স্বাস্থ্যকথা
বাংলাদেশে ভয়াবহ রূপে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: করণীয় সম্পর্কে চিকিৎসক যা বললেন
শ্রোতাবন্ধুরা! স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যকথা'র আজকের আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও সংক্রমণ ও মৃত্যু ছাড়িয়েছে নতুন রেকর্ড। দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের যে চিত্র দাঁড়িয়েছে, তাতে জনস্বাস্থ্যবিদসহ বিশেষজ্ঞরাই পরিস্থিতিকে 'ভীষণ আতঙ্কজনক' বলে মনে করছেন।
এ পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব না হলে তা দেশের চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি- ঢাকার মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. কবীরুল হাসান বিন রকীবের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ ও অনুষ্ঠানটি তৈরি করেছেন আশরাফুর রহমান।
রেডিও তেহরান: জনাব ডা. কবীরুল হাসান, আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর রেকর্ডও হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। করোনা মোকাবিলায় ইতোমধ্যে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জুলাই মাসে ব্যাপকভাবে টিকাদান শুরু হবে। এ দিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে। এ অবস্থায় করোনার টিকা বাংলাদেশের মানুষকে কতটা সুরক্ষিত করবে?
ডা. কবীরুল হাসান: ধন্যবাদ, চমৎকার প্রশ্নটির জন্য। টিকা সুরক্ষা দেয় এটা প্রমাণিত এবং কোনো জীবাণুর বিরুদ্ধে কিভাবে সুরক্ষা দেয় সেটাও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত।
করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সুরক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসার অন্যতম মূল কারণ ভাইরাসটির প্রতিনিয়ত মিউটেশন বা চরিত্রবদল। যে কারণে নতুন নতুন মিউটেশনপ্রাপ্ত ভাইরাসগুলোর বিপক্ষে ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষা দেবে সে প্রশ্নটি নিঃসন্দেহে প্রণিধানযোগ্য।
করোনা ভ্যাকসিন হলো একটি লাইভ এটেনুয়েটেড ভ্যাকসিন।
লাইভ এটেনুয়েটেড ভ্যাকসিনের মাধ্যমে একটি জীবাণুর জীবনী শক্তি বা রোগ তৈরির ক্ষমতা কমিয়ে মানব শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করার পর একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এরা শরীরে একাধারে এন্টিবডি তৈরি করে এবং একপ্রকার বোধশক্তি সম্পন্ন কোষ বা 'মেমোরি সেল' তৈরি করে। প্রয়োজনীয় সময়ে লাইভ এটেনুয়েটেড ভ্যাকসিনগুলো তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু চরিত্র সম্পন্ন জীবানুকে চিনে রাখতে পারার শক্তি দিয়ে নতুন কোনো সংক্রমণকে নতুন করে এন্টিবডি তৈরির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ বলয় তৈরি করে। এটাই বিজ্ঞানের বক্তব্য।
করোনার অতিমাত্রায় চরিত্র রূপান্তরজনিত ভয়াবহতায় ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমবেশি হেরফের হতেই পারে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট একই রকম চিত্র প্রকাশ করবে বলে ধারণা করা যায়।
জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এমনটি আশা করা অমূলক হবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে।
রেডিও তেহরান: এপ্রিলের শুরুতে বাংলাদেশে মোট আক্রান্তের ১ শতাংশ ছিল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। বর্তমানে তা ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে। এত দ্রুত বিস্তারের কারণ কী?
ডা. কবীরুল হাসান: করোনা বিস্তার হয় মূলত বায়ুর মাধ্যমে। মানুষের শ্বাস, কথা বলা, চিৎকার করা, নাক পরিষ্কার, কাশি ইত্যাদি করোনা বিস্তারের আসল কারণ।
বিগত এপ্রিল মাসে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট-এর প্রকোপের শুরুতে আমাদের দেশে মাত্র ১% ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থাকলেও বর্তমানে তা প্রায় ৮০% এ পৌঁছে গেছে এবং পৃথিবীতে প্রায় ১০০ টি দেশে এর প্রকোপ চলছে।
এপ্রিলে বাংলাদেশ তার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো বন্ধ রাখার যে ঘোষণা দিয়েছিল তা যথাযথ কার্যকর করতে না পারায় ভারতে লোকজনের যাতায়াত অব্যাহত ছিল। যে কারণে যা হবার তাই হয়েছে। বাংলাদেশে বর্ধিষ্ণু গতিতে চলছে করোনার বিস্তার। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি না মানার রীতি, যথাসম্ভব ঘরে না থাকার প্রবণতা, সামাজিকতা, অতিথিপরায়ন মানসিকতার দরুণ জনসমাগম ঠেকাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আর তাতে করোনা ব্যাপকভাবে বিস্তারের সুযোগ পেয়েছে।
সর্বশেষ সর্বাত্মক লক ডাউনের খবরে মানুষ যেভাবে ঠাসাঠাসি করে আরেকবার ঢাকা তথা বড় শহর ছেড়েছে তাতে আগামী দিনগুলোতে কী হবে তা প্রত্যক্ষ করতে হবে।
রেডিও তেহরান: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা ও ভয়াবহতা আসলে কতটুকু?
