জুন ১০, ২০২১ ১৬:২১ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১০ জুন বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • সর্বোচ্চ ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশ: মার্কিনিদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি-ইত্তেফাক
  • কার্যকর পদক্ষেপ নেই অর্থ পাচার রোধে অনীহা -যুগান্তর
  • ৩৬ জেলায় করোনা রোগী বাড়ছে -প্রথম আলো
  • অনলাইনে প্রচারের আড়ালে হাজার কোটি টাকা পাচার!--কালের কণ্ঠ
  • বিদেশফেরতরা প্রণোদনার কী পেয়েছেন-মানবজমিন
  • সারা দেশে হচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ-বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • সংসদে অসত্য পরিচয় দিয়েছেন  নুসরত, তৃণমূল সংসদকে চাপে ফেলতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি।
  • উত্তর প্রদেশের আগামী নির্বাচন: নির্বাচন কমিশনার পদে যোগী 'ঘনিষ্ঠ', তুঙ্গে বিতর্ক-সংবাদ প্রতিদিন
  • ‌ পরিসংখ্যান সংশোধন, বিহারে এক ধাক্কায় কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯,৪২৯–আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

৩৬ জেলায় রোগী বাড়ছে-প্রথম আলো

করোনা ভাইরাসে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা

দেশের অর্ধেকের বেশি জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী; বিশেষ করে সীমান্তবর্তী ১৬টি জেলায় সংক্রমণ তুলনামূলক দ্রুত বাড়ছে। এগুলোর মধ্যে সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ছিল ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৫৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। সেখানে গত শনিবার থেকে লকডাউন চলছে, কিন্তু এখনো পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।

ঈদের পর থেকে সংক্রমণ ও রোগী বৃদ্ধির হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। দুদিন ধরে সংক্রমণ রেখায় ছোট উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। এক মাসের বেশি সময় পর গত মঙ্গলবার দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়ায়। গতকাল বুধবার দৈনিক শনাক্ত আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই দুই দিনই রোগী শনাক্তের হার ১২ শতাংশের ওপরে ছিল। একে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে আবারও সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে রেখেছে। ৭ জুন তালিকাটি হালনাগাদ করা হয়। ভারত, পাকিস্তানসহ ৬১টি দেশ আছে এই তালিকায়। এসব দেশে ভ্রমণ একান্ত জরুরি হলে মার্কিন নাগরিকদের আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে।

সীমান্তের গ্রামে গ্রামে করোনার উপসর্গ! করোনাক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে গড়ে সবচেয়ে কম টেস্ট বাংলাদেশে। এ দুটো শিরোনাম- দৈনিক মানবজমিনের। প্রথম আলোর খবর- সবাই টিকা দেবে বলে, কিন্তু হাতে আসছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কার্যকর পদক্ষেপ নেই অর্থ পাচার রোধে অনীহা-যুগান্তর

অর্থ পাচার রোধে অনীহা

দেশ থেকে টাকা পাচার বাড়ছে। এরসঙ্গে জড়িত সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, ঠিকাদার, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা। সাম্প্রতিক সময়ে এদের বেশ কিছু নাম প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টে অর্থ পাচারের তথ্যও এসেছে। কিন্তু অর্থ পাচার রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি এলেও বাজেটে অর্থ পাচার নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে অর্থ পাচার বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তা অস্পষ্ট। বিষয়টি নিয়ে সোমবার জাতীয় সংসদে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। এ সময়ে পাচারকারীদের নাম জানতে চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সাম্প্রতিক সময়ে একজন সংসদ সদস্যের বিদেশে অর্থ পাচারের খবর আসায় বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।

অন্যদিকে পাচার রোধে বেশ কয়েকটি মামলা দীর্ঘদিন থেকে আদালতে আটকে আছে। অর্থনীতিবিদ এবং সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাচার রোধে সবার আগে রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি। এক্ষেত্রে আইনকানুনের কোনো ঘাটতি নেই।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশে পাচার হওয়া কিছু অর্থ রেমিট্যান্স (প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ) আকারে ফেরত আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়ার এটি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। টাকা পাচার নিয়ে আন্তর্জাতিক ৪টি সংস্থার রিপোর্টেই বাংলাদেশ থেকে ভয়াবহ আকারে টাকা পাচারের তথ্য উঠে এসেছে।

