একনজরে ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক তাদের অবশ্যই ফিরে যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২৩ সেপ্টেম্বরের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- রোহিঙ্গাদের জন্য ১৮ কোটি ডলার সহায়তা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের-প্রথম আলো
- রাস্তায় সাইড না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে চড় এমপি রিমনের-মানবজমিন
- জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে স্বৈরাচার এরশাদের দোসর জানতাম: রিজভী: সেতুমন্ত্রী-ইত্তেফাক
- বিএনপির কৃতজ্ঞতাবোধ নেই: ওবায়দুল কাদের-যুগান্তর
- রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক তাদের অবশ্যই ফিরে যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
ভারতের শিরোনাম:
- দলত্যাগ অভিযোগের শুনানিতে এলেন না মুকুল, চিঠি তৃণমূলের! এটাই হাতিয়ার: শুভেন্দু-আনন্দবাজার পত্রিকা
- বিজেপি ভাবতেও পারবে না, আরও বড় নাম আসছে তৃণমূলে’, ফিরহাদের মন্তব্যে জল্পনা-সংবাদ প্রতিদিন
- কোভিশিল্ড নিয়ে সমস্যা নেই, তবে শংসাপত্র নিয়ে আলোচনা চলছে: ইউকে হাইকমিশন–আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার প্রশ্ন (২৩ সেপ্টেম্বর)
১. অতি জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জোরদারের দাবি প্রধানমন্ত্রীর। বাংলাদেশের মোটামুটি সব পত্রিকায় কি খবর এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
২. তুরস্ককে অবিলম্বে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। একথা বলেছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদ। কি বলবেন আপনি?
তো জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
রোহিঙ্গাদের জন্য ১৮ কোটি ডলার সহায়তা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের-প্রথম আলো
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ১৮ কোটি মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত তহবিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নতুন এ সহায়তা ঘোষণা করে। আল–জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমাণ ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
মিয়ানমারের বাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূলসহ অন্যান্য ভয়াবহ নৃশংসতা চালায়। দমনপীড়নের মুখে ২০১৭ সালের আগস্টে লাখো রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক কার্যক্রমে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা গেছে।
এক বিবৃতিতে নেড প্রাইস বলেন, এ সংকটে মার্কিন মানবিক সহায়তা নানা ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সুরক্ষা, আশ্রয়, দুর্যোগে সাড়া, পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যবিধি ইত্যাদি।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক তাদের অবশ্যই ফিরে যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অতি জরুরি’ ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জোরদার করার দাবি জানিয়ে বলেছেন, এ সংকট প্রশ্নে প্রধান আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর নিষ্ক্রিয়তা বাংলাদেশকে মর্মাহত করেছে। অথচ, সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনায় তিনি এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, তারা (রোহিঙ্গারা) মিয়ানমারের নাগরিক। সুতরাং, তাদের অবশ্যই নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারেই ফিরে যেতে হবে।’
রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং আমি জোরদিয়ে বলতে চাই, এক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশে যা কিছু করছি তা সম্পূর্ণরূপে অস্থায়ী ভিত্তিতে করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যা কিছু করা সম্ভব তা অবশ্যই করতে হবে। এদিকে, তারা নিজেরাও তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়।
একইসঙ্গে, ন্যায় বিচার এবং দেশে প্রত্যাবর্তনে ভুক্তভোগি জনগোষ্ঠীর মধ্যে দৃঢ় আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে নিপীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী তার প্রচারণা চালানোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। তার এ ভাষণের পাক্কালে বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘হাই-লেভেল সাইড ইভেন্ট অন ফরসিবলি ডিসপ্লেস মিয়ানমার ন্যাশনালস (রোহিঙ্গা) ক্রাইসিস : ইম্পারেটিভ ফর এ সাস্টেইনাবল সল্যুশন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইউএজিএ’র গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ আলোচনায় এ সংকট তুলে ধরতে ঢাকার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর থেকেই এ সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য একেবারে ধারাবাহিকভাবে ইউএনজিএ’র অধিবেশনে তিনি সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এ ব্যাপারে ‘আমাদের সরকার মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আঞ্চলিক ক্ষেত্রে, আমরা চীন ও ভারতসহ প্রধান শক্তিগুলোকে এ সংকট সমাধানে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছি। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে আসিয়ানকে আরো সক্রিয় রাখার চেষ্টা চালিয়েছি।’
বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে, আমরা বিশ্বেও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করে জাতিসংঘ প্রস্তাবের মাধ্যমে বিষয়টি আলোচনার টেবিলে ধরে রেখেছি। তবে, দুঃখজনকভাবে ‘দুর্ভাগা, গৃহহীন হয়ে পড়া মিয়ানমারের নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য চালানো আমাদের প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত কোন আলোর মুখ দেখেনি। আজ পর্যন্ত তাদের একজনও তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিগত চার বছর ধরে বাংলাদেশ অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষা করে রয়েছে যে বাস্তুহারা এসব মানুষ নিরাপদে এবং মর্যদাসহকারে তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবে। তা সত্ত্বেও, আমাদের আহ্বান অবহেলিত রয়ে গেছে এবং আমাদের প্রত্যাশা অসম্পূর্ণ রয়েছে। এ সংকটের পঞ্চম বছর চলছে। এখনো, আমরা রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের আশা রাখছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেখা দেয়া এই মানবিক সংকট সমাধান করা ছিল একটি সম্মিলিত দায়িত্ব এবং বিভিন্ন সীমান্তে এর প্রভাব পড়ছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে অতি দ্রুত কিছু করতে ব্যর্থ হলে ‘আমাদের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মহা বিপদে পড়বে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের অগ্রগতির ঘাটতির কারণে হতাশা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের অনেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে এবং তারা অতি সহজে জঙ্গিবাদী মতাদর্শেও শিকার হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকা- পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী এই সংকট সমাধানে পাঁচ দফা আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রথমত, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ‘আমাদের সকলের জোরালো প্রচেষ্টা’ চালানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা দূর করতে মিয়ানমারে রাজনৈতিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন ঘটানো এবং এই সংকট সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার একটি সংশোধন প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে আসিয়ানের জোরদার প্রচেষ্টা দেখতে চান এবং ‘আমরা বিশ্বাস করি যে এক্ষেত্রে আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের পদক্ষেপ মিয়ানমারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে।
বিএনপির কৃতজ্ঞতাবোধ নেই: ওবায়দুল কাদের-যুগান্তর
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখেনি সরকার। বরং বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। বিএনপির কৃতজ্ঞতাবোধ নেই। থাকলে তারা শেখ হাসিনার ঔদার্যের কাছে কৃতজ্ঞ থাকত।’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সাহস থাকলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনুন। রাজনীতি করতে হলে দেশের মাটিতেই করতে হবে। দেশের রাজনীতি টেমস নদীর ওপার থেকে ডাক দিলেই হবে না, তাতে দেশের জনগণ সাড়া দেবে না।’ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার করছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমানকে কে নির্বাসিত করে রেখেছে? বিএনপি নেতারা বলেছেন সরকার নাকি তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখেছে। বিএনপি নেতাদের এই বক্তব্য অসংখ্য মিথ্যাচারের একটি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানতে চান— কে মুচলেকা দিয়ে চিকিৎসার নামে দেশ থেকে পালিয়েছে? তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে রাজনীতি না করার শর্তে তিনি (তারেক রহমান) নিজেই দেশ থেকে পালিয়েছেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে স্বৈরাচার এরশাদের দোসর জানতাম: রিজভী: সেতুমন্ত্রী-ইত্তেফাক
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিকে নিয়ে নানা বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, উনাকে (জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে) তো আমরা স্বৈরাচার এরশাদের দোসর হিসেবেই জানতাম। তিনি এখন বক্তব্য রাখেন, গণতন্ত্রের কথা বলেন। এরশাদের সঙ্গে ওষুধ নীতি নিয়ে কি দহরম মহরম করেছেন তা মানুষের জানা আছে। আজকে তিনি জাতির বিবেক হয়েছেন, কে কি করবে না করবে, কার কি করা উচিত সেটার মাত্রা ছাড়িয়ে ছবক দিচ্ছেন উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বর্ষিয়ান ব্যক্তি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন। বয়স্ক ব্যক্তি; কিন্তু সকল নর্মসের বাইরে কথা বলবেন তা হতে পারে না। তিনি মাঝে মাঝে বিএনপি ও বিএনপির নেত্রী সম্পর্কে এমন কথা বলেন যা সকল সভ্যতা, সুরুচির বাইরে চলে যায়।

