রেডিও হল প্রান্তিক এলাকার কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর: বজলুর রহমান
(last modified Mon, 13 Feb 2023 09:03:11 GMT )
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩ ১৫:০৩ Asia/Dhaka

বৈশ্বিক প্রযুক্তির উন্নয়নে অনেকেরই ধারণা রেডিও তার গুরুত্ব হারিয়েছে। তবে ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ সময় যেমন বদলেছে, ঠিক তেমনই সময়ের সঙ্গে তালমিলিয়ে প্রচারণার ধরণও বদলে গেছে। এখনও মানুষ রেডিও শোনে। এখনও রেডিওর ওপর নির্ভর করে অনেক মানুষ। সারাবিশ্বে বেতার এখনও অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম। বেতারের রয়েছে পৃথিবীর দুর্গম স্থানে পৌঁছানোর শক্তি।

তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রসারের ফলে সম্প্রচার জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিযোগিতাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। গ্রাম-গঞ্জ ও দুর্গম এলাকায় এখনও বেতার তথ্য আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম। এরমধ্যেও বাস্তবিক সত্য হল বিশ্বের অনেক রেডিও স্টেশন তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। এমন বাস্তবতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ বিভিন্ন কর্মসূচিতে ‘বিশ্ব বেতার দিবস’ পালন করছে।  ‘বেতার ও শান্তি’ প্রতিপাদ্যে পালিত হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে।

রেডিওর গুরুত্ব আছে বলেই বাংলাদেশে ২৮টি প্রাইভেট এফএম এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও এফএম চলেছে। এছাড়া, বাংলাদেশ বেতার ১২টি আঞ্চলিক বেতারকেন্দ্র এবং ৩৫টি এফএম পরিচালনা করছে সরকার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কৃষি জনসংখ্যা ও পুষ্টি এবং ট্রাফিক সম্প্রচার খুবই গুরুত্ব বহন করে আসছে। 

দুর্যোগ দুর্বিপাকে গণমানুষকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করতে তথ্য দিতে বেতার শক্তিশালী হাতিয়ার। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ সম্পাদন করা এবং দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় বেতারের ভূমিকা অনন্য। কুষ্টিয়া থেকে বেতার শ্রোতা রওশন আরা লাবনী রেডিও তেহরানকে বলেছেন, কর্মব্যস্ত জীবনে সমাজ সংসারের বিভিন্ন তথ্য জানার সুযোগ করে দেয় বেতার।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও নতুন প্রযুক্তি বেতারকে আরও সম্ভাবনাময় করে তুলছে। তবে রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ।

এ বিষয়ে ঢাকার ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সোহেল রানা হৃদয় রেডিও তেহরানকে জানান, বেতার মূলত তার নিজস্ব স্বকীয়তার কারণে এখনো শ্রোতা হৃদয়ে আসন গেড়ে আছে।

বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশনের (বিএনএনআরসি) প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম বজলুর রহমান রেডিও তেহরানকে বলেছেন,  রেডিও হল প্রান্তিক এলাকার কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর। কিন্তু বৈশ্বিক প্রাযুক্তিক উন্নয়নে শহরে শ্রোতা কমছে, এর বিরুপ প্রভাব ইদানীং গ্রামাঞ্চলেও পড়তে শুরু করেছে। তাই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নানা সুপারিশ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিটি রেডিওর অগ্রপথিক বজলুর রহমান।

রেডিও তেহরানের বাংলাদেশের মনিটর অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন মনে করেন, প্রযুক্তি হচ্ছে ক্রমউন্নয়নশীল একটি বিষয়। সেই পরিবর্তনের ধারায় নিজেদেরকে যারা আপডেট রাখবেন তারাই এগিয়ে থাকবেন, সেই ধারাবাহিকতায় শর্টওয়েবের পাশাপাশি রেডিও তেহরান তাদের অনলাইন রেডিও কার্যক্রম শুরু করে অব্যাহত রাখাও এখনো শ্রোতা রেডিও তেহরানমুখী যা আগামীতেও নতুনত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে বলেই মনে করেন অধ্যাপক শাহাদত হোসেন। #

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।