গত কয়েক আসরে আমরা বলেছি, যতদিন এই ইমাম মাহদি (আ.)’র আবির্ভাব না হচ্ছে ততদিন মুসলিম বিশ্বের দায়িত্ব হচ্ছে যোগ্য আলেমের নেতৃত্বে তাঁর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করা।
গত কয়েক আসরে আমরা বলেছি, যতদিন ইমাম মাহদি (আ.)-এর আবির্ভাব না হচ্ছে ততদিন মুসলমানদেরকে নানা ধরনের পরীক্ষা ও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।
ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন: মহান আল্লাহ ইমাম মাহদি (আ.)’র আবির্ভাব ও বিপ্লবকে অবধারিত করে রেখেছেন।
মুসলিম উম্মাহ যাতে মিথ্যা ইমাম মাহদিদের ধোঁকায় না পড়ে সেজন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) এই মহান ইমামের পরিচয় স্পষ্ট করে দিয়ে গেছেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.)’র আহলে বায়তের মহান ইমামগণ কুফর ও নিফাকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে তৌহিদ বা একত্ববাদের পতাকাকে সমুন্নত রেখেছিলেন।
ইমাম হাসান আসকারি (আ.) তাকওয়া বা খোদাভীতি, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর হক আদায় করাসহ অন্যান্য নির্দেশ জারি করার পর বলেন, আমি যা কিছু বলেছি তার প্রতিটি নির্দেশ আল্লাহর রাসূলের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে।
গত আসরে আমরা বলেছি, ইমাম হাসান আসকারি (আ.) আব্বাসীয় শাসকদের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক চাপ ও দমনপীড়নের শিকার হয়েছিলেন।
গত আসরে আমরা ইমাম হাসান আসকারি (আ.) সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছি যে, তাঁর ইমামতের সময়কাল জুড়ে তিনজন আব্বাসীয় খলিফা শাসনকাজ পরিচালনা করেছেন। ওই তিনজনের মধ্যে মুয়াত্তাজ আব্বাসি ও মাহদি আব্বাসির চরম দুঃশাসন ও দমনপীড়ন সম্পর্কেও খানিকটা ইঙ্গিত দিয়েছি।
ইমাম হাসান আসকারি (আ.) ২৩২ হিজরি সালে বর্তমান ইরাকের সামেরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
গত আসরে ইমাম হাদি (আ.) সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে আমরা বলেছি, তৎকালীন আব্বাসীয় স্বৈরশাসক মুতাওয়াক্কিল মাতাল অবস্থায় প্রকাশ্য রাজদরবারে ইমামকে শরাব পানের আমন্ত্রণ জানালে ইমাম ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখ্যান করেন।