সারা দেশে নদী দখলমুক্ত করতে হাইকোর্টের নজিরবিহীন পদক্ষেপ
(last modified Sun, 21 Nov 2021 15:00:07 GMT )
নভেম্বর ২১, ২০২১ ২১:০০ Asia/Dhaka

নদী-মাতৃক দেশ বাংলাদেশে কত নদ-নদী রয়েছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা এবং কারা কোথায় নদী দখল করেছে তার বিভাগ ওয়ারী তালিকা আগামী ছয় মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে সারা দেশে নদী দখলমুক্ত করতে কি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে।

আজ  রবিবার (২১ নভেম্বর) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও নদী রক্ষা কমিশনকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। 

এর আগে দেশের সব নদ-নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা, তুরাগ নদীর সীমানা পুনরুদ্ধার ও প্রতিটি বিভাগে নদী দখলকারীদের তথ্য জানার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করে পরিবেশবাদী আইনজীবীদের সংগঠন বেলা।

রিটে উল্লেখ করা  হয়েছে, নদ-নদীর সংখ্যা নিয়ে একেকটি পক্ষের একেক হিসাব রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দেশে নদীর সংখ্যা ৪০৫টি। নদী রক্ষা কমিশনের হিসাবে ৭০৭টি নদী আছে বাংলাদেশে। আর বেসরকারি গবেষণায় ১ হাজার ১৮২টি নদীর কথা বলা হয়েছে।

এ অবস্থায় দেশে নদ-নদীর সঠিক তালিকা ও অন্যান্য নির্দেশনা চেয়ে বেলা এই রিট দায়ের করে।

হাইকোর্টের এ নির্দেশনাকে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ বাঁচাও আন্দলনের সভাপতি আবু নাসের খান রেডিও তেহরানকে  বলেন,  এর আগে, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দখল-দূষণে শেষ বংশী নদী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছে রাজধানীর উপকণ্ঠের সাভারের বংশী নদী। এ নদীর বিরাট এলাকা প্রভাবশালীদের দখলে থাকলেও উদ্ধারে উদ্যোগ নেই। নদীর মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে দেদারছে। এসব কারণে পরিবেশ ঝুঁকিতে রয়ছে  সাভার উপজেলার প্রায়  ৪২ লাখ বাসিন্দা।

পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন সাভারের স্থানীয় অধিবাসী  ব্যারিস্টার মো. বাকির হোসেন।

ওই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর রুলসহ আদেশ জারী করে বংশী নদীর দূষণ বন্ধ এবং ৩০ দিনের মধ্যে দূষণ ও দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়।  পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা), রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের নির্বাহী অফিসার, সাভারের ভূমি কর্মকর্তা, ঢাকা জেলার এসপি ও সাভার থানার ওসিকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

দীর্ঘ দুই বছরেও ওই প্রতিবেদন না দেওয়ায় বিষয়টি আজ  ( ২১ নভেম্বর) রোববার আদালতের নজরে আনেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী বাকির হোসেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ ব্যাপারে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।#

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/রেজওয়ান হোসেন/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