জুন ২৮, ২০২৩ ১৮:৫৮ Asia/Dhaka

আবারও ফিরে এল পবিত্র ঈদুল আযহা। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে মহা-আনন্দের আমেজ। এ উৎসব মুসলমানদের অন্যতম প্রধান উৎসব। আদি পিতা আদম (আ)-এর দুই পুত্র কাবীল ও হাবীলের দেওয়া কুরবানী থেকেই কুরবানীর ইতিহাসের গোড়াপত্তন হয়েছে। তারপর থেকে বিগত সকল উম্মতের উপর এটা জারী ছিল।

 এ উৎসব মুসলমানদের অন্যতম প্রধান উৎসব।  মহান আল্লাহর রহমতের পূর্ণতার প্রতীক হয়ে প্রতিবছর ঈদ আমাদের জীবনে আনন্দ, সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে আসে ৷ ঈদগুলো  আহবান জানায় সব মলিনতা আর কলুষতাকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কারের পাশাপাশি হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে, পরস্পর প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে।ঈদুল আযহা খোদার রাহে অসীম ও সর্বোচ্চ ত্যাগের আনন্দের প্রতীক। ঈদুল আযহাকে বলা হয় কুরবানির ঈদ। কিন্তু কুরবানি হতে হবে আন্তরিক। যারা হজব্রত পালন করতে গিয়েছেন তাদের হজ ও পশু কুরবানি কবুল হওয়া নির্ভর করছে খোদাপ্রেমের গভীরতা ও আন্তরিকতার মাত্রার ওপর।  মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য সব কিছুর আকর্ষণ ত্যাগ করতে পারা এবং লোভ-লালসাসহ সব ধরনের পশু-প্রবৃত্তিকে কুরবানি করতে পারার মধ্যেই রয়েছে হজ ও পশু কুরবানির সার্থকতা।

ঈদের দিন জামায়াতে নামাজ পড়ার আগেই আমরা মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই এমন এক মহতী উৎসব ও অজস্র নেয়ামত দান করার জন্য। সবাই এ সময় বলেন: আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহি আলা মা হাদানা।...  এর মধ্যে রয়েছে যেন তালবিয়া পাঠেরই আনন্দ। হজযাত্রীরা তালবিয়া ধ্বনিতে বলেন, হে আল্লাহ আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি, নিশ্চয়ই প্রশংসা, নেয়ামত ও বাদশাহি বা রাজত্ব একমাত্র তোমারই। তোমার নেই কোনো শরিক বা সমকক্ষ। হে প্রভু আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি।”

ত্যাগ আর কুরবানির মহিমায় ভাস্বর পবিত্র কুরবানির ঈদ। কুরবানির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য আমাদের সামনে রয়েছে হযরত ইব্রাহিমের প্রতি তার প্রিয়পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করার নির্দেশ সংক্রান্ত মহাপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ঘটনা।  সে ঘটনা আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগের এই দিনেরই ঘটনা। তবে, তিনি প্রথমেই পশু কুরবানির অনুমতি পাননি। স্বপ্নযোগে তিনবার আদেশ পান তাঁর সবচেয়ে প্রিয়বস্তুকে আল্লাহর রাস্তায় কুরবানি করার। ফলে আল্লাহর নবী তাঁর প্রিয়পুত্র হযরত ইসমাইলকে কুরবানি করার সিদ্ধান্ত নিলেন। পুত্র ইসমাইলকেও তাঁর স্বপ্নের কথা বলেন। যেমন পিতা, তেমন পুত্র! নিজের কুরবানির কথা শুনেও ঘাবড়ালেন না তিনি। ইসমাইল বললেন, 'হে আমার পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।'   আল্লাহর প্রতি এরকম একনিষ্ঠতা শয়তানের সহ্য হলো না। এই পরীক্ষাকে ব্যর্থ করতে শয়তান মরিয়া হয়ে ওঠে। একবার যায় বাবার কাছে আরেকবার ছেলের কাছে। মায়ের কাছে গিয়েও প্ররোচনা দিতে থাকে ইবলিস। কিন্তু কোনো কাজই হলো না। সবার কাছ থেকে বিমুখ হলো অভিশপ্ত শয়তান।শয়তান চলে যাওয়ার পর সংবেদনশীল মুহূর্তটি ঘনিয়ে এলো। দয়ালু পিতা তাঁর প্রিয়পুত্রকে জমিনে শুইয়ে দিলেন। ধারালো ছুরি চালালেন পুত্রের গলায়। কিন্তু কোনো কাজ হলো না। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছেন হযরত ইব্রাহিম! এমন সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে ঐশী আওয়াজ এলো: "হে ইব্রাহিম! তুমি তোমার দায়িত্ব পালন করেছ। আল্লাহ ইসমাইলকে কুরবানি করার আদেশ রহিত করেছেন।" এরপর আল্লাহ একটি দুম্বা পাঠালেন ইসমাইলের পরিবর্তে কুরবানি করতে। হযরত ইব্রাহিম তা-ই করলেন।

আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আ) বলেছেন, যে দিন মানুষ পাপ করে না সে দিনই তার জন্য ঈদ। বলা হয় যে ভোগ নয় বরং ত্যাগেই রয়েছে আনন্দ। ঈদুল আযহা হচ্ছে আল্লাহর প্রেমে আত্মত্যাগের উৎসব। ইবাদাতে যদি আন্তরিকতা না থাকে তাহলে সেই ইবাদাত কবুল হয় না। ঈদুল আযহায়ও কেউ কেউ কুরবানি করেন কেবল মানুষের সামনে নিজেকে জাহির করার জন্য। এই শ্রেণীর মানুষ প্রতিযোগিতায় নামেন যে কে কত বড় ও কত বেশি দামের গরু কুরবানি দিতে পারেন! যে ইবাদাতের লক্ষ্য হল মানুষকে খুশি করা তা আসলে এক ধরনের শির্ক। তাই পরকালে এ ধরনের ইবাদাতের কোনো পুরস্কার তারা পাবেন না। ইবাদাত যদি হয় কেবলই দায়সারা গোছের দায়িত্ব পালন এবং তাতে না থাকে খোদাপ্রেমের ছোঁয়া তাহলে এমন আনুষ্ঠানিকতা মহান আল্লাহর কাছে মূল্যহীন।

একবার বাদশাহ হারুন একটি মসজিদ তৈরি করেন বাগদাদে। মসজিদের প্রধান তোরণের দেয়ালে লিখে দেয়া হয় নির্মাতা হারুন আর রাশিদ। বাদশাহ মসজিদটির কাজকর্ম দেখতে একবার সেখানে আসলে ঘটনাক্রমে সেখানে উপস্থিত প্রখ্যাত সাধক ও জ্ঞানী বহলুল তাকে প্রশ্ন করেন: কি করছেন? –বাদশাহ বললেন: আল্লাহর ঘর তথা মসজিদ নির্মাণ করলাম। বহলুল বললেন, মসজিদের প্রধান তোরণের ওপর লেখা আপনার নামটা মুছে আমার নামটা লিখে দিন! বাদশাহ রেগে গিয়ে বললেন: এ কেমন আজব কথা! মসজিদ নির্মাণ করালাম আমি আর নির্মাতার নাম লেখা হবে তোমার নামে? বহলুল বললেন, তাহলে কেনো বলছেন যে আল্লাহর ঘর? বাদশাহ বললেন, তাহলে কি বলবো? বহলুল বললেন, বলুন আমার ঘর!- অর্থাৎ ব্যক্তির খ্যাতি অর্জনের জন্য যে ভবন নির্মাণ করা হয় সে ভবনকে আল্লাহর ঘর বলাটা ভুল! যদি তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই নির্মাণ করা হত তাহলে সেখানে কার নাম শোভা পাবে সেটা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়!

মানুষের ইবাদাতের ফলাফল নির্ভর করে তাদের নিয়ত কতটা একনিষ্ঠ ছিল সেটার ওপর। একইসঙ্গে আল্লাহ ও মানুষকে খুশি করার জন্য যে ইবাদাত তা একনিষ্ঠ ইবাদাত নয় বরং শির্কপূর্ণ ইবাদাত। কেউ যদি আন্তরিক চিত্তে এমন নিয়ত করে যে আমার যথেষ্ট অর্থ বা সম্পদ থাকলে আমি আল্লাহকে খুশি করার জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করব তাহলে তিনি যদি মসজিদ নির্মাণের জন্য তেমন কোনো সম্পদের অধিকারী নাও হতে পারেন তবুও মসজিদ নির্মাণের সাওয়াব ঠিকই অর্জন করবেন। মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল বা স্কুল নির্মাণ এসব খুব ভালো কাজ হলেও এসবের পেছনে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ইচ্ছার পরিবর্তে খ্যাতি অর্জনের বাসনাই কাজ করে তাহলে পরকালে এসবের কোনো প্রতিদান থাকবে না। কুরবানি, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ও অন্যান্য ইবাদাতের ক্ষেত্রেও এই একই বিষয় প্রযোজ্য।-

  মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে পশু কুরবানি প্রসঙ্গে বলেছেন, এসবের গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, যেটা পৌঁছে তা হল তোমাদের তাকওয়া বা খোদাপ্রেম।  তাই নিজের হজব্রত পালনের ছবি বা যাকাত দানের ছবি প্রচার বা যাকাত গ্রহীতার সঙ্গে সেলফি তুলে তা সোশাল মিডিয়ায় প্রচারের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত এবং ভেবে দেখা উচিত যে এসব কোন্ নিয়তে করা হচ্ছে।  হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর ছেলে ইসমাইল (আ.)-এর আত্মত্যাগকে স্মরণ করে প্রতিবছর হাজীগণ আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্যের প্রমাণস্বরূপ পশু কুরবানি করেন। এছাড়া, সামর্থবান মুসলমানরাও এদিন কুরবানি দিয়ে থাকেন। এখানে আমরা স্মরণ করতে পারি ইসলাম ধর্মের নীতিমালাকে জাগিয়ে তোলার জন্য হযরত ইমাম হুসাইনের অনন্য আত্মত্যাগের কথা। তিনি কেবল নিজের জীবনই বিসর্জন দেননি ইসলামের জন্য। নিজের পরিবারের প্রায় সব সদস্য ও এমনকি এক বছরের বা ছয় মাসের শিশু সন্তানকেও আল্লাহর রাহে কুরবানি করেন। তাঁর এই আত্মত্যাগ হযরত ইব্রাহিমের আত্মত্যাগকেও ছাড়িয়ে গেছে। ইমাম হুসাইন (আ) এটাই শিখিয়ে গেছেন যে ইসলামকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনে নিজের জীবন, পরিবার ও স্ত্রী-কন্যাদের জীবন বিলিয়ে দিতে হবে  এবং এমনকি তাদের লাঞ্ছিত হওয়ার আশঙ্কার বিষয়টিকেও বিন্দুমাত্র প্রাধান্য দেয়া যাবে না।–  

          

 

 

ঈদুল আযহা ইবরাহীম (আঃ), বিবি হাজেরা ও ইসমাইলের পরম ত্যাগের স্মৃতি বিজড়িত উৎসব। কুরবানীর স্মৃতিবাহী যিলহজ্জ মাসে হজ্জ উপলক্ষে সমগ্র পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মুসলমান সমবেত হয় ইবরাহীম (আঃ)-এর স্মৃতি বিজড়িত মক্কা-মদিনায়। তাঁরা ইবরাহীমী আদর্শে আদর্শবান হতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। হজ্জ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধেরও এক অনন্য উদাহরণ যা প্রতি বছরই আমাদেরকে তাওহীদী প্রেরণায় উজ্জীবিত করে। আমরা নিবিড়ভাবে অনুভব করি বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব। কিন্তু এ ভ্রাতৃত্ববোধ যদি মজলুম ফিলিস্তিনি, রোহিঙ্গা, ইয়েমেনি, কাশ্মিরি, বাহরাইনি, সিরিয় ও আফগান মুসলমানদের কোনো উপকারে না আসে ও মুসলমানদের প্রথম কিবলা এখনও বর্ণবাদী অভিশপ্ত ইহুদিবাদী দখলদারদের দখলে থাকে ও ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীরা এ পবিত্র স্থানের অবমাননা অব্যাহত রাখে তাহলে মুসলিম উম্মাহর কুরবানি ঈদ ও  হজ কি সার্থক হবে?-

