ইসলামের দৃষ্টিতে নারী ও পুরুষ মানুষ হিসেবে সমান ও একই ধরনের মানবীয় সম্মানের অধিকারী। নারী রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রসহ অন্য অনেক ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে পারে।
ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান ও মানবীয় মর্যাদা। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ হিসেবে নারী ও পুরুষ সমান মর্যাদার অধিকারী। ইরানের ইসলামী বিপ্লবও বদলে দিয়েছে ইরানি নারী সমাজকে।
বর্তমান যুগে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর উপস্থিতি অতীতের তুলনায় অনেক ব্যাপক হওয়ায় সমাজে নারী ও পুরুষের সুস্থ সম্পর্কও অতীতের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইসলাম নারী ও পুরুষকে মানুষ হিসেবে সমান মর্যাদা দেয়। তাই সামাজিক ও রাজনৈতিক তৎপরতায়ও নারীর অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিয়েছে পবিত্র এই ধর্ম।
নারী জাতির ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় যুগে যুগে নারী সমাজ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। প্রাক-ইসলামী যুগে নারীর কোনো অধিকার ছিল না বললেই চলে।
যে কোনো সভ্য সমাজের দায়িত্ব হল নারীর মানবীয় সম্মান রক্ষা করা ও নারী সমাজের মধ্যে আত্ম-বিশ্বাস জাগিয়ে তোলা। অন্যদিকে প্রকৃত মানুষ ও সুন্দর বা আদর্শ সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নারীর রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
ইসলামের দৃষ্টিতে মায়ের মর্যাদা ও দায়িত্ব সংক্রান্ত গত পর্বের আলোচনার প্রেক্ষাপটে আজ আমরা বিশ্বখ্যাত কয়েকজন আদর্শ মায়ের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।
শৈশবই ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি। এই ভিত্তিকে সুদৃঢ় করে ভবিষ্যতের আদর্শ সন্তান গড়তে মায়ের ভূমিকাই প্রধান ও মুখ্য। একজন সচেতন ও বিজ্ঞ মা-ই পারেন তার সন্তানকে প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিতে। একজন শিশুর সবচেয়ে বড় সাথী তার মা, সুন্দর চরিত্রবান সন্তান গড়ার কারিগরও হলেন মা।
ইসলামের দৃষ্টিতে পরিবারের সরকার প্রধান হলেন স্বামী। আর গৃহ-ব্যবস্থাপনা বা ঘরের রাণী হলেন স্ত্রী।
ইসলাম নারীর অধিকার ও সম্মানের সর্বোচ্চ রক্ষক। ইসলাম নারীর প্রতি বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে না যেমনটি পোষণ করা হয়েছে শিল্প বিপ্লবের পর থেকে পশ্চিমা চিন্তাধারায়।