জুন ০৯, ২০২১ ১৭:৪৬ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক!৯ জুন বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • ববসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় তলানিতে ঢাকা-প্রথম আলো
  • দৈনিকটির আরো একটি খবর- করোনা পরিস্থিতিতে সিডিসির ভ্রমণ সতর্কতা, সর্বোচ্চ ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশ

  • বিএনপির গণতন্ত্র ছিলো বহুদলীয় তামাশা: ওবায়দুল কাদের’ -ইত্তেফাক
  • এবারের বাজেটে কোনো দুর্বলতা দেখছেন না অর্থমন্ত্রী -কালের কণ্ঠ
  • ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বললেন, ওদের কথার কী উত্তর দেব, ওদের কথায় তো ঘোড়াও হাসে। -যুগান্তর
  • বিধি-নিষেধে শিথিলতার পরিচয় দিলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের –মানবজমিন
  • চারদিনের অস্থিরতা শেষে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার' -সমকাল

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • অনুগামীদের নিয়ে বৈঠক, ফুলবদলের হাওয়া কি জোরদার, হাতের তাস রায়সাহেবের আস্তিনে-আনন্দবাজার
  • ৩৫৬ ধারা বাগবাজারের রসগোল্লা নয়:‌ তৃণমূল-আজকাল
  • দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পাশে আছি’, বৈঠকের পর কৃষক নেতাদের আশ্বাস মমতার -সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু’টি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

কথাবার্তার প্রশ্ন
১. ইসির বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলে বাংলাদেশের গণমাধ্যম খবর দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এই গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানের গুরুত্ব টা কি?
২. ইয়েমেন যুদ্ধে মুখ রক্ষার পথ খুঁজছে সৌদি আরব। ব্রাসেলস ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বর্তমান প্রধান একটি কলামে এ কথা বলেছেন। যেখানে সৌদি বিমান হামলায় ইয়েমেন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সেখানে এই বক্তব্য কিভাবে গ্রহণযোগ্য?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

ববসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় তলানিতে ঢাকা-প্রথম আলো

বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের নতুন র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। এই তালিকার শেষ দিক থেকে চার নম্বর স্থানে রয়েছে ঢাকা। বিভিন্ন দেশের শহরের ওপর জরিপ চালিয়ে ১৪০টি শহরের র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকায় ১৩৭ নম্বরে রয়েছে ঢাকা।

নতুন এ জরিপ অনুসারে ২০২১ সালে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপানের ওসাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের দুটি, জাপানের দুটি, অস্ট্রেলিয়ার চারটি ও সুইজাল্যান্ডের দুটি রয়েছে।

Image Caption

বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থান রয়েছে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন ও জাপানের টোকিও শহর। একই নম্বর পেয়েছে এই দুই শহর। ষষ্ঠ অবস্থানে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ। সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সুইজারল্যানন্ডের জুরিখ, জেনেভা এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও ব্রিসবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বসবাসযোগ্য শহরের ক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ২০১৮ সাল থেকে। কিন্তু এবার শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে স্থান পায়নি ভিয়েনা। ২০১৯ সালে ভিয়েনার সঙ্গে একই পয়েন্টে নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। সেই মেলবোর্ন এবার আট নম্বরে নেমে এসেছে।

করোনার মোকাবিলায় কোন দেশ কেমন পদক্ষেপ নিয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে বসবাস

দৈনিকটির আরো একটি খবর- করোনা পরিস্থিতিতে সিডিসির ভ্রমণ সতর্কতা, সর্বোচ্চ ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) মার্কিন নাগরিকদের জন্য করোনা পরিস্থিতিতে ভ্রমণ সুপারিশ হালনাগাদ করেছে। এই হালনাগাদ সুপারিশে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে।

সিডিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মে মার্কিন নাগরিকদের জন্য করোনা পরিস্থিতিতে ভ্রমণ সুপারিশ হালনাগাদ করা হয়েছে। সিডিসির ভ্রমণ সুপারিশে ঝুঁকির মোট পাঁচটি পর্যায় রয়েছে। যথা—অজ্ঞাত পর্যায়, পর্যায়-১, পর্যায়-২, পর্যায়-৩ ও পর্যায়-৪।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দেওয়া ভ্রমণ সুপারিশে অজ্ঞাত পর্যায়ে থাকা দেশগুলোর ক্ষেত্রে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। তবে যদি এই দেশগুলোতে ভ্রমণ করতেই হয়, তাহলে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।পর্যায় ১-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা কম। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে।