এ সংস্থাগুলোর মধ্যে আছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই), সুইস ব্যাংক, ইউএনডিপি এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন আইসিআইজের পানামা ও প্যারাডাইস পেপার। জিএফআইর রিপোর্ট অনুসারে গত বছরে দেশ থেকে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সুইস ব্যাংকের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশটিতে বাংলাদেশিদের আমানত সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে ৮৪ জন বাংলাদেশির টাকা পাচারের তথ্য উঠে এসেছে।

সংস্থাগুলোর মতে, বাংলাদেশ থেকে যে সব টাকা পাচার হয়, তা যায় উন্নত ৩৬ দেশে। তবে সম্প্রতি বিএফআইইউ এবং দুদকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাচারের জন্য বড় ১০টি দেশ চিহ্নিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কর কম এবং আইনের শাসন আছে, অপরাধীরা সে সব দেশকেই বেছে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সিঙ্গাপুর, কানাডা, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, হংকং এবং থাইল্যান্ড। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। পাচারকারীরা অধিকাংশই প্রভাবশালী।

এছাড়াও নিজ থেকে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কানাডায় আন্দোলন শুরু করেছে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিদের একটি অংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে ৫ কারণে টাকা পাচার হচ্ছে। এর মধ্যে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশের অভাব, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার শঙ্কা, রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর দুর্বল নজরদারি, আইনের শাসনের ঘাটতি এবং বেপরোয়া দুর্নীতি। পাচার বন্ধ এবং আগে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-বিদেশে অর্থ পাচার ও সম্পদ গচ্ছিত রাখা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে অপরাধ দমনে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বড় বড় পাচারকারীদের নাম সামনে এলেও দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই।

জানতে চাইলে দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশ থেকে প্রতি বছর যে টাকা পাচার হয়, এটি তার আংশিক চিত্র। পুরো চিত্র আরও ভয়াবহ। কারণ মোট বাণিজ্যের ৩৬ শতাংশই বিদেশে পাচার হয়। তার মতে, অর্থ পাচারের অনেক কারণ রয়েছে। আর এগুলো বন্ধের জন্য সরকারের সদিচ্ছা নেই।

অনলাইনে প্রচারের আড়ালে হাজার কোটি টাকা পাচার!-কালের কণ্ঠ

ইন্টারনেটভিত্তিক বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিজ্ঞাপন প্রচারের আড়ালে দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা। তবে এই খাতে ঠিক কী পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে যাচ্ছে, তার কোনো সঠিক তথ্য কারো কাছে নেই। সরকারের কোনো দপ্তরও জানে না, এ খাতে কী পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপসহ যোগাযোগের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিতে গিয়ে বছরে হাজার কোটির বেশি অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। সরকার এক টাকাও রাজস্ব পাচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে সরকার।এদিকে ভোক্তাদের ফাঁদে ফেলতে বিভিন্ন সময় রহস্যজনক আচরণ করতে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।জানা গেছে, বিজ্ঞাপনের বাজার ধরতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নানা কায়দায় প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে সাধারণ মানুষকে। সুযোগ বুঝে একটি চক্র এসব প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে সরকারবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

বিদেশ ফেরতরা প্রণোদনার কী পেয়েছেন-মানবজমিন

করোনাভাইরাসের এই মহামারিতেও প্রতি মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হলেও রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের জন্য আশানুরূপ বরাদ্দ বাড়েনি প্রস্তাবিত বাজেটে। আগের দেয়া রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনাই বহাল আছে। এই মুহূর্তে দেশের সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের খাত হচ্ছে রেমিট্যান্স। অন্যদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বিদেশফেরত ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের নেয়া ঋণ কার্যক্রমেও গতি স্থবির। গত বছরের জুন মাসে প্রবাসীদের কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার জন্য ৭০০ কোটি টাকা সরকার থেকে বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে সরকার থেকে ছাড় করা হয় ২৫০ কোটি টাকা। এ অর্থ থেকে গত ১১ মাসে বিতরণ করা হয়েছে ২১৫ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।রেমিট্যান্সযোদ্ধারা বলছেন, তারা অনেক ঘুরেও নানা জটিলতায় ঋণ পাননি। ঋণ পাওয়া নিয়ে নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তাহলে বিদেশফেরতরা প্রণোদনার কী পেলেন প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের। অভিবাসন নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর জরিপ অনুযায়ী, করোনার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বিদেশ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছে। দেশে এদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ২০২০ সালের জুন মাসে ৭০০ কোটি টাকার ঋণ কর্মসূচি হাতে নেয়।