ডা. কবীরুল হাসান: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট-এর সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে যদি বলতে হয়, তাহলে বলতে হবে প্রশ্নাতীত রকমের বেশি এর সংক্রমণ ক্ষমতা। গত মে মাসের ২৫ তারিখ থেকে জুন মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত চালানো সমীক্ষায় দেখা গেছে সংক্রমিত শতকরা ৬৮ ভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট-এর রোগী। আর কমিউনিটিতে বর্তমানে ৮০ ভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট-এর রোগী। যদিও এটি বলার আগে জেনোম সিকুন্সিং প্রয়োজন।
ডেল্টার ভয়াবহতা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা ঠিক হবে না। আক্রান্তরা বেশিরভাগই টেস্ট করাচ্ছেন না। কমিউনিটিতে বেশিরভাগ মানুষ মৃদু বা মাঝারি মানের সংক্রমণ নিয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সুস্থ হচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগী সামগ্রিক সংক্রমিত রোগীর তুলনায় অনেক কম।
এদিকে, অনেকেই ডেঙ্গু বা অন্য কোন ভাইরাল ফিভারের মৃদু মাত্রা নিয়েও আক্রান্ত হচ্ছেন যাদের অনেকাংশই শনাক্তের বাইরে থাকছে।
বর্তমান সময়ে শনাক্তকৃত কোভিড এবং হাইলি সাস্পেক্টেড কোভিডদের মাঝে যারা তীব্র খারাপ হচ্ছেন এবং হাসপাতালে আই সি ইউ, এইচ ডি ইউ বা কমিউনিটিতে আছেন তাদের মাঝে আকস্মিক মৃত্যু প্রবণতা বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বাকিরা অনেক বেশি শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, অতিমাত্রায় দুর্বলতা ও খাবারে অরুচি নিয়ে রোগ শোক বইছেন। আর অসুস্থতা পরবর্তী নানাবিধ জটিলতাও এখানে তীব্রতায় বেশি দেখা যাচ্ছে।
রেডিও তেহরান: ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ১৫ মাস চলে গেছে। তবুও কেন এ সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না? এক্ষেত্রে মূল সমস্যা কী বলে মনে করছেন?
ডা. কবীরুল হাসান: বিগত দীর্ঘ ১৫ মাসেও করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণ আসলে বহুমূখী। অনেকটা 'সহজ কথা যায় না বলা সহজে'র মতো।
প্রথমত: যার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হচ্ছে তিনি একটি ভয়াবহ সংক্রামক জীবাণু। চেহারায় ভয়ঙ্কর, মারাত্মক দুষ্ট চরিত্রের মিউটেশনপ্রবণ। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে রূপ বদল করে সংক্রমণ করায় পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশই তার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে বেগ পেয়েছে বা পাচ্ছে। আমরাও অনেকটা 'তীরহারা ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিতে' যুদ্ধে অবতীর্ণ।
দ্বিতীয়ত: কারা সংক্রমিত হচ্ছি? আসলে আমরা সকল শ্রেণী পেশার মানুষ আমাদের দেশে আক্রান্ত হচ্ছি। সংক্রমণ হচ্ছে মৃদু, মাঝারি, তীব্র মাত্রার অথবা জীবন বিধ্বংসী অতীব সংকটপূর্ণ মাত্রার। বেশিরভাগ মানুষ মৃদু বা মাঝারি মাত্রায় এমনকি উপসর্গ হীন অবস্থায় সংক্রমিত থাকছেন। এদের অনেকেই জীবন চলার পথে অর্জিত ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে রোগ প্রতিরোধ করে থাকেন। করোনার ভয়াবহতার প্রত্যক্ষদর্শী না হওয়ায় এরা করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। স্বাস্থ্যবিধি না মানার অতীত প্রবণতা, গোয়ার্তুমি, কুসংস্কার এবং এক শ্রেণির মানুষের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য এদেশের একটি বিরাট শ্রেণির মানুষকে করোনার বিপরীতে সচেতনতা সম্পর্কে অযাচিতভাবে অন্ধকারে রেখেছে।
স্বাস্থ্যবিধি মানার গুরুত্বটি জনমানুষে ব্যাপকভাবে অনুভূত না করতে পারাটা আমাদের জন্য একটি ন্যক্কারজনক দিক।
