বাজেট বাস্তবায়নের অনিয়ম দুর্নীতি রোধে সংস্কার জরুরি, রাজনৈতিক সদিচ্ছারও তাগিদ
(last modified Tue, 30 May 2023 10:35:05 GMT )
মে ৩০, ২০২৩ ১৬:৩৫ Asia/Dhaka

বাংলাদেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট এমন এক সময় প্রণীত হচ্ছে যখন নানামুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকটে বৈশ্বিক অর্থনীতি টালমাটাল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মন্দার হাতছানি, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, চীনের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় ধীরগতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে খাদ্যশস্য, সার ও জ্বালানি উৎপাদন ও সরবরাহ চেইন বাধাগ্রস্ত হওয়া এবং অবরোধ ও পাল্টা অবরোধে সার্বিকভাবে বিশ্বের সব দেশই সমস্যাসংকুল।

তাছাড়া এ বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে দেশের জাতীয় নির্বাচন। একদিকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা, অন্যদিকে নির্বাচনপূর্ব বাজেট, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে রয়েছে নানা আলোচনা। 

তবে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধি ব্যতীত স্বনির্ভর বাস্তবমুখী বাজেট প্রণয়ন সম্ভব নয়। প্রতিবছর বাজেট ঘাটতি বাড়ার কারণে বাংলাদেশ সরকারের ঋণগ্রহণও বাড়ছে যা দেশের অর্থনীতিতে বাড়তি চাপের সৃষ্টি করছে। খেলাপি ঋণের আধিক্য ও নানা অনিয়মের কারণে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানের সামর্থ্য সীমিত। তাছাড়া উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণপ্রাপ্তিতেও আছে ধীরগতি। এ অবস্থায় সম্ভব হলে বাজেটের আকার কাটছাঁট করে ঘাটতি এবং ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ধরাই হবে যুক্তিযুক্ত। নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করে বাজেট ঘাটতি কমিয়ে রাখার মধ্যেই রয়েছে বাজেট প্রণয়নের কৃতিত্ব। একই সাথে দুর্নীতি অনিয়ম বন্ধে কী কী বিষয় সংস্কার রাখা হচ্ছে তা বাজেটে উল্লেখ করার তাগিদ দিয়েছেন পলিসি এক্সচেঞ্জ এর চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ।

র‌্যাপিড চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক

প্রতি বছর বাজেটে যা বরাদ্দ থাকে তার সবটা খরচ করা সম্ভব হয় না। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অদক্ষতার জন্য এবং আরো নানা কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়। সেজন্য বাজেট বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে খরচ করে প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেয়ার পরামর্শ দিলেন অর্থনীতিবিদ ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক। 

একই সাথে দুর্নীতি অনিয়ম বন্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছারও বাস্তবিক প্রয়োগ চান অর্থনীতিবিদ মাশরুর রিয়াজ। এবারের বাজেটে দ্রব্যমূল্য যাতে না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে শুল্ককর বৃদ্ধির ফলে যাতে জনদুর্ভোগ না বাড়ে সেদিকেও দৃষ্টি দেয়ার অনুরোধ তাদের। চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল প্রভৃতির আমদানি শুল্ক ও মূসক সহনীয় পর্যায়ে রেখে বিলাস দ্রব্যসহ ধনীদের ব্যবহার্য দ্রব্যাদিতে শুল্ককর বৃদ্ধি করার পরামর্শ অভিজ্ঞ মহলের। #

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/৩০

ট্যাগ