ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ, সরবরাহ ঘাটতি; ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
(last modified Sun, 03 Sep 2023 13:16:55 GMT )
সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৩ ১৯:১৬ Asia/Dhaka

কমিশন বাড়ানোসহ ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে তেল তোলা এবং পরিবহন বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশের পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির একাংশ। এতে করে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে জ্বালানি তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। তেল না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এ ধর্মঘট পালন করছে।

এ বিষয়ে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতা মো. মুরাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। দাবিগুলো অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। দাবি পূরণে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বেধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সরকার দাবি পূরণ না করায় রোববার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

বাংলাদেশ ট্যাংকলরি মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। এর আগে গত ২৩ আগস্ট প্রস্তুতি সভায় জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। দাবি পূরণ না হলে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।

তবে ঢাকার পেট্রল পাম্প মালিকদের একাংশ এ ধর্মঘটে যোগ দিলেও মূল অংশটি এতে সমর্থন দেয়নি। ফলে কোন কোন এলাকায় কিছু কিছু পাম্প খোলা রয়েছে, তবে তেল দেয়া হচ্ছে জরুরী গুরুত্বপূর্ণ পরিবহনেই শুধু।

তবে গতকাল রাতেই মালিকদের দাবির একটি পূরণ করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। তাদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বিষয়ে সংগঠনের মহাসচিব মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, একটি দাবি পূরণ হলেও কমিশন বাড়ানোর মূল দাবি মানা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্যও ডাকা হয়নি। তাই কর্মসূচি চলমান থাকবে।পাম্প থেকে তেল সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক। তবে তেল উত্তোলন বন্ধ থাকলে কাল থেকেই পাম্পে তেল সরবরাহ কমতে থাকবে বলেন জানান তিনি।

তবে গতকাল রাতেই মালিকদের দাবির একটি পূরণ করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। তাদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের মহাসচিব মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, একটি দাবি পূরণ হলেও কমিশন বাড়ানোর মূল দাবি মানা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্যও ডাকা হয়নি।তাই কর্মসূচি চলমান থাকবে। পাম্প থেকে তেল সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক।তবে তেল উত্তোলন বন্ধ থাকলে কাল থেকেই পাম্পে তেল সরবরাহ কমতে থাকবে বলেন তিনি। আগামীকাল  অনেক পাম্প থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে, কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটকে অযৌক্তিক বললেন পেট্রোল পাম্প ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হক। তিনি বলেন, দাবি যৌক্তিক হলেও ধর্মঘট অযৌক্তিক।#

পার্সটুডে/বাদশা রহমান/আশরাফুর রহমান/৩

ট্যাগ