Pars Today
বিশে সফর ইমাম হুসাইন (আ)'র অনন্য শাহাদতের চল্লিশা বা চেহলাম-বার্ষিকী। শহীদ সম্রাট ইমাম হুসাইন (আ) এমন এক বিশাল ব্যক্তিত্বের নাম যে কোনো নির্দিষ্ট স্থান, কাল বা পাত্রের সাধ্য নেই তাঁকে ধারণ করার।
প্রতিবছর বিশ্বের বহু দেশ থেকে ইমাম হোসাইন (আ.)'র চেহলাম ও পবিত্র মাজার জিয়ারতের জন্য আসেন লক্ষ লক্ষ জিয়ারতকারী। এ সব জিয়ারতকারীরা পায়ে হেটে পবিত্র নাজাফ শহর থেকে কারবালার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন। এ বছর মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে শুধুমাত্র ইরাকিরা সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ পদযাত্রা শুরু করলেন। #
আজ হতে ১৩৮১ বছর আগে ৬১ হিজরির এই দিনে (১৯ মহররম) কারবালার বন্দিদেরকে তড়িঘড়ি করে দামেস্কের দিকে পাঠানো হয়। বন্দিদের বেশিরভাগই ছিলেন নারী ও শিশুসহ নবী-পরিবারের সদস্য।
১৩৮১ চন্দ্রবছর আগে ৬১ হিজরির এই দিনে (১৩ মহররম) কুফার জালিম গভর্নর ইবনে জিয়াদের নির্দেশে শহীদ করা হয় নবী-পরিবারের প্রেমিক অন্ধ-বীর আবদুল্লাহ ইবনে আফিফ আজদি (রা)কে।
কোনো কোনো বর্ণনার আলোকে মনে করা হয় যে ১৩ মহররম ইমাম হুসাইন (আ) ও তার সঙ্গীদের লাশ দাফন করা হয়েছিল বনি আসাদ গোত্রের লোকদের মাধ্যমে ১৩৮১ চন্দ্রবছর আগে। আবার কেউ কেউ বলেন হযরত যায়নুল আবেদিনই তাঁর পিতার লাশ দাফন করেছিলেন।
কোনো কোনো বর্ণনার আলোকে মনে করা হয় যে ১৩ মহররম ইমাম হুসাইন (আ) ও তার সঙ্গীদের লাশ দাফন করা হয়েছিল বনি আসাদ গোত্রের লোকদের মাধ্যমে ১৩৮১ চন্দ্রবছর আগে।
১৩৮১ বছর আগে অর্থাৎ ৬১ হিজরির ১২ মুহররম ইয়াজিদ সেনারা নবী পরিবার তথা ইমাম পরিবারের এবং ইমাম শিবিরের সকল নারী ও কন্যা শিশুকে বন্দী অবস্থায় কুফায় নিয়ে আসে।
আজ ১১ ই মহররম। ১৩৮১ বছর আগে ৬১ হিজরির এই দিনে হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)’র একমাত্র জীবিত পুত্র হযরত ইমাম জয়নুল আবেদিন(আ.)সহ ইমাম শিবিরের সব জীবিত ব্যক্তিদের বন্দী করে ইয়াজিদ বাহিনী।
হোক্ দুশমন অগণন তবু হে সেনানী! আজ দাও হুকুম/মৃত্যু সাগরে ঝাঁপ দিয়ে মোরা ভাঙ্গবো ক্লান্ত প্রাণের ঘুম! হবে কারবালা মরু ময়দান শহীদ সেনার শয্যা শেষ/হে সিপাহসালার! জঙ্গী ইমাম আজ আমাদের দাও আদেশ! ...