Pars Today
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ খোরাসানের [আইএস খোরাসান] বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে নতুন করে সৈন্য পাঠিয়েছে দেশটির অন্তর্বর্তী তালেবান সরকার।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের জনকল্যাণমন্ত্রী আব্দুল মান্নান ওমরি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমাজ আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিকে যতটা খারাপভাবে তুলে ধরছে বাস্তব অবস্থা ততটা খারাপ নয়।
জাতিসংঘ আবারও আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, দেশটির অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
আফগানিস্তানে ইরানের অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটির অন্তর্বর্তী তালেবান সরকার। তালেবান সরকারের দ্বিতীয় উপ প্রধানমন্ত্রী মৌলভি আব্দুসসালাম হানাফি আফগানিস্তান বিষয়ক ইরানের বিশেষ প্রতিনিধি হাসান কাজেমি কোমির সঙ্গে এক বৈঠকে এ নিশ্চিয়তা দিয়েছেন।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ক্ষমতাসীন তালেবান যোদ্ধারা দখলীকৃত মার্কিন অস্ত্র নিয়ে সামরিক কুচকাওয়াজ পরিচালনা করেছে। এতে অবশ্য রাশিয়ার তৈরি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়।
আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের গার্লস হাইস্কুল ও গার্লস কলেজগুলো খুলে দেওয়ার এক সপ্তাহ পর আবার বন্ধ হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কোনো কোনো সূত্র দাবি করেছে, তালেবানের পক্ষ থেকে মেয়েদের স্কুল ও কলেজ আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালেবান সরকারের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শের মোহাম্মাদ স্তানাকজাই দেশটির রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করেছেন। তালেবানের গণমাধ্যম অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মাদ জালাল এক টুইটার বার্তায় এ খবর প্রকাশ করেছেন।
আফগানিস্তানের কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রচণ্ড গোলযোগের ভেতরে দুই মাসের একটি শিশুকে একজন মার্কিন সেনার কাছে হস্তান্তরের পর আর তাকে খুঁজে পাননি তার মা-বাবা। গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর নিখোঁজ শিশুর মা-বাবা আফগানিস্তান ছেড়ে আমেরিকায় চলে যাওয়ার চেষ্টার সময় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান গোষ্ঠী থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের বের করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান নেতা মোল্লা হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। তার পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতির বরাত দিয়ে তালেবান প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক টুইটার বার্তায় এ খবর জানিয়েছে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের সামরিক হাসপাতালে গতকাল (মঙ্গলবার) যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তার দায়িত্ব স্বীকার করেছে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ। ৪০০ শয্যার সরদার মোঃ দাউদ খান হাসপাতালটি কাবুলের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল।