর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টে তাকে আটক করা হয়। বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় এ ধরনের আইন অনেকদিন প্রয়োগ হয়নি। আমরা যখন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সংশোধনীর জন্য আন্দোলন করি তখন সরকারের দায়িত্বশীল মহল থেকে এই আইনটির সংশোধনের আশ্বাস দিয়েও পালন করা হয়নি। এই আইন সাংবাদিকতার ইতিহাসে নতুন ধারা সংযোজিত করেছে।
রোজিনা ইসলামের মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রথম আলোর খবরে লেখা হয়েছে।ওবায়দুল কাদের বলেছেন- সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ন্যায় বিচার পাবেন। তবে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের বক্তব্য ছাপা হয়েছে প্রথাম আলোতে। শিরোনাম এরকম-সওয়াল জবাবে উঠল নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না প্রসঙ্গও
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে,প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক। তিনি তাঁর সহকর্মীদের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানিত। তিনি তাঁর সাহসী ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ প্রতিবেদনের জন্য পরিচিত। তাঁর জামিন আবেদনের ওপর আগামীকাল শুনানি হবে। তিনি কোন অপরাধে আগামীকাল পর্যন্ত কারাগারে থাকবেন? সিদ্ধান্তটি দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। যেহেতু বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে, তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করি না। তবে আইনটি আরও ভালোভাবে বোঝার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ–সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করছি।
১. বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগে কেউ যাতে ভোগান্তি বা শাস্তির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করার জন্য জামিনের বিধান রয়েছে। রোজিনা এক শিশুসন্তানের মা। তিনি অসুস্থ। মানসিক আঘাত ও অপমান নিয়ে তিন দিন কারাগারে থাকবেন তিনি। তাহলে এক মিনিটও বিচার হওয়ার আগে রোজিনাকে কি শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না?
২. আইন অনুযায়ী, তিনটি সুস্পষ্ট কারণ রয়েছে—যার ভিত্তিতে জামিন নাকচ করা যেতে পারে:
ক. অভিযুক্ত ব্যক্তি মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে অবৈধ হস্তক্ষেপ করতে পারেন,
খ. অভিযুক্ত ব্যক্তি সাক্ষীদের হুমকি দিতে পারেন এবং তাঁর মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে,
গ. অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যেতে পারেন এবং এভাবে আইনের নাগাল থেকে বাঁচতে পারেন।
এই কারণগুলোর বাইরে দেশের কোনো নাগরিকের জামিন অস্বীকার করার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। উল্লিখিত তিনটি শর্তের কোনোটিই রোজিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তিনি তিন দিন কারাগারে থাকবেন এবং তা হচ্ছে তাঁর জামিন শুনানি মুলতবি করার কারণে। গতকাল তাঁকে জামিন দেওয়া যেত।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ (১) ধারায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, ‘কোনো অজামিনযোগ্য অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার বা পরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হলে...তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে, তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধে দোষী বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে, তাহলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিন দেওয়া যাবে না।
‘তবে শর্ত থাকে যে আদালত ১৬ বছরের কম বয়সী যেকোনো ব্যক্তি বা এ–জাতীয় অপরাধে অভিযুক্ত যেকোনো নারী বা অসুস্থ বা জরাগ্রস্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন।’

প্রথমত একজন নাগরিক হিসেবে, তারপর একজন নারী হিসেবে এবং শেষতক একজন অসুস্থ ব্যক্তি হিসেবে রোজিনা জামিন পাওয়ার অধিকারী। বিজ্ঞ বিচারকের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে, আমরা আবার বলছি, আমরা বিচার বিভাগকে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার জায়গায় রেখে বলছি, রোজিনার মামলার ক্ষেত্রে ৪৯৭ ধারার বিধানটি কীভাবে অনুসরণ করা হয়েছে, তা জানতে চাওয়া কি আমাদের ভুল হবে?
