জুলাই ২৫, ২০২১ ১৬:১২ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক!২৫ জুলাই রোববারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • রাজধানীর সড়কে বেড়েছে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি -প্রথম আলো
  • বিধিনিষেধে গতিহীন অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস-যুগান্তর
  • ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ ১০৪ জন হাসপাতালে ভর্তি -ইত্তেফাক
  • সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দিতে 'চিঠি'-কালের কণ্ঠ
  • চিকিৎসকরা ক্লান্ত, স্বজনদের আহাজারি-সিট নেই, অক্সিজেন নেই–মানবজমিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • ২৫ হাজার বছর আগেও করোনায় বিপর্যস্ত হয় এশিয়া, ভুগিয়েছিল অনেক দিন-রিপোর্ট-আনন্দবাজার
  • মুকুলকে চাপে ফেলতে কৌশল, হার নিশ্চিত জেনেও রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে বিজেপি-আজকাল
  • দিল্লি সফরের আগেই মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী-সংবাদ প্রতিদিন

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. নিরাপদ দূরত্ব মেনে কেন্দ্রে আসার আহ্বান সিইসি’র। করোনা মহামারির এই সময়ে সিলেটে উপনির্বাচন হচ্ছে এবং সেই নির্বাচনের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই আহ্বান জানিয়েছেন। আপনার মন্তব্য কী?

২. ইরানের সদ্য অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিজয়ী প্রাথী আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সংলাপকে তার সরকার অগ্রাধিকার দেবে। এই নীতি গ্রহণের মুল কারণ কী?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

চিকিৎসকরা ক্লান্ত, স্বজনদের আহাজারি-সিট নেই, অক্সিজেন নেই–মানবজমিন

বিধিনিষেধে গতিহীন অর্থনীতি-ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস-যুগান্তর

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধে অর্থনীতির চাকার ঘূর্ণন কমে গেছে। এতে বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। বিধিনিষেধ আরও দীর্ঘায়িত হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। ফলে ১৫ মাসের করোনার ক্ষতি কাটিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম আরও বিলম্বিত হবে। চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে পুনরুদ্ধারের চেয়ে দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। করোনার শুরু থেকে গত ১৫ মাসের মধ্যে সাড়ে ৬ মাসই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি সীমিত করা হয়েছে। এর প্রভাবে গত ১৫ মাসে ব্যবসা-বাণিজ্যের সর্বত্র নেমেছে ধস।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মানুষের আয় কমছে। কমে যাচ্ছে ভোগ। ফলে অর্থনীতিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। করোনার প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে, তখনই আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এতে শ্লথ হয়ে পড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি। যে কারণে করোনার আঘাত সহ্য করে অর্থনীতি নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় লাগছে।

করোনার বছরে কোটিপতি বেড়েছে ১১৬৪৭ জন-বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনায় বেড়েছে কোটিপতি

করোনাকালে দেশের বেশির ভাগ মানুষের আয় কমলেও একটা শ্রেণির আয় উল্টো বেড়েছে, যাঁরা নতুন করে কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনার মহামারি চলাকালে গত এক বছরে দেশে কোটিপতি আমানতকারীর ব্যাংক হিসাব বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজারেরও অধিক, যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বেশি।

করোনাকালে এত বেশি কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক মনে করা হচ্ছে। সব মিলে গত মার্চ শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ২৭২, যার মধ্যে ৭২ হাজার ৭৮০ জন বা ৭৭ শতাংশই বেড়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১২ বছরে। কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি সমাজে আয়বৈষম্য বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। 

করোনাকালে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন অর্থনীতিবিদরা। এগুলো হলো- করোনায় বিভিন্ন ছাড়ের কারণে অনেক খাতের ব্যবসায়ীরা ভালো ব্যবসা করেছেন এবং লাভের টাকা আমানত হিসেবে ব্যাংকে রেখেছেন। আবার এই সময়ে ধনী ও সচ্ছল পরিবারের দেশে-বিদেশে ভ্রমণসহ ভোগবিলাস প্রায় বন্ধ রয়েছে। মধ্যবিত্তরা ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কথা ভেবে জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয়ে মনোযোগী হয়েছেন। এ ছাড়া করোনার ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ঋণের একটি অংশ সুবিধাভোগীরা ব্যবসায় না খাটিয়ে আমানত হিসেবে ব্যাংকে রাখতে পারেন বলেও আশঙ্কা তাঁদের। সব মিলে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনার সময় এত বেশি কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব (অ্যাকাউন্ট) বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের খতিয়ে দেখা উচিত। তবে আমার মনে হয়, বিকল্প উৎসের চেয়ে ব্যাংকে টাকা রাখাকেই বেশি নিরাপদ মনে করছেন অনেকেই। যাঁরা হুন্ডি করে বিদেশে টাকা পাঠাতেন, করোনায় সেটাও কমে এসেছে।’

কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বাড়লে দেশের জন্য সেটা কতটা ভালো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এক দিক থেকে এটা ভালো, তা হলো টাকাটা ব্যাংকে এলে সেটা বিনিয়োগে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। যদিও এখন ঋণের চাহিদা নেই। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। কাজেই ব্যাংকের হাতে তহবিল গেলেও সেটা কাজে আসছে না। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভবিষ্যতে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্পে এই টাকা ঋণ হিসেবে দিতে পারবে।’ ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ছে কি না এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বৈষম্য তো অবশ্যই বাড়ে। এটা অলরেডি বেড়েছে বলেই এত বেশি নতুন কোটিপতি হয়েছে।’

সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দিতে ‘চিঠি’-কালের কণ্ঠ

‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। এ প্রেক্ষাপটে বিধিমালা কার্যকরের মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দেওয়াসহ নিয়ম মানতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখা থেকে সম্প্রতি এ চিঠি পাঠানো হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন-মাসে এক কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা-মানবজমিন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতি মাসে ১ কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছেই। এ অবস্থায় বাড়তি চাপ সামলাতে আগামী ৩১ জুলাই থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ফিল্ড হাসপাতাল চালু হবে। তিনি বলেন, দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় শিগগিরই হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দিতে পারে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, শহরে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর ৭৫ শতাংশ গ্রাম থেকে আসা। ঈদে গ্রামে যাওয়া আসার কারণে করোনা সংক্রমণ ৫ থেকে ৬ গুণ বেড়েছে। রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ডেঙ্গু ও করোনা রোগীদের জন্য আলাদা হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়েছে।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

দিল্লি সফরের আগেই মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী-সংবাদ প্রতিদিন

নতুন সপ্তাহেই দিল্লি সফরে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (West Bengal CM Mamata Banerjee)। তার আগে তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভারবৈঠক ডাকলেন তিনি। নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক হওয়ার কথা। ওইদিনই দিল্লি রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী। গত সপ্তাহেই মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিল্লি সফরের আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক অন্য মাত্র পেয়েছে। তবে বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে কেউই মুখ খুলতে চাননি। প্রশাসনিক মহলের মতে, গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয় নিয়েই বৈঠক হতে পারে।

সামনে বড় লড়াই, বিজেপিকে হারাতে জোট বাঁধতে পারে Congress-TMC!

শত্রুর শত্রু বন্ধুই হয়। এই তত্ত্বেই এবার বিজেপিকে হারাতে কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে Congress এবং TMC। দিল্লিতে সোনিয়া-মমতার সম্ভাব্য বৈঠক অন্তত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। শুধু এই বৈঠক নয়, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অভাবনীয় সাফল্যের পর থেকেই নরম হওয়া শুরু করেছিল কংগ্রেস। এবার মমতার তরফেও কংগ্রেসের প্রতি মনোভাব বদলের ইঙ্গিত মেলা শুরু করেছে।বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় ফেরার পর তৃণমূল সম্পর্কে প্রথম সুর নরম করতে দেখা যায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury)। ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে চান না বলে প্রকাশ্যেই জানান।

পরবর্তীক্ষেত্রে মমতার পাশে দাঁড়ান পি চিদম্বরম, দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব। একুশে জুলাইয়ের ভারচুয়াল বৈঠকে দিল্লিতে হাজির হন কংগ্রেসের এই দুই শীর্ষ নেতা। গান্ধী পরিবারের নির্দেশেই মমতার বক্তব্য শুনতে সেদিন এই দু’জন হাজির হন বলে কংগ্রেসের অন্দরে জল্পনা। এরপর লোকসভার চলতি অধিবেশনে তৃণমূল সংসদীয় দলের সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের বোঝাপড়াও বেশ নজর কেড়েছে রাজনীতির কারবারিদের। সূত্রের খবর, সরাসরি না হলেও সংসদে বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই চলছে তৃণমূল। পেগাসাস (Pegasus) ইস্যুতে সরকারকে আক্রমণ করার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর নামও নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। আবার কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে আলাদা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেগাসাস টার্গেট করার প্রতিবাদ করা হচ্ছে।