পর্যায়-২-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা মাঝারি। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে। যারা টিকা নেয়নি, পাশাপাশি করোনায় সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাদের অপরিহার্য না হলে এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।পর্যায়ে-৩-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা উচ্চ। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে। যারা টিকা নেয়নি, তাদের অপরিহার্য না হলে এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

আর পর্যায়-৪-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা খুবই উচ্চ। এই পর্যায়টি মার্কিন নাগরিকদের কোনো দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। যদি ভ্রমণ করতেই হয়, তাহলে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে।

পর্যায়-৪-এ ৬১টি দেশ রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এই পর্যায়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ বিভিন্ন দেশ।

সিডিসির করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দেওয়া ভ্রমণ সুপারিশে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ভ্রমণ পরিহার করুন। তারপরও বাংলাদেশে যদি ভ্রমণ করতেই হয়, তাহলে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।’ সিডিসির সুপারিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে এমনকি পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণকারী ভ্রমণকারীরও ঝুঁকি আছে।

এবারের বাজেটে কোনো দুর্বলতা দেখছেন না অর্থমন্ত্রী -কালের কণ্ঠ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো দুর্বলতা নেই। আমি কোনো পার্টিকুলার সেগমেন্ট উল্লেখ করতে চাই না। বাজেটটি যখন বাস্তবায়ন শুরু হবে তখন আমরা দেখব কারা বেনিফিশিয়ারি। উপকারভোগী কারা আমরা সেটি জানতে পারব। যাদের নিয়ে আপনাদের প্রশ্ন তাদের কাভার করার জন্যই আমরা এবারের বাজেট সাজিয়েছি।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

আজ বুধবার দুপুরে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বাস করি এবং প্রধানমন্ত্রীও আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সেটি হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের যদি আমরা আইডেন্টিফাই করতে পারি এবং অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে পারি, তাহলে আগামীতে আমাদের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হবে। এ নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি এবং সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আছে তারা এগুলো দেখবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাওয়ার আগে কারও তথ্য গ্রহণ করতে পারি না বলেও জানান তিনি।

 ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বললেন, ওদের কথার কী উত্তর দেব, ওদের কথায় তো ঘোড়াও হাসে। -যুগান্তর

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, ওদের কথার কী উত্তর দেব, ওদের কথায় তো ঘোড়াও হাসে।  কখন কী বলেন না বলেন তারা নিজেরাও জানেন না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা কথা প্রচার করতে করতে ওরা এখন জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা তো দূরের কথা, স্বাধীনতার ঘোষক দূরের কথা, জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর বানিয়েছেন।  উনি (হাসান মাহমুদ) এমনভাবে কথা বলেন জোরেও বলেন না, রাগ করেও বলেন না।  ঠান্ডা মেজাজে কথা বলেন মনে হয় সত্যি কথাই বলছেন।  আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও তারা ইতিহাসকে এভাবে বিকৃত করতে চলেছে।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ সব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যুদ্ধ করতেই হবে।  এরা (আওয়ামী লীগ) এমনই এমনই আপনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে না।  এরা একেবারেই ডিক্টেটর বনে গেছে।  নির্বাচন করে এরা কোনোদিন জিততে পারবে না।  এরা নির্বাচন নিয়ে তামাশা করবে।  কিন্তু সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের জয়ী করবে।

বিএনপির গণতন্ত্র ছিলো বহুদলীয় তামাশা: ওবায়দুল কাদের’ -ইত্তেফাক

বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো বহুদলীয় তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ক্ষমতায় যেতে ফখরুল সাহেবরা রঙিন চশমার ফাঁক দিয়ে রঙিন খোয়াব দেখছেন। ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার (৯ জুন) সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন। ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৫ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারতে চেয়েছিলো মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‍‌‘দলীয় লোককে তত্তাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়ে বিএনপি ওয়ান ইলেভেনের প্রধান কারণ সৃষ্টি করেছিলো।’ আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য শুনলে জনগণ হাসে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হ্যা-না ভোটের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

১৮৭৮ সালে সামরিক উর্দি পরে অস্ত্রের মুখে বিচারপতি সায়েমকে সরিয়ে কে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলো, বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির গণতন্ত্র ছিলো কারফিউ গণতন্ত্র।’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন কোনো গণতন্ত্র?’