ব্যারিস্টার তানজিব–উল আলমের মতে, অভিযুক্ত হওয়ার পর এবং তা যদি অজামিনযোগ্যও হয়, তবু একজন নারীর জামিন চাওয়ার অধিকার আছে। অপরাধীদের বিচার প্রবিধানের ৪৯৭ নম্বর ধারায় এটি স্পষ্ট করা আছে। একজন ব্যক্তি যদি পালিয়ে না যান, প্রমাণাদি ধ্বংস বা সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে না থাকেন, এ ধরনের ব্যক্তিকে জামিন দেওয়া হয়েছে—বাংলাদেশ ও ভারতের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে, এমনকি আপিল বিভাগেও এমন বেশ কিছু বিচারিক সিদ্ধান্তের নজির রয়েছে।
আইনটি অবশ্য যথেষ্ট স্পষ্ট নয়। যদিও আইন পুরোপুরি তাঁর পক্ষে থাকার পরও রোজিনাকে জামিন পাওয়ার জন্য ধুঁকতে হচ্ছে। আবারও আমরা বিজ্ঞ বিচারককে প্রশ্ন করছি না, তবে আন্তরিক আবেদন জানাচ্ছি, আইন মেনে চলা নাগরিক হিসেবে আমরা পুরোপুরি বিভ্রান্ত যে কীভাবে আমাদের আইন বোঝা এবং বিচার চাওয়া উচিত।
দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩৭৯ ও ৪১১ ধারা এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩-এর ৩ ও ৫ ধারায় রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

দণ্ডবিধি দিয়ে সাধারণত চোরের বিচার করা হয়। রোজিনা আসলে কী চুরি করেছেন? তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি মুঠোফোন ব্যবহার করে কিছু ছবি তুলেছেন। এই ফোন এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। কিন্তু তিনি যা করেছেন, পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে এবং দেশের জনগণের স্বার্থে করেছেন। সেখানে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ নেই, সাংবাদিকতা এবং জনস্বার্থে করেছেন।
অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ধারাটিতে ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এই গুপ্তচরবৃত্তি তখনই সংঘটিত হয়, যখন কেউ তথ্য সংগ্রহ করেন এবং তা ‘শত্রু’দেশের হাতে তুলে দেন।
কিন্তু এখানে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই আইনের ধারা ৫-এ ‘সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ’ এবং ‘কর্মকর্তাদের বেআইনি যোগাযোগের’ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। আবারও বলতে হচ্ছে, একান্ত সচিবের কক্ষ ‘সংরক্ষিত’ এলাকা নয় এবং সেখানে বেআইনি কিছু করা হয়নি। এমনকি রোজিনা সেখানে এমন কিছুই করেননি, যার জন্য তাঁকে হেনস্তা করা যায়।
আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, বাক্স্বাধীনতাবিরোধী এবং বিতর্কিত আইনগুলোর মধ্যে অন্যতম অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট-১৯২৩, যা এখনো বিদ্যমান। এই আইন আমাদের সংবিধানের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যুক্তিসংগত বিধিনিষেধের মাধ্যমে আমাদের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া এই আইন তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই) সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। এই আইনে সরাসরি উল্লেখ করা হয়েছে, এর ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক যেকোনো আইনের চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে আরটিআই। এর অর্থ হলো, আরটিআই যত দিন আছে, তত দিন অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট কার্যকর হবে না বা আরটিআই দ্বারা এটি রহিত হবে।
বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা দীর্ঘদিন এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমরা মনে করি, এই আইন এমন, যার মাধ্যমে অস্বচ্ছতা, জবাবদিহির ঘাটতি ও দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং জনগণের অর্থ তছরুপের বিষয়গুলোকে উৎসাহিত করে।
এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিসংক্রান্ত রোজিনা ইসলামের দুটি প্রতিবেদনকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে। ১৮ মে তাঁর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনাম ‘এখন এক কোটি দেব, পরে আরও পাবেন’। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১ হাজার ৮০০ কর্মী নিয়োগ নিয়ে এই প্রতিবেদন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ কমিটির দুই সদস্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন, এই নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কিছু প্রার্থীর কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে মৌখিক পরীক্ষা নিতে গিয়ে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ নম্বর পাওয়া ওই প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি।
