২ হাজার টাকা করের প্রস্তাব বাতিলের সুপারিশ
অর্থনৈতিক সংকটের বছরে সমাধানের অপ্রতুলতায় ভরপুর বাজেট: সিপিডি
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার স্বীকৃতি ও সমাধানের উদ্যোগ অপ্রতুল বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়গুলোও বাজেটে পরিষ্কার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
আজ (শুক্রবার) সকালে গুলশানের একটি হোটেলে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক পর্যালোচনায় এমন মন্তব্য করে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ বা পণ্যের দামের লাগাম টানার জন্য যেসব প্রস্তাব বা সমাধানের কথা বলা হয়েছে, তা-ও বাস্তবভিত্তিক নয়। সরকার মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে তাও প্রায়োগিক যুক্তিতে সঠিক নয় বলে মনে করেন তিনি।
তবে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ করার উদ্যোগকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর উদ্যোগটি ভালো। তবে রিটার্ন জমা দিলে দুই হাজার টাকা ন্যূনতম করের বিধানটি প্রত্যাহার করা উচিত বলে মনে করে সিপিডি।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, সরকারি সেবা নিতে গেলে যদি কারও করযোগ্য আয় নাও থাকে, তবু তাকে ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে। যার করযোগ্য আয় নেই, তার ওপরে এটা চাপিয়ে দেওয়াটা একটা বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, বৈদেশিক আয়ের দিকে তাকালে দেখা যাবে রেমিট্যান্স নিম্নমুখী। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কিন্তু নিম্নমুখী। বৈদ্যুতিক এবং জ্বালানি খাতে ব্যাপক একটা ঘাটতি দেখা গেছে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
গত দুই অর্থবছরের উন্নয়নের যে সূচক দেখানো হয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেইবলে মন্তব্য করেন সিপিডি নির্বাহী পরিচালক। #
পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।