জুন ১৪, ২০২১ ১৫:০৪ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক!১৪ জুন সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • মতামত‘নিখোঁজ’ আবু ত্ব-হা ও গুমের রহস্যভেদে সরকারের অনীহা -প্রথম আলো
  • মামলা করতে বাদীর এনআইডি বাধ্যতামূলক: হাইকোর্ট -ইত্তেফাক
  • বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান : কাদের -কালের কণ্ঠ
  • কিশোর গ্যাং লিডাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে -যুগান্তর
  • নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পরীমনির মামলা –মানবজমিন
  • আমাদের নাম্বার ওয়ান ইস্যু ১১ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবর্তন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • কৃষক স্বার্থে লড়াই চলবে’ সিঙ্গুর আইন পাশের ১০ ভচর পূর্তিতে টুইটে লিখলেন মমতা-আনন্দবাজার
  • চলে যাচ্ছে রাজ্য সভাপতির পদ! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, বাড়ছে জল্পনা-আজকাল
  • কোনওদিন ভোটে জেতেননি, BJP-ই বিধায়ক করেছিল’, মুকুলকে তোপ শুভেন্দুর -সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু’টি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. বাংলাদেশের রাজশাহী শহরের লকডাউনের চিত্র তুলে ধরে দৈনিক প্রথম আলো এক ফুল ব্যবসায়ীর বক্তব্য নিয়ে শিরোনাম করেছে- ‘সরকার একটু খাবারের ব্যবস্থা করলে এখানে এসে বসতে হতো না’। কী বলবেন আপনি এ খবর সম্পর্কে?

২.ইসরাইলের পরমাণু চুল্লিগুলোর ওপর নজরদারি করতে জোরালো আহ্বান জানিয়েছে কাতার। এই আহ্বানের গুরুত্ব কী?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পরীমনির মামলা-মানবজমিন

পরীমনির মামলা-নাসির উদ্দিন মাহমদুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে

আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সাভার থানায় এই মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলায় আসামি হিসেবে ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে আরও চারজনের নাম অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। সাভার থানার পরিদর্শক কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, পরীমনি বাদী হয়ে ৬ জনের নামে এ মামলাটি দায়ের করেছেন (মামলা নম্বর ৩৮)।

উল্লেখ্য, ৯ই জুন (বুধবারে) রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করা হয়। গতকাল প্রথম ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেন আলোচিত এ অভিনেত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চান তিনি। পরে রাতে সংবাদ সম্মেলনে ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি।এসময় তিনি বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। সংবাদ সম্মেলনে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন পরীমনি। তার অভিযোগ ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি) নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে। ঢাকা বোট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসির উদ্দিন একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তিনি উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি। অভিযোগের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।পরীমনি বলেন, উত্তরার বোট ক্লাবে (ঢাকা বোট ক্লাব) তার সঙ্গে ঘটনাটি ঘটে। নাসির উদ্দিন নামে একজন নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। চার মদ্যপ ব্যক্তি তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। চড়-থাপ্পড় মারেন। গায়ে আঘাত করেন।পরীমনি বলেন, ‘আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে না। আমি যদি মরে যাই, আপনারা বুঝবেন আমাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি সুইসাইড করতে পারি না। আমি সুইসাইড করব না। আমি আমার বিচার নিয়ে মরব। আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। আমার সাথে অন্যায় হয়েছে, বিচার চাই। আমি আজকে মরে গেলে... আমি সুইসাইড করি নাই, সবাই জেনে রাখেন। আর আমাকে যদি কেউ মারে, আমি যদি মরে যাই; ভাইয়ারা আপনারা বিচার কইরেন, আল্লাহর কসম।

কান্নারত পরীমনি

বিচার না পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, চার দিন ধরে একদম সাধারণ মেয়ের মতো মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু আমাকে কেউ সাহায্য করেনি। পরীমনি হিসেবে যখন স্ট্যাটাসটা দিলাম তখনই সবাই আসলেন।

পরীমনি বলেন, এমন ঘটনায় সাধারণ মেয়েরা প্রথমে কোথায় যায়? থানায় যায়। আমিও থানায় গিয়েছি। আমি বারবার বলেছি, ঘটনাটা যদি নিজের সঙ্গে না ঘটে তাহলে কেউ বুঝবে না।

পরীমনি আরও বলেন, সাধারণ কোনো মেয়ের হলে সে খবর হয়তো আপনাদের কাছে পৌঁছায় না। সাংবাদিকদের কাছে খবর পৌঁছানো হয় না। আমার মতো যখন কোনো মেয়েকে ভয় দেখানো হয় তখন সাধারণ মেয়ের খবর তো পাবেন না!