বিএনপি দৃশ্যমান শত্রু, করোনা অদৃশ্য শত্রু: কাদের-প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের বুলি মুখে নিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির লালন-পালনকারী দল হলো বিএনপি। বিএনপিকে মুখোশের আড়ালে বহুরূপী দানব।

আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন। দেশে এখন অদৃশ্য ও দৃশ্যমান দুটি শত্রু বিরাজমান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন অদৃশ্য শত্রু হচ্ছে করোনা আর দৃশ্যমান শত্রু বিএনপি।

 মন্ত্রী কাদের বিএনপির নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে অদৃশ্য শত্রু করোনার চেয়েও ভয়ংকর বলে মনে করেন।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

উত্তর প্রদেশে নির্বাচন ২০২২: নির্বাচন কমিশনার পদে যোগী 'ঘনিষ্ঠ', তুঙ্গে বিতর্ক-সংবাদ প্রতিদিন

সদ্য সমাপ্ত বঙ্গ ভোট চলাকালীনই নির্বাচন কমিশনের (Election Commision of India) নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। বিভিন্ন সময় বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছিল কমিশনের বিরুদ্ধে। এবার সেই প্রতিষ্ঠানের মাথায় বসলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি। যা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বছর ঘুরলেই যোগীগড়ে বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে এই নির্বাচনকে বিজেপির লিটমাস টেস্ট বলেই মনে করছেন অনেকে। এদিকে বিজেপির চিন্তা বাড়িয়েছে কোভিড পরিস্থিতি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভাবমূর্তি। এই দুয়ের গেঁরোয় অযোধ্যায় কুরসি দখল বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। আর এই চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে ঘর গোছানো শুরু করেছে তারা। বিজেপি দল ভাঙানোর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনেও ‘নিজেদের’ লোককে বসাচ্ছে অভিযোগে সরব হয়েছ বিরোধীরা। কেন এমন অভিযোগ উঠছে?

বুধবার দেশের নির্বাচন কমিশনারের পদের দায়িত্ব নেন অনুপচন্দ্র পাণ্ডে। তিনি উত্তরপ্রদেশেরই আইএএস ক্যাডার। শুধু তাই নয়, তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগীর প্রিয়পাত্র বলেও পরিচিত। ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেন তিনি। তার পর অনুপ পাণ্ডেকে নিজের মুখ্য উপদেষ্টা করতে চেয়েছিল যোগী। যদিও শেষপর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। পোড় খাওয়া এই আমলা কেন্দ্রের ও উত্তরপ্রদেশের একাধিক দপ্তরের মাথায় বসেছেন। সূত্রের খবর, যোগীর আমলে ৬১৩ কোটি টাকার ‘গো প্রকল্প’ এই আমলারাই মস্তিষ্কপ্রসূত। গোবলয়ে রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে এই প্রকল্পের অবদান অনেকটাই। আবার প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলার আয়োজন থেকে আগ্রার ভিশন পরিকল্পনা স্থগিত করে দেওয়া কিংবা জাতীয় প্রবাসী দিবসের সূচনা, সবটাই একা হাতে সামলেছিলেন অনুপ পাণ্ডে। তাই তা্ঁকে ছাড়তে চাননি যোগী। এবার যোগী আদিত্যনাথের সেই প্রিয়পাত্রই নির্বাচন কমিশনের মাথায় বসলেন। উল্লেখ্য, সাংবিধানিক নিরপেক্ষ পদে বসার আগে পর্যন্ত ফেসবুক কভার পেজে মোদি এবং যোগীর সঙ্গে ছবি চিল অনুপ পাণ্ডের। সূত্রের খবর, কমিশনের বাকি দুই কমিশনারও কেন্দ্রের শাসক দল ঘনিষ্ঠ।

