সরকার পড়তে পারে চাপের মুখে: অভিমত
বিদ্যুতের দাম ২০ শতাংশ বৃদ্ধি: বাজারব্যবস্থা টালমাটাল হওয়ার আশঙ্কা
বাংলাদেশে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সরকারের ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বিবেচনায় নিয়ে গড়ে ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ দাম বাড়ানো হলো এবার। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা। ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে এই নতুন দাম।
বিইআরসির পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার বিষয়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেছেন, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আপাতত বাড়ছে না, তাই উদ্বিগ্ন না হতে সবাইকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তবে গ্যাস বিদ্যুতের অভাবে দেশের শিল্পকারখানা যখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম ঠিক তখনই আবারো বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় উদ্বিগ্ন বিভিন্ন পর্যায়ের সাধারণ মানুষ। এমন বাস্তবতায় ভোক্তা পর্যায়ে শিগগিরই বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে বলে শংকা খাত সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসাইন সিদ্দিকী রেডিও তেহরানকে বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে পণ্যমূল্য আরও বেড়ে যাবে এবং জনগণের জীবনে দুর্গতি নেমে আসবে। এর আগে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় পণ্যমূল্য দফায় দফায় বেড়েছে। এতে খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জ্বালানি সঙ্কটের কারণে কলকারখানায়ও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম বাড়লে কৃষি ও কলকারখানায় উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এতে গোটা বাজার ব্যবস্থা টালমাটাল হওয়ার আশংকা এ অর্থনীতিবিদের।
এদিকে, ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সিনিয়র সহসভাপতি ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড.এম শামসুল আলম রেডিও তেহরানকে বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর সরকার ব্যাপক চাপের মুখে পড়বে। প্রভাব পড়বে দেশের উৎপাদন থেকে সামগ্রীক অর্থনীতিতে। শীতকালকে সামনে রেখে দেশের চরম লোডশেডিং যখন কমতে যাচ্ছে তখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণার শামিল।#
পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।