‘প্রমোশন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী, ২৪ শে তৃণমূল লড়তে পারবে না’, হাসছেন দিলীপ-আজকাল

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আগামীকাল সন্ধ্যায় রওনা হচ্ছেন দিল্লির উদ্দেশে। মমতা ব্যানার্জির দিল্লি সফর নিয়ে হাসছেন দিলীপ ঘোষ। মমতা ব্যানার্জি দিল্লিতে গিয়ে যোগ দেবেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠকে। দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। একাধিক বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মমতা ব্যানার্জি। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘২০১৯ লোকসভা ভোটের আগেও মমতা ব্যানার্জি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, ব্রিগেডে সভাও করেছিলেন। কিন্তু কিছুই করতে পারেননি। জোটও হয়নি আর জেতাও হয়নি মমতা ব্যানার্জির। বিরোধীরা নিজেদের অবস্থান তো স্পষ্ট করছে দেখাই যাচ্ছে আর তৃণমূলে তো এখন খুনোখুনি শুরু হয়ে গিয়েছে তাই সন্দেহ হচ্ছে ২০২৪ লোকসভা ভোটে আদৌ তৃণমূল লড়তে পারবে কিনা সেবিষয়ে। আর বিজেপি রাজ্যে বিধানসভা ভোটে পরাস্ত হয়নি। ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে। ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বাম-‌কংগ্রেস শেষ হয়ে গিয়েছে। আর জ্যোতিবাবুকেও একসময় জাতীয় রাজনীতিতে মুখ করতে চাওয়া হয়েছিল কিন্তু আদৌ কিছুই হল না। সিপিএম শেষ হয়ে গিয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী তো এখন প্রমোশন চাইছেন তাই দিল্লি যাত্রা করছেন। মানুষ মমতা ব্যানার্জিকে হারিয়ে দিয়েছে সেটা নিয়ে ভাবা উচিত ওনার। রাজ্যসভায় তৃণমূলের স আংসদ সাসপেন্ড হচ্ছেন। রাজ্যসভা কিংবা সংসদের অন্দরে সঠিক ব্যবহার করতে শেখেনি তৃণমূলের সাংসদরা। অভিষেক ব্যানার্জিকে এখন মুখ বানাতে চাইছে তৃণমূল কারণ আর তো কিছুই নেই।’

দিল্লি-রাজনীতিতে সক্রিয় তৃণমূল, কিন্তু কোথায় গেলেন অধিকারীবাড়ির সাংসদ পিতা-পুত্র-আনন্দবাজার পত্রিকা এ শিরোনামের খবরে লিখেছে,পেগাসাস-কাণ্ডে সংসদ-সহ জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমশই নিজেকে মোদী-বিরোধী শিবিরের ‘মুখ’ করে তুলছেন। সক্রিয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের বাদল অধিবেশনে রোজই খবরের শিরোনামে তৃণমূল। তাদের সরকার-বিরোধী সুর এতটাই চ়়ড়া এবং মনোভাব এতটাই জঙ্গি যে, দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে গোটা অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এহ বাহ্য, আগামী সপ্তাহেই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দেখা করার জন্য সময় দিয়েছেন। বাংলায় বিপুল জয়ের পর এই প্রথম দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সেখানে বিরোধী শিবিরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও হওয়ার কথা তাঁর। মমতা যাবেন সংসদ ভবনেও। সেখানে দলের সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।

কিন্তু সেই সাংসদদের মধ্যে থাকবেন না শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী।লোকসভার স্পিকারের সচিবালয় থেকে শিশিরকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। যদিও দিব্যেন্দুর বিষয়ে তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি বাংলার শাসকদল। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে দিব্যেন্দুর দূরত্ব বেড়েছে বই কমেনি। সংসদের বাদল অধিবেশনে যখন তৃণমূলের সাসংদরা উভয় কক্ষেই সোচ্চার, তখন শিশির-দিব্যেন্দু তার ধারেপাশে নেই।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৫ 


 

ট্যাগ