তৃণমূলে ফিরছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়? বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন সৌগত-সংবাদ প্রতিদিন

রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে লাখ টাকার প্রশ্ন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় কি গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলেই ফিরতে চলেছেন? সেই প্রশ্নের উত্তর অজানা থাকলেও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্যে জল্পনা আরও উসকে গেল। সৌগত প্রকাশ্যেই বলে দিলেন, তৃণমূল ত্যাগ করলেও শুভেন্দু অধিকারীদের মতো মমতাকে নিয়ে বাজে কথা কখনও বলেননি মুকুল রায়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মুকুল ফিরতে চাইলে তৃণমূলের রাস্তা যে তাঁর জন্য খোলা, সেটা ইশারা ইঙ্গিতে বুঝিয়েই দিলেন সৌগত।বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল,”মুকুল অত খারাপ নয়। ও বাজে কথা বলে না।” আবার নজিরবিহীনভাবে বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত নিষ্ক্রিয়ই ছিলেন মুকুল। মূলত নিজের কেন্দ্রেই ভোট প্রচার সেরেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। ভোটের ফলপ্রকাশের পর গেরুয়া শিবিরের একাধিক বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত থেকেছেন। আবার নিজের সল্টলেকের বাড়িতে অনুগামীদের নিয়ে একাধিক বৈঠকও সেরেছেন। মঙ্গলবারও দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকে গরহাজির ছিলেন মুকুল। এদিকে বুধবারই সল্টলেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বিজেপির ‘দিলীপ বিরোধী’ শিবিরের নেতা সৌমিত্র খাঁ। শোনা যাচ্ছে, আরেক বেসুরো বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন মুকুল। এসবের মাঝে আবার হাসপাতালে মুকুলবাবুর অসুস্থ স্ত্রী-কে দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে আবার অভিষেকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু। সব মিলিয়ে মুকুলের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে,তখনই বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন সৌগত রায়।

তৃণমূল সাংসদ নুসরতকে কত কয়েকদিন নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আজকের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে খবরে লেখা হয়েছে,সংসদে অসত্য পরিচয় দিয়েছেন নুসরত,তাকে চাপে ফেলতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি। খবরে বলা হয়েছে,বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ শপথের সময় বলেছিলেন তার স্বামীর নাম নিখিল জৈন।তার সেই বক্তব্য এবং পরের নানা আলোচনা নিয়ে মাঠে বিজেপি। অমিত মালব্য এক টুইটে বলেছেন, নুসরত জাহানের ব্যক্তিগত জীবন, তিনি কাকে বিয়ে করেছেন, কার সঙ্গে লিভ ইন করছেন সেটা নিয়ে কারও কিছু বলার নেই। কিন্তু তিনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।রেকর্ড অনুযায়ী তার স্বামী নিখিল জৈন। তবে কি তিনি সংসদে অসত্য ভাষণ দিয়েছিলেন? এ প্রসঙ্গে দৈনিকটি আরও লিখেছে, গতকাল দুপুরে এক বিবৃতিতে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান বলেন, নিখিলের সঙ্গে আমি সহবাস করেছি। বিয়ে নয়। ফলে বিয়ে বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না। বিষয়টি সামনে আসতেই নতুন করে মুখে মুখে সেই আলোচনা। প্রশ্নও উঠছে নানারকম।

পরিসংখ্যান সংশোধন, বিহারে এক ধাক্কায় কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯,৪২৯-আজকাল

বারবার অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যে মৃত্যু এবং সংক্রমণের পরিসংখ্যান গোপন করছে নীতীশ কুমারের সরকার। এর পরেই নড়েচড়ে বসে পাটনা হাইকোর্ট। নির্দেশ দেয়, এপ্রিল আর মে, যখন কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে, সে সময়ের পরিসংখ্যানের অডিট করা হোক। তাই করতে গিয়েই মাথায় হাত। রাজ্যের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গেল প্রায় ৭২ শতাংশ।

আগে বিহার সরকার জানিয়েছিল, রাজ্যে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫,৫০০ জনের। এখন দেখা গেল রাজ্যে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৯,৪২৯ জনের।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