জুন ১৭, ২০২১ ১৬:৪০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৭ জুন বৃৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • বড় ভূমিকম্পে ঢাকায় প্রাণহানির মূলে থাকবে আগুন-ইত্তেফাক
  • হঠাৎ উত্তপ্ত সংসদ- মানবজমিন
  • বাংলাদেশকে টিকা সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: চীনা রাষ্ট্রদূত-প্রথম আলো
  • রোহিঙ্গাদের ফেরাতে একটি স্পস্ট রোডম্যাপ চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী- কালের কণ্ঠ
  • বিএনপি সহাবস্থানের রাজনীতির পথে অন্তরায়: কাদের-দৈনিক যুগান্তর

  • কী হলো বৈঠকে? -দৈনিক সমকাল

ভারতের শিরোনাম:

  • দু’টি টিকায় হবে না, তিনটি টিকাই পারে কোনও কোনও রোগীকে নিরাপত্তা দিতে, বলছে সমীক্ষা-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ‘নতুন কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের সূচনা, আজ থেকেই শুরু টাকা বণ্টন-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • সকালে বৈঠক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে, বিকেলে দেখা করবেন শাহের সঙ্গে, রাজ্যপালের গতিবিধিতে জল্পনা –আজকাল 

বড় ভূমিকম্পে ঢাকায় প্রাণহানির মূলে থাকবে আগুন-ইত্তেফাক

১৮৯৭ সালে ভারতের আসামে স্মরণকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ১২৪ বছর পূর্ণ হয়েছে গত ১২ জুন। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৭। এ ঘটনার প্রভাব পড়েছিলো ২৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা ঢাকাতেও, ভূমিকম্প তীব্রতার স্কেলে সেসময় রাজধানীর কম্পন ছিলো সাতের বেশি।

ডাউকি ফল্টে অতীতের একই মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহর তীব্রতার স্কেলে সাত থেকে আটের মধ্যে কাঁপবে। এই কম্পন ঠেকিয়ে টিকে থাকবে এমন ভবন ঢাকা শহরে খুব বেশি নেই। তাই এমন ঘটনায় শহরে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। কয়েক বছর আগে সিসমিক ভারনাবিলিটি এসেসমেন্ট অফ বিল্ডিং অফ ঢাকা নামের এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, শহরে ৩০ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ইত্তেফাক অনলাইনকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে রাজধানীর ৩০ ভাগ বিল্ডিং পুরোপুরি ধসে পড়তে পারে। ঢাকায় এখন ভবনের সংখ্যা চার লাখের আশেপাশে। সে হিসেবে আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজার ভবন ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানি হতে পারে ৪০ লাখের কাছাকাছি। প্রাণহানির মূল কারণ হতে পারে আগুন। ভেঙে পড়া গ্যাসের পাইপলাইন থেকে গ্যাস বেরোনোর সম্ভাবনা ব্যাপক। গ্যাস থেকে পুরো ভবনে আগুন লাগতে পারে। 

হঠাৎ উত্তপ্ত সংসদ- মানবজমিন

হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জাতীয় সংসদ। বিতর্কের বিষয় ক্লাব, মদ ও জুয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকের শুরুতে এই অনির্ধারিত আলোচনায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও তরিকত ফেডারেশনের পাঁচ সাংসদ অংশ নেন।আলোচনার সূত্রপাত করেন জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হক। তিনি চিত্র নায়িকা পরীমনির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তিনি বলেন, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা বোট ক্লাব। কে করল এই ক্লাব? এই ক্লাবের সদস্য কারা হয়? শুনেছি, ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা দিয়ে এ ক্লাবের সদস্য হতে হয়।