এসময়টাতে অযথা সামাজিক, রাজনৈতিক কার্যক্রম, সমাবেশ, পিকনিক, স্থানীয় নির্বাচনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো চলমান ছিল।
ভ্যাকসিন আসার পর একদিকে যেমন অনেকের মাঝে অধিক আত্মবিশ্বাস এবং গাছাড়া ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছিল অন্যদিকে কেউ কেউ ছড়াচ্ছিল ভ্যাকসিন নিয়ে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি।
বিগত এপ্রিল মাসে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনার ব্যাপক বিস্তার হলেও আমাদের দেশে সেটি ভীতির সঞ্চার করেনি। উপরন্তু দেখা হয়েছে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে।
ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি বিশেষত মাস্ক পরা এবং জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ছিল যেখানে করোনা থেকে উত্তরণের পথ। কিন্তু সেটার কার্যকারিতা মানুষ বোঝেনি। ক্ষেত্রবিশেষে করোনা ব্যবহৃত হয়েছে ঘৃণা এবং রাজনৈতিক অপকৌশলের হাতিয়ার হিসেবে।
তৃতীয়ত: আমাদের পরিবেশ বা প্রতিবেশ প্রতিকূলতাকেই চিনে। আমরা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বললেও স্বাস্থ্য অর্থনীতি নিয়ে কমই ভেবেছি।
ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সাময়িকভাবে ব্যাহত হওয়াও আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে পরিগণিত করা যায়।
রেডিও তেহরান: সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরার জন্য এই মুহূর্তে করণীয় কী?
ডা. কবীরুল হাসান: ধন্যবাদ। করণীয় ঠিক করা উচিত মূলত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দের নিকট থেকে পরামর্শ নিয়েই। তবু যদি বলি, চলমান কার্যকর লকডাউন আর কটা দিন সচল রাখা দরকার।
সামনে ঈদ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সাধ্যের মধ্যে একটা ন্যূনতম মৌলিক চাহিদার যোগানোর ব্যবস্থা করার সঠিক পদক্ষেপ নিয়েই তা করা উচিত। মধ্যবিত্ত, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নিম্ন আয়ের বেসরকারি চাকুরিজীবী, আধা সরকারি চাকুরিজীবী, পরিবহন শ্রমিক, ইত্যাদি পেশার লোকজন অর্থকষ্ট নিয়ে আছেন কাজেই মানবিক সংকট যাতে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে।
আমাদের পলিসি মেকারগণ এবং ডিসিশন মেকারগণ সার্বিক অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্য অর্থনৈতিক দিকের একটু সুচারু সমন্বয় করবেন এটাই প্রত্যাশা।
এ সময়ে সকল মত, পথ, শ্রেণি, পেশার মানুষের যার যার অবস্থান থেকে প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ না করে বরং ধীশক্তি সম্পন্ন দায়িত্বশীল আচরণ করলে শুভ ফল আসবে।
ভ্যাকসিনেশন ব্যাপকভাবে সচল রাখা এবং ভাক্সিনেশনের সকল চেইন মেইনটেইন করা উচিত।
ফ্রন্ট লাইনারদের পর প্রাথমিকভাবে ১০% সিনিয়র জনগণ যাদের বয়স ৫৫ এর বেশি তাদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কমপক্ষে ১ ডোজ টিকার আওতায় আনা উচিত।
লোক সমাগম কমানোর জন্য এবং যথাযথ মাস্ক পরানোর জন্য প্রয়োজনবোধে বলপ্রয়োগ করতে হবে।
এ বিষয় টিকে হাল্কাভাবে নেয়ার কিছু নাই। কেন না একজন উপসর্গহীন করোনা রোগী অন্য অনেককে জীবন বিধ্বংসী রূপ নিয়ে সংক্রমিত করতে পারে।
রেডিও তেহরান: অত্যন্ত যৌক্তিক কিছু পরামর্শ দিলেন আপনি। বাংলাদেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আপনাকে রেডিও তেহরানের পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর শ্রোতাবন্ধুরা, আপনার নিজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং অন্যদেরকে তা মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করুন- এ আহ্বান জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি স্বাস্থ্যকথার আজকের আসর থেকে।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।