জুলাই ০৮, ২০২১ ১২:৪৬ Asia/Dhaka
  • করোনার ঢেউ দেশজুড়ে: মৃত্যু-আক্রান্ত ও ক্ষুধার আহাজারি ‘আমারে কামে নিয়া যান স্যার!'

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৮ জুলাই বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • জটিল রোগীদের ভর্তি নিতে পারছে না সরকারি হাসপাতাল –মানবজমিন
  • রাজধানীতে বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে ৪ হাজার গ্রেপ্তার-প্রথম আলো
  • আমারে কামে নিয়া যান স্যার, আমারে নিয়া যান'কাজের জন্য হাহাকার- কালের কণ্ঠ
  • সাতক্ষীরায় একদিনে রেকর্ড ১৪ জনের মৃত্যু -যুগান্তর
  • শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে আট ধাপ পেছালো বাংলাদেশ -ইত্তেফাক
  • গ্রাহকের ৩৩৮ কোটি টাকার হদিস নেই-ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রে চিঠি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • কাজের মূল্যায়ন এবং রাজনীতির সমীকরণ মিলিয়েই রদবদল মোদির মন্ত্রিসভায়-আনন্দবাজার
  • শুভেন্দুকে দেখলেই’বাবাকে বলো’ কটাক্ষ তৃণমূলের-আজকাল
  • গার্ডেনরিচে তরুণীকে গণধর্ষণ ও লুঠপাটের ঘটনার তদন্তে SIT গঠন, এখনও অধরা অভিযুক্ত -সংবাদ প্রতিদিন

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

বাংলাদেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। বিশেষ করে সীমান্তের জেলাগুলো উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। মৃত্যুও আতঙ্কজনক পরিস্থিতে রয়েছে। ‌এদিকে, সর্বাত্মক লকডাউনের আজ অষ্টম দিন। প্রায় সব জাতীয় দৈনিকে করোনা সম্পর্কিত নানা খবর পরিবেশিত। প্রথম আলোর কয়েকটি শিরোনাম-তিনজেলায় বেশি মৃত্যু-স্বাস্থ্যের উদাসীনতায় খুলনার পরিস্থিতি নাজুক। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত  রেকর্ডসংখ্যক ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেন সংকটে। মৃতদের  চারজন ছিলেন করোনা পজিটিভ। অন্যরা মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অক্সিজেনের অভাবে মারা যাওয়ার খবর অস্বীকার করেছে। অপ্রতুল ব্যবস্থাপনার কারণে মৃত্যু বেড়েছে। উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চরম অব্যবস্থাপনা ও লোকবলের অভাবের খবর দিয়েছে ইত্তেফাক। বাংলাদেশে প্রতিদিনের খবর- বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখী রোগীর স্রোত, রাজধানীর হাসপাতালে ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই অবস্থা!

নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন,স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশায় শতভাগ দায়ী সরকার। জিএম কাদের বলেছেন, সব জেলাইতেই দ্রুত আইসিইউ করতে হবে।

ডেঙ্গু রোগীর ৯৭% ঢাকায়, বাইরে বাড়ছে কালাজ্বর-কালের কণ্ঠ

সব হাসপাতালেই এখন নির্দেশনা দেওয়া আছে, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে কোনো রোগী এলেই করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু টেস্টও করতে হবে। সাধারণ মানুষের প্রতিও স্বাস্থ্য বিভাগ বারবার সচেতনতামূলক বার্তা দিচ্ছে, কভিড টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ এলে ডেঙ্গু টেস্ট করানোর জন্য। কিন্তু কোনো দিকেই তেমন ভ্রুক্ষেপ নেই। অথচ দেশে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে চলছে। বিশেষ করে রাজধানীতে হঠাৎ বেড়ে গেছে ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বুধবার ভোরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীর একটি হাসপাতালে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮ জনই রাজধানীর। এ ছাড়া মোট ১৩১ জন রোগী সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে। ডেঙ্গুর এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে থাকা ডেঙ্গু টেস্ট কিট ফুরিয়ে আসছে দ্রুত।

আমারে কামে নিয়া যান স্যার, আমারে নিয়া যান...'কাজের জন্য হাহাকার-কালের কণ্ঠের শিরোনাম এটি।

ফুটপাতে বসে থাকা মানুষগুলোর কাজের আকুতি।তাদের আবেদন হয় কাজ দেন না হয় খাবারের ব্যবস্থা কইরা দেন।মানবজমিন লিখেছে, নগর দরিদ্ররা ত্রাণ-সহায়তা কিছুই পাচ্ছে না। তখন সকাল সাড়ে ৬টা। রাজধানীর নতুনবাজারসংলগ্ন ফুটপাতে দেখা গেল হাজারখানেক নারী-পুরুষ। এগিয়ে যেতেই দ্রুত ছুটে এলেন তাঁদের অনেকে। কেউ কেউ জানতে চাইলেন, দিনমজুর হিসেবে কাজের লোক লাগবে কি না। কেউ কেউ বললেন, ‘আমারে কামে (কাজে) নিয়া যান স্যার, আমারে নিয়া যান...।’