রোজিনা ইসলামের দ্বিতীয় প্রতিবেদনটি ছিল ‘৩৫০ কোটি টাকার জরুরি কেনাকাটায় অনিয়ম’। এই প্রতিবেদনে তুলে আনা হয়েছিল চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল কোনো চুক্তি ছাড়াই। এ ছাড়া অন্যান্য অনিয়মের বিষয়টিও উঠে আসে, যে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
রোজিনা ইসলামের এসব সাহসী অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতায় কারা লাভবান হচ্ছিলেন, সেটি একটি স্বাভাবিক প্রশ্ন। আমরা মনে করি, এটি নিঃসংশয় যে এতে করদাতারা লাভবান হয়েছেন, কারণ তাঁদের কষ্টে অর্জিত দেওয়া অর্থ থেকেই এই দুর্নীতি হচ্ছিল। তাত্ত্বিকভাবে, একটি সরকার, যারা কিনা সুশাসন এবং জনগণের অর্থের ন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে, সেটিও এতে ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছে।
রোজিনা যা–ই করেছিলেন, তাতে জনগণ ও সরকার লাভবান হয়েছে। এটি নিশ্চিত, ওই নথিগুলো, যা জনসাধারণ ও সরকারের জবাবদিহির প্রক্রিয়াকে উপকৃত করছিল, সেগুলো কোনো সরকারি কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় রোজিনাকে দেননি। তিনি যেভাবে হোক সেগুলো পেয়েছিলেন এবং তাঁর কাজের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের কল্যাণ। রোজিনা যা করেছিলেন, তার মধ্যে ব্যক্তিগত কোনো বিষয় ছিল না এবং তাঁর সেই কাজে উপকার হচ্ছিল করদাতা জনসাধারণের।
আমরা বিচার বিভাগ, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার কাছে একটি বিষয় বিবেচনা করার আবেদন জানাই, সাংবাদিকতা জনমানুষের কল্যাণের নিবেদিত একটি পেশা। এ ধরনের অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতা না থাকলে আমাদের দেশ আরও বেশি দুর্নীতিতে ডুবে যাবে এবং আমাদের সীমিত সম্পদের অপব্যবহার হবে। যেকোনো সমাজের এগিয়ে যাওয়ার জন্য এ ধরনের সাংবাদিকতা সব সময়ই প্রয়োজন। এই মহামারিকালের কথা চিন্তা করলে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও আরও নিখুঁতভাবে বললে, অন্যান্য অস্তিত্বের সংকট মোকাবিলায় এ ধরনের সাংবাদিকতা আরও বেশি প্রয়োজন।
টিআইবি’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে‘এটি দুর্নীতিবাজদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের হুঁশিয়ার বার্তা’-মানবজমিন
অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট-এর অধীনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মামলায় গ্রেফতার ও কারান্তরীণ প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী। তিনি বলেন, এ ধরনের গ্রেপ্তার বাক স্বাধীনতা ও মুক্তমত প্রকাশের জন্য ভীতিকর ও উদ্বেগের। সাংবাদিক রোজিনার ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে: আনিসুল হক।
সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি দাবি ১১ বিশিষ্ট নাগরিকের-মানবজমিন
এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা এই দাবি জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন- আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, আবদুস সেলিম এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ। তারা বলেন, আমরা মনে করি রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তিলাভে সরকার বিবেচকের ভূমিকা পালন করবেন। তথ্য প্রাপ্তির অধিকার এবং দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা, সরকারের ঘোষিত এই দুই নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। রোজিনা ইসলামকে হেনস্থাকারীদের বিচার দাবি ৫৭ বিশিষ্ট নাগরিকের
মানবজমিনের শিরোনাম-রোজিনা কারাগারে প্রতিবাদ বিক্ষোভ।
পঞ্চাশ বছরেও এমন দেখিনি-মতিউর রহমান চৌধুরী
এ কোন বাংলাদেশ? পঞ্চাশ বছরে তো এমন দেখিনি। তথাকথিত গোপন নথি চুরি করার অভিযোগে একজন সাংবাদিককে গলাটিপে ধরার ঘটনা নজিরবিহীন। তাও তিনি যদি একজন নারী সাংবাদিক হন। রোজিনা ইসলামকে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে তা দেখে দেশের মানুষ হতবাক, বিস্মিত। নেটমাধ্যমে যেসব ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে তা দেখে বিবেকবান কোনো মানুষই বিচলিত না হয়ে পারেন না। তাই প্রতিবাদ উঠেছে দেশ-বিদেশে। বাংলাদেশে ইতিপূর্বে একজন সাংবাদিককে হেনস্তা বা গ্রেপ্তারের ঘটনায় এমন প্রতিবাদ, ধিক্কার আমার পঞ্চাশ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে দেখিনি। রাজনীতিতে এমন ঘটনা বিরল নয়।
