চলছে বিশ্ব ইজতেমার শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি; ওযু গোসলের সুযোগ বাড়িয়েছে প্রশাসন
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i118186
করোনার জীর্ণতা কাটিয়ে, টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এ বছরও দুইপর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১৩ জানুয়ারি। ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের জন্য ইজতেমা ময়দান প্রস্তুত, প্যান্ডেল নির্মাণসহ যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
জানুয়ারি ০৮, ২০২৩ ১৭:৩৫ Asia/Dhaka

করোনার জীর্ণতা কাটিয়ে, টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এ বছরও দুইপর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১৩ জানুয়ারি। ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের জন্য ইজতেমা ময়দান প্রস্তুত, প্যান্ডেল নির্মাণসহ যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে।

এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে দুই পর্বে। প্রথম পর্ব ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারী ও দ্বিতীয় পর্ব ২০ থেকে ২২ জানুয়ারী পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে, বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে জোরেসোরেই। ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ময়দানে ইজতেমার প্রস্তুতি কাজে অংশ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মুসল্লীরা, ইজতেমা শুরুর পূর্বে প্রতিদিন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্যান্ডেল নির্মাণসহ ইজতেমা প্রস্তুতির কাজে অংশ নিচ্ছেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা মুসল্লীদের।  

ময়দানের পশ্চিম পাশে তুরাগ নদীর পূর্বপাড়ে নামাজের মিম্বর এবং উত্তর-পশ্চিম কোনায় বিদেশি মেহমানদের জন্য নির্ধারিত কামরার পাশে বয়ান মঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে। 

এ ছাড়া শামিয়ানা টানানো, বিদ্যুৎ ও মাইক সংযোগের জন্য তার টানানোসহ তাশকিল কামরা, জুড়নেওয়ালি জামাতের কামরা, শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের বয়ান শোনার জন্য পৃথক কামরা তৈরি করা হচ্ছে। ১৬০ একর জায়গায় বিশাল সামিয়ানা টানানোর কাজ প্রায় শেষ। বিশাল ময়দানে খিত্তাভিত্তিক চলছে মাইক বাঁধা এবং বৈদ্যুতিক লাইট টানানোর কাজ। 

এদিকে, ইজতেমা ঘিরে সার্বিক প্রস্তুতি ও আইনশৃংখলার বিষয়ে নজরদারির জন্য বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে গাজীপুরের জেলা প্রশাসককে সদস্য সচিবের দায়িত্ব প্রদান করে, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। এবারের ইজতেমা আয়োজন ঘিরে ওযু ও গোসলখানাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ইজতেমা ময়দানে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিরাপত্তায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) পক্ষ থেকে প্রায় ৩ শতাধিক ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। সিসিটিভির মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম থেকে ইজতেমা মাঠের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। মাঠের সার্বিক নিরাপত্তায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। 

সেনাবাহিনীর সদস্যরা তুরাগ নদীর তীরে তৈরি করছেন পন্টুন। যা দিয়ে সাময়িকভাবে মুসল্লিরা এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করতে পারবেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ১২টি নলকূপে ১২ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ও আরবি ভাষায় তরজমা করা হবে। ##

 

পার্সটুডে/নিলয় রহমান/এমবিএ/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।