ঢাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ: প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i105764-ঢাকায়_ডায়রিয়ার_প্রকোপ_প্রতিরোধে_বিশেষজ্ঞ_চিকিৎসকদের_পরামর্শ
ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ঘণ্টায় ৬০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে রাজধানীর আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে। আইসিডিডিআরবি’র ৬০ বছরের ইতিহাসে এত রোগীর চাপ তারা দেখেনি। ফলে হাসপাতালের শয্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় তাঁবু টানিয়ে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছে আইসিডিডিআরবি। এখন সেখানে প্রায় ১৩০০ রোগী ভর্তি আছেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মার্চ ২৭, ২০২২ ১৮:৫২ Asia/Dhaka
  • ঢাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ: প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ

ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ঘণ্টায় ৬০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে রাজধানীর আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে। আইসিডিডিআরবি’র ৬০ বছরের ইতিহাসে এত রোগীর চাপ তারা দেখেনি। ফলে হাসপাতালের শয্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় তাঁবু টানিয়ে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছে আইসিডিডিআরবি। এখন সেখানে প্রায় ১৩০০ রোগী ভর্তি আছেন।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) কর্তৃপক্ষ  জানিয়েছেন, হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। হাসপাতালের বাইরে সাতটি তাঁবুতেও রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। রোগীদের বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্ক। একই রকম অবস্থা রাজধানীর শিশু হাসপাতালেও। 

রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরে  সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ফটক দিয়ে অসংখ্য রোগী ও তাদের স্বজনরা ঢুকছেন। রোগীদের অধিকাংশই সিএনজি ও অ্যাম্বুলেন্সে আসছেন। হাসপাতালের ফটকে পর্যাপ্ত হুইলচেয়ার না পেয়ে অনেক রোগীকে কোলে করে হাসপাতালের ভেতর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে জরুরি বিভাগের সামনে রোগী ও স্বজনদের ভিড় বেশি দেখা গেছে। রোগীদের তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে গলদ্ঘর্ম হচ্ছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার নার্স কর্মচারীরা।

আইসিডিডিআরবি সূত্র বলছে, সারাবছর দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ ডায়রিয়া রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। ডায়রিয়া মুলতঃ পানিবাহিত রোগ।  বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে রোগীর সংখ্যা কিছু বাড়ে। সাধারণত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে গরমে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে শেষ সপ্তাহে রোগী চূড়ান্তভাবে বাড়ে। কিন্তু এ বছর প্রকোপ বেশী দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় চিকিৎসকের পরমর্শ হচ্ছে নিরাপদ ও ফুটানো পানি পান করা, বাইরের খোলা খাবার, বাসি খাবার বিশেষ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিবেশন করা হয় এমন খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। গরমে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য রাস্তার পাশে খোলা পরিবেশে শরবত, ‌আখের রস, ফলের রস   ইত্যাদি পান করা যাবে না । 

চিকিৎসকগণ বলছেন, অনেক সময় ফুড পয়জনিংয়ের কারণে বমি বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। অনেকেই  বমি বা পাতলা পায়খানা দ্রুত বন্ধের জন্য তাৎক্ষনিকভাবে নিকটস্থ  ফার্মেসি  থেকে ওষুধ নিয়ে সেবন করেন, যা একেবারেই ঠিক নয়। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ খাওয়া ঠিক হবে না, কারণ পয়জনিংয়ের ক্ষেত্রে বরং কিছু সময় বমি ও পাতলা পায়খানার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ পয়জন বের হয়ে যায়।

তাছাড়া, সব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক জরুরি নয়। প্রয়োজন হলো, দেহের লবণ ও পানিশূন্যতা পূরণ। দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে। #

পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।