এদিকে নবম দিনে এসেও উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা। বাইডেডেনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উড়িয়ে গাজায় আরও তীব্র লড়াই ইসরাইল ও হামাসের।
জেগে উঠেছে ফিলিস্তিনিরা, ইসরাইলবিরোধী সংঘর্ষে নতুন মাত্রা-যুগান্তর

ইউরোপ ও আরব দেশগুলোর যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফিলিস্তিনের গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। বুধবারও পশ্চিমতীরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সহিংসতার বিরুদ্ধে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে। ১৯৪৮ সালে অবৈধভাবে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার আগের সীমানায় ইহুদিবাদীদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি জনগণের সংঘর্ষ চলছে।
এরই মধ্যে লাখো ফিলিস্তিনি ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছে। সব ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলছে দখলদার ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।
ঐক্যের নিদর্শন হিসাবে জর্ডান নদী থেকে ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী পুরো এলাকায় সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এতে একদিকে যেমন যোগ দিয়েছে ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের অধিবাসীরা।
তেমনই যোগ দিয়েছে ইসরাইলে বসবাসকারী লাখো ফিলিস্তিনি। শুধু তাই নয়, গত কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম ইসরাইলের নির্বিচার বিমান হামলা ও হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে একসঙ্গে রুখে দেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ফাতাহ। সংহতি ও সহযোগিতা নিয়ে এসেছে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী ফিলিস্তিনিরা।
যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান কানে তুলছেন না নেতানিয়াহু-প্রথম আলো

যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান কানে তুলছেন না ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত আছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন নারী ও শিশু।
ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে গাজা থেকে রকেট ছোড়া হচ্ছে। ইসরায়েলের ভাষ্য, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজা থেকে প্রায় ৩ হাজার ৩০০টি রকেট ছুড়েছে হামাস। চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের পক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে দুটি শিশু।
গতকাল পশ্চিম তীরে রামাল্লার কাছে বিক্ষোভকালে ইসরায়েলি পুলিশের হাতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হয়েছেন অনেকে। অন্যদিকে, গতকাল হামাসের ছোড়া রকেটে ইসরায়েলে দুই বিদেশি কর্মী নিহত হন। দুই পক্ষের সংঘাত বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও তা এখন পর্যন্ত কোনো ফল আনতে পারেনি।

গত সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। কিন্তু তাঁর এ আহ্বান সত্ত্বেও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত আছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁও উদ্যোগী হয়েছেন। যুদ্ধবিরতির আহ্বানসংবলিত একটি খসড়া প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জমা দিয়েছে ফ্রান্স। মিসর ও জর্ডানের সঙ্গে সমন্বয় করে ফ্রান্স এই উদ্যোগ নিয়েছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সংঘাত থামাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে সাধারণ পরিষদের এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানা যায়। এর আগে এ ইস্যুতে গত রোববার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণে কেবল সংঘাত থামানোর আহ্বান জানানোর মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলিদের জন্য শান্তি পুনরুদ্ধার করতে যত দিন লাগে, তত দিন তাঁদের অভিযান চলবে। নেতানিয়াহুর ভাষ্য, গাজায় ইসরায়েলের নয় দিনের বোমা হামলায় হামাসের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে তাঁরা অনেক বছর পিছিয়ে গেছেন।
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় তাদের হামলায় কমপক্ষে ১৫০ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। অবশ্য ইসরায়েলি হামলায় সংগঠনের সদস্যদের প্রাণহানির বিষয়ে হামাস কোনো তথ্য দেয়নি।