জবাবে ‘লাগবে না’ বলে এই প্রতিবেদক নিজের পরিচয় দিতেই কেউ কেউ সরে গেলেন। কেউ কেউ বললেন, ‘পরিচিত কোথাও আমাদের একটা কাজের ব্যবস্থা কইরা দেন। না হইলে অন্তত সরকারের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা কইরা দেন। ত্রাণের ব্যবস্থা কইরা দেন।’ অন্তত ৫০ জন এমন অনুরোধ করে এই প্রতিবেদকের কাছে নিজেদের নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর দেন। বলেন, সম্ভব হলে কোনো ত্রাণের তালিকায় যেন তাঁদের নামগুলো তোলার ব্যবস্থা করা হয়।

রাজধানীতে বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে ৪ হাজার গ্রেপ্তার এ শিরোনামের খবরে দৈনিক প্রথম আলো লিখেছে, চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসায় গত সাত দিনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ৪ হাজার ১৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে বিধিনিষেধ ভঙ্গ-গ্রেপ্তার হওয়া বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ বলে দৈনিকটির অপর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে,

বরিশালের আবুল হোসেন ঢাকার নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে ভ্যানগাড়িতে করে চা-বিস্কুট বিক্রি করে সংসার চালিয়ে আসছেন। তবে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে গত বৃহস্পতিবার থেকে দোকানটি বন্ধ রেখেছিলেন। তবে গত সোমবার দিবাগত রাতে আবুল হোসেনের দোকানের মালামাল চুরি হয়। খবর শুনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিনি দোকানের সামনে আসেন। তখন নিউমার্কেট এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। রাতে থানাহাজতে ছিলেন। আজ বুধবার আবুল হোসেনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠায় পুলিশ। ডিএমপি অধ্যাদেশে করা মামলায় ১০০ টাকা জরিমানা দিয়ে একদিন জেল খেলে ছাড়া পান তিনি। কেবল চা বিক্রেতা আবুল হোসেন নয়, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগে গতকাল ঢাকার সিএমএম আদালতে ৫৫৫ জনকে হাজির করা হয়। তাঁদের প্রত্যেকে ১০০ টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। ঢাকার সিএমএম আদালতে সরেজমিনে দেখা যায়, কঠোর বিধিনিষেধ না মেনে রাস্তাঘাটে আসা এবং দোকানপাট খোলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ।

অন্যদিকে কঠোর বিধিনিষেধে নিম্নবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষকে গ্রেপ্তার, আটক ও জরিমানা করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা ২০টি সংগঠনের এই জোট গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছে, গত কয়েক দিনে ঢাকা শহরে গ্রেপ্তার বা আটক ব্যক্তিদের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষসহ যাঁরা জরিমানা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের জেলে পাঠানো হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তাঁদের জরিমানা ও কারাগারে না পাঠাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে আট ধাপ পেছালো বাংলাদেশ-ইত্তেফাক

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে আট ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার প্রকাশিত হেনলি পাসপোর্ট সূচকে এ তথ্য জানা যায়। গ্লোবাল সিটিজেনশিপ এবং রেসিডেন্সি পরামর্শক লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রতি বছর এই সূচক প্রকাশ করে। ভিসা ছাড়া কোন পাসপোর্ট দিয়ে কতটি দেশে ভ্রমণ করা যায় তার ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে সংগৃহীত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ভ্রমণ তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সূচক তৈরি করা হয়। ২০২০ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৮। চলতি বছর সেই অবস্থান থেকে আরো আট ধাপ নেমে বাংলাদেশ ১০৬ নম্বরে চলে এসেছে। বর্তমান সূচক অনুযায়ী আগাম ভিসা ছাড়া ৪১টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা। তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গী হিসেবে রয়েছে লেবানন ও সুদান।

অক্সফাম ও সুপ্রর সমীক্ষা-করযোগ্য লোক কত, জানে না এনবিআর-প্রথম আলো

বাংলাদেশে কত লোকের করযোগ্য আয় আছে, সেই পরিসংখ্যান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে নেই। বাংলাদেশে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ কর দেন। আর ২৪ লাখ ৪৩ হাজার করদাতা বার্ষিক আয়কর বিবরণী দেন।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম ও সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের (সুপ্র) ‘অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়’বিষয়ক এক সমীক্ষায় এই কথা বলা হয়েছে। সেখানে কর-ন্যায্যতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। সমীক্ষাটি নিয়ে গতকাল বুধবার অনলাইনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এ দেশের গরিব মানুষেরা প্রতিদিন নানাভাবে কর দেন। যেমন মুঠোফোনের বিল, গ্যাস, ওষুধ, বিদ্যুৎসহ নানা ধরনের জরুরি সেবার ওপর ভ্যাট দেন গরিব মানুষেরা।। কিন্তু তাঁরা যে প্রতিনিয়ত কর দেন, তা নিয়ে তাঁদের কোনো ধারণা নেই। অথচ দেশের ৭১ শতাংশ গরিব মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বাইরে আছেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে গরিব নন, এমন মানুষ সুবিধা ভোগ করেন। যেমন পেনশন ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তার এক-তৃতীয়াংশ টাকা খরচ হয়।