এত টাকা দিয়ে কারা ক্লাবের সদস্য হন? আমরা তো ভাবতেই পারি না।তিনি আরো বলেন, এসব ক্লাবে মদ খাওয়া হয়। জুয়া খেলা হয়।বাংলাদেশে মদ খেতে হলে লাইসেন্স লাগে। সেখানে গ্যালন-গ্যালন মদ বিক্রি হয়। লাইসেন্স নিয়ে খেতে হলে এত মদ তো বিক্রি হওয়ার কথা নয়। তিনি প্রশ্ন রাখেন, সরকারি কর্মকর্তারা কীভাবে এসব ক্লাবের সদস্য হন? এত টাকা কোথা থেকে আসে?জাতীয় পার্টির এই সাংসদ বলেন, গুলশান-বারিধারা এলাকায় ডিজে পার্টি হয়। সেখানে ড্যান্স হয়। নেশা করা হয়। মদ খাওয়া হয়। এসব আমাদের আইনে নেই, সংস্কৃতিতে নেই, ধর্মে নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন, কেন এসব হচ্ছে? কেন এগুলো বন্ধ করা হবে না? ওই সব ক্লাবের সদস্য কারা হয়?

বিএনপি সহাবস্থানের রাজনীতির পথে অন্তরায়: কাদের-দৈনিক যুগান্তর

বিএনপি কথামালার আড়ালে জনবিরোধী এক ধ্বংসাত্মক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার নিজ দফতরে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, যারা হত্যা ও ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে তারাই দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে অন্যতম প্রধান বাধা।

বিএনপিই এদেশে সহাবস্থানের রাজনীতির পথে অন্তরায়। তিনি বলেন, বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতি সহাবস্থানের পরিবেশকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে দিনের পর দিন। বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের অন্তরে ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসা।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের চলমান অগ্রযাত্রায় প্রয়োজন দায়িত্বশীল বিরোধী দল কিন্তু বিএনপি সেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে অব্যাহতভাবে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।

বাংলাদেশকে টিকা সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: চীনা রাষ্ট্রদূত-প্রথম আলো

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে টিকা সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। গতকাল বুধবার হাইব্রিড ধানের জনক অধ্যাপক ইউয়ান লংপিং স্মরণে বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএ) আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এই আশ্বাস দেন লি জিমিং। সিড অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইব্রিড জাতের ধানের উদ্ভাবক হিসেবে অধ্যাপক ইউয়ান লংপিংয়ের নাম সারা বিশ্বেই স্বীকৃতি। এই ধান উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই বিজ্ঞানী দারিদ্র্য বিমোচনসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। ইউয়ান লংপিং ৯১ বছর বয়সে গত ২২ মে চীনের হুনান প্রদেশের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর স্মরণে ভার্চ্যুয়াল সভাটির আয়োজন করা হয়। সভায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বিপদে বন্ধুর পরিচয়। চীনের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক বাজারে করোনার টিকার ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা চলছে।

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে একটি স্পস্ট রোডম্যাপ চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী- কালের কণ্ঠ

মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তবে এ সংকটের সমাধান নিহিত রয়েছে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ওপর, যা গত চার বছরেও সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জাতিসংঘ একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করুক'। জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার-বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল আব্দুল মোমেন। গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। 

বার্গনারের সঙ্গে বৈঠকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ সময় ধরে কক্সবাজারে অবস্থানের নেতিবাচক দিক, বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসরত মূল জনগোষ্ঠীর ওপর তার বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, খুব দ্রুত যদি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হয়, তাহলে তা কেবল ওই এলাকারই সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে না, বরং সংশ্লিষ্ট অঞ্চল ও তার বাইরেও অস্থিরতা তৈরি করবে।

কী হলো বৈঠকে? -দৈনিক সমকাল

বৈঠকে বসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় হওয়া এই বৈঠক নিয়ে বিশ্ব নেতাদের প্রত্যাশা ছিল অনেক। তবে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে পার্থক্য রয়েই গেছে।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জেনেভাতে তাদের আলোচনার প্রশংসা করেছেন। কিন্তু ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের এই বৈঠকে অগ্রগতি হয়েছে খুব সামান্যই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বিভিন্ন ইস্যুতে মতপার্থক্য উঠে এলেও তেমন বড়সড় কিছু হয়নি। তিনি এটাও বলেছেন- রাশিয়া নতুন করে স্নায়ু যুদ্ধ চায় না। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বাইডেন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং তারা দুজনই একই সুরে কথা বলেছেন।