কিশোর গ্যাংয়ের নারীর ফাঁদ-মানবজমিন
হঠাৎ করেই তরুণীর কল। একদিন আগে পরিচয় হওয়া মধ্যবয়সী পুরুষের সঙ্গে নৌকা ভ্রমণে যেতে চান তিনি। সঙ্গে তার কয়েক বন্ধু। এজন্য প্রস্তুত তরুণী। ভাইয়া সম্বোধন করে ওই ব্যক্তিকে যেতে বলেন মিরপুর বেড়িবাঁধের বটতলা এলাকায়। সেখানে যাওয়ার পরই বদলে যায় তাদের রূপ। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয় তারা। হুমকি দেয়া হয় এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে বা কোনো ধরনের ঝামেলা করলে নারী সংক্রান্ত বিষয়ে ফাঁসিয়ে দেয়া হবে।এই চক্রের সদস্যরা কিশোর ও সদ্য তরুণ-তরুণী। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় এরকম বিভিন্ন গ্যাং। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা জিম্মি ও ছিনতাইয়ের সুবিধার্থে ব্যবহার করছে তরুণীদের।
ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
১৬০০ নয়, ভোটের ডিউটিতে মৃত্যু মাত্র ৩ শিক্ষকের! যোগী সরকারের ঘোষণায় ক্ষোভ উত্তরপ্রদেশে-সংবাদ প্রতিদিন
কথা শোনেনি কমিশন (Election Commission)। জোর করে ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল শিক্ষকদের। করোনা পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছে বহু শিক্ষকের প্রাণ! উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের দাবি, নয় নয় করে সংখ্যাটা প্রায় ১৬০০ পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু সরকার বলছে অন্য কথা। যোগী (Yogi Adityanath) প্রশাসনের দাবি, ১৬০০ নয়, পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটিতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৩ জন শিক্ষকের। তাঁদের পরিবারের প্রতি সরকার সহমর্মী। এবং তাঁদের অনুদান দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
যোগীরাজ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মসজিদ, অবৈধ নির্মাণ বলে দাবি প্রশাসনের-সংবাদ প্রতিদিন
যোগীরাজ্যে ভাঙা পড়ল মসজিদ (Mosque Demolition)। অবৈধভাবে মুসলিমদের উপাসনাস্থল ভাঙা হয়েছে বলে সরব হয়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttara Pradesh) সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম ল’বোর্ডও। সোমবার রাতে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি জেলার একটি মসজিদ ভাঙে। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, মসজিদটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। উপযুক্ত নথিও দেখাতে পারেনি মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তাই সেটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
রাম সনেহি ঘাটের লোকালয়ে গরিব নমাজ মসজিদ ছিল। যদিও প্রশাসনের দাবি, ওই নির্মাণটি বেআইনি।
নাটকীয় মোড়, এবার নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে যুক্ত করল CBI-আজকাল/সংবাদ প্রতিদিন
নারদ মামলায় (Narada Case) ফের নাটকীয় মোড়। এবার এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পক্ষ করল সিবিআই। অর্থাৎ নারদ কাণ্ডের শুনানি অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হোক, এই দাবি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সেই মামলায় অন্যতম পক্ষ করা হল মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে। বুধবার এই মর্মে সিবিআইয়ের তরফে তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
নারদ মামলায় জামিন নাকি জেল? কলকাতা হাই কোর্টে আজ ৪ হেভিওয়েটের ভাগ্য নির্ধারণ
জামিন নাকি জেল? নারদ মামলায় ধৃত ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ আজ। মামলা অন্যত্র সরানো এবং জামিন স্থগিতের পুনর্বিবেচনার আরজি দুই বিষয় নিয়েই শুনানি হবে। এখনও পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
আজকালের খবর-নারদকাণ্ডে চার্জশিটের শিরোনামে মুকুল রায়! গ্রেপ্তার করা হোক দাবি তৃণমূলের
নারদ কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই নারদ মালায় গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট নেতা। আর তার জেরেই গর্জে উঠেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একটাই প্রশ্ন নারদের স্টিং অপারেশনের ভিডিওতে তো মুকুল রায়কেও দেখা গিয়েছিল টাকা নিতে, তাহলে মুকুল রায়কে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন!
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।