পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে বেড়েছে পানি,দুর্ভোগে লাখো মানুষ
(last modified Sun, 02 Jul 2023 11:59:29 GMT )
জুলাই ০২, ২০২৩ ১৭:৫৯ Asia/Dhaka

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েই চলেছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। ইতোমধ্যে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে ৫ উপজেলার নিম্নাঞ্চল।

প্রতিনিয়ত পানি বাড়তে থাকায় বন্যা আতংকে রয়েছেন, ভাটির জেলার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।এদিকে,অব্যাহত ভারি বৃষ্টিতে পানি ঢুকে পড়েছে জগন্নাথপুর উপজেলারও কমপক্ষে ৩০টি গ্রামে। পানি-বন্দী হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

অঝোর ধারায় বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের জেলা  সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারা বাজার, মধ্যনগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট। ভোগান্তিতে এলাকার ৫ লাখেরও বেশী মানুষ।

এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নিচু এলাকার তেঘরিয়া, আরপিননগর,কাজীর পয়েন্ট,পশ্চিম হাজীপাড়া ও নবীনগরে রাস্তাঘাট ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে। আতংকে অনেকে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নিয়ে নৌকা নিয়ে চলে  যাচ্ছেন নিরাপদ উঁচু স্থানে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন,সুরমা নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অব্যাহত মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিতে পানি ঢুকে পড়েছে,জগন্নাথপুর উপজেলার কমপক্ষে ৩০টি গ্রামে।পানিতে এসব গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িঘর, শিক্ষা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তলিয়ে পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় অনেক জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

প্রতিদিনই এক-দুই ইঞ্চি করে পানি বাড়তে থাকায়, বন্যা আতংকে রয়েছেন, স্থানীয়রা।বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ইতোমধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করেছে। জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে নদ-নদীর পানি আরও বাড়লে সুনামগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।#

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/০২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