বিরোধী দল হিসেবে গণতন্ত্রের বিকাশে বিএনপি কী ভূমিকা রেখেছে জাতি তা জানতে চায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘সর্বশেষ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।’

বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে বিএনপি দলীয় লোক কে এম হাসানকে তত্তাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়েছিলো বিএনপি, জনগণকে স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের জানান সেই পরিস্থিতিই বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির মূল কারণ। ওবায়দুল কাদের বলেন,  সংবিধান সম্মত ভাবে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো যথাসময়ে নির্বাচন হবে।

বিধি-নিষেধে শিথিলতার পরিচয় দিলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের –মানবজমিন

দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ রোধে বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে শিথিলতার পরিচয় দিলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ বুধবার দুপুরে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।

অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম

তিনি বলেন, জুনের ৪ তারিখ থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গতকাল আমরা দেখলাম ১২ শতাংশের বেশি। সীমান্তবর্তী কিছু জেলায় স্বাস্থ্য প্রশাসনের পরামর্শে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়ন করছে। এটা সবার মঙ্গলের জন্য করা হচ্ছে। আমরা জনগণের সহায়তা কামনা করি। কোনো জায়গায় শিথিলতার পরিচয় দিলে সেটি আমাদের জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না।তিনি আরও বলেন, জয়পুরহাটে শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের বেশি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৯ শতাংশের বেশি, রাজশাহীতে ২৩ শতাংশের বেশি।

চারদিনের অস্থিরতা শেষে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার' -সমকাল

টানা চারদিনের অস্থিরতার পর বুধবার সার্বিকভাবেই ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার। সকাল ১০টায় দিনের লেনদেনের শুরু থেকে প্রতিটি খাতের অধিকাংশ শেয়ার দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত লেনদেনের প্রথম তিন ঘণ্টা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকতে দেখা গেছে।

ফাইল ফটো

শেয়ারদর বাড়তে থাকায় গতি এসেছে লেনদেনে। সাড়ে চার ঘণ্টার লেনদেনের মধ্যে প্রথম তিন ঘণ্টাতেই ডিএসইতে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দুপুর ১টায় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ২৫২ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। এ সময় দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল ৮৯ শেয়ার ও ফান্ড এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির দর। বেশিরভাগ শেয়ারের দরবৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬০৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। সূচক বৃদ্ধির হার ১.০৫ শতাংশ। সূচকের এ বৃদ্ধিতে একক কোম্পানি হিসেবে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের। শেয়ারটির দর গতকালের তুলনায় ৩ টাকা ৮০ পয়সা বাড়াতে ডিএসইএক্স সূচকে যোগ হয়েছে প্রায় ৯ পয়েন্ট। সূচক বৃদ্ধিতে এর পরের ভূমিকা ছিল বিএসআরএম লিমিটেড, গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। 

একক খাত হিসেবে ব্যাংক খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধি সূচকের বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধির দিনের লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ বীমা কোম্পানির শেয়ারদর কমে যায়। কিন্তু লেনদেন সময় গড়াতে অন্য শেয়ারের সঙ্গে এ খাতের শেয়ারও দরবৃদ্ধির কাতারে যোগ দেয়।

এবার ভারতের বিস্তারিত খবর তুলে ধরছি:

অনুগামীদের নিয়ে বৈঠক, ফুলবদলের হাওয়া কি জোরদার, হাতের তাস রায়সাহেবের আস্তিনে-আনন্দবাজার

দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় কী করবেন? বিধানসভা ভোট এবং তৎপরবর্তী দলীয় কোন্দল, দোযারোপ এবং পাল্টা দোযারোপে ধ্বস্ত রাজ্য বিজেপি-তে এই নিয়ে গুঞ্জন এবং জল্পনা চরমে। যে জল্পনাকে বিশ্বাস করতে গেলে বলতে হয়, বিজেপি-তে মুকুলের দিন ফুরনোর পথে। সল্টলেকের বাড়িতে ঘন ঘন অনুগামীদের নিয়ে বৈঠক করছেন তিনি।

দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় রোজই অনুগামীরা দেখা করতে আসছেন মুকুলের সঙ্গে দেখা করতে। সে সব দেখাশোনা বা বৈঠক সম্পর্কে সকলেরই মুখে কুলুপ। কিন্তু যেটুকু নির্যাস চুঁইয়ে বাইরে আসছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে, মুকুল-বিজেপি দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। যা থেকে প্রশ্ন উঠেছে—তিনি কি পদ্মফুল ছেড়ে আবার জোড়াফুলের পথে? তিনি নিজে যোগ না–দিলেও তাঁর অনুগামীরা কি অদূর ভবিষ্যতে সদলে ফুলবদল করতে চলেছেন?

৩৫৬ ধারা বাগবাজারের রসগোল্লা নয়:‌ তৃণমূল-আজকাল

বিতর্কটা মাঝে মাঝেই উঠছে। রাজ‌্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি বা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ। যা নিয়ে বিভক্ত বঙ্গ বিজেপি শিবির। হিংসার উদাহরণ তুলে কেউ খোলাখুলি এই ধারা প্রয়োগের দাবি জানাচ্ছেন। আবার কেউ বলছেন, যে কারণে এই ধারা প্রয়োগ হয় রাজ্যে তার থেকেও খারাপ পরিস্থিতি রয়েছে। কিন্তু প্রয়োগের বিষয়টি যে খুব সহজ কাজ নয়, তা বোঝাতে সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। বুধবার এই নিয়ে একটি টুইট করেছেন তিনি।

যেখানে  এই দাবি নিয়ে যারা সরব হয়েছেন তাঁদেরকে রীতিমতো একহাত নিয়েছেন। ব্যঙ্গ করে বলেছেন বিষয়টি বাগবাজারের রসগোল্লা নয় যে চাইলেই পাওয়া যায়। টুইটে ঠিক কী লিখেছেন সুখেন্দুশেখর? এই দাবির স্বপক্ষে থাকা নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‌৩৫৬ ধারা প্রয়োগের বায়নাক্কা বাগবাজারের রসগোল্লা নয়, যে চাইলেই পাওয়া যায়। গণতন্ত্রে মানুষের রায় এড়িয়ে যাওয়া যায় না। যারা এই সাংবিধানিক রীতিনীতি মানতে চায় না, তারা কর্তৃত্ববাদী তথা স্বৈরতান্ত্রিক ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী। বাংলার জনগণ এমন অশুভ শক্তিকে সম্পূর্ণ পরাস্ত করেছে।’‌ 

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পাশে আছি’, বৈঠকের পর কৃষক নেতাদের আশ্বাস মমতার -সংবাদ প্রতিদিন

কেন্দ্র কৃষকদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা তাঁদের সঙ্গে আছি।’ কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের (Rakesh Tikait) সঙ্গে সাক্ষাতের পর নবান্ন থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাফ জানিয়ে দিলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার জোর করে কৃষি আইন পাশ করিয়েছে। এই আইন বাতিল করতে হবে। এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) নিশ্চিত করে নতুন করে কৃষি আইন প্রণয়ন করতে হবে।

শুরু থেকেই দিল্লি সীমান্তে সাতমাস ধরে চলে আসা কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার প্রতিদান দিয়েছেন দিল্লির কৃষক নেতারাও। রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) আগে দিল্লি থেকে এসে বিজেপি বিরোধী প্রচার করে গিয়েছেন তাঁরা। সিঙ্গুর- নন্দীগ্রামেও প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ভোটের আগে মমতার সঙ্গে যে সুসম্পর্ক শুরু হয়েছে, ২৪-এর লোকসভার আগে তা আরও পোক্ত করার লক্ষ্যেই রাজ্যে এসেছিলেন কৃষক নেতারা।#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