আরপিও সংশোধন নিয়ে বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ
নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিয়ে ক্রমেই অভিযোগ বাড়ছে
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলছেন বিশেষজ্ঞ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা।
কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা যেন ততই কমছে বলে অভিযোগ উঠছে বিশেষজ্ঞ মহলে।
ভোট বন্ধে ইসির ক্ষমতা কমিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বিল সংসদে পাশ হয়েছে। আরপিও’র সংশোধনী অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণার পর কোনো আসনের পুরো ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না ইসি। যেসব ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ আসবে, শুধু সেসব (এক বা একাধিক) ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করতে পারবে। এরপর তদন্তসাপেক্ষে ফলাফল বাতিল করে ইসি ওইসব কেন্দ্রে নতুন নির্বাচন দিতে পারবে। আগের আরপিও অনুযায়ী, অনিয়ম বা বিরাজমান বিভিন্ন অপকর্মের কারণে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে তারা আইনানুগ নির্বাচন করতে সক্ষম হবে না,সেক্ষেত্রে নির্বাচনের যে কোনো পর্যায়ে তাদের ভোট বন্ধের এখতিয়ার ছিল।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আরপিও সংশোধনের ফলে,নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং তা সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মুখে পড়বে, বলে মনে করছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। নির্বাচনী পর্যবেক্ষক শারমিন মুরশিদ বলছেন, ভোট বাতিলের ক্ষমতা কমিয়ে আরপিও সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সরকারের দুর্বলতাই প্রকাশ পেয়েছে।
ভোট বাতিলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা হ্রাস করে, গত ৪ জুলাই জাতীয় সংসদে পাস হয় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী-২০২৩। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী,রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে ফেলার পর কোনও আসনের পুরো ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না কমিশন। যেসব ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ আসবে, শুধু সেসব ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করতে পারবে। এরপর, তদন্ত সাপেক্ষে ফলাফল বাতিল করে ওই সব কেন্দ্রে নতুন নির্বাচন দিতে পারবে ইসি।
আরপিও আদেশ সংশোধনের ফলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা হ্রাস সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে, বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। ভোট বাতিলের ক্ষমতা কমায় নির্বাচন কমিশনকে আরও আস্থার সংকটে ফেলবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থা ব্রতীর নির্বাহী প্রধান শারমিন মুরশিদ বলছেন,আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকার বিভিন্ন চাপে থাকায়, কমিশনের আরপিও সংশোধন করে ইসির ক্ষমতা কমিয়েছে। তিনি বলেন,সংসদীয় আসনের নির্বাচনে কোন ভোটকেন্দ্রে সমস্যা হলে তার প্রভাব সেই নির্বাচনী এলাকার অন্য কেন্দ্রগুলোতে পড়ে। সেক্ষেত্রে ভোট বাতিল করার ক্ষমতা কম থাকলে কমিশনের ওপর মানুষের আস্থাও কমে যাবে। #
পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।