পুলিশ পাহারায় আছেন পরীমনি-প্রথম আলো

পরীমনি গতকাল রোববার রাতে সংবাদ সম্মেলনে বারবারই বলছিলেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে। এসব বলেই হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন হালের আলোচিত নায়িকা পরীমনি।

 সংবাদ সম্মেলনের পুরোটা সময় পরীমনির বাসায় ছিলেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরে আজম মিয়া। আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি যেহেতু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, আমাদের দায়িত্ব প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তাঁকে আমরা বিশেষ প্রহরায় রাখছি। তাঁর বাসা ও আশপাশে পুলিশ আছে। তাঁর নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয়, তা–ই করা হচ্ছে।’ আজ সরেজমিনে পরীমনির বাসায় দেখা যায়, এক ভ্যান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংক্রমণ বাড়ছে, হাসপাতালে খালি নেই শয্যা সীমান্তে অবাধে পারাপার-মানবজমিন

সীমান্তে সংক্রমণ বাড়ছে

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই। সঙ্গে মৃত্যুও। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী জেলা ও তার আশেপাশের জেলাগুলোতে। এক গ্রাম থেকে ছড়িয়ে পড়ছে আরেক গ্রামে। প্রতিদিনই সীমান্তের গ্রামগুলোতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার হট স্পট এখন সীমান্তবর্তী জেলাগুলো। এখানে ঘরে ঘরে রয়েছে করোনার উপসর্গ রোগী। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে কাবু জেলাগুলো।

এর পেছনের কারণ হিসেবে যোগ হয়েছে সীমান্তে অবাধে পারাপার। সীমান্তের চোরাই পথের সরু গলি দিয়ে কৌশলে চলছে এপার-ওপারে অবাধে যাতায়াত। জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিলও। এসব জেলার হাসপাতালে খালি নেই শয্যা। গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে সংক্রমণের হার বেড়েছে ২৭ শতাংশেরও বেশি। সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে মারা গেছেন ১৩ জন। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৮ জন। করোনা শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে

 ৫৩ দশমিক ৬৭ শতাংশে।  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী বাড়ার কারণে সাধারণ বেড ও আইসিইউ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছেন ৭৪ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৪৩ জন ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার। খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় একদিনে ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী খুলনা মেডিকেল কলেজ পিসিআর মেশিনে ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৫৬ জন খুলনা মহানগরী ও জেলার। এর মধ্যে ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলায় ৪৯ জন, বাগেরহাটে তিন, যশোরে দুই, নড়াইলে এক ও মাগুরায় একজন রয়েছেন।

এদিকে গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি জানান, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামেই ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৩৭ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ২৩ জন। তবে উপজেলার সীমান্তবর্তী তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামেই ১৩ জন, মেহেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৯ জন ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৫ জন। মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার নাসির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ভারতে বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণে এ রোগে সীমান্তবর্তী গ্রামে প্রভাব বিস্তার করছে। কারণ মেহেরপুরের সীমান্তের ওপারে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা। এ জেলার করিমপুর, তেহট্টি ফুলবাড়িয়া, বারুইপোতা, খানজিপুর, মোবারকপুর, লালবাজার, কৃষ্ণনগর, বেতায়, গোবিন্দপুর, হৃদয়পুর, সাহাপুর, নবীননগর গ্রাম। সীমান্ত সিলগালা থাকা সত্ত্বেও সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে শত শত ভারতীয় কৃষক প্রবেশ করছেন নোমান্সল্যান্ডে। ফলে দু’দেশের কৃষকরা পাশাপাশি মাঠের ক্ষেতে কাজ করছেন। ক্ষেতে কাজ করার সময় দু’দেশের কৃষকরা কখনো কখনো এক সঙ্গে মেলামেশা করছেন। গাংনীর সীমান্তবর্তী মৈত্রাপুর গ্রামের কৃষক মোকাদ্দেস আলী জানান, আমরা সীমান্তবর্তী গ্রামে বসবাস করি। মাত্র কয়েকশ’ মিটার দূরে ভারত। তফাৎ শুধু কাঁটাতার। একই জমির পাশাপাশি কাজ করতে হলে, দু’দেশের কৃষকদের মেলামেশা স্বাভাবিকভাবে হয়ে ওঠে।

