Pars Today
ইসলামের জীবনযাপন পদ্ধতি সব সময়ই সুশৃঙ্খল এবং বৈজ্ঞানিক। ফলে তা মানুষের জন্য কল্যাণকর।
আপনার সংসারটা কি সত্যিই সোনালী নীড় ? এ প্রশ্নের যথার্থ উত্তর যদি মনে মনে ‘না' বা নেতিবাচক হয়, তাহলে এ আলোচনা আপনার জন্যে।
একটি হাদীসে আছে, "নিজের ত্রুটিকে উপেক্ষা করে অন্যের ত্রুটি খুঁজে বেড়ানোর মতো খারাপ কিছু আর নেই।"
একটি সুশৃঙ্খল পরিবার গঠনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ঔদার্য, সহনশীলতা, ধৈর্য ও ছাড় দেয়ার প্রবণতা যে কতো গুরুত্বপূর্ণ তা নিশ্চয়ই আমাদের আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়েছে।
পরিবার হলো সমাজ-সংগঠনের একক। অর্থাৎ এই পরিবারের সমষ্টিই সমাজ । ফলে সামাজিক শৃঙ্খলা ও শান্তির মূল উৎসভূমিই হলো পরিবার।
পৃথিবীতে সুহৃদের সংখ্যা খুবই কম। মানুষ অনেক সময় শুভার্থী সাজে বটে, তবে ঐ শুভ কামনার পেছনে থেকে যেতে পারে সুদূর প্রসারী কোন অমঙ্গল। বিশেষ করে পারিবারিক সুখ প্রতিবেশী বা নিকটজনদের অনেক সময় সহ্য হয় না।
সোনালী নীড়ের এবারের পর্বে আমরা একটি পরিবারে স্ত্রীর যে স্বাভাবিক দায়িত্বগুলো রয়েছে, যেমন ঘরকন্না, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, অতিথি-আপ্যায়ন ইত্যাদি-এসবের ব্যাপারে ইসলামের দিক-নির্দেশনা তুলে ধরবো।
আসলাম সাহেব বাসায় ফিরে দেখলেন তার স্ত্রী ঘরে নেই। ক্লান্তিকর কাজ শেষে ঘরে ফিরে স্ত্রীকে না দেখা আসলাম সাহেব কেন, সকল স্বামীর পক্ষেই কষ্টকর একটা ব্যাপার।
সোনালী নীড়ের গত পর্বে আমরা পুত্রবধূর ওপর ছেলের বাবা-মায়ের অসন্তোষজনিত জটিলতার ক্ষেত্রে স্বামীর কর্তব্য নিয়ে বথা বলেছি। এবারের পর্বে আমরা মেয়ের সংসারে ছেলের শ্বাশুড়ীর নাক গলানো সংক্রান্ত জটিলতায় স্বামীর করণীয় সম্পর্কে কথা বলার চেষ্টা করবো।