কেরমানশাহ শহরের ত্রিশ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে একটি টিলার ওপর প্রাচীন শিলালিপি এবং নকশা দেখতে পাওয়া যায়। পাহাড়ের বুক কেটে অত্যন্ত নিপুণ হাতে ওই শিলালিপিগুলো খোদাই করা হয়েছে। এই পাহাড়ের নাম হলো বিস্তুন কিংবা বিসুতুন। ইরানের ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক সমৃদ্ধির চমৎকার একটি নিদর্শন এই শিলালিপি।
কেরমানশাহ প্রদেশটি ইরানের অন্যতম একটি প্রাচীন শহর। ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির দিক থেকে প্রাচীন একটি কেন্দ্র হিসেবে কেরমানশাহ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রদেশ।
সাইয়্যেদ মসজিদ। বেশ প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক একটি মসজিদ।
কেরমান জামে মসজিদ বা মোজাফফারি জামে মসজিদ এখানকার আরো বহু দর্শনীয় স্থাপনার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন।
এই প্রদেশটি ঐতিহাসিক দিক থেকে যেমন ইরানের প্রাচীনতম শহরগুলোর একটি তেমনি স্বাভাবিকভাবেই এ এলাকায় রয়েছে প্রাচীন বহু নিদর্শন। বলা হয়ে থাকে ইরানের ঐতিহাসিক পাঁচটি শহরের মধ্যে একটি হলো কেরমান। আজকের আসরে বরং এই শহরের কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং পর্যটক আকর্ষণীয় স্পট নিয়ে কথা বলা যাক।
কেরমান প্রদেশটির আবহাওয়া বেশ বৈচিত্র্যময়। এখানকার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, প্রাচীন শিল্প ঐতিহ্য সবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার লোকজন বেশ কর্মক্ষম এবং কঠোর পরিশ্রমী, শান্ত এবং অতিথি পরায়ণ।
আবু মূসা শহরটির আয়তন ৭০ বর্গকিলোমিটার। এই শহরটিতে আরো কয়েকটি ছোটো ছোটো দ্বীপাঞ্চলও রয়েছে। এগুলো হলো তোম্বে বোযোর্গ দ্বীপ, তোম্বে কুচাক দ্বীপ, সীরি, ফরভারে বোযোর্গ এবং ফরভারে কুচাক।
বন্দর আব্বাস শহরের উত্তর পশ্চিম দিকে পড়েছে এ এলাকাটি। ‘গেনু’ সংরক্ষিত এলাকাটি গেনু নামের একটি পর্বতমালার সমন্বয়েই গঠিত। গেনু পর্বতমালার আশপাশে বিশেষ করে দক্ষিণ এবং পূর্বদিকের ভূমি তুলনামূলকভাবে কম ঢালু এবং মরুময় অনেকটা। আবার উত্তর এবং পশ্চিম অংশে রয়েছে প্রচুর টিলা।
নামাকদন পর্বত অথবা নামাকি গম্বুজ কেশম দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিম অংশে অবস্থিত চমৎকার দুটি দর্শনীয় স্থাপনা। এই দ্বীপের পর্যটক আকর্ষণীয় যে কয়টি দেখার মতো স্থান বা নিদর্শন আছে সেগুলোর মাঝে নামাকি গম্বুজ অন্যতম।
কেশ্ম দ্বীপের আয়তন দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটার। পারস্য উপসাগরে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ হলো বাহরাইন। আর বাহরাইনের তুলনায় কেশ্ম দ্বীপ আড়াই গুণ বড়ো। হরমুজ প্রণালীর প্রান্ত জুড়ে কেশ্ম দ্বীপটি বিস্তৃত।