বেগম জিয়া বাইরে না মুক্ত সেটা তো অবশ্যই তার জানার কথা। খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন, এখন গৃহবন্দী। অনেক শর্ত আরোপ করে তাকে বাসভবনে রাখা হয়েছে। তিনি মুক্ত ভাবে কোথাও যেতে পারেন না। এখন তিনি মুক্ত হলে কোথায় যাবেন কিভাবে যাবেন সেটা তো তার সিদ্ধান্ত। এদেশে দীর্ঘসময় তিনি বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার যে অসীম সাহসিকতা জাতি এটা কোনদিন ভুলে যাবে না। আজও তিনি যে কারাবন্দীর নির্যাতন সহ্য করছেন এটাও গণতন্ত্র উদ্ধারের বিশাল একটি সংগ্রামের অংশ। তাকে যে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছে এটা গোটা জাতি জানে সারা বিশ্ব জানে।
বিএনপির এই মুখপাত্র প্রশ্ন রেখে বলেন,‘এখন তিনি বেগম খালেদা জিয়া কি অবস্থায় আছেন সেটা জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানার কথা। তার পরেও তিনি বেগম জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে মাঝে মাঝে এমন মন্তব্য করেন যে মন্তব্যটা রুচিশীল নয়। মনে হয় কোন শক্তিকে খুশি করার জন্য তিনি এসব কথা বলেন। দেশের বৃহত্তম দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তিনি তার প্রজ্ঞা তার চিন্তাভাবনা এবং এই দেশের বর্তমান যে সংকট এই সব কিছু বিশ্লেষণ করে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি আজ সকল মহলের কাছে সমাদৃত।’
রিজভী আরও বলেন,‘অনেকেই বলেন বা আমরা খবরের কাগজে দেখি জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয়তাবাদী শক্তির সমর্থিত বুদ্ধিজীবী বলা হয় যদি তাই হয় তাহলে তিনি প্রকাশ্যে যেভাবে বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন এটা সকল সভ্যতা-ভব্যতা শিষ্টাচারের বিপরীত। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপিতে এখন ইস্পাত কঠিন ঐক্য বিদ্যমান।
রাস্তায় সাইড না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে চড় এমপি রিমনের-মানবজমিন
সংসদ সদস্যের মোটরসাইকেল বহরকে সাইড না দেয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মাছ ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম (৩৮) কে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে।গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরের শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার মাছ ব্যবসায়ী নজরুল ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক। মারধোরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন সংসদ সদস্য রিমন।মারধোরের শিকার নজরুল ইসলাম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, পাথরঘাটা শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে বুধবার উপজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী পাথরঘাটা প্রিমিয়াম লীগ ফুটবল খেলায় ঢাকা থেকে বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়রা মাইক্রোবাসে স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিলেন। এই খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন। তিনি মটর সাইকেল বহরে যে তাদের মাইক্রোর পিছনে ছিলেন তা মাইক্রোর চালক দেখেনি। এসময় পিছন থেকে একটি বাইকে ছাত্রলীগের কর্মীরা উঠে এসে গাড়ি সাইড দিতে বলেন। সরু রাস্তার এক পাশে অটো রিক্সার দখলে থাকায় সাইড দিতে কিছুটা দেরি করেছে গাড়ির চালক।

এরপর রাস্তার বাম পাশে চালক গাড়ি থামিয়ে এমপির বহরকে সাইড দেয়। কিছুক্ষণ পরে তিনি খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে যান। এসময় ছাত্রলীগ নেতা মধুসহ ৭/৮ জন জানান, এমপি রিমন তাকে মঞ্চে ডেকেছেন। এসময় তিনি মঞ্চে যাবার সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করেন রিমন। প্রায় এক মিনিট অসংখ্য চড় দেয়ার পরে তার পা ধরে ক্ষমা চাইতে বললেন। এ সময় অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালিও করেন। মঞ্চে থাকা পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. জাবির হোসেনসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সবাই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তারা কেউ-ই এমপির এমন আচরণের প্রতিবাদ করেননি। শেষে ক্ষমা চেয়ে মঞ্চ থেকে চলে আসি।তিনি আরও বলেন, মঞ্চ থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা মধুসহ কয়েকজন তাকে পাথরঘাটা এলাকা ত্যাগ করতে বলেন।
থানায় অভিযোগ করতে গেলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন।ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম আরও বলেন, যদি গাড়ির চালক ভুল করে তবে গাড়ির চালককে তিনি মারধোর করতেন। কিন্তু আমাকে কেন মারলো। আমি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আমি মাছের ব্যবসা করি। সম্মানের সঙ্গে জীবন যাপন করি। খেলার মাঠে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের সামনে আমাকে মারধোর করলো এমপি। সে একজন সাংসদ, তার অনেক ক্ষমতা। তাই আইনি প্রক্রিয়ায় আমি যেতে পারিনি। যদি আমাকে নিরাপত্তা দেয়া হয় তবে, আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করবো।সেই সময়ে মঞ্চে উপস্থিত পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাবির হোসেন বলেন, এমপির এমন আচরণে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এছাড়া আমার কিছু বলার নেই।এ বিষয়ে এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, নজরুল খারাপ লোক তাই আমি তাকে চড় মেরেছি, তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চড় মারা আমার অপরাধ হলে আমার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করুক।পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মারধোর করা এমপি রিমনের অভ্যাস। তিনি নিজেই আইন হাতে তুলে নেন। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা আমরা শুনে থাকি মিডিয়ার মাধ্যমে। পাথরঘাটা হাসপাতালের এক কর্মচারীকে মারধোর, এলজিইডির উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে মারধোর, শালিসের নামে এক নারীকে মারধোর করে মাথায় ময়লা দিয়ে বেঁধে রাখাসহ অসংখ্য ঘটনা বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। তবে তার বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কেউ নেই।এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে মৌখিকভাবে ঘটনা জানতে পেরেছি। থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। যদি অভিযোগ দেয় তবে, তদন্ত করে আইনগত প্রক্রিয়ায় যাবেন তারা। যদি অভিযোগকারীর নিরাপত্তা দরকার হয় সে বিষয়েও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ব্যবস্থা করে দেবো।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি:
দলত্যাগ অভিযোগের শুনানিতে এলেন না মুকুল, চিঠি তৃণমূলের! এটাই হাতিয়ার: শুভেন্দু-আনন্দবাজার পত্রিকা
লত্যাগ অভিযোগের শুনানিতে এলেন না মুকুল রায়। শুনানির বৈঠকে তাঁর না আসার কারণ জানিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। আর সেই চিঠিকেই নিজেদের অভিযোগের স্বপক্ষে ‘বড় হাতিয়ার’ বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার স্পিকারের কাছে মুকুলের দলত্যাগ-বিরোধী মামলার শুনানি ছিল। দুপুর একটা নাগাদ স্পিকারের ঘরে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা-সহ কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় ও তাঁদের আইনজীবীরা। সেখানে আধঘণ্টা শুনানি চলে। শুনানি পর্বেই শুভেন্দু জানতে পারেন মুকুলের অবস্থানের কথা। মুকুলের অনুপস্থিতিতে আগামী শুনানির দিন হিসেবে ১২ নভেম্বর ধার্য করেন স্পিকার।

স্পিকারের উদ্দেশ্যে লেখা তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মুকুল অসুস্থতার কারণেই শুনানিতে যোগ দিতে পারছেন না। বর্তমানে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসাধীন তিনি। তাই ২৩ তারিখের বৈঠকে তাঁর উপস্থিতি সম্ভব হচ্ছে না। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুলের হয়ে তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের চিঠিকে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনের ক্ষেত্রে বড় হাতিয়ার বলে মনে করছে বিজেপি পরিষদীয় দল
কোভিশিল্ড নিয়ে সমস্যা নেই, তবে শংসাপত্র নিয়ে আলোচনা চলছে: ইউকে হাইকমিশন–আজকাল
টালবাহানার পর অবশেষে কোভিশিল্ডকে মান্যতা দিয়েছে ব্রিটেন। কারণ অবশ্যই ভারতের পাল্টা চাপ। তার সামনেই নতিস্বীকার করেছে। ভারতে ব্রিটেনের হাই কমিশনার অ্যালেক্স এলিস জানালেন, ‘সমস্যাটা কোভিশিল্ড নিয়ে নয়।’ সমস্যাটা তাহলে কী? তিনি জানালেন, সমস্যা শংসাপত্র নিয়ে। সেই নিয়ে কোউইন অ্যাপের নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।অ্যালেক্সের কথায়, ‘আমরাস্পষ্ট করে দিয়েছি, যে কোভিশিল্ড সমস্যা নয়। ব্রিটেনে আসা–যাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই। এর মধ্যেই ভারত থেকে অনেকে ব্রিটেনে যাচ্ছেন। তাঁরা কেউ পর্যটক, কেউ পড়ুয়া, কেউ ব্যবসার কাজে যাচ্ছেন।’ তার পরেই তিনি জানালেন, কোউইন অ্যাপ যারা তৈরি করছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে কথা। যাতে দুই দেশই একে অন্যের ইস্যু করা শংসাপত্রকে মান্যতা দিতে পারে।
বিজেপি ভাবতেও পারবে না, আরও বড় নাম আসছে তৃণমূলে’, ফিরহাদের মন্তব্যে জল্পনা-সংবাদ প্রতিদিন
বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) পর বিজেপিতে আরও বড়সড় ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, আগামী দিনে বাবুল সুপ্রিয়র থেকেও বড় নেতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন। ফিরহাদের দাবি, ওই নেতা আগে তৃণমূলে ছিলেন না। বিজেপি (BJP) থেকেই সরাসরি শাসক শিবিরে নাম লেখাবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে (Bhabanipur By Election) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, “আগামী দিনে আরও বড় নাম বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসবে। এমন একজন যোগ দেবেন, যার কথা বিজেপি ভাবতেও পারছে না। বিধায়করা তো যোগ দিচ্ছেনই। আরও অনেকে আসবেন।” ঠিক কার কথা বলছেন পরিবহণমন্ত্রী? নাম বলতে না চাইলেও, একটি ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন ফিরহাদ। পরিবহণমন্ত্রীর বক্তব্য, যে বড় নেতার কথা তিনি বলছেন, তিনি আগে কখনও তৃণমূলে (TMC) ছিলেন না। তিনি বিজেপিরই লোক।
পার্সটুডে/এমবিএ/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।