সমীক্ষায় ভ্যাট খাত বিস্তৃত না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়, মাত্র ১০টি খাত থেকে ভ্যাটের ৮১ শতাংশ আসে। এই খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সিগারেট, গ্যাস, নির্মাণ, মুঠোফোন, আগাম ভ্যাট, সরবরাহ সেবা, ওষুধ, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা, বিদ্যুৎ, ব্যাংক সেবা।

নতুন ভ্যাট আইনে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করার কথা। সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ১০ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসকেল ডিভাইস (ইএফডি) বা ভ্যাটের মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পর্যন্ত ৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসানো হয়েছে, যা ভ্যাটের অনলাইন নিবন্ধন নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মাত্র ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে আরও সাত হাজার ইএফডি বসানোর পরিকল্পনা আছে।

সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, মোট রাজস্ব আদায়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের ব্যবধান কমে আসছিল। তিন-চার বছর ধরে তা আবার বাড়ছে। এখন মোট রাজস্ব আদায়ের ৭০ শতাংশ আসে পরোক্ষ কর থেকে। আর প্রত্যক্ষ কর আসে ৩০ শতাংশের মতো।

সুপ্রর পরামর্শক মো. শহিদ উল্লাহ প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, সঠিকভাবে সরকারি সেবা পান না। তাই মানুষ কর দিতে উৎসাহিত হন না। আবার কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বারবার দেওয়া হয়। কম হারে কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করা যায়। তাই মানুষ কর দিতে আগ্রহী হন না।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আইনের সংস্কারের প্রয়োজন আছে। সরকার অবশ্যই সংস্কার করবে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে এনবিআরকে আরও বেশি আধুনিক হতে হবে। যেমন কম লোক, বেশি যন্ত্রের ব্যবহার।

এনবিআরকে অনেক সময় সক্ষমতার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করার লক্ষ্য দেওয়া হয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান। তিনি বলেন, বাড়তি লক্ষ্য দেওয়ার কারণে এনবিআর আদায় করতে পারে না।

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, কর আহরণকারী ও কর প্রদানকারী—কেউ প্রথাগত ব্যবস্থা বদলাতে চান না। তাই শুল্ক-করসংক্রান্ত সংস্কারে অনীহা।

গ্রাহকের ৩৩৮ কোটি টাকার হদিস নেই-ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রে চিঠি-বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ৪ জুলাই পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রাহক ও মার্চেন্টের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে টাকা আত্মসাৎ কিংবা অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

করোনা কালে বন্ধ রোজগার, ঢাকুরিয়ায় বাসের ভিতরেই ‘আত্মহত্যা’ চালকের-সংবাদ প্রতিদিন

বন্ধ বাসের ভিতর থেকে উদ্ধার বাসচালক রঞ্জিত সাউয়ের দেহ। ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল গণপরিবহণ। ফলে ৫২ বছর বয়সী ওই বাসচালক চরম আর্থিক সংকটের শিকার হন। সম্ভবত সে কারণেই আত্মহত্যা করেন তিনি বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকুরিয়া ব্রিজের নিচে বন্ধ বাসের ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। করোনাকালে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে অর্থকষ্টে অনেক গরিব মানুষের আত্মহত্যার খবর মিডিয়াতে এসেছে। একদিকে করোনায় মৃত্যু অন্যদিকে খেতে না পেরে অভাবে মৃত্যু-বড় মর্মান্তিক এসব চিত্র।

কাজের মূল্যায়ন এবং রাজনীতির সমীকরণ মিলিয়েই রদবদল মোদির মন্ত্রিসভায়-আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,মন্ত্রিসভায় রদবদলের জল্পনা শুরু হয়েছিল কয়েকমাস ধরেই। সেটি হলো গতকাল। দেশটির মন্ত্রিসভায় বড় ধরণের রদবদল আনলেন নরেন্দ্র মোদি। একইসাথে গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ১২ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকার ভাষায় ১২ জনকে ছাটাই করা করা হয়েছে।তবে ছাটাই হওয়ার পর গতকাল সন্ধ্যায় বাবুল সুপ্রিয় বলেন-ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছি। আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল-এটি সঠিক পদ্ধতি নাও হতে পারে। বিজেপি নেতাদের একাংশ বলছে এতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাজের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন-মন্ত্রিসভা থেকে কে বাদ পড়বেন কে থাকবেন তা স্থির করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর আছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের চার সাংসদ নতুন মন্ত্রী হলেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিতে সরগরম আলোচনা চলছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৮

ট্যাগ