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর হাসপাতালে করোনা রোগীদের শয্যা খালি নেই: সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা খালি থাকছে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত কিছু দিনে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। গতকাল করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়ে আরও বলেন, জানুয়ারি থেকে হিসাব করলে এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে। জুনে সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা খালি থাকছে না। গত কিছু দিনে আমরা খেয়াল করেছি, সমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। সেই জেলাগুলোকে তিনটি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ক্লাস্টারে রয়েছে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর। সেখানে শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের বেশি। দ্বিতীয় ক্লাস্টারে আছে চাঁপাই নবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ। তৃতীয় ক্লাস্টারে রয়েছে সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা। এই জেলাগুলোতে হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রয়েছে, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা অনুরোধ করবো মৃদু উপসর্গ দেখা দিলেই যেন প্রত্যেকে হাসপাতালে যান। আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত বেশি। পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ২৬ জন বেশি মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে একটু মনোযোগী হলে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক মৃত্যু আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। এই সাতদিনে সংক্রমণের চিত্রে একটি স্থিতি অবস্থা দেখতে পাচ্ছি যা ঊর্ধ্বমুখী। একটি কমার কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। সীমান্ত ছাড়াও কিছু কিছু জেলায় পরীক্ষায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে, যেমন ফরিদপুর। কম পরীক্ষা হচ্ছে বলেই শতকরা হার বেশি দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেসব ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার চাপ বেশি সেখান থেকে তুলনামূলক চাপ কম এমন ল্যাবে নমুনা পাঠানো হবে। অধিক সংক্রমিত সীমান্তবর্তী এলাকায় বিনামূল্যে পরীক্ষা হচ্ছে। যতক্ষণ ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা না যাচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।

মতামত-‘নিখোঁজ’ আবু ত্ব-হা ও গুমের রহস্যভেদে সরকারের অনীহা-অধ্যাপক আলী রিয়াজ

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে একজন তরুণ—মো. আফছানুল আদনান, যিনি আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান নামে পরিচিত—নিখোঁজ। তাঁর সঙ্গে গাড়িচালকসহ অপর দুই সঙ্গীর হদিসও মিলছে না বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিন দিনের বেশি পার হয়েছে। তাঁর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার কারণ জানা যায়নি এবং তাঁকে উদ্ধারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ ধরনের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার সংবাদ কেন উদ্বেগ ও শঙ্কার জন্ম দেয়, তা সবিস্তারে বলা দরকার নেই। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে এ ধরনের ‘নিখোঁজ’ ব্যক্তিরা আসলে যার শিকার হন, তাকে গুম ভিন্ন আর কিছু বলার সুযোগ নেই।

যদিও সরকারের পক্ষ থেকে সব সময় এ দাবি করা হয়ে থাকে যে বাংলাদেশে কোনো ধরনের গুমের ঘটনাই ঘটে না, কিন্তু দেশের এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো জোর দিয়ে বলে আসছে, বাংলাদেশে গুমের ঘটনা অব্যাহত। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের হিসাবে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ১১ জন গুম হয়েছেন। গত বছরের আগস্ট মাসে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য ছিল, গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে ৬০৪ জন গুমের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ৮৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং ৫৭ জন কোনো না কোনোভাবে ফিরে এসেছেন। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি) বাংলাদেশে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত গুম হওয়া ৫৩২ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে। কে কীভাবে গুম হয়েছিলেন, তারও বিস্তারিত সেখানে আছে। এ সংখ্যা যে বেড়েছে, তা আমরা তো দেখতে পাচ্ছি।