দু’টি টিকায় হবে না, তিনটি টিকাই পারে কোনও কোনও রোগীকে নিরাপত্তা দিতে, বলছে সমীক্ষা-আনন্দবাজার পত্রিকা

অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে এমন মানুষ বা ক্যানসার আক্রান্তদের কোভিডের টিকা কতটা নিরাপত্তা দিতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। দেখা গিয়েছিল, এই সব রোগীদের বড় অংশের শরীরেই পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছিল না টিকার ২টি টিকা নেওয়ার পরেও। কিন্তু এ বার সে ক্ষেত্রেও আশার আলো! হালের গবেষণা বলছে, এই সব রোগীদের ক্ষেত্রে ২টির বদলে টিকার ৩টি টিকা দারুণ কাজের হয়ে উঠতে পারে।

যাঁদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে, হালে তাঁদের নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁদের শরীরে করোনা টিকার প্রভাব কেমন হয়, তা তাঁরা দেখেছেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৩ ভাগের ১ ভাগ রোগীর শরীরে টিকার ২টি টিকার পরেও কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। ৩ ভাগের ১ ভাগ রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও তার পরিমাণ অতি সামান্য। গবেষক দলের সদস্য ডোরি সেগেভ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘এমনটা ধরে নেওয়ার অর্থ নেই, ২টি টিকার পরেও অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না মানে, জীবন শেষ!’’

সকালে বৈঠক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে, বিকেলে দেখা করবেন শাহের সঙ্গে, রাজ্যপালের গতিবিধিতে জল্পনা –আজকাল

মঙ্গলবার দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ইতিমধ্যেই একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। আজ সকালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর আজ সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যপাল। ওই বৈঠকে ভোট-পরবর্তী হিংসা সহ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

গত সোমবার শুভেন্দু সহ প্রায় ৫৫ জন বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে রাজ্যপালের রাজভবনে বৈঠক হয়।  সেখানে ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। এমনকী, বিজেপি এর আগে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারিরও দাবি তোলে। শুভেন্দুকে পাশে রেখে রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাজ্যপালও। তারপরই রাজ্যপালের দিল্লি সফরকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল। গতকাল একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ কুমার মিশ্রেরসঙ্গেও বৈঠক করেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আর এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আজ বৈঠকের কথা জানাজানি হতেই জল্পনা আরও শুরু হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ‘নতুন কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের সূচনা, আজ থেকেই শুরু টাকা বণ্টন-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

বাংলার কৃষিক্ষেত্রকে আরও সমৃ্দ্ধ করতে দ্বিতীয় দফায় ‘কৃষকবন্ধু’ (Krishak Bandhu) প্রকল্প চালু হল আনুষ্ঠানিকভাবে। নবান্ন সভাঘর থেকে ‘নতুন কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের ভারচুয়াল সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এর সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকদের দপ্তর থেকে প্রকল্পের জন্য মাথা পিছু বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া শুরু হয়ে গেল।

বৃহস্পতিবারই বেশ কয়েকজন কৃষকের হাতে পৌঁছে গেল টাকা। এই প্রকল্পে খেতমজুর, বর্গাদারদের জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁরা মাথা পিছু চার হাজার টাকা করে পাবেন। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে কৃষকদের বার্ধক্যভাতাও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন ৬০ লক্ষ কৃষক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর এত দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পের বাস্তবায়ন করায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত কৃষকরা।#

পার্সটুডে/ বাবুল আখতার /১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

 

ট্যাগ