ইসলামের পথে তথা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে ইমাম হুসাইনের (আ) আত্মত্যাগে ভাস্বর কারবালার মহাবিপ্লব ও মহানবীর (সা) পবিত্র আহলে বাইতের সদস্যদের আত্মত্যাগের  পর আমরা আধুনিক যুগে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানির প্রোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখেছি ইরানের ইসলামী বিপ্লবে এবং ইসলামী ইরানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইমাম খোমেনী (র)'র নীতিতে। ইরানে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ী হওয়ার পর পরই এই মহান ইমামের নির্দেশে দখলদার ও বর্ণবাদী ইসরাইলের সঙ্গে ইরানের সব সম্পর্ক ছিন্ন করা হয় এবং তেহরানে ইসরাইলি দূতাবাস বন্ধ করে তা ফিলিস্তিনকে দেয়া হয়। এ বিষয়ে অনেকেই ইমাম খোমেনীকে নমনীয় বা ধীরে-চলার নীতি তথা আপোষের নীতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু ইমাম খোমেনী ইসরাইলের ব্যাপারে আপোষের নীতি বা বিন্দুমাত্র আপোষের প্রস্তাবও নাকচ করে দেন। ফলে ইসলামী ইরান ও ইরানি জাতিকে এ জন্য গত চার দশক ধরে ব্যাপক মূল্য দিতে হয়েছে এবং এখনও এ জন্য অনেক কিছু কুরবানি করছে ইরানের মুসলিম জাতি।  ইসলামী ইরানের সঙ্গে গোটা পাশ্চাত্যের ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের সর্বোচ্চ শত্রুতার অন্যতম প্রধান কারণ হল শয়তানি শক্তি ও জালিম শক্তির মোকাবেলায় ইরানের এই আপোষহীনতার নীতি।

পবিত্র কুরআন, ইসলাম ও মহানবীর প্রতি অবমাননাকর বই স্যাটানিক ভার্সেস বা শয়তানি পদাবলী নামক বই লেখার দায়ে ইমাম খোমেনী (র) মুর্তাদ বা ধর্মত্যাগী সালমান রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দিয়েছিলেন। তখনও বলা হয় যে ইরানের  প্রভাবশালী কোনো কোনো মহল ও বিশিষ্ট ব্যক্তি এমন কঠোর ফতোয়া না দিতে ইমাম খোমেনীকে অনুরোধ করেছিলেন। তারা বলেছিলেন এমন ফতোয়া দেয়ার কারণে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সালমান রুশদির পক্ষ নিয়ে ব্রিটেনসহ গোটা পাশ্চাত্য ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ও এমনকি যুদ্ধও শুরু করতে পারে ইরানের সঙ্গে। কিন্তু ইমাম খোমেনী বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে কুরবানির চেতনায় প্রদীপ্ত যুক্তি দেখিয়ে বলেন যে ইসলামকে কুরবানি করে ইরানকে টিকিয়ে রাখা আমাদের লক্ষ্য নয় বরং আমাদের লক্ষ্য হল ইসলামকে রক্ষার জন্য দরকার হলে ইরানকেও কুরবানি করতে হবে! যখন ইসলামের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে তখন আমি কি করে নিরব বা নিষ্ক্রিয় থাকতে পারি? ইসলামকে রক্ষার জন্য যদি ইমাম হুসাইনের মত বড় ইমাম ও মহাপুরুষ নিজের জীবন এবং পরিবারসহ সবকিছু কুরবানি করতে পারেন তাহলে আমরা তাঁরই আদর্শের অনুসারী হওয়ার দাবিদার হয়ে কেন কুরবানি বা ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকব না?!! -বাজনাকুরবানীর ঈদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন জাগে, আমরা কি শুধু কুরবানীর সময়েই গরীব-দুঃখী মানুষকে আহার করিয়ে বছরের বাকি দিনগুলোতে কি তাদের ভুলে থাকব? না, অবশ্যই না। সারা বছরই আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রত্যাশায় নিজ সম্পদ অন্য মানুষের কল্যাণে ত্যাগ করতে হবে। এই ত্যাগের মনোভাব যদি গড়ে ওঠে। তবে বুঝতে হবে, কুরবানীর ঈদ সার্থক হয়েছে, কুরবানি সার্থক হয়েছে। নইলে এটি নামমাত্র একটি ভোগবাদী অনুষ্ঠানই থেকে যাবে চিরকাল।বিলিয়ে দেয়ার আজকের এই ঈদদেহ নয় শুধু দিলও হোক শহীদসবাইকে জানাচ্ছি আবারও ঈদ মুবারক।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সবাইকে জানাচ্ছি আবারও ঈদ মুবারক।#

পার্সটুডে/মু.আ.হুসাইন/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