আশা করি, আদনান গুমের শিকার হননি এবং তিনি শিগগিরই ফিরে আসবেন। কিন্তু সময় যতই যাচ্ছে, ততই এ আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে আদনান গুমের শিকার হয়েছেন। তিনি স্বেচ্ছায় পালিয়ে আছেন বলে মনে করার কোনো কারণ পাওয়া যাচ্ছে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের অবস্থা আর কত দিন অব্যাহত থাকবে? একজন নাগরিক সহজেই নিখোঁজ হচ্ছেন এবং তাঁদের বিষয়ে সরকারের কোনো ধরনের উদ্বেগ নেই। সরকার যেহেতু দাবি করে যে বাংলাদেশে সংঘটিত ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনাগুলোর সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, তাহলে কেন বাংলাদেশে সরকার নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যাপারে অনাগ্রহী? এ বিষয়ে সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা অনুরোধ জানালে সরকার তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না।

  মামলা করতে বাদীর এনআইডি বাধ্যতামূলক: হাইকোর্ট-ইত্তেফাক

এখন থেকে থানায় বা আদালতে কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি দাখিল করতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার (১৪ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রাজধানীর শান্তিনগরের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ৪৯টি ‘ভুয়া’ মামলার বাদীদের খুঁজে বের করতে দায়ের করা রিটের শুনানিতে ভুয়া মামলা ঠেকাতে আদালত এ আদেশ দেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান : কাদের-কালের কণ্ঠ

বিএনপির হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দেশে গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি।'

সোমবার (১৪ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সৈনিক লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের রাজনীতিতে পারস্পরিক যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা হয়েছে তা বিএনপির তৈরি। আওয়ামী কখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল না এবং বেগম জিয়াকেও কখনো হত্যার ষড়যন্ত্র করেনি।

গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সহাবস্থানে যে সহযোগিতা প্রয়োজন সেখানে বিএনপি বড় বাধা সৃষ্টি করে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

অদৃশ্য শত্রু করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের বিষয় মাথায় রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে সামিল হতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্র রক্ষার পাশাপাশি দলের কর্মীদেরও বাঁচাতে হবে।

 ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

কৃষক স্বার্থে লড়াই চলবে’ সিঙ্গুর আইন পাশের ১০ ভচর পূর্তিতে টুইটে লিখলেন মমতা বন্দোপাধ্যায় আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে,কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে কৃষকদের স্বার্থে লড়াই চলবে। আজ এক টুইটে কৃষকদের দাবি আদায় এবং তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তনে নিজের লড়াইয়ের কথা স্মরণ করেছেন মমতা। তিনি কৃষকদের প্রতি নরেন্দ্র মোদির উদাসীনতার কথা তুলে ধরেছেন।

‘মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই’, টুইট করে মুকুল ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেত্রীর দলত্যাগ-সংবাদ প্রতিদিন

অতি অল্প সময়ের মধ্যে তালিকাটা ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে। মুকুল রায় (Mukul Roy) বিজেপি ছাড়তেই একে একে দলত্যাগ করে ঘাসফুল শিবিরে ঝুঁকছেন দলের একাধিক নেতানেত্রী। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন রাজ্য কিষাণ মোর্চার সম্পাদক তথা আইনজীবী দেবযানী দাশগুপ্ত। সোমবার সকালে তিনি টুইট করে গেরুয়া শিবিরের যাবতীয় পদে ইস্তফার কথা প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে এও লেখেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। তাই দলবদলের সিদ্ধান্ত। দেবযানীর পদত্যাগ নিয়ে এখনও বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

কয়েকদিন আগেই বিজেপির (BJP) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। ফিরে গিয়েছেন পুরনো ঘরে। স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে বিজেপির অনেক নেতাই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। সেই তালিকায় এবার নাম জুড়ল মুকুল রায়ের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। সুকৌশলে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ককে কটাক্ষ করে তিনি বললেন, “মুকুল দা কোনওদিনই ভোটে জেতেননি, বিজেপিই বিধায়ক করেছিল।”

শ্রোতাবন্ধুরা! কথাবার্তার আজকের আসর এখানেই গুটিয়ে নিচ্ছি। আবারও কথা হবে আগামী আসরে। ততক্ষণ সবাই ভালো ও সুস্থ থাকুন।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৪

ট্যাগ