কাগজের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত
প্রকাশনা শিল্পে বিপর্যয়, নতুন শিক্ষাবর্ষের বই সঠিক সময়ে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা
বাংলাদেশের প্রকাশনা খাতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন প্রকাশকরা। কাগজ সংকটের সাথে প্রায় ৮০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি এবং উপকরণসহ প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়তি ব্যয় কারণে তাদের মধ্যে এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাগজের বাজারে থাবা বসিয়েছে সিন্ডিকেট। ফলে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে কাগজের দাম।
আর কাগজের উচ্চমূল্য ধরে রাখতে দেশীয় কাগজ কলগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে কাঁচামাল কম আমদানি করে সংকট জিইয়ে রাখছে বলেও অভিযোগ এ খাতের নেতৃবৃন্দের। ফলে কোটি কোটি শিক্ষার্থীরা শিক্ষার প্রধান উপকরণ বই এবং খাতা হাতের নাগালে পেতে কষ্ট হবে। ইতোমধ্যে দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলো কাগজের দাম বাড়ার কারণে এসএসসি পরীক্ষার ফি বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে নতুন শিক্ষাবর্ষে নির্দিষ্ট সময়ে বই হাতে পাওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। তাছাড়া কাগজ সঙ্কটে একুশের বইমেলা নিয়েও উদ্বিগ্ন দেশের প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতারা।
বাংলাদেশে বইয়ের বড় মার্কেট বাংলাবাজার ঘুরে জানা যায়, সব ধরনের কাগজের দাম গত ৮ থেকে ১০ মাস ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কমার কোনো লক্ষণও নেই।
স্টুডেন্ট ওয়েজ এর প্রকাশ মাশফিক তন্ময় রেডিও তেহরানকে জানান, পরিস্থিতি দিনদিন কঠিন হচ্ছে। সেবা তো দূরের কথা ব্যবসা বন্ধের উপক্রম বলে দাবি এই প্রকাশকের।
আর পারফেক্ট পাবলিকেশন্সের মালিক কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, এর আগে করোনা সংকটে প্রকাশনা শিল্পে ৪০০ কোটি টাকারও বেশী ক্ষতি হয়েছে। এবার এই কাগজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ফল কতটা ভয়াবহ হবে তা ধারনাই করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল রেডিও তেহরানকে বলেছেন, সংকট কাটাতে শুল্কমুক্ত কাগজ আমদানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। নইলে এর বিরুপ প্রভাব দেশের কোটি কোটি কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে বিঘ্ন ঘটাবে। বাদ যাবে না একুশের বইমেলায়ও। তবে এসব পরিস্থিতেও কোন সমস্যা হবে না বলেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।#
পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